০৫:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
মব হত্যা ঠেকাতে এখনই চাই কঠোর ব্যবস্থা—জিএম কাদের এশিয়ায় ক্যানসার চিকিৎসা: শীর্ষ ৫টি কেন্দ্র ও খরচের বিবরণ গানপ্রেমীদের জন্য প্রিয়াংকার কন্ঠে ‘আজি নেমেছে আঁধার’ এয়ার ইন্ডিয়া দুর্ঘটনা: জ্বালানির সুইচ নিয়ে ককপিটে বিভ্রান্তি খালি পায়ের ডাক্তার: বাংলাদেশের গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবার নীরব বিপ্লব হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গী হামলা: র‌্যাবের অবস্থান,  বিভীষিকাময় সন্ধ্যা রাজনৈতিক দলের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ: ব্যবসা-বাণিজ্য ও নাগরিক জীবন উদ্বেগে শেখ হাসিনা প্রশ্নে ভারতের অবস্থান বদলাচ্ছে না ব্যাংক ঋণ শ্রেণিবিন্যাসের নিয়ম বাংলাদেশের শিল্পায়নের পথে নয়া বাধা? এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন: ‘ফুয়েল সুইচ’ কেটে দেওয়া অবস্থায় ছিল

সংবাদপত্র ও প্রচারসংখ্যা নিয়ে ডিএফপির অবিশ্বাস্য তথ্য

  • Sarakhon Report
  • ০৮:৪২:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪
  • 24

সারাক্ষণ ডেস্ক 

প্রথমআলোর একটি শিরোনাম “সংবাদপত্র ও প্রচারসংখ্যা নিয়ে ডিএফপির অবিশ্বাস্য তথ্য”

আপনি দেশের কয়টি পত্রিকার নাম জানেন? ১০, ২০, ৩০টি? সরকারের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (ডিএফপি) তথ্য অনুযায়ী, এখন দেশে কেবল মিডিয়া তালিকাভুক্ত দৈনিক পত্রিকা আছে ৫৮৪টি। এর মধ্যে ২৮৪টি ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয়।

অবশ্য এসব পত্রিকার বেশির ভাগেরই নাম পাঠকেরা কখনো শোনেননি। বাজারে নামসর্বস্ব এসব পত্রিকা খুঁজে পাওয়াটাও অনেকটা দুঃসাধ্য সাধনের মতো। কারণ, ঢাকার হকাররা বাংলা ও ইংরেজি মিলিয়ে বিলি করেন কমবেশি ৫৪টি দৈনিক পত্রিকা। এই ৫৪টির সব কটি আপনি সব সময় পাবেন না। কিছু পত্রিকার দেখা পাওয়া যাবে শুধু নগরের কিছু দেয়ালে।

এ তো গেল পত্রিকার সংখ্যা। ডিএফপির নির্ধারণ করা পত্রিকার প্রচারসংখ্যাও বিস্ময়কর। সরকারি হিসাব বলছে, ১৭ কোটি মানুষের দেশে প্রতিদিন সব মিলিয়ে ১ কোটি ৮৫ লাখ কপির বেশি পত্রিকা ছাপা হচ্ছে! অর্থাৎ প্রতি ৯ জনের বিপরীতে এক কপি পত্রিকা ছাপা হচ্ছে।

দেশে বাস্তবে এক কপি পত্রিকা একাধিক মানুষ পড়ে থাকেন। ক্ষেত্রবিশেষে একটি পত্রিকা ৮-১০ জনও পড়ে থাকেন। এই হিসাবে দেশে ছাপা পত্রিকার মোট পাঠক ১ কোটি ৮৬ লাখ বলে ২০২৩ সালে বহুজাতিক গবেষণা ও জরিপ প্রতিষ্ঠান কান্তার এমআরবি পরিচালিত জরিপে এসেছে।

দেশে প্রকাশিত সংবাদপত্র ও সাময়িকীর মিডিয়া তালিকাভুক্তি, নিরীক্ষা এবং প্রচারসংখ্যা নির্ধারণ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা ডিএফপি। মিডিয়া তালিকাভুক্তি বলতে সরকারের তালিকাভুক্ত সংবাদপত্র হিসেবে স্বীকৃত হওয়া এবং সরকারি ও আধা সরকারি সংস্থাগুলোর বিজ্ঞাপন প্রচারের যোগ্যতা অর্জন করাকে বোঝায়।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “আড়াই মাস পর প্রকাশ্যে আসার চেষ্টা আওয়ামী লীগের”

আড়াই মাস পর প্রকাশ্যে আসার চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ। প্রথম বারের মতো গত ১৫ অক্টোবর বিকালে ঢাকার সিএমএম আদালত প্রাঙ্গণে শেখ হাসিনার পক্ষে স্লোগান দেন কিছুসংখ্যক আইনজীবী। শুক্রবার মধ্যরাতে চট্টগ্রামে হঠাৎ বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ২০-৩০ জন নেতাকর্মী। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আওয়ামী লীগের কয়েক জন সমর্থক মানববন্ধনের চেষ্টা করেন। বিএনপি সমর্থক কয়েক জনের ধাওয়া খেয়ে তারা পলায়ন করেন। দোয়া মাহফিল ও গরিব-দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণের মাধ্যমে শুক্রবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৬১তম জন্মদিন পালন করেন ছাত্রলীগের সাবেক সাত নেতাকর্মী।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এরপর দীর্ঘ আড়াই মাস দলটির নেতাকর্মীদের মাঠে দেখা যায়নি। দলটির কেন্দ্রীয় নেতা ও এমপি-মন্ত্রীদের প্রায় সবাই চলে যান আত্মগোপনে। অনেকে পাড়ি জমিয়েছেন বিদেশে। গ্রেফতার আতঙ্কে দিন কাটছে অনেক নেতাকর্মীর। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপির ওপর যা যা হয়েছিল, এখন আওয়ামী লীগের ওপর তা-ই ঘটছে।

মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে :শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার জামালখান এলাকায় মধ্যরাতে হঠাৎ বিক্ষোভ করেছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কয়েক জন নেতাকর্মী। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে ২০ থেকে ৩০ জন লোক সড়কে নেমে বিক্ষোভ শুরু করে। মিছিলটিতে অংশ নেওয়া বেশির ভাগই ছিলেন তরুণ। কয়েকটি মোটরসাইকেলযোগে তারা জামালখান মোড় এলাকায় জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু এবং ‘শেখ হাসিনার ভয় নেই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। এদের কারো কারো হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মিছিলের তিনটি ভিডিও শুক্রবার রাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড পেজ থেকে শেয়ার করে লেখা হয়, ‘চট্টগ্রামে জয় বাংলা স্লোগানে প্রকম্পিত রাজপথ। অন্যায়, অত্যাচার, নির্যাতন করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের দমিয়ে রাখা যায় না।’ এদিকে হঠাৎ আওয়ামী লীগের মিছিলের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা জানান, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে এ কর্মসূচি পালনের দুঃসাহস দেখিয়েছে আওয়ামী লীগ। কারণ অস্ত্র হাতে ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন এরকম সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। প্রতিবাদে গতকাল শনিবার বিকাল ৩টায় জামালখানে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “বড় অস্থিরতার দিকে যাচ্ছে দেশের বিদ্যুৎ খাত”

২৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরিচ্যুতি ও দাবি-দাওয়ার প্রেক্ষাপটে আন্দোলন চলছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) অধীন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোয়। এরই মধ্যে আন্দোলনকারী কয়েক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এর মধ্যেই আবার নতুন করে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে বিদ্যুতের উৎপাদন কোম্পানি নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির (এনডব্লিউপিজিসিএল) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিদ্যুৎ খাতের দুই বিতরণ কোম্পানির বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীর এ আন্দোলনে দেশের বিদ্যুৎ খাতে চলমান অস্থিরতা আরো বড় হয়ে ওঠার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পল্লী বিদ্যুতের শাটডাউনের কারণে দেশের বিভিন্ন জেলায় তীব্র লোডশেডিং ও ব্ল্যাকআউটের মতো ঘটনা ঘটেছে। এ পরিস্থিতির অবসান না হলে দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় ধরনের বিঘ্ন দেখা দেয়ার আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। এমনকি উৎপাদন ও সরবরাহের তারতম্যে গ্রিড বিপর্যয়ের মতো ঘটনা ঘটারও বড় ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করছেন তারা।

বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করে তোলার অভিযোগে করা মামলায় গতকালও রিমান্ডে নেয়া হয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দুই কর্মকর্তাকে। তারা হলেন লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আলী হাসান মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (আইটি) এসকে শাকিল আহমেদ। এর আগে ১৮ অক্টোবর সমিতির ছয় কর্মকর্তাকে তিনদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। এখনো গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছেন অনেক কর্মকর্তা।

এমন পরিস্থিতিতে গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) পল্লী বিদ্যুতের কর্মীদের ধরপাকড়, মামলা, হয়রানি ও চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনকারী কর্মীরা। এ সময় তাদের পক্ষ থেকে চার দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো পল্লী বিদ্যুৎ খাতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে মামলা প্রত্যাহার করে ২৪ জনের চাকরি ফিরিয়ে দেয়া ও স্ট্যান্ড রিলিজ করা দুই কর্মকর্তাকে পুনরায় পদায়ন করা, গ্রাহকের কাছে জবাবদিহি নিশ্চিতের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও বোর্ড সংস্কার করে একীভূত করে একক একটি প্রতিষ্ঠান গঠন এবং স্থায়ী পদের বিপরীতে চুক্তিভিত্তিকদের নিয়মিত করা, সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র সমন্বয়কসহ স্বাধীন কমিশন গঠন করে পল্লী বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ করা এবং বিআরইবির দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনা।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “ভোগান্তির পুরনো চিত্রই”

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর রোগী ভোগান্তি কমলেও এখন আবারো রাজধানীর সরকারি হাসপাতালগুলোতে একাধিক সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে। রোগী পরিবহনে হাসপাতালের বেড, ট্রলি, হুইল চেয়ার এমনকি এম্বুলেন্স- এই সিন্ডিকেটের সদস্যদের ম্যানেজ না করে পাওয়া যায় না। ইমার্জেন্সি ও বহির্বিভাগের ওটিতেও বখরা দেয়া লাগে রোগীর স্বজনদের। এসব হাসপাতালের চিকিৎসককে দেখাতে একমাসের সিরিয়ালও টাকার বিনিময়ে মিলে যায় ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে।

গতকাল সকালে সরজমিন রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালটির বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগের সামনে হুইল চেয়ার নিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে দশ থেকে পনেরো জন মধ্য বয়সী নারী-পুরুষ। এম্বুলেন্স, সিএনজি কিংবা রিকশায় চেপে যে রোগীই আসছেন, তাদের কাছে ছুটে যাচ্ছেন তারা। রোগী তাদের হুইল চেয়ারে বসিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ইমার্জেন্সিতে। সেখান থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আবারো তাকে নিয়ে যাচ্ছে নির্দিষ্ট ওয়ার্ডে। একদম হাসাপাতালের বেডে পর্যন্ত পৌঁছে দিচ্ছেন। আবার বেডের রোগীকে ট্রলিতে করে নিয়ে আসছেন বাইরের পার্ক করা গাড়ি পর্যন্ত। কেউ আবার রোগীকে ট্রলিতে উঠিয়ে ঠেলতে ঠেলতে চলন্ত গাড়ি পার করে নিয়ে যাচ্ছেন হাসপাতালের সামনের মেইন রাস্তা পার করে বেসরকারি ডায়াগনস্টিকে। আর হুইল চেয়ারে বসিয়ে রোগীকে হাসপাতালের বাইরে বা পাশের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চিত্র যেন ভাত-মাছ। তবে টাকা ছাড়া রোগী পরিবহনের এসব ট্রলি-হুইল চেয়ারের শিকলে বাঁধা তালা খোলে না কেউ। তাই টাকার বিনিময়েই গতকাল নিজের অসুস্থ মাকে রিকশা থেকে নামিয়ে হুইল চেয়ারে বসাতে বাধ্য হন মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, এই হাসপাতালে আগেও এসেছি। এখানে টাকা ছাড়া কিছুই মেলে না। আমার মা অসুস্থ। এখন তাকে যে ইমার্জেন্সিতে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো, কোনো ট্রলি, হুইল চেয়ার নেই। যেগুলো আছে তা দখল করে রেখেছে কিছু মহিলা। তাদের টাকা না দিলে এগুলো পাওয়া যায় না। আব্দুল ওয়াহাব নামে আরেক রোগীর স্বজন বলেন, এই হাসপাতালে যা খুশি তাই হচ্ছে।

 

মব হত্যা ঠেকাতে এখনই চাই কঠোর ব্যবস্থা—জিএম কাদের

সংবাদপত্র ও প্রচারসংখ্যা নিয়ে ডিএফপির অবিশ্বাস্য তথ্য

০৮:৪২:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

সারাক্ষণ ডেস্ক 

প্রথমআলোর একটি শিরোনাম “সংবাদপত্র ও প্রচারসংখ্যা নিয়ে ডিএফপির অবিশ্বাস্য তথ্য”

আপনি দেশের কয়টি পত্রিকার নাম জানেন? ১০, ২০, ৩০টি? সরকারের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (ডিএফপি) তথ্য অনুযায়ী, এখন দেশে কেবল মিডিয়া তালিকাভুক্ত দৈনিক পত্রিকা আছে ৫৮৪টি। এর মধ্যে ২৮৪টি ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয়।

অবশ্য এসব পত্রিকার বেশির ভাগেরই নাম পাঠকেরা কখনো শোনেননি। বাজারে নামসর্বস্ব এসব পত্রিকা খুঁজে পাওয়াটাও অনেকটা দুঃসাধ্য সাধনের মতো। কারণ, ঢাকার হকাররা বাংলা ও ইংরেজি মিলিয়ে বিলি করেন কমবেশি ৫৪টি দৈনিক পত্রিকা। এই ৫৪টির সব কটি আপনি সব সময় পাবেন না। কিছু পত্রিকার দেখা পাওয়া যাবে শুধু নগরের কিছু দেয়ালে।

এ তো গেল পত্রিকার সংখ্যা। ডিএফপির নির্ধারণ করা পত্রিকার প্রচারসংখ্যাও বিস্ময়কর। সরকারি হিসাব বলছে, ১৭ কোটি মানুষের দেশে প্রতিদিন সব মিলিয়ে ১ কোটি ৮৫ লাখ কপির বেশি পত্রিকা ছাপা হচ্ছে! অর্থাৎ প্রতি ৯ জনের বিপরীতে এক কপি পত্রিকা ছাপা হচ্ছে।

দেশে বাস্তবে এক কপি পত্রিকা একাধিক মানুষ পড়ে থাকেন। ক্ষেত্রবিশেষে একটি পত্রিকা ৮-১০ জনও পড়ে থাকেন। এই হিসাবে দেশে ছাপা পত্রিকার মোট পাঠক ১ কোটি ৮৬ লাখ বলে ২০২৩ সালে বহুজাতিক গবেষণা ও জরিপ প্রতিষ্ঠান কান্তার এমআরবি পরিচালিত জরিপে এসেছে।

দেশে প্রকাশিত সংবাদপত্র ও সাময়িকীর মিডিয়া তালিকাভুক্তি, নিরীক্ষা এবং প্রচারসংখ্যা নির্ধারণ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা ডিএফপি। মিডিয়া তালিকাভুক্তি বলতে সরকারের তালিকাভুক্ত সংবাদপত্র হিসেবে স্বীকৃত হওয়া এবং সরকারি ও আধা সরকারি সংস্থাগুলোর বিজ্ঞাপন প্রচারের যোগ্যতা অর্জন করাকে বোঝায়।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “আড়াই মাস পর প্রকাশ্যে আসার চেষ্টা আওয়ামী লীগের”

আড়াই মাস পর প্রকাশ্যে আসার চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ। প্রথম বারের মতো গত ১৫ অক্টোবর বিকালে ঢাকার সিএমএম আদালত প্রাঙ্গণে শেখ হাসিনার পক্ষে স্লোগান দেন কিছুসংখ্যক আইনজীবী। শুক্রবার মধ্যরাতে চট্টগ্রামে হঠাৎ বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ২০-৩০ জন নেতাকর্মী। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আওয়ামী লীগের কয়েক জন সমর্থক মানববন্ধনের চেষ্টা করেন। বিএনপি সমর্থক কয়েক জনের ধাওয়া খেয়ে তারা পলায়ন করেন। দোয়া মাহফিল ও গরিব-দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণের মাধ্যমে শুক্রবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৬১তম জন্মদিন পালন করেন ছাত্রলীগের সাবেক সাত নেতাকর্মী।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এরপর দীর্ঘ আড়াই মাস দলটির নেতাকর্মীদের মাঠে দেখা যায়নি। দলটির কেন্দ্রীয় নেতা ও এমপি-মন্ত্রীদের প্রায় সবাই চলে যান আত্মগোপনে। অনেকে পাড়ি জমিয়েছেন বিদেশে। গ্রেফতার আতঙ্কে দিন কাটছে অনেক নেতাকর্মীর। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপির ওপর যা যা হয়েছিল, এখন আওয়ামী লীগের ওপর তা-ই ঘটছে।

মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে :শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার জামালখান এলাকায় মধ্যরাতে হঠাৎ বিক্ষোভ করেছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কয়েক জন নেতাকর্মী। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে ২০ থেকে ৩০ জন লোক সড়কে নেমে বিক্ষোভ শুরু করে। মিছিলটিতে অংশ নেওয়া বেশির ভাগই ছিলেন তরুণ। কয়েকটি মোটরসাইকেলযোগে তারা জামালখান মোড় এলাকায় জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু এবং ‘শেখ হাসিনার ভয় নেই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। এদের কারো কারো হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মিছিলের তিনটি ভিডিও শুক্রবার রাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড পেজ থেকে শেয়ার করে লেখা হয়, ‘চট্টগ্রামে জয় বাংলা স্লোগানে প্রকম্পিত রাজপথ। অন্যায়, অত্যাচার, নির্যাতন করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের দমিয়ে রাখা যায় না।’ এদিকে হঠাৎ আওয়ামী লীগের মিছিলের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা জানান, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে এ কর্মসূচি পালনের দুঃসাহস দেখিয়েছে আওয়ামী লীগ। কারণ অস্ত্র হাতে ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন এরকম সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। প্রতিবাদে গতকাল শনিবার বিকাল ৩টায় জামালখানে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “বড় অস্থিরতার দিকে যাচ্ছে দেশের বিদ্যুৎ খাত”

২৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরিচ্যুতি ও দাবি-দাওয়ার প্রেক্ষাপটে আন্দোলন চলছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) অধীন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোয়। এরই মধ্যে আন্দোলনকারী কয়েক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এর মধ্যেই আবার নতুন করে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে বিদ্যুতের উৎপাদন কোম্পানি নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির (এনডব্লিউপিজিসিএল) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিদ্যুৎ খাতের দুই বিতরণ কোম্পানির বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীর এ আন্দোলনে দেশের বিদ্যুৎ খাতে চলমান অস্থিরতা আরো বড় হয়ে ওঠার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পল্লী বিদ্যুতের শাটডাউনের কারণে দেশের বিভিন্ন জেলায় তীব্র লোডশেডিং ও ব্ল্যাকআউটের মতো ঘটনা ঘটেছে। এ পরিস্থিতির অবসান না হলে দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় ধরনের বিঘ্ন দেখা দেয়ার আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। এমনকি উৎপাদন ও সরবরাহের তারতম্যে গ্রিড বিপর্যয়ের মতো ঘটনা ঘটারও বড় ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করছেন তারা।

বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করে তোলার অভিযোগে করা মামলায় গতকালও রিমান্ডে নেয়া হয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দুই কর্মকর্তাকে। তারা হলেন লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আলী হাসান মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (আইটি) এসকে শাকিল আহমেদ। এর আগে ১৮ অক্টোবর সমিতির ছয় কর্মকর্তাকে তিনদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। এখনো গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছেন অনেক কর্মকর্তা।

এমন পরিস্থিতিতে গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) পল্লী বিদ্যুতের কর্মীদের ধরপাকড়, মামলা, হয়রানি ও চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনকারী কর্মীরা। এ সময় তাদের পক্ষ থেকে চার দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো পল্লী বিদ্যুৎ খাতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে মামলা প্রত্যাহার করে ২৪ জনের চাকরি ফিরিয়ে দেয়া ও স্ট্যান্ড রিলিজ করা দুই কর্মকর্তাকে পুনরায় পদায়ন করা, গ্রাহকের কাছে জবাবদিহি নিশ্চিতের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও বোর্ড সংস্কার করে একীভূত করে একক একটি প্রতিষ্ঠান গঠন এবং স্থায়ী পদের বিপরীতে চুক্তিভিত্তিকদের নিয়মিত করা, সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র সমন্বয়কসহ স্বাধীন কমিশন গঠন করে পল্লী বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ করা এবং বিআরইবির দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনা।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “ভোগান্তির পুরনো চিত্রই”

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর রোগী ভোগান্তি কমলেও এখন আবারো রাজধানীর সরকারি হাসপাতালগুলোতে একাধিক সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে। রোগী পরিবহনে হাসপাতালের বেড, ট্রলি, হুইল চেয়ার এমনকি এম্বুলেন্স- এই সিন্ডিকেটের সদস্যদের ম্যানেজ না করে পাওয়া যায় না। ইমার্জেন্সি ও বহির্বিভাগের ওটিতেও বখরা দেয়া লাগে রোগীর স্বজনদের। এসব হাসপাতালের চিকিৎসককে দেখাতে একমাসের সিরিয়ালও টাকার বিনিময়ে মিলে যায় ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে।

গতকাল সকালে সরজমিন রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালটির বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগের সামনে হুইল চেয়ার নিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে দশ থেকে পনেরো জন মধ্য বয়সী নারী-পুরুষ। এম্বুলেন্স, সিএনজি কিংবা রিকশায় চেপে যে রোগীই আসছেন, তাদের কাছে ছুটে যাচ্ছেন তারা। রোগী তাদের হুইল চেয়ারে বসিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ইমার্জেন্সিতে। সেখান থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আবারো তাকে নিয়ে যাচ্ছে নির্দিষ্ট ওয়ার্ডে। একদম হাসাপাতালের বেডে পর্যন্ত পৌঁছে দিচ্ছেন। আবার বেডের রোগীকে ট্রলিতে করে নিয়ে আসছেন বাইরের পার্ক করা গাড়ি পর্যন্ত। কেউ আবার রোগীকে ট্রলিতে উঠিয়ে ঠেলতে ঠেলতে চলন্ত গাড়ি পার করে নিয়ে যাচ্ছেন হাসপাতালের সামনের মেইন রাস্তা পার করে বেসরকারি ডায়াগনস্টিকে। আর হুইল চেয়ারে বসিয়ে রোগীকে হাসপাতালের বাইরে বা পাশের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চিত্র যেন ভাত-মাছ। তবে টাকা ছাড়া রোগী পরিবহনের এসব ট্রলি-হুইল চেয়ারের শিকলে বাঁধা তালা খোলে না কেউ। তাই টাকার বিনিময়েই গতকাল নিজের অসুস্থ মাকে রিকশা থেকে নামিয়ে হুইল চেয়ারে বসাতে বাধ্য হন মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, এই হাসপাতালে আগেও এসেছি। এখানে টাকা ছাড়া কিছুই মেলে না। আমার মা অসুস্থ। এখন তাকে যে ইমার্জেন্সিতে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো, কোনো ট্রলি, হুইল চেয়ার নেই। যেগুলো আছে তা দখল করে রেখেছে কিছু মহিলা। তাদের টাকা না দিলে এগুলো পাওয়া যায় না। আব্দুল ওয়াহাব নামে আরেক রোগীর স্বজন বলেন, এই হাসপাতালে যা খুশি তাই হচ্ছে।