সারাক্ষণ ডেস্ক
প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে নির্বাচনই প্রাধান্য”
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে নির্বাচনকেই প্রাধান্য দিয়েছে দেশের অন্যতম প্রধান দল বিএনপি ও রাজনৈতিক অন্য দলগুলো। এ সময় বিএনপি দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ চেয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে নির্বাচনের প্রস্তুতি, নির্বাচন কমিশন গঠন ও সংস্কার একসঙ্গে এগিয়ে নেওয়া হবে, যাতে দ্রুত একটা নির্বাচন করা যায়।
নবগঠিত সংস্কার কমিশন ও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সামনে রেখে গতকাল শনিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রথম দিনে বেলা আড়াইটায় বিএনপিকে দিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এরপর একে একে জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চ, হেফাজতে ইসলাম, বাম গণতান্ত্রিক জোট, ইসলামী আন্দোলন, এবি পার্টি ও গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপ হয়। সব মিলিয়ে পাঁচটি দল ও তিনটি জোটের সঙ্গে প্রথম দিনের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও তার জোটসঙ্গীদের এই সংলাপের বাইরে রাখা হয়েছে। জাতীয় পার্টিকে এখন পর্যন্ত আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে আগামী শনিবার আরও কয়েকটি দলকে সংলাপে ডাকা হতে পারে বলে জানা গেছে।
ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “দুপুরের মধ্যে ১৩ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস”
দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ দেশের ১৩ জেলার ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেইসঙ্গে বজ্রবৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।
রোববার (৬ অক্টোবর) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানা গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুকের সই করা সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে- পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেটের ওপর দিয়ে ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে।
দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে এই ঝড় বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিরও আশঙ্কা রয়েছে।
এসব এলাকার নদীবন্দরকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “খেলাপি হয়ে গেছে জনতা ব্যাংকের ৭৫ শতাংশ ঋণ”
রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের ৭৫ শতাংশ ঋণই এখন খেলাপির খাতায়। গত সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকটির মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭৪ হাজার কোটি টাকা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেকোনো সময় হতে পারে সিআরআর-এসএলআর ঘাটতি। ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সর্বশেষ সভায় আর্থিক বিপর্যয়ের এ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ২০০৯ সালে ব্যাংকটির দুর্দশাগ্রস্ত ঋণ ছিল ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
ব্যাংকটির ৮২৪তম পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হয় ১ অক্টোবর। ওই সভায় যে নথি উপস্থাপন করা হয় সেটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জনতা ব্যাংকে জমাকৃত আমানতের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ১১ হাজার ৭৪৯ কোটি টাকা। সেখান থেকে বিতরণ করা হয়েছে ৯৮ হাজার ৫২৩ কোটি টাকার ঋণ। বিতরণকৃত এ ঋণের অর্ধেকের বেশি তথা ৪৯ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকাই নিয়েছে মাত্র পাঁচটি গ্রুপ। এর মধ্যে এককভাবে সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো গ্রুপই নিয়েছে ২৫ হাজার ৮০ কোটি টাকা। এস আলম গ্রুপ ১০ হাজার ১৭১ কোটি, এননটেক্স গ্রুপ ৭ হাজার ৭৭৪ কোটি, ক্রিসেন্ট গ্রুপ ৩ হাজার ৮০৭ কোটি এবং ওরিয়ন গ্রুপ ৩ হাজার ১১ কোটি টাকা নিয়েছে।
মানবজমিনের একটি শিরোনাম“নিয়ন্ত্রণহীন বাজার নেপথ্যে কী”
এক মাসের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। ফার্মের মুরগির ডিমের দাম হালিপ্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা
পর্যন্ত। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। খোলা পামঅয়েল ও সুপার তেলের দাম বেড়েছে ১৫ টাকা পর্যন্ত। সাধারণের নাগালের বাইরে রয়েছে পিয়াজ ও রসুনের দাম। শাকসবজি ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। এ ছাড়া সরকার থেকে কয়েকটি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হলেও তার চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি হচ্ছে। এভাবে পণ্যের দাম বৃদ্ধির নেপথ্যে যৌক্তিক কোনো কারণ দেখছেন না বাজার বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, অসৎ ব্যবসায়ী ও মধ্যস্থতাকারীদের কারসাজির জন্যই মূলত পণ্যমূল্য বাড়ছে। পণ্যের দাম বাড়ার অন্য কোনো কারণ নেই। এটা নিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলোকে কাজ করতে হবে। ব্যবসায়ীদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। অন্যদিকে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভোক্তারা।
তারা বলছেন, সরকার বদলালেও বাজারের দৃশ্যপট বদলায়নি। এখনো ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কব্জায় রয়েছে বাজার। আমরা পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের উদাসীনতা দেখতে পাচ্ছি। আমাদের কষ্ট কমেনি।
গতকাল রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক মাসের ব্যবধানে পামঅয়েল সুপারের দাম লিটারে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সেপ্টেম্বরের শুরুতে প্রতিলিটার পামঅয়েলের দাম ছিল ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। সেটি এখন বেড়ে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা পর্যন্ত হয়েছে। এ ছাড়া বোতলজাত সয়াবিন তেল সরকার থেকে ১৬৭ টাকা নির্ধারণ করা হলেও তা বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। আর খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হলেও ১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তেলের পাশাপাশি আটার দামও বেড়েছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরায় প্রতি কেজি খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়।