০৫:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
ভারতের পানি সংকটের ছায়ায় পানীয় শিল্প: রাজস্থানে জল নিয়ে বাড়ছে ঝুঁকি ও অসন্তোষ প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৭) আমির খসরুর আসন পরিবর্তন, তার আসনে মনোনয়ন পেলেন সাঈদ নোমান এনসিপি ছাড়লেন তাসনিম জারা থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি চুক্তি সিলেটে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় নিষিদ্ধ বিড়িসহ যুবক গ্রেপ্তার একীভূত পাঁচ ব্যাংকের আমানত উত্তোলনে বিলম্ব, এ বছর অর্থ ছাড়ের সুযোগ নেই নিউ ইয়র্ক টাইমস প্রতিবেদন: ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হিন্দু শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা, বাংলাদেশে সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ৩৫ বস্তা টাকা ও স্বর্ণালংকার ঘন কুয়াশায় ঢাকায় আটটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ঘুরিয়ে দেওয়া হলো

ইশকুল (পর্ব-২৭)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪
  • 137

আর্কাদি গাইদার

চতুর্থ পরিচ্ছেদ

‘আচ্ছা, ফেক্কা, এমন কেন হয় রে যে শুধু সিনিউগিনই সব কিছু মজা লুটবে, গ্রহনক্ষত্র দেখবে, আর অন্যদের বেলায় জুটবে লবডঙ্কা? যেমন ধর্, সিগভ। ওই- যে রে, যে কারখানায় কাজ করে। ও বেচারি তো দুবেলা দু’মুঠো খেতেই পায় না, তারা-দেখা মাথায় থাক। গতকাল ও একতলায় মুচির কাছে পঞ্চাশ কোপেক ধার করতে এসেছিল।’

‘কেন এমন হয় কী করে জানব বল? আমায় ওসব জিজ্ঞেস করিস না। মাস্টারমশাইকে কি পাদ্রিসাহেবকে শুধোস।’

হাঁটতে হাঁটতে বুনো যাইয়ের একটা ছোট্ট ডাল ভেঙে নিল ফেক্কা। তারপর একটু নিচুগলায় বললে:

‘জানিস বাবা বলছিল, শিগগিরই সবকিছু নাকি বদলে অন্যরকম হয়ে যাবে।’

‘কী বদলাবে?’

‘সবকিছু। বুঝেছিস বরিস, খোলাখুলি বাবা আমায় কিছু বলে নি। ওরা ভেবেছিল আমি বুঝি ঘুমোচ্ছি। আমিও ঘুমের ভান করে পড়ে রইলুম। বাবা কারখানার পাহারাদারের সঙ্গে কথা বলছিল, উনিশ শো পাঁচ সালের মতো আবার যে ধর্মঘট হতে যাচ্ছে সেইসব নিয়ে। উনিশ শো পাঁচ সালে কী হয়েছিল জানিস তো?’

‘জানি, একটু-একটু,’ হঠাৎ লজ্জা পেয়ে লাল হয়ে উঠতে-উঠতে জবাব দিলুম।

‘বিপ্লব হয়েছিল তখন। তবে সফল হয় নি। বিপ্লবীদের মতলব ছিল জমিদারদের পুড়িয়ে মারা, সব জমি চাষীদের মধ্যে বিলিয়ে দেয়া আর বড়লোকদের কাছ থেকে সবকিছু কেড়ে নিয়ে গরিবদের দেয়া। জানিস, আমি বড়দের কথাবার্তা থেকে সবকিছু জেনেছি।’

 

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারতের পানি সংকটের ছায়ায় পানীয় শিল্প: রাজস্থানে জল নিয়ে বাড়ছে ঝুঁকি ও অসন্তোষ

ইশকুল (পর্ব-২৭)

০৮:০০:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

আর্কাদি গাইদার

চতুর্থ পরিচ্ছেদ

‘আচ্ছা, ফেক্কা, এমন কেন হয় রে যে শুধু সিনিউগিনই সব কিছু মজা লুটবে, গ্রহনক্ষত্র দেখবে, আর অন্যদের বেলায় জুটবে লবডঙ্কা? যেমন ধর্, সিগভ। ওই- যে রে, যে কারখানায় কাজ করে। ও বেচারি তো দুবেলা দু’মুঠো খেতেই পায় না, তারা-দেখা মাথায় থাক। গতকাল ও একতলায় মুচির কাছে পঞ্চাশ কোপেক ধার করতে এসেছিল।’

‘কেন এমন হয় কী করে জানব বল? আমায় ওসব জিজ্ঞেস করিস না। মাস্টারমশাইকে কি পাদ্রিসাহেবকে শুধোস।’

হাঁটতে হাঁটতে বুনো যাইয়ের একটা ছোট্ট ডাল ভেঙে নিল ফেক্কা। তারপর একটু নিচুগলায় বললে:

‘জানিস বাবা বলছিল, শিগগিরই সবকিছু নাকি বদলে অন্যরকম হয়ে যাবে।’

‘কী বদলাবে?’

‘সবকিছু। বুঝেছিস বরিস, খোলাখুলি বাবা আমায় কিছু বলে নি। ওরা ভেবেছিল আমি বুঝি ঘুমোচ্ছি। আমিও ঘুমের ভান করে পড়ে রইলুম। বাবা কারখানার পাহারাদারের সঙ্গে কথা বলছিল, উনিশ শো পাঁচ সালের মতো আবার যে ধর্মঘট হতে যাচ্ছে সেইসব নিয়ে। উনিশ শো পাঁচ সালে কী হয়েছিল জানিস তো?’

‘জানি, একটু-একটু,’ হঠাৎ লজ্জা পেয়ে লাল হয়ে উঠতে-উঠতে জবাব দিলুম।

‘বিপ্লব হয়েছিল তখন। তবে সফল হয় নি। বিপ্লবীদের মতলব ছিল জমিদারদের পুড়িয়ে মারা, সব জমি চাষীদের মধ্যে বিলিয়ে দেয়া আর বড়লোকদের কাছ থেকে সবকিছু কেড়ে নিয়ে গরিবদের দেয়া। জানিস, আমি বড়দের কথাবার্তা থেকে সবকিছু জেনেছি।’