০১:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

শিশুর বিকাশের অন্তরায়গুলো চিহ্নিত করে সমাধানে বদ্ধপরিকর সরকার: ড. ইউনূস

  • Sarakhon Report
  • ১১:০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪
  • 24

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “তবু ঝুঁকি নিয়ে জ্বালানি তেল খালাস”

সাগরে বড় ট্যাংকার থেকে পাইপের মাধ্যমে জ্বালানি তেল খালাসের জন্য একটি প্রকল্প নিয়েছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। দুই মাস আগে এই প্রকল্পের কাজ শেষও হয়েছে। তবে পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় জ্বালানি সরবরাহ শুরু হয়নি। এখনো সনাতন পদ্ধতিতে ছোট ট্যাংকারে তেল সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে সময় ও খরচের পাশাপাশি ঝুঁকি বাড়ছে।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) তেল পরিবহনের ট্যাংকার ‘এমটি বাংলার জ্যোতি’ থেকে তেল খালাসের সময় বিস্ফোরণ থেকে আগুনের ঘটনায় তিনজন নিহত হন। এ ঘটনা পাইপলাইনে জ্বালানি তেল খালাসের প্রকল্প শেষ হওয়ার পরও চালু না হওয়ার বিষয়টি আবার সামনে এনেছে। দুর্ঘটনার পর গঠিত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদনেও এই প্রকল্প দ্রুত চালু করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আগস্টে শেষ হয় প্রকল্পের কাজ

তেল খালাসে খরচ ও সময় সাশ্রয় করতে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপলাইন’ বা ভাসমান জেটি নির্মাণের এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট। এরপর চার দফা মেয়াদ বাড়ে। আর ব্যয় ৫ হাজার কোটি থেকে বেড়ে ৮ হাজার ২৯৮ কোটিতে উন্নীত হয়। বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে (জিটুজি) চুক্তির ভিত্তিতে এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) পক্ষে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)।

প্রকল্পের আওতায় মহেশখালী দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে গভীর সাগরে ভাসমান মুরিং (বিশেষায়িত বয়া) বসানো হয়েছে। সেখান থেকে সাগরের তলদেশ দিয়ে মহেশখালী স্টোরেজ ট্যাংক হয়ে আবার পতেঙ্গার ইস্টার্ন রিফাইনারি পর্যন্ত ১১০ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া পাম্পিং স্টেশন, তিনটি করে অপরিশোধিত তেল ও ডিজেল ট্যাংক, বুস্টার পাম্প, জেনারেটর নির্মাণ করা হয়েছে।

বিপিসি সূত্র জানায়, নির্মাণকাজ শেষে গত বছরের জুলাইয়ে প্রথমবারের মতো সাগরের তলদেশে পাইপলাইনে তেল খালাসের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তখন জাহাজের ভারসাম্য ঠিক রাখতে না পারায় তেল খালাসের সংযোগকারী ভাসমান পাইপ ছিঁড়ে যায়। এরপর চীন থেকে টাগবোট এনে ওই বছরের ডিসেম্বরে আবারও পরীক্ষামূলকভাবে জ্বালানি তেল খালাসের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সফলভাবে ওই কার্যক্রম শেষ হয়েছিল।

 

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “শিশুর বিকাশের অন্তরায়গুলো চিহ্নিত করে সমাধানে বদ্ধপরিকর সরকার: ড. ইউনূস”

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার শিশুর প্রতি বঞ্চনা, শিশুশ্রম, অপুষ্টি ও বাল্যবিবাহসহ অন্যান্য সমস্যা যা শিশুর সঠিক বিকাশের অন্তরায় সেসব চিহ্নিত করে সমাধান করতে বদ্ধপরিকর।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “মানুষ কষ্টে থাকলেও ফুলেফেঁপে উঠছে সরকারি প্রতিষ্ঠান”

