০২:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
গুগল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিস্টমাস আইল্যান্ডে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ডেটা সেন্টার প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা জাপানে উপকূলীয় ভূমির ক্ষয়জনিত কারণে সামুদ্রিক কচ্ছপের ডিম ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ বছর পরও যে জাহাজডুবি এখনও এক ভয়ংকর গল্প জাপানে বাড়ছে ভাল্লুক আতঙ্ক: নিরাপত্তা জোরদারে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগ সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ বইমেলায় ৩০০ শিশুর লেখক অভিষেক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫৩) শাহজালালসহ দেশের সব বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি আল-ওথমান মসজিদের পুনঃস্থাপন কাজ শেষের পথে, রমজানের আগেই পুনরায় খোলা হবে ভুলভাবে উপস্থাপিত বক্তব্য নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন মির্জা ফখরুল দিল্লিতে হামলার ছক তৈরির অভিযোগে ভারতের দাবি প্রত্যাখ্যান করল ঢাকা

ইশকুল (পর্ব-২৪)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪
  • 60

আর্কাদি গাইদার

চতুর্থ পরিচ্ছেদ

দামী একজন সহকারীকে হারানোর ভয়ে শেষপর্যন্ত রাজি হয়ে গেলুম। শুধু প্রস্তাব করলুম, পালা করে আমরা অ্যাডমিরাল হব একদিন ফেক্কা, একদিন আমি।

শেষপর্যন্ত এইভাবে রফা হল।

দুটো ধনুক তৈরি করলুম আমরা। ডজনখানেক তাঁরও বানিয়ে নিলুম। তারপর রওনা দিলুম বনের মধ্যে। আমাদের সঙ্গে বেশ কিছু ‘ব্যাঙবাজি’ও ছিল। ‘ব্যাঙবাজি’ হল, গোল-করে-পাকানো একটা কাগজের নলের মধ্যে পটাশিয়াম ক্লোরেট আর কাঠকয়লার গুড়ো ঠেসে একটুকরো সুতো দিয়ে শক্ত-করে-বাঁধা একরকম বাজি।

আমাদের তীরের আগায় ওই ‘ব্যাঙবাজি’ বে’ধে বাজির পলতের আগুন ধরাতে লাগলুম। তীরগুলো সজোরে আকাশে ওঠার পর ‘ব্যাঙবাজি’ সব আকাশে ফাটতে লাগল আর সবসুদ্ধ আগুনে-সাপের মতো এ’কেবে’কে এদিক-সেদিক ছুটোছুটি করতে লাগল। দাঁড়কাক আর কাকেরা তো তাই দেখে ভয় পেয়ে তুমুল সোরগোল শুরু করে দিলে।

বনটা ছিল কবরখানার ঠিক পাশেই। ঘন জঙ্গল, অসংখ্য গর্ত’ আর ছোট-ছোট পুকুরে ভরা। হলদে শাপলা, সোনালি ঝুমকো ফুল আর ফার্ন’গাছে ছেয়ে ছিল বনের সবুজ ছায়াঢাকা জায়গাগুলো।

প্রাণভরে খেলার পর পাঁচিল বেয়ে উঠে আমরা কবরখানার এক নির্জন কোণে এসে নামলুম। অতক্ষণ ধরে খেলার উত্তেজনার পর এই শান্ত, স্তব্ধ পরিবেশ আমাদের দেহমন যেন জুড়িয়ে দিল। পাতার আড়ালে লুকনো পাখিদের ডাক মাঝে-মাঝে নিস্তব্ধতা ভেঙে দিচ্ছিল। চাপা গলায় কথা বলতে-বলতে আমরা এক টুকরো পোড়ো জমির ওপর দিয়ে হেটে চললুম। আমাদের চারপাশে কবরের মাটির ঢিবি, কোনো- কোনোটা মাটির ওপর সামান্য একটু মাথা জাগিয়ে ছিল মাত্র।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

গুগল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিস্টমাস আইল্যান্ডে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ডেটা সেন্টার প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা

ইশকুল (পর্ব-২৪)

০৮:০০:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

আর্কাদি গাইদার

চতুর্থ পরিচ্ছেদ

দামী একজন সহকারীকে হারানোর ভয়ে শেষপর্যন্ত রাজি হয়ে গেলুম। শুধু প্রস্তাব করলুম, পালা করে আমরা অ্যাডমিরাল হব একদিন ফেক্কা, একদিন আমি।

শেষপর্যন্ত এইভাবে রফা হল।

দুটো ধনুক তৈরি করলুম আমরা। ডজনখানেক তাঁরও বানিয়ে নিলুম। তারপর রওনা দিলুম বনের মধ্যে। আমাদের সঙ্গে বেশ কিছু ‘ব্যাঙবাজি’ও ছিল। ‘ব্যাঙবাজি’ হল, গোল-করে-পাকানো একটা কাগজের নলের মধ্যে পটাশিয়াম ক্লোরেট আর কাঠকয়লার গুড়ো ঠেসে একটুকরো সুতো দিয়ে শক্ত-করে-বাঁধা একরকম বাজি।

আমাদের তীরের আগায় ওই ‘ব্যাঙবাজি’ বে’ধে বাজির পলতের আগুন ধরাতে লাগলুম। তীরগুলো সজোরে আকাশে ওঠার পর ‘ব্যাঙবাজি’ সব আকাশে ফাটতে লাগল আর সবসুদ্ধ আগুনে-সাপের মতো এ’কেবে’কে এদিক-সেদিক ছুটোছুটি করতে লাগল। দাঁড়কাক আর কাকেরা তো তাই দেখে ভয় পেয়ে তুমুল সোরগোল শুরু করে দিলে।

বনটা ছিল কবরখানার ঠিক পাশেই। ঘন জঙ্গল, অসংখ্য গর্ত’ আর ছোট-ছোট পুকুরে ভরা। হলদে শাপলা, সোনালি ঝুমকো ফুল আর ফার্ন’গাছে ছেয়ে ছিল বনের সবুজ ছায়াঢাকা জায়গাগুলো।

প্রাণভরে খেলার পর পাঁচিল বেয়ে উঠে আমরা কবরখানার এক নির্জন কোণে এসে নামলুম। অতক্ষণ ধরে খেলার উত্তেজনার পর এই শান্ত, স্তব্ধ পরিবেশ আমাদের দেহমন যেন জুড়িয়ে দিল। পাতার আড়ালে লুকনো পাখিদের ডাক মাঝে-মাঝে নিস্তব্ধতা ভেঙে দিচ্ছিল। চাপা গলায় কথা বলতে-বলতে আমরা এক টুকরো পোড়ো জমির ওপর দিয়ে হেটে চললুম। আমাদের চারপাশে কবরের মাটির ঢিবি, কোনো- কোনোটা মাটির ওপর সামান্য একটু মাথা জাগিয়ে ছিল মাত্র।