০১:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

ইশকুল (পর্ব-২২)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
  • 19

আর্কাদি গাইদার

চতুর্থ পরিচ্ছেদ

শত্রুপক্ষের দুই নৌ-সেনাপতি, সেন্‌কা পানতিউঙ্কিন ও গ্রিশৃঙ্কা সিমাকভ, ওদের বাবার হাতে এজন্যে প্রচন্ড মার খেল। চারদিকে কাঠকাটরা ছড়িয়ে ক-দিন আমরা খুব ব্যস্ত রইলুম। ড্রেডনট মানোয়ারী জাহাজ তৈরি করা তো চাট্টিখানি কথা নয়। এজন্যে যেমন অনেক অর্থ, তেমনি অনেক সময়ও দরকার। কিন্তু ফেকা ও আমার ঠিক ওই সময়টায় কিছুটা দুর্দিন চলছিল। শুধু পেরেক কিনতেই আমরা পঞ্চাশ কোপেকের বেশি খরচ করে বসে ছিলুম। তখনও আমাদের নোঙরের দড়ি আর নিশানের কাপড় কেনা বাকি।

শূন্য তহবিল পূরণ করার জন্যে আমাদের লুকিয়ে লুকিয়ে সত্তর কোপেক ধার করতে হল। এর জন্যে জামিন হিসেবে জমা রাখতে হল ধর্ম’ সম্বন্ধে দু-খানা পাঠ্যবই, একখানা জার্মান ব্যাকরণ ও একটা রুশ রিডার।

আমাদের ড্রেডনট যখন তৈরি হল তখন সে যে কী সুন্দর দেখতে হল, কাঁ বলি। বিকেলবেলা জাহাজটা জলে ভাসালুম আমরা। ভাসানোর সময়ে তিকা কিন আর ইয়াঙ্কা সূক্কারন্তেইনও হাত লাগাল। আর মুচির সব কটা বাচ্চা, আমার ছোট্ট বোনটা আর ছোট্ট পাহারাদার কুকুর ভোলচক, ওরফে শারিক, ওরফে জুচুকা, হল দর্শক।

জাহাজখানা ঝন্‌ঝন্ ক্যাচুকোঁচ করতে করতে প্রচণ্ড আওয়াজে ঝপাং করে জলে গিয়ে পড়ল। জোর খুশির হৈ-হল্লা আর খেলনা পিস্তল থেকে গুলি ছোড়ার আওয়াজের মধ্যে জাহাজের মাস্কুলে পতাকা উত্তোলন করা হল। আমাদের পতাকা ছিল কালো রঙের। তার চারপাশে লাল বর্ডার আর মাঝখানে, নীল রঙের একটা গোল ছাপ।

ঈষদুষ্ণ বাতাসে নিশানটা উড়তে লাগল পতপত করে। চোখ জুড়িয়ে গেল দেখে। নোঙর তুলে আমরা ধাক্কা দিয়ে জাহাজটাকে জলে ঠেলে দিলুম।

তখন সূর্য প্রায় অন্ত যাওয়ার মুখে। ঘরে ফেরার পথে ছাগলের পালের গলায়- বাঁধা ঘণ্টার টুংটাং আওয়াজ দূর থেকে কানে আসছিল। আবুজামাসে এমনই ছাগল ঘুরে বেড়াত যত্রতত্র, অসংখ্য।

 

২০২৫ সালে ফিলিপাইনের ১২টি প্রধান অবকাঠামো প্রকল্প: রিয়েল এস্টেটের রূপান্তর

ইশকুল (পর্ব-২২)

০৮:০০:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

আর্কাদি গাইদার

চতুর্থ পরিচ্ছেদ

শত্রুপক্ষের দুই নৌ-সেনাপতি, সেন্‌কা পানতিউঙ্কিন ও গ্রিশৃঙ্কা সিমাকভ, ওদের বাবার হাতে এজন্যে প্রচন্ড মার খেল। চারদিকে কাঠকাটরা ছড়িয়ে ক-দিন আমরা খুব ব্যস্ত রইলুম। ড্রেডনট মানোয়ারী জাহাজ তৈরি করা তো চাট্টিখানি কথা নয়। এজন্যে যেমন অনেক অর্থ, তেমনি অনেক সময়ও দরকার। কিন্তু ফেকা ও আমার ঠিক ওই সময়টায় কিছুটা দুর্দিন চলছিল। শুধু পেরেক কিনতেই আমরা পঞ্চাশ কোপেকের বেশি খরচ করে বসে ছিলুম। তখনও আমাদের নোঙরের দড়ি আর নিশানের কাপড় কেনা বাকি।

শূন্য তহবিল পূরণ করার জন্যে আমাদের লুকিয়ে লুকিয়ে সত্তর কোপেক ধার করতে হল। এর জন্যে জামিন হিসেবে জমা রাখতে হল ধর্ম’ সম্বন্ধে দু-খানা পাঠ্যবই, একখানা জার্মান ব্যাকরণ ও একটা রুশ রিডার।

আমাদের ড্রেডনট যখন তৈরি হল তখন সে যে কী সুন্দর দেখতে হল, কাঁ বলি। বিকেলবেলা জাহাজটা জলে ভাসালুম আমরা। ভাসানোর সময়ে তিকা কিন আর ইয়াঙ্কা সূক্কারন্তেইনও হাত লাগাল। আর মুচির সব কটা বাচ্চা, আমার ছোট্ট বোনটা আর ছোট্ট পাহারাদার কুকুর ভোলচক, ওরফে শারিক, ওরফে জুচুকা, হল দর্শক।

জাহাজখানা ঝন্‌ঝন্ ক্যাচুকোঁচ করতে করতে প্রচণ্ড আওয়াজে ঝপাং করে জলে গিয়ে পড়ল। জোর খুশির হৈ-হল্লা আর খেলনা পিস্তল থেকে গুলি ছোড়ার আওয়াজের মধ্যে জাহাজের মাস্কুলে পতাকা উত্তোলন করা হল। আমাদের পতাকা ছিল কালো রঙের। তার চারপাশে লাল বর্ডার আর মাঝখানে, নীল রঙের একটা গোল ছাপ।

ঈষদুষ্ণ বাতাসে নিশানটা উড়তে লাগল পতপত করে। চোখ জুড়িয়ে গেল দেখে। নোঙর তুলে আমরা ধাক্কা দিয়ে জাহাজটাকে জলে ঠেলে দিলুম।

তখন সূর্য প্রায় অন্ত যাওয়ার মুখে। ঘরে ফেরার পথে ছাগলের পালের গলায়- বাঁধা ঘণ্টার টুংটাং আওয়াজ দূর থেকে কানে আসছিল। আবুজামাসে এমনই ছাগল ঘুরে বেড়াত যত্রতত্র, অসংখ্য।