০২:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

ইশকুল (পর্ব-০৮)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪
  • 19
আর্কাদি গাইদার

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

আমরা অনেকেই ভাল্ল্কার গোপন প্ল্যানের খবর জানি একথা হেডমাস্টার- মশাই কী করে ভাবলেন জানি না। কিন্তু তিনি ভুল ভেবেছিলেন। আসলে আমরা কেউই এর কিছু জানতুম না। ভাল্কা প্লাগিন যে পালিয়ে যেতে পারে একথা কখনও কারও মাথায় আসে নি। ছেলেটা ছিল নেহাতই গোবেচারা। কখনও নিজেকে কোনো উটকোঝামেলায় জড়াত না, পাড়াপড়শীর ফলবাগানে চুরির দলেও থাকত না সে, সব সময়েই থাকত জড়সড় হয়ে এক কথায়, ছেলেটা ছিল নিতান্ত মিমিনে। এমন একটা কাজ করার পক্ষে ও ছিল সবচেয়ে অনুপযুক্ত!
সবাই মিলে জোর বৈঠক বসালুম আমরা। বের করবার চেষ্টা করলুম, আগে থেকে কেউ টের পেয়েছিল কিনা যে ও পালানোর তোড়জোড় করছে। দূর ছাই, কেউ কি ঠিক টাইমমাফিক মাথায় টুপি চড়িয়ে ঘুণাক্ষরে কাউকে কিছু না-জানিয়ে সটান যুদ্ধে চলে যেতে পারে নাকি!
ফেক্কা বাশ্মাকভের মনে পড়ল, ও ভাল্ল্কাকে রেলরাস্তার একটা ম্যাপ হাতে একবার দেখেছিল বটে।
ফেল-করা দুবিলভটা বললে, এই সেদিন একটা দোকানে গিয়ে ও দেখেছিল ভালুকা পকেট-টর্চের ব্যাটারি কিনছে। কিন্তু হাজারো জেরা করা সত্ত্বেও ভালুকার পালানোর গোপন যোগাড়যন্ত্র সম্বন্ধে আর কোনো খোঁজ পাওয়া গেল না।
উত্তেজনায় সারা ক্লাসটা যেন টগবগ করে ফুটল ক-দিন। প্রত্যেকেই এদিক- সেদিক ছোটাছুটি করতে লাগল, চরকি-পাক খেতে লাগল এধার-সেধার, পড়া-ধরার সময় ভুলভাল উত্তর দিতে লাগল। সাধারণ সময়ে যত ছেলেকে শান্তি হিসেবে ছুটির পরে ইশকুলে আটক থাকতে হয়, দেখা গেল, তার সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এইভাবে কাটল কয়েক দিন। তারপর আচমকা আবার খবরের মতো খবর প্রথম শ্রেণীর মিল্কা তুপিকভ বলে একটা ছেলে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছে। ইশকুলের কর্তৃপক্ষ এবার সত্যিই ভয় পেয়ে গেলেন।
ফেক্কা চুপিচুপি আমায় জানাল, ‘আজকের বাইবেল-ক্লাসে এইসব পালানোর ব্যাপার নিয়ে একটা বক্তৃতা হবে, বুঝেছিস। খাতা নিয়ে টিচার্স রুমে যখন ঢুকেছিলুম তখন শুনলুম স্যাররা এই নিয়ে বলাবলি করছেন।’

সুপ্রিম কোর্টের রায়কে পাশ কাটানোর কৌশল খুঁজছে বিচারকরা, ফেরাতে পারবে কি USAID

ইশকুল (পর্ব-০৮)

০৮:০০:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪
আর্কাদি গাইদার

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

আমরা অনেকেই ভাল্ল্কার গোপন প্ল্যানের খবর জানি একথা হেডমাস্টার- মশাই কী করে ভাবলেন জানি না। কিন্তু তিনি ভুল ভেবেছিলেন। আসলে আমরা কেউই এর কিছু জানতুম না। ভাল্কা প্লাগিন যে পালিয়ে যেতে পারে একথা কখনও কারও মাথায় আসে নি। ছেলেটা ছিল নেহাতই গোবেচারা। কখনও নিজেকে কোনো উটকোঝামেলায় জড়াত না, পাড়াপড়শীর ফলবাগানে চুরির দলেও থাকত না সে, সব সময়েই থাকত জড়সড় হয়ে এক কথায়, ছেলেটা ছিল নিতান্ত মিমিনে। এমন একটা কাজ করার পক্ষে ও ছিল সবচেয়ে অনুপযুক্ত!
সবাই মিলে জোর বৈঠক বসালুম আমরা। বের করবার চেষ্টা করলুম, আগে থেকে কেউ টের পেয়েছিল কিনা যে ও পালানোর তোড়জোড় করছে। দূর ছাই, কেউ কি ঠিক টাইমমাফিক মাথায় টুপি চড়িয়ে ঘুণাক্ষরে কাউকে কিছু না-জানিয়ে সটান যুদ্ধে চলে যেতে পারে নাকি!
ফেক্কা বাশ্মাকভের মনে পড়ল, ও ভাল্ল্কাকে রেলরাস্তার একটা ম্যাপ হাতে একবার দেখেছিল বটে।
ফেল-করা দুবিলভটা বললে, এই সেদিন একটা দোকানে গিয়ে ও দেখেছিল ভালুকা পকেট-টর্চের ব্যাটারি কিনছে। কিন্তু হাজারো জেরা করা সত্ত্বেও ভালুকার পালানোর গোপন যোগাড়যন্ত্র সম্বন্ধে আর কোনো খোঁজ পাওয়া গেল না।
উত্তেজনায় সারা ক্লাসটা যেন টগবগ করে ফুটল ক-দিন। প্রত্যেকেই এদিক- সেদিক ছোটাছুটি করতে লাগল, চরকি-পাক খেতে লাগল এধার-সেধার, পড়া-ধরার সময় ভুলভাল উত্তর দিতে লাগল। সাধারণ সময়ে যত ছেলেকে শান্তি হিসেবে ছুটির পরে ইশকুলে আটক থাকতে হয়, দেখা গেল, তার সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এইভাবে কাটল কয়েক দিন। তারপর আচমকা আবার খবরের মতো খবর প্রথম শ্রেণীর মিল্কা তুপিকভ বলে একটা ছেলে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছে। ইশকুলের কর্তৃপক্ষ এবার সত্যিই ভয় পেয়ে গেলেন।
ফেক্কা চুপিচুপি আমায় জানাল, ‘আজকের বাইবেল-ক্লাসে এইসব পালানোর ব্যাপার নিয়ে একটা বক্তৃতা হবে, বুঝেছিস। খাতা নিয়ে টিচার্স রুমে যখন ঢুকেছিলুম তখন শুনলুম স্যাররা এই নিয়ে বলাবলি করছেন।’