০৬:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ হাইকমিশনে ভাঙচুরের চেষ্টা হয়নি: ভারতের দাবি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মব ভায়োলেন্সে সন্দেহভাজন চোরের মৃত্যু, চারজন আটক দুটি গণমাধ্যমে হামলা ও মবতন্ত্রের উত্থান জাতির জন্য লজ্জা: সালাহউদ্দিন ঘরেই রক্তাক্ত মৃত্যু, গলা কাটা অবস্থায় কৃষকের মরদেহ উদ্ধার এআই উন্মাদনায় বাজারের ভেতরের সতর্ক সংকেত, শর্ট বিক্রেতারা কোথায় বাজি ধরছেন ট্রাম্প অনিশ্চয়তায় এশিয়া: দক্ষিণ কোরিয়ার চোখে নিঃসঙ্গ ও কঠিন ভবিষ্যৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে হাতের কাজের ভবিষ্যৎ নিরাপদ মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে দৌড়—এল ফাশার দখলের পর সুদানে গণপলায়ন এশিয়াকে বেঁধে রাখা কালো স্রোত: কুরোশিও যেভাবে ইতিহাস, সংস্কৃতি আর জলবায়ু গড়ে তুলেছে ইউরোপে খাবারের যুদ্ধ: কার্বোনারার প্লেট ঘিরে নতুন জাতীয়তাবাদ

নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগে দায়মুক্তি কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট

  • Sarakhon Report
  • ০৬:৪৯:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪
  • 88

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে আইনের ৯ ধারায় দায়মুক্তির বিধান কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। ১০ আইনজীবীর করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে মঙ্গলবার এ রুল জারি করেছেন।

২০১৪ ও ২০১৮ সালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনারদের (ইসি) নিয়োগ নিয়ে দেশের কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না বলে দেয়া দায়মুক্তি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছেন আদালত। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবী জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। রিটকারী আইনজীবীরা হলেন- আব্দুল্লাহ সাদিক, জি এম মোজাহিদুর রহমান, মিসবাহ উদ্দিন, জোবায়দুর রহমান, নোয়াব আলী, আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী, সাজ্জাদ সরওয়ার, মোজাহিদুল ইসলাম, মিজানুল হক ও এ কে এম নুরুন নবী। রিটে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না- ২০২২ সালের আইনে দায়মুক্তি দেয়ার এমন বিধান অসাংবিধানিক।

তারা মনে করেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ ছিল অবৈধ। সে কারণে তাদের অধীন হওয়া নির্বাচনও অবৈধ। রিটকারী আইনজীবী শিশির মনির বলেন, আইন করে নির্বাচন কমিশনকে দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে। সেই দায়মুক্তির আইনে বলা হয়েছে, এটা নিয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না। আমরা মনে করি, এটা আদালতের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। আদালতে যদি এই দায়মুক্তির আইন অসাংবিধানিক ঘোষিত হয়, তাহলে দুটি নির্বাচনই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে।

গত ১৮ আগস্ট ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনারদের দায়মুক্তি দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিটটি করা হয়। একইসঙ্গে রিটে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না- এমন বিধান বাতিলও চাওয়া হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ হাইকমিশনে ভাঙচুরের চেষ্টা হয়নি: ভারতের দাবি

নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগে দায়মুক্তি কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট

০৬:৪৯:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে আইনের ৯ ধারায় দায়মুক্তির বিধান কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। ১০ আইনজীবীর করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে মঙ্গলবার এ রুল জারি করেছেন।

২০১৪ ও ২০১৮ সালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনারদের (ইসি) নিয়োগ নিয়ে দেশের কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না বলে দেয়া দায়মুক্তি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছেন আদালত। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবী জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। রিটকারী আইনজীবীরা হলেন- আব্দুল্লাহ সাদিক, জি এম মোজাহিদুর রহমান, মিসবাহ উদ্দিন, জোবায়দুর রহমান, নোয়াব আলী, আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী, সাজ্জাদ সরওয়ার, মোজাহিদুল ইসলাম, মিজানুল হক ও এ কে এম নুরুন নবী। রিটে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না- ২০২২ সালের আইনে দায়মুক্তি দেয়ার এমন বিধান অসাংবিধানিক।

তারা মনে করেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ ছিল অবৈধ। সে কারণে তাদের অধীন হওয়া নির্বাচনও অবৈধ। রিটকারী আইনজীবী শিশির মনির বলেন, আইন করে নির্বাচন কমিশনকে দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে। সেই দায়মুক্তির আইনে বলা হয়েছে, এটা নিয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না। আমরা মনে করি, এটা আদালতের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। আদালতে যদি এই দায়মুক্তির আইন অসাংবিধানিক ঘোষিত হয়, তাহলে দুটি নির্বাচনই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে।

গত ১৮ আগস্ট ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনারদের দায়মুক্তি দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিটটি করা হয়। একইসঙ্গে রিটে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না- এমন বিধান বাতিলও চাওয়া হয়।