বছর পাঁচেক আগেও বড় অংকের পুঞ্জীভূত লোকসানে ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। তবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ফলে ২০২০ সাল থেকেই সংস্থাটির মুনাফা পুঞ্জীভূত হতে থাকে। এ অবস্থায় ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে বিপিসির সংরক্ষিত আয় (রিটেইনড আর্নিংস) দাঁড়াতে পারে ৩০ হাজার কোটি টাকায়। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে জ্বালানি তেল আমদানির এলসি খোলার ক্ষেত্রেও সরকারের ব্যয় কমেছে ৩৬ শতাংশ। এ অবস্থায় জ্বালানি তেলের দাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমানোর কোনো ঘোষণা এখনো সরকারের পক্ষ থেকে আসেনি। উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর বিষয়টি সহায়ক হতে পারত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিপিসির আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির ১৪ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা পুঞ্জীভূত লোকসান ছিল। পরের ২০১৯-২০ অর্থবছরে লোকসান কাটিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ৭ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা সংরক্ষিত আয় রাখতে সক্ষম হয়। এর পর থেকে প্রতি বছরই বিপিসির সংরক্ষিত আয় আরো স্ফীত হয়েছে এবং ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে ২৭ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটেও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিপিসির ৩ হাজার ৮৪১ কোটি টাকা কর-পরবর্তী মুনাফা হতে পারে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে। ফলে সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে প্রতিষ্ঠানটির সংরক্ষিত আয় ৩০ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আর্থিক দিক দিয়ে বর্তমানে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বিপিসি। স্বশাসিত সংস্থাগুলোর উদ্বৃত্ত তহবিল সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার জন্য একটি আইন করেছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। এ আইনের অধীনে ২০১৯-২০ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিপিসি সরকারের কোষাগারে ১১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা জমা দিয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকারকে কোনো অর্থ জমা দেয়নি সংস্থাটি।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিপিসি ৫৫ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকার জ্বালানি তেল আমদানি করে। এর মধ্যে পরিশোধিত জ্বালানি তেল ছিল ৯ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকার। আর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলে ব্যয় হয় ৪৬ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে বিপিসি ৬৭ লাখ ২৭ হাজার ৬০১ টন জ্বালানি তেল বিক্রি করে, যা আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় ৮ দশমিক ৪২ শতাংশ কম।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) জ্বালানি তেল আমদানি বাবদ আগের অর্থবছরের তুলনায় বিপিসির ব্যয় কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুসারে, এ দুই মাসে জ্বালানি তেল আমদানির এলসি খোলায় ব্যয় হয়েছে ১২৫ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৬ দশমিক ২০ শতাংশ কম। এলসি খোলার পাশাপাশি এ সময়ে এলসি নিষ্পত্তিতেও ব্যয় কমেছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্টে এলসি নিষ্পত্তির পরিমাণ ছিল ১৩৩ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২০ দশমিক ১৪ শতাংশ কম। মূলত জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ার কারণেই এলসি খোলায় ব্যয় কমেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম“সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান গ্রেপ্তার”

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার দিবাগত রাতে রাজধানীর রমনা এলাকা থেকে তাকে প্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রাথমিকভাবে জানাননি তিনি।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়।

২০১৫ সালে এনবিআর চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান নজিবুর রহমান। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর তাকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নতুন মুখ্য সচিব করা হয়।

 

শিশুর বিকাশের অন্তরায়গুলো চিহ্নিত করে সমাধানে বদ্ধপরিকর সরকার: ড. ইউনূস

১১:০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “তবু ঝুঁকি নিয়ে জ্বালানি তেল খালাস”

সাগরে বড় ট্যাংকার থেকে পাইপের মাধ্যমে জ্বালানি তেল খালাসের জন্য একটি প্রকল্প নিয়েছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। দুই মাস আগে এই প্রকল্পের কাজ শেষও হয়েছে। তবে পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় জ্বালানি সরবরাহ শুরু হয়নি। এখনো সনাতন পদ্ধতিতে ছোট ট্যাংকারে তেল সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে সময় ও খরচের পাশাপাশি ঝুঁকি বাড়ছে।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) তেল পরিবহনের ট্যাংকার ‘এমটি বাংলার জ্যোতি’ থেকে তেল খালাসের সময় বিস্ফোরণ থেকে আগুনের ঘটনায় তিনজন নিহত হন। এ ঘটনা পাইপলাইনে জ্বালানি তেল খালাসের প্রকল্প শেষ হওয়ার পরও চালু না হওয়ার বিষয়টি আবার সামনে এনেছে। দুর্ঘটনার পর গঠিত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদনেও এই প্রকল্প দ্রুত চালু করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আগস্টে শেষ হয় প্রকল্পের কাজ

তেল খালাসে খরচ ও সময় সাশ্রয় করতে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপলাইন’ বা ভাসমান জেটি নির্মাণের এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট। এরপর চার দফা মেয়াদ বাড়ে। আর ব্যয় ৫ হাজার কোটি থেকে বেড়ে ৮ হাজার ২৯৮ কোটিতে উন্নীত হয়। বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে (জিটুজি) চুক্তির ভিত্তিতে এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) পক্ষে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)।

প্রকল্পের আওতায় মহেশখালী দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে গভীর সাগরে ভাসমান মুরিং (বিশেষায়িত বয়া) বসানো হয়েছে। সেখান থেকে সাগরের তলদেশ দিয়ে মহেশখালী স্টোরেজ ট্যাংক হয়ে আবার পতেঙ্গার ইস্টার্ন রিফাইনারি পর্যন্ত ১১০ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া পাম্পিং স্টেশন, তিনটি করে অপরিশোধিত তেল ও ডিজেল ট্যাংক, বুস্টার পাম্প, জেনারেটর নির্মাণ করা হয়েছে।

