০৮:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-১১)

  • Sarakhon Report
  • ১০:০০:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
  • 16

প্রদীপ কুমার মজুমদার

অনেকক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে একই নামে বহু ঋষির পরিচয় বিভিন্ন বৈদিক সাহিত্যে রয়েছে। যেমন ধরা যাক মেধাতিথির নাম। ইনি ঋগ্বেদের ৩১৩টি ঋকের সঙ্গে যুক্ত, তাছাড়া অথর্ববেদে ১৭টি ঋকের সঙ্গে এবং যজুর্বেদের বহু জায়গায় এর নাম পাওয়া যায়।

এক থেকে দশ এবং দশের গুণিতক প্রভৃতি সংখ্যার উল্লেখ ঋগ্বেদের বিভিন্ন ঋকে দেখতে পাওয়া যায়। যদিও যজুর্বেদে এই সম্বন্ধে বিস্তৃত ও উন্নত পর্যায়ে উল্লেখ রয়েছে। যাই হোক প্রথমে ঋম্বেদের কয়েকটি ঋকের কথা দৃষ্টান্তস্বরূপ উল্লেখ করছি। ‘শল্পী চিদঘ। মদুচ্যুতা মিথুনা বহতো রথম্’। ৮।৩৩/১৮ অর্থাৎ সোমাভিমুখে গমনকারী অশ্বমিথুন (অশ্বন্বয়) ইন্দ্রের রথ বহন করে। ‘অগ্নে দেব। ইহা বহু সাদয়া যোনিম্ন ত্রিষু। পরিভূষ পিব ঋতুনা’। ১।১৫/৪ অর্থাৎ হে অগ্নি, দেবগণকে এ স্থানে আনয়ন কর, তিনটি যজ্ঞস্থানে তাহাদিগকে অবস্থান করাও। তাহাদিগকে অলংকৃত কর। তুমি ঋতুর সহিত সোমপান কর।

যত্ত্বা তুরীয়মৃতুভিদ্র বিণোদো যজ্ঞামহে। অধ স্মা নো দদির্ভব’। ১।১৫/১০ অর্থাৎ হে দ্রবিনোদো, যেহেতু ঋতুদিগের সহিত তোমাকে চতুর্থবার অর্চনা করিতেছি। অতএব নিঃসন্দেহরূপে আমাদিগকে ধন প্রদান কর।

‘ইহি ত্রিস্রঃ পরাবত ইহি পঞ্চ জন। অতি। যেনা ইন্দ্রাবচাকশৎ’। ৮।২২/৩২ অর্থাৎ হে ইন্দ্র, তুমি স্বতি অবগত হইয়াছ, তুