০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্টের দলের ঐতিহাসিক বিজয়

  • Sarakhon Report
  • ০২:৪৪:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
  • 1

সারাক্ষণ ডেস্ক 

 শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট এবং ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার (এনপিপি) দলের নেতা অনুরা কুমারা ডিসানায়েকে বৃহস্পতিবারের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় অর্জন করেছেন, যা নতুন প্রেসিডেন্টকে তার নীতিমালা বাস্তবায়নের পথ সুগম করেছে।শুক্রবার শ্রীলঙ্কার নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলাফলের ভিত্তিতে, এনপিপি ২২৫ আসনের পার্লামেন্টে ১৫৯টি আসন পেয়েছে, যা মোট আসনের ৭০%। এই ফলাফল ভোটারদের মনোভাবের একটি বড় পরিবর্তন নির্দেশ করে, যেখানে পূর্ববর্তী সংসদে দলের মাত্র তিনটি আসন ছিল। ২২৫টি আসনের মধ্যে ১৯৬টি আসন দেশের ২২টি জেলায় প্রাপ্য ভোটের ভিত্তিতে বণ্টন করা হয় এবং বাকি ২৯টি আসন সারাদেশের ভোটের ভিত্তিতে বণ্টিত হয়।

শ্রীলঙ্কার জাতীয় টেলিভিশনে কিছু বিশ্লেষক এই ফলাফলকে “রাজনৈতিক সুনামি” বলে বর্ণনা করেছেন। এনপিপি নেতাদের সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য ১১৩টি আসনের সীমা অতিক্রম করার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এই ফলাফল তাদের প্রত্যাশার চেয়েও বেশি।

ডিসানায়েকে এবং তার দল শুধু মধ্য ১৯৯০-এর দশক থেকে সংসদ নিয়ন্ত্রণকারী জোট ভেঙেই দেননি, বরং ইতিহাসও সৃষ্টি করেছেন। এটি প্রথমবারের মতো একটি একক দল শ্রীলঙ্কার আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থার অধীনে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।

নির্বাচনে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল সামাগি জনা বালাওয়েগায়া (এসজেবি) দল, যা আগের সংসদে বিরোধী দল ছিল। দলটি ৪০টি আসন পেয়েছে, যা সেপ্টেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলীয় নেতা সাজিথ প্রেমাদাসার পরাজয়ের প্রতিধ্বনি। ২০২০ সালের সাধারণ নির্বাচনে এসজেবি ৫৪টি আসন পেয়েছিল।

ভোটারদের সবচেয়ে কঠোর বিচার পড়েছে শ্রীলঙ্কা পোদুজানা পেরামুনা (এসএলপিপি) দলের ওপর, যা রাজাপক্ষ পরিবারের প্রতিনিধিত্বকারী একটি উগ্র জাতীয়তাবাদী দল। এই পরিবার শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রভাবশালী ছিল এবং দুইজন প্রেসিডেন্টসহ একাধিক মন্ত্রীর নেতৃত্ব দিয়েছে। ২০২২ সালে দেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের জন্য এই পরিবারকে দায়ী করা হয়। দলটি এবার মাত্র দুইটি আসন পেয়েছে, যেখানে ২০২০ সালে তাদের ছিল ১৪৫টি আসন।

সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের ক্ষেত্রেও ভোটারদের রোষ লক্ষ্য করা যায়। ২০২২ সালে সংসদীয় ভোটে তিনি অন্তর্বর্তী নেতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং দেউলিয়া অর্থনীতি পুনর্গঠনের চেষ্টা করেন। তবে তার নেতৃত্বাধীন নতুন ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট জোট মাত্র পাঁচটি আসন পেয়েছে। এর আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি তৃতীয় স্থানে ছিলেন।

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্টের দলের ঐতিহাসিক বিজয়

০২:৪৪:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

সারাক্ষণ ডেস্ক 

 শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট এবং ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার (এনপিপি) দলের নেতা অনুরা কুমারা ডিসানায়েকে বৃহস্পতিবারের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় অর্জন করেছেন, যা নতুন প্রেসিডেন্টকে তার নীতিমালা বাস্তবায়নের পথ সুগম করেছে।শুক্রবার শ্রীলঙ্কার নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলাফলের ভিত্তিতে, এনপিপি ২২৫ আসনের পার্লামেন্টে ১৫৯টি আসন পেয়েছে, যা মোট আসনের ৭০%। এই ফলাফল ভোটারদের মনোভাবের একটি বড় পরিবর্তন নির্দেশ করে, যেখানে পূর্ববর্তী সংসদে দলের মাত্র তিনটি আসন ছিল। ২২৫টি আসনের মধ্যে ১৯৬টি আসন দেশের ২২টি জেলায় প্রাপ্য ভোটের ভিত্তিতে বণ্টন করা হয় এবং বাকি ২৯টি আসন সারাদেশের ভোটের ভিত্তিতে বণ্টিত হয়।

শ্রীলঙ্কার জাতীয় টেলিভিশনে কিছু বিশ্লেষক এই ফলাফলকে “রাজনৈতিক সুনামি” বলে বর্ণনা করেছেন। এনপিপি নেতাদের সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য ১১৩টি আসনের সীমা অতিক্রম করার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এই ফলাফল তাদের প্রত্যাশার চেয়েও বেশি।

ডিসানায়েকে এবং তার দল শুধু মধ্য ১৯৯০-এর দশক থেকে সংসদ নিয়ন্ত্রণকারী জোট ভেঙেই দেননি, বরং ইতিহাসও সৃষ্টি করেছেন। এটি প্রথমবারের মতো একটি একক দল শ্রীলঙ্কার আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থার অধীনে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।

নির্বাচনে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল সামাগি জনা বালাওয়েগায়া (এসজেবি) দল, যা আগের সংসদে বিরোধী দল ছিল। দলটি ৪০টি আসন পেয়েছে, যা সেপ্টেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলীয় নেতা সাজিথ প্রেমাদাসার পরাজয়ের প্রতিধ্বনি। ২০২০ সালের সাধারণ নির্বাচনে এসজেবি ৫৪টি আসন পেয়েছিল।

ভোটারদের সবচেয়ে কঠোর বিচার পড়েছে শ্রীলঙ্কা পোদুজানা পেরামুনা (এসএলপিপি) দলের ওপর, যা রাজাপক্ষ পরিবারের প্রতিনিধিত্বকারী একটি উগ্র জাতীয়তাবাদী দল। এই পরিবার শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রভাবশালী ছিল এবং দুইজন প্রেসিডেন্টসহ একাধিক মন্ত্রীর নেতৃত্ব দিয়েছে। ২০২২ সালে দেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের জন্য এই পরিবারকে দায়ী করা হয়। দলটি এবার মাত্র দুইটি আসন পেয়েছে, যেখানে ২০২০ সালে তাদের ছিল ১৪৫টি আসন।

সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের ক্ষেত্রেও ভোটারদের রোষ লক্ষ্য করা যায়। ২০২২ সালে সংসদীয় ভোটে তিনি অন্তর্বর্তী নেতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং দেউলিয়া অর্থনীতি পুনর্গঠনের চেষ্টা করেন। তবে তার নেতৃত্বাধীন নতুন ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট জোট মাত্র পাঁচটি আসন পেয়েছে। এর আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি তৃতীয় স্থানে ছিলেন।