০৪:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

বন্যা-পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রমে ব্র্যাক কর্মীদের এক দিনের বেতন: ৫.৩৬ কোটি টাকা

  • Sarakhon Report
  • ০৬:৪৭:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 34

সারাক্ষণ ডেস্ক

দেশের সাম্প্রতিক আকস্মিক বন্যায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১১ জেলার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য একদিনের বেতন, ৫.৩৬ কোটি (৫৩,৬৪৫, ৫২০) টাকা, সহায়তা দিয়েছে ব্র্যাককর্মীরা। জরুরি ত্রাণসহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা জোরদারের পাশাপাশি বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে দীর্ঘমেয়াদী পুনর্বাসন, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, নিরাপদ পানি সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশন, স্বাস্থ্যবিধি, শিক্ষা ও কৃষি উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
২৫শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ব্র্যাকের নিজস্ব তহবিল, দাতা সংস্থা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে পাওয়া অনুদানের অর্থ দিয়ে প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার পরিবারকে জরুরি ত্রাণ সহায়তা হিসেবে খাবার এবং নিরাপদ পানির মতো প্রয়োজনীয় সেবা পৌঁছে দিয়েছে ব্র্যাক। পাশাপাশি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্গম এলাকার মানুষের সহায়তায় ৫ হাজারেরও বেশি ব্র্যাককর্মী অক্লান্তভাবে কাজ করে চলেছেন।
গত ২৭ই আগস্ট থেকে ২৫শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কুমিল্লা, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী এবং চট্টগ্রামে ৬৩৭টি মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করে প্রায় ১ লাখ ৪৪৭ জন রোগীকে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে ব্র্যাক। তাদের মধ্যে ১০ হাজার ৯৩৬ জন পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুসহ ৪১১ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ছিলেন। জরুরি স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর ৪টি সরকারি হাসপাতালকে সহায়তার অংশ হিসেবে ১৪ হাজার ৫৮৮ জন মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছে ব্র্যাক। পাশাপাশি ৯০ হাজারেরও বেশী মানুষের জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে ১০ হাজার ৬০০ টিউবওয়েল জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে।
বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের জরুরি এবং দীর্ঘমেয়াদী পুনর্বাসনের প্রয়োজন মেটাতে সহায়তা থেকে প্রাপ্ত অর্থ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অনুদানের অর্থ দিয়ে কৃষিখাতে জীবিকা পুনরুদ্ধারে সহায়তা হিসেবে কৃষকদের নতুন করে চাষাবাদ ও গবাদিপশু কিনতে সহায়তা দেওয়া হবে। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর নিরাপত্তা ও স্থায়ী ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণে সহায়তা করা হবে।
পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মেরামত করে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করা হবে, যাতে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত না হয়। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে বিপর্যয় কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে ও জরুরি প্রয়োজন মেটাতে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হবে।

বন্যা-পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রমে ব্র্যাক কর্মীদের এক দিনের বেতন: ৫.৩৬ কোটি টাকা

০৬:৪৭:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সারাক্ষণ ডেস্ক

দেশের সাম্প্রতিক আকস্মিক বন্যায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১১ জেলার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য একদিনের বেতন, ৫.৩৬ কোটি (৫৩,৬৪৫, ৫২০) টাকা, সহায়তা দিয়েছে ব্র্যাককর্মীরা। জরুরি ত্রাণসহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা জোরদারের পাশাপাশি বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে দীর্ঘমেয়াদী পুনর্বাসন, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, নিরাপদ পানি সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশন, স্বাস্থ্যবিধি, শিক্ষা ও কৃষি উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
২৫শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ব্র্যাকের নিজস্ব তহবিল, দাতা সংস্থা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে পাওয়া অনুদানের অর্থ দিয়ে প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার পরিবারকে জরুরি ত্রাণ সহায়তা হিসেবে খাবার এবং নিরাপদ পানির মতো প্রয়োজনীয় সেবা পৌঁছে দিয়েছে ব্র্যাক। পাশাপাশি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্গম এলাকার মানুষের সহায়তায় ৫ হাজারেরও বেশি ব্র্যাককর্মী অক্লান্তভাবে কাজ করে চলেছেন।
গত ২৭ই আগস্ট থেকে ২৫শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কুমিল্লা, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী এবং চট্টগ্রামে ৬৩৭টি মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করে প্রায় ১ লাখ ৪৪৭ জন রোগীকে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে ব্র্যাক। তাদের মধ্যে ১০ হাজার ৯৩৬ জন পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুসহ ৪১১ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ছিলেন। জরুরি স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর ৪টি সরকারি হাসপাতালকে সহায়তার অংশ হিসেবে ১৪ হাজার ৫৮৮ জন মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছে ব্র্যাক। পাশাপাশি ৯০ হাজারেরও বেশী মানুষের জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে ১০ হাজার ৬০০ টিউবওয়েল জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে।
বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের জরুরি এবং দীর্ঘমেয়াদী পুনর্বাসনের প্রয়োজন মেটাতে সহায়তা থেকে প্রাপ্ত অর্থ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অনুদানের অর্থ দিয়ে কৃষিখাতে জীবিকা পুনরুদ্ধারে সহায়তা হিসেবে কৃষকদের নতুন করে চাষাবাদ ও গবাদিপশু কিনতে সহায়তা দেওয়া হবে। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর নিরাপত্তা ও স্থায়ী ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণে সহায়তা করা হবে।
পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মেরামত করে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করা হবে, যাতে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত না হয়। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে বিপর্যয় কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে ও জরুরি প্রয়োজন মেটাতে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হবে।