০৫:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

বায়ুদূষণে ৩ নম্বরে ঢাকা, বায়ুর মান ‘অস্বাস্থ্যকর’

  • Sarakhon Report
  • ০৯:২৮:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪
  • 24

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “সঞ্চয়পত্রের মুনাফাও দিচ্ছে না এস আলমের ব্যাংকগুলো”

সঞ্চয়পত্র নিয়ে বিপদে পড়েছেন অনেক বিনিয়োগকারী। তাঁরা মুনাফার টাকা তুলতে পারছেন না, আসল টাকাও ফেরত না পাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে এস আলম গ্রুপের মালিকানায় যেসব ব্যাংক ছিল, সেই সব ব্যাংকের সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকেরা এ সমস্যায় বেশি পড়েছেন। এর বাইরে দুর্বল কিছু বেসরকারি ব্যাংকও গ্রাহকদের সঙ্গে একই আচরণ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিষয়টি নিয়ে এক মাস ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) এবং জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের মধ্যে চিঠি চালাচালি হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা সমাধানের কোনো পথ বের করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলো। ফলে টাকা না পেয়ে গ্রাহকেরা ব্যাংকগুলোতে গিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন।

সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতাধীন চার ধরনের সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রেই এ ঘটনা ঘটছে। এগুলো হচ্ছে, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পরিবার সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্র।

গতকাল মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন সচিবালয়ে বসে এ ব্যাপারে নিজের অসন্তোষ ও বঞ্চনার কথা এ প্রতিবেদককে জানান। তিনি বলেন, এস আলম গ্রুপের মালিকানায় ছিল, এমন একটি ব্যাংকে তাঁর হিসাব রয়েছে। সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের বিপরীতে তিনি এ হিসাবেই মুনাফা পেয়ে আসছিলেন, যে অর্থ দিয়ে তিনি সাধারণত মাসিক বাজার-খরচ চালান। কিন্তু ব্যাংক এখন তাঁর মুনাফার টাকা দিচ্ছে না।

 

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “বায়ুদূষণে ৩ নম্বরে ঢাকা, বায়ুর মান ‘অস্বাস্থ্যকর’”

বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ বুধবার ১৬৬ স্কোর নিয়ে ৩ নম্বরে অবস্থান করছে ঢাকা। সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার এ অবস্থান দেখা গেছে। এই স্কোর বাতাসের মানকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে নির্দেশ করে।

এদিকে, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আজ ২১৫ স্কোর নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ইরাকের বাগদাদ শহর। ১৮৮ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি এবং পাকিস্তানের লাহোর ১৬৩ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছে।

১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “সংস্কারের বাইরে থেকে যাবে কি এনজিও?”

কভিডকালে দেশজুড়ে মাসের পর মাস ছিল লকডাউন। মারাত্মক প্রভাব পড়ে জীবনযাপনে। সে ধাক্কায় দারিদ্র্যের হার ২১ দশমিক ৬০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪২ শতাংশে দাঁড়ায় বলে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) এক জরিপে উঠে আসে। ওই সময় অনেকটাই নীরব ভূমিকা পালন করায় প্রশ্ন উঠেছিল নন-গভর্নমেন্টাল অর্গানাইজেশন (এনজিও) বা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর কার্যক্রম নিয়ে। কেননা যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের মধ্য দিয়েই অলাভজনক এসব প্রতিষ্ঠানের যাত্রা। পরবর্তী সময়ে বেড়েছে এর ক্ষেত্র ও সংখ্যা। তবে কার্যপরিধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক উন্নয়নের মূল জায়গা থেকেও এনজিওগুলো ক্রমেই সরে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, প্রান্তিক মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের মতো উদ্যোগ থেকে সরে এসে দেশের বৃহদাকারের এনজিওগুলো এখন করপোরেট কালচারের দিকে যাচ্ছে।

বাংলাদেশকে বলা হয় ‘ল্যান্ড অব এনজিও’। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে দেশে এনজিও রয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার। আর এনজিও-বিষয়ক ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্যে ২ হাজার ৬৩৬টি রেজিস্টার্ড এনজিওর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। স্থানীয় বৃহৎ এনজিওর মধ্যে ব্র্যাক, গ্রামীণ, প্রশিকা, টিএমএসএস, আশা, কারিতাস, আরডিআরএস বাংলাদেশ, ব্যুরো বাংলাদেশ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। বেসরকারি এসব উন্নয়ন সংস্থা এখন বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। তবে সামাজিক উদ্যোগের বাইরে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হিসেবে এনজিওগুলো মাইক্রোক্রেডিট বা ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। কেননা এর মাধ্যমে দরিদ্রদের, বিশেষ করে নারীদের কাছে সহজেই পৌঁছা যায়। একই সঙ্গে অর্থ উৎপাদনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত হওয়ায় এনজিওগুলোকে টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী হতে সহযোগিতা করছে। অন্য খাতগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবাধিকার, পরিবার পরিকল্পনা, পরিবেশ এবং নারী ও শিশু কল্যাণসহ অন্যান্য। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এনজিওগুলোর ফোকাস পরিবর্তন হয়ে জাতীয় উন্নয়নের দিকে মোড় নিয়েছে। যার ফলে তাদের এখন উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে তুলে ধরা হয়।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম“সরকারি খাতেই ৫ লাখ চাকরির সুযোগ”

বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের তোড়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। এই আন্দোলনের শুরুটা ছিল সরকারি চাকরিপ্রত্যাশীদের। তারা  মেধার ভিত্তিতে সরকারি চাকরির দাবি তুলে আন্দোলনে নেমেছিলেন। সেই আন্দোলনের জেরে সরকারের পতন হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সমর্থনেই নতুন সরকার গঠন হয়েছে। কিন্তু তাদের কাঙ্ক্ষিত চাকরির বিষয়ে স্থবিরতা কাটেনি এখনো। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অন্তত ৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে এই মুহূর্তে। এই পদ পূরণ হলে চাকরি প্রত্যাশীদের বড় অংশের কর্মসংস্থান হতে পারে। এই পদ পূরণে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি কমিশন করে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বেসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি চাকরিতে ৫ লাখ ৩ হাজার ৩৩৩টি পদ খালি। বিপুল পরিমাণ এই শূন্যপদ থাকলেও অনুষ্ঠিত হচ্ছে না চাকরি পরীক্ষা। আবার আগে অনুষ্ঠিত হওয়া চাকরি পরীক্ষাও সম্পন্ন হচ্ছে না।

গত আমলের সরকারি চাকরির পরীক্ষায় ছিল ব্যাপক অনিয়ম। এছাড়াও ছিল পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) বিসিএস’র প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ। আটকে আছে তিনটি বিসিএসসহ একাধিক নন-ক্যাডারের নিয়োগ কার্যক্রম। হচ্ছে না পদোন্নতির পরীক্ষাও। আন্দোলনের সময় স্থগিত করা হয় ৪৪তম বিসিএস’র মৌখিক পরীক্ষা। পরবর্তীতে ৪৬তম বিসিএস’র লিখিত পরীক্ষাও স্থগিত হয়। ১৪ই সেপ্টেম্বর ক্যাডারভুক্ত ও নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের অর্ধবার্ষিক বিভাগীয় পরীক্ষা স্থগিত হয়। আর দীর্ঘদিন ধরে ৪৫তম বিসিএস’র লিখিত পরীক্ষার ফলও আটকে আছে।

 

বায়ুদূষণে ৩ নম্বরে ঢাকা, বায়ুর মান ‘অস্বাস্থ্যকর’

০৯:২৮:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “সঞ্চয়পত্রের মুনাফাও দিচ্ছে না এস আলমের ব্যাংকগুলো”

সঞ্চয়পত্র নিয়ে বিপদে পড়েছেন অনেক বিনিয়োগকারী। তাঁরা মুনাফার টাকা তুলতে পারছেন না, আসল টাকাও ফেরত না পাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে এস আলম গ্রুপের মালিকানায় যেসব ব্যাংক ছিল, সেই সব ব্যাংকের সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকেরা এ সমস্যায় বেশি পড়েছেন। এর বাইরে দুর্বল কিছু বেসরকারি ব্যাংকও গ্রাহকদের সঙ্গে একই আচরণ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিষয়টি নিয়ে এক মাস ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) এবং জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের মধ্যে চিঠি চালাচালি হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা সমাধানের কোনো পথ বের করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলো। ফলে টাকা না পেয়ে গ্রাহকেরা ব্যাংকগুলোতে গিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন।

সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতাধীন চার ধরনের সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রেই এ ঘটনা ঘটছে। এগুলো হচ্ছে, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পরিবার সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্র।

গতকাল মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন সচিবালয়ে বসে এ ব্যাপারে নিজের অসন্তোষ ও বঞ্চনার কথা এ প্রতিবেদককে জানান। তিনি বলেন, এস আলম গ্রুপের মালিকানায় ছিল, এমন একটি ব্যাংকে তাঁর হিসাব রয়েছে। সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের বিপরীতে তিনি এ হিসাবেই মুনাফা পেয়ে আসছিলেন, যে অর্থ দিয়ে তিনি সাধারণত মাসিক বাজার-খরচ চালান। কিন্তু ব্যাংক এখন তাঁর মুনাফার টাকা দিচ্ছে না।

 

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “বায়ুদূষণে ৩ নম্বরে ঢাকা, বায়ুর মান ‘অস্বাস্থ্যকর’”

বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ বুধবার ১৬৬ স্কোর নিয়ে ৩ নম্বরে অবস্থান করছে ঢাকা। সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার এ অবস্থান দেখা গেছে। এই স্কোর বাতাসের মানকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে নির্দেশ করে।

এদিকে, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আজ ২১৫ স্কোর নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ইরাকের বাগদাদ শহর। ১৮৮ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি এবং পাকিস্তানের লাহোর ১৬৩ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছে।

১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “সংস্কারের বাইরে থেকে যাবে কি এনজিও?”

কভিডকালে দেশজুড়ে মাসের পর মাস ছিল লকডাউন। মারাত্মক প্রভাব পড়ে জীবনযাপনে। সে ধাক্কায় দারিদ্র্যের হার ২১ দশমিক ৬০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪২ শতাংশে দাঁড়ায় বলে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) এক জরিপে উঠে আসে। ওই সময় অনেকটাই নীরব ভূমিকা পালন করায় প্রশ্ন উঠেছিল নন-গভর্নমেন্টাল অর্গানাইজেশন (এনজিও) বা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর কার্যক্রম নিয়ে। কেননা যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের মধ্য দিয়েই অলাভজনক এসব প্রতিষ্ঠানের যাত্রা। পরবর্তী সময়ে বেড়েছে এর ক্ষেত্র ও সংখ্যা। তবে কার্যপরিধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক উন্নয়নের মূল জায়গা থেকেও এনজিওগুলো ক্রমেই সরে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, প্রান্তিক মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের মতো উদ্যোগ থেকে সরে এসে দেশের বৃহদাকারের এনজিওগুলো এখন করপোরেট কালচারের দিকে যাচ্ছে।

বাংলাদেশকে বলা হয় ‘ল্যান্ড অব এনজিও’। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে দেশে এনজিও রয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার। আর এনজিও-বিষয়ক ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্যে ২ হাজার ৬৩৬টি রেজিস্টার্ড এনজিওর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। স্থানীয় বৃহৎ এনজিওর মধ্যে ব্র্যাক, গ্রামীণ, প্রশিকা, টিএমএসএস, আশা, কারিতাস, আরডিআরএস বাংলাদেশ, ব্যুরো বাংলাদেশ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। বেসরকারি এসব উন্নয়ন সংস্থা এখন বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। তবে সামাজিক উদ্যোগের বাইরে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হিসেবে এনজিওগুলো মাইক্রোক্রেডিট বা ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। কেননা এর মাধ্যমে দরিদ্রদের, বিশেষ করে নারীদের কাছে সহজেই পৌঁছা যায়। একই সঙ্গে অর্থ উৎপাদনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত হওয়ায় এনজিওগুলোকে টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী হতে সহযোগিতা করছে। অন্য খাতগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবাধিকার, পরিবার পরিকল্পনা, পরিবেশ এবং নারী ও শিশু কল্যাণসহ অন্যান্য। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এনজিওগুলোর ফোকাস পরিবর্তন হয়ে জাতীয় উন্নয়নের দিকে মোড় নিয়েছে। যার ফলে তাদের এখন উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে তুলে ধরা হয়।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম“সরকারি খাতেই ৫ লাখ চাকরির সুযোগ”

বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের তোড়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। এই আন্দোলনের শুরুটা ছিল সরকারি চাকরিপ্রত্যাশীদের। তারা  মেধার ভিত্তিতে সরকারি চাকরির দাবি তুলে আন্দোলনে নেমেছিলেন। সেই আন্দোলনের জেরে সরকারের পতন হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সমর্থনেই নতুন সরকার গঠন হয়েছে। কিন্তু তাদের কাঙ্ক্ষিত চাকরির বিষয়ে স্থবিরতা কাটেনি এখনো। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অন্তত ৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে এই মুহূর্তে। এই পদ পূরণ হলে চাকরি প্রত্যাশীদের বড় অংশের কর্মসংস্থান হতে পারে। এই পদ পূরণে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি কমিশন করে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বেসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি চাকরিতে ৫ লাখ ৩ হাজার ৩৩৩টি পদ খালি। বিপুল পরিমাণ এই শূন্যপদ থাকলেও অনুষ্ঠিত হচ্ছে না চাকরি পরীক্ষা। আবার আগে অনুষ্ঠিত হওয়া চাকরি পরীক্ষাও সম্পন্ন হচ্ছে না।

গত আমলের সরকারি চাকরির পরীক্ষায় ছিল ব্যাপক অনিয়ম। এছাড়াও ছিল পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) বিসিএস’র প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ। আটকে আছে তিনটি বিসিএসসহ একাধিক নন-ক্যাডারের নিয়োগ কার্যক্রম। হচ্ছে না পদোন্নতির পরীক্ষাও। আন্দোলনের সময় স্থগিত করা হয় ৪৪তম বিসিএস’র মৌখিক পরীক্ষা। পরবর্তীতে ৪৬তম বিসিএস’র লিখিত পরীক্ষাও স্থগিত হয়। ১৪ই সেপ্টেম্বর ক্যাডারভুক্ত ও নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের অর্ধবার্ষিক বিভাগীয় পরীক্ষা স্থগিত হয়। আর দীর্ঘদিন ধরে ৪৫তম বিসিএস’র লিখিত পরীক্ষার ফলও আটকে আছে।