০২:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
গুগল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিস্টমাস আইল্যান্ডে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ডেটা সেন্টার প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা জাপানে উপকূলীয় ভূমির ক্ষয়জনিত কারণে সামুদ্রিক কচ্ছপের ডিম ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ বছর পরও যে জাহাজডুবি এখনও এক ভয়ংকর গল্প জাপানে বাড়ছে ভাল্লুক আতঙ্ক: নিরাপত্তা জোরদারে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগ সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ বইমেলায় ৩০০ শিশুর লেখক অভিষেক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫৩) শাহজালালসহ দেশের সব বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি আল-ওথমান মসজিদের পুনঃস্থাপন কাজ শেষের পথে, রমজানের আগেই পুনরায় খোলা হবে ভুলভাবে উপস্থাপিত বক্তব্য নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন মির্জা ফখরুল দিল্লিতে হামলার ছক তৈরির অভিযোগে ভারতের দাবি প্রত্যাখ্যান করল ঢাকা

ইশকুল (পর্ব-২৭)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪
  • 114

আর্কাদি গাইদার

চতুর্থ পরিচ্ছেদ

‘আচ্ছা, ফেক্কা, এমন কেন হয় রে যে শুধু সিনিউগিনই সব কিছু মজা লুটবে, গ্রহনক্ষত্র দেখবে, আর অন্যদের বেলায় জুটবে লবডঙ্কা? যেমন ধর্, সিগভ। ওই- যে রে, যে কারখানায় কাজ করে। ও বেচারি তো দুবেলা দু’মুঠো খেতেই পায় না, তারা-দেখা মাথায় থাক। গতকাল ও একতলায় মুচির কাছে পঞ্চাশ কোপেক ধার করতে এসেছিল।’

‘কেন এমন হয় কী করে জানব বল? আমায় ওসব জিজ্ঞেস করিস না। মাস্টারমশাইকে কি পাদ্রিসাহেবকে শুধোস।’

হাঁটতে হাঁটতে বুনো যাইয়ের একটা ছোট্ট ডাল ভেঙে নিল ফেক্কা। তারপর একটু নিচুগলায় বললে:

‘জানিস বাবা বলছিল, শিগগিরই সবকিছু নাকি বদলে অন্যরকম হয়ে যাবে।’

‘কী বদলাবে?’

‘সবকিছু। বুঝেছিস বরিস, খোলাখুলি বাবা আমায় কিছু বলে নি। ওরা ভেবেছিল আমি বুঝি ঘুমোচ্ছি। আমিও ঘুমের ভান করে পড়ে রইলুম। বাবা কারখানার পাহারাদারের সঙ্গে কথা বলছিল, উনিশ শো পাঁচ সালের মতো আবার যে ধর্মঘট হতে যাচ্ছে সেইসব নিয়ে। উনিশ শো পাঁচ সালে কী হয়েছিল জানিস তো?’

‘জানি, একটু-একটু,’ হঠাৎ লজ্জা পেয়ে লাল হয়ে উঠতে-উঠতে জবাব দিলুম।

‘বিপ্লব হয়েছিল তখন। তবে সফল হয় নি। বিপ্লবীদের মতলব ছিল জমিদারদের পুড়িয়ে মারা, সব জমি চাষীদের মধ্যে বিলিয়ে দেয়া আর বড়লোকদের কাছ থেকে সবকিছু কেড়ে নিয়ে গরিবদের দেয়া। জানিস, আমি বড়দের কথাবার্তা থেকে সবকিছু জেনেছি।’

 

জনপ্রিয় সংবাদ

গুগল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিস্টমাস আইল্যান্ডে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ডেটা সেন্টার প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা

ইশকুল (পর্ব-২৭)

০৮:০০:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

আর্কাদি গাইদার

চতুর্থ পরিচ্ছেদ

‘আচ্ছা, ফেক্কা, এমন কেন হয় রে যে শুধু সিনিউগিনই সব কিছু মজা লুটবে, গ্রহনক্ষত্র দেখবে, আর অন্যদের বেলায় জুটবে লবডঙ্কা? যেমন ধর্, সিগভ। ওই- যে রে, যে কারখানায় কাজ করে। ও বেচারি তো দুবেলা দু’মুঠো খেতেই পায় না, তারা-দেখা মাথায় থাক। গতকাল ও একতলায় মুচির কাছে পঞ্চাশ কোপেক ধার করতে এসেছিল।’

‘কেন এমন হয় কী করে জানব বল? আমায় ওসব জিজ্ঞেস করিস না। মাস্টারমশাইকে কি পাদ্রিসাহেবকে শুধোস।’

হাঁটতে হাঁটতে বুনো যাইয়ের একটা ছোট্ট ডাল ভেঙে নিল ফেক্কা। তারপর একটু নিচুগলায় বললে:

‘জানিস বাবা বলছিল, শিগগিরই সবকিছু নাকি বদলে অন্যরকম হয়ে যাবে।’

‘কী বদলাবে?’

‘সবকিছু। বুঝেছিস বরিস, খোলাখুলি বাবা আমায় কিছু বলে নি। ওরা ভেবেছিল আমি বুঝি ঘুমোচ্ছি। আমিও ঘুমের ভান করে পড়ে রইলুম। বাবা কারখানার পাহারাদারের সঙ্গে কথা বলছিল, উনিশ শো পাঁচ সালের মতো আবার যে ধর্মঘট হতে যাচ্ছে সেইসব নিয়ে। উনিশ শো পাঁচ সালে কী হয়েছিল জানিস তো?’

‘জানি, একটু-একটু,’ হঠাৎ লজ্জা পেয়ে লাল হয়ে উঠতে-উঠতে জবাব দিলুম।

‘বিপ্লব হয়েছিল তখন। তবে সফল হয় নি। বিপ্লবীদের মতলব ছিল জমিদারদের পুড়িয়ে মারা, সব জমি চাষীদের মধ্যে বিলিয়ে দেয়া আর বড়লোকদের কাছ থেকে সবকিছু কেড়ে নিয়ে গরিবদের দেয়া। জানিস, আমি বড়দের কথাবার্তা থেকে সবকিছু জেনেছি।’