১২:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

ইশকুল (পর্ব-১৬)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • 20
আর্কাদি গাইদার

তৃতীয় পরিচ্ছেদ

‘সত্যি রে, ওরা জারকে মেরে ফেলেছিল। জারকে মেরেছিল, তাঁর বউকেও মেরেছিল। ও দেশের লোক তাঁদের সব বিচার করেছিল আর তারপর তাঁদের প্রাণদণ্ড দিয়েছিল।’

‘বলু, বল, আরও বানিয়ে-বানিয়ে বল! জারের আবার বিচার হয় কী করে রে? এই তো আমাদের জজ ইভান ফিয়োদরভিচের কথাই ধর্ না। উনি তো চোরেদের বিচার করেন। সেই যে-লোকটা পুশুচিখার বেড়া ভেঙে ঢুকেছিল উনি তার বিচার করেছিলেন। সন্ন্যাসীদের একবাক্স বিস্কুট হাতসাফাই করে সরানোয় ইভান ফিয়োদরভিচ মিত্কা বেদেরও বিচার করেছিলেন। কিন্তু তা বলে উনি কি জারের বিচার করার সাহস রাখেন? উইং। আরে, জার যে সকলের মাথার ওপর, সবচেয়ে বড়।’

এবার তাচ্ছিল্যভরে নাক শিটকে ফেদুকা বললে, ‘বিশ্বাস করা নাকরা সে তোর ইচ্ছে। বইটা সাশা গোলোভেৎ‌কিনের পড়া হয়ে গেলে তোকে পড়তে দিতে পারি। ওখানকার ওই বিচারের সঙ্গে ইভান ফিয়োদরভিচের জজিয়তির কোনো মিল নেই, বুঝলি? ওখানে দেশের সব লোক জড়ো হয়ে বিচার করে রায় দিয়েছিল, তারপর ফাঁসিও দিয়েছিল। কীভাবে জার আর তার বউকে ওরা ফাঁসি দিয়েছিল সে-ঘটনাও আমার স্পষ্ট মনে আছে।

ফরাসীরা মানুষকে ওদেশে ফাঁসিকাঠে ঝোলায় না। ওদের একটা যন্তর আছে, তার নাম গিলোটিন। যন্তরের খাঁড়াটাকে ওরা ঘুরিয়ে ওপরে তোলে, আর তারপর দুই গুনতে না গুণতে ঘচাং করে ঘাড়ে লাগায় এক কোপ। সঙ্গে সঙ্গে ধড় থেকে মুণ্ডুটা যায় আলাদা হয়ে।’

‘তাহলে বলতে চাস, ওরা জারের মুণ্ডুটাও অমনি আলাদা করে দিয়েছিল?’ ‘জারের, জারিনার, আর আরও অনেকের মুণ্ডু। যদি চাস্ তো আমি তোকে বইটা দিতে পারি। ভাঁ-য-ণ মজার বই। বইটায় এক সন্ন্যাসীর কথাও আছে, বুঝলি। ভারি ধূর্ত’, মোটা থপথপে, দেখলে মনে হবে ভারি ধম্মোভাব, আসলে কিন্তু ওসব কিছুই নেই, বিলকুল বকধার্মিক। ওর গপ্পো পড়তে গিয়ে হাসতে হাসতে চোখে জল এসে গিয়েছিল আমার।

২০২৫ সালে ফিলিপাইনের ১২টি প্রধান অবকাঠামো প্রকল্প: রিয়েল এস্টেটের রূপান্তর

ইশকুল (পর্ব-১৬)

০৮:০০:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪
আর্কাদি গাইদার

তৃতীয় পরিচ্ছেদ

‘সত্যি রে, ওরা জারকে মেরে ফেলেছিল। জারকে মেরেছিল, তাঁর বউকেও মেরেছিল। ও দেশের লোক তাঁদের সব বিচার করেছিল আর তারপর তাঁদের প্রাণদণ্ড দিয়েছিল।’

‘বলু, বল, আরও বানিয়ে-বানিয়ে বল! জারের আবার বিচার হয় কী করে রে? এই তো আমাদের জজ ইভান ফিয়োদরভিচের কথাই ধর্ না। উনি তো চোরেদের বিচার করেন। সেই যে-লোকটা পুশুচিখার বেড়া ভেঙে ঢুকেছিল উনি তার বিচার করেছিলেন। সন্ন্যাসীদের একবাক্স বিস্কুট হাতসাফাই করে সরানোয় ইভান ফিয়োদরভিচ মিত্কা বেদেরও বিচার করেছিলেন। কিন্তু তা বলে উনি কি জারের বিচার করার সাহস রাখেন? উইং। আরে, জার যে সকলের মাথার ওপর, সবচেয়ে বড়।’

এবার তাচ্ছিল্যভরে নাক শিটকে ফেদুকা বললে, ‘বিশ্বাস করা নাকরা সে তোর ইচ্ছে। বইটা সাশা গোলোভেৎ‌কিনের পড়া হয়ে গেলে তোকে পড়তে দিতে পারি। ওখানকার ওই বিচারের সঙ্গে ইভান ফিয়োদরভিচের জজিয়তির কোনো মিল নেই, বুঝলি? ওখানে দেশের সব লোক জড়ো হয়ে বিচার করে রায় দিয়েছিল, তারপর ফাঁসিও দিয়েছিল। কীভাবে জার আর তার বউকে ওরা ফাঁসি দিয়েছিল সে-ঘটনাও আমার স্পষ্ট মনে আছে।

ফরাসীরা মানুষকে ওদেশে ফাঁসিকাঠে ঝোলায় না। ওদের একটা যন্তর আছে, তার নাম গিলোটিন। যন্তরের খাঁড়াটাকে ওরা ঘুরিয়ে ওপরে তোলে, আর তারপর দুই গুনতে না গুণতে ঘচাং করে ঘাড়ে লাগায় এক কোপ। সঙ্গে সঙ্গে ধড় থেকে মুণ্ডুটা যায় আলাদা হয়ে।’

‘তাহলে বলতে চাস, ওরা জারের মুণ্ডুটাও অমনি আলাদা করে দিয়েছিল?’ ‘জারের, জারিনার, আর আরও অনেকের মুণ্ডু। যদি চাস্ তো আমি তোকে বইটা দিতে পারি। ভাঁ-য-ণ মজার বই। বইটায় এক সন্ন্যাসীর কথাও আছে, বুঝলি। ভারি ধূর্ত’, মোটা থপথপে, দেখলে মনে হবে ভারি ধম্মোভাব, আসলে কিন্তু ওসব কিছুই নেই, বিলকুল বকধার্মিক। ওর গপ্পো পড়তে গিয়ে হাসতে হাসতে চোখে জল এসে গিয়েছিল আমার।