বিপিসি সূত্র জানায়, নির্মাণকাজ শেষে গত বছরের জুলাইয়ে প্রথমবারের মতো সাগরের তলদেশে পাইপলাইনে তেল খালাসের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তখন জাহাজের ভারসাম্য ঠিক রাখতে না পারায় তেল খালাসের সংযোগকারী ভাসমান পাইপ ছিঁড়ে যায়। এরপর চীন থেকে টাগবোট এনে ওই বছরের ডিসেম্বরে আবারও পরীক্ষামূলকভাবে জ্বালানি তেল খালাসের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সফলভাবে ওই কার্যক্রম শেষ হয়েছিল।

 

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “শিশুর বিকাশের অন্তরায়গুলো চিহ্নিত করে সমাধানে বদ্ধপরিকর সরকার: ড. ইউনূস”

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার শিশুর প্রতি বঞ্চনা, শিশুশ্রম, অপুষ্টি ও বাল্যবিবাহসহ অন্যান্য সমস্যা যা শিশুর সঠিক বিকাশের অন্তরায় সেসব চিহ্নিত করে সমাধান করতে বদ্ধপরিকর।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “মানুষ কষ্টে থাকলেও ফুলেফেঁপে উঠছে সরকারি প্রতিষ্ঠান”

বছর পাঁচেক আগেও বড় অংকের পুঞ্জীভূত লোকসানে ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। তবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ফলে ২০২০ সাল থেকেই সংস্থাটির মুনাফা পুঞ্জীভূত হতে থাকে। এ অবস্থায় ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে বিপিসির সংরক্ষিত আয় (রিটেইনড আর্নিংস) দাঁড়াতে পারে ৩০ হাজার কোটি টাকায়। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে জ্বালানি তেল আমদানির এলসি খোলার ক্ষেত্রেও সরকারের ব্যয় কমেছে ৩৬ শতাংশ। এ অবস্থায় জ্বালানি তেলের দাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমানোর কোনো ঘোষণা এখনো সরকারের পক্ষ থেকে আসেনি। উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর বিষয়টি সহায়ক হতে পারত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিপিসির আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির ১৪ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা পুঞ্জীভূত লোকসান ছিল। পরের ২০১৯-২০ অর্থবছরে লোকসান কাটিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ৭ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা সংরক্ষিত আয় রাখতে সক্ষম হয়। এর পর থেকে প্রতি বছরই বিপিসির সংরক্ষিত আয় আরো স্ফীত হয়েছে এবং ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে ২৭ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটেও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিপিসির ৩ হাজার ৮৪১ কোটি টাকা কর-পরবর্তী মুনাফা হতে পারে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে। ফলে সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে প্রতিষ্ঠানটির সংরক্ষিত আয় ৩০ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আর্থিক দিক দিয়ে বর্তমানে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বিপিসি। স্বশাসিত সংস্থাগুলোর উদ্বৃত্ত তহবিল সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার জন্য একটি আইন করেছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। এ আইনের অধীনে ২০১৯-২০ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিপিসি সরকারের কোষাগারে ১১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা জমা দিয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকারকে কোনো অর্থ জমা দেয়নি সংস্থাটি।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিপিসি ৫৫ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকার জ্বালানি তেল আমদানি করে। এর মধ্যে পরিশোধিত জ্বালানি তেল ছিল ৯ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকার। আর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলে ব্যয় হয় ৪৬ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে বিপিসি ৬৭ লাখ ২৭ হাজার ৬০১ টন জ্বালানি তেল বিক্রি করে, যা আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় ৮ দশমিক ৪২ শতাংশ কম।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) জ্বালানি তেল আমদানি বাবদ আগের অর্থবছরের তুলনায় বিপিসির ব্যয় কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুসারে, এ দুই মাসে জ্বালানি তেল আমদানির এলসি খোলায় ব্যয় হয়েছে ১২৫ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৬ দশমিক ২০ শতাংশ কম। এলসি খোলার পাশাপাশি এ সময়ে এলসি নিষ্পত্তিতেও ব্যয় কমেছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্টে এলসি নিষ্পত্তির পরিমাণ ছিল ১৩৩ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২০ দশমিক ১৪ শতাংশ কম। মূলত জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ার কারণেই এলসি খোলায় ব্যয় কমেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম“সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান গ্রেপ্তার”

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার দিবাগত রাতে রাজধানীর রমনা এলাকা থেকে তাকে প্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রাথমিকভাবে জানাননি তিনি।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়।

২০১৫ সালে এনবিআর চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান নজিবুর রহমান। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর তাকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নতুন মুখ্য সচিব করা হয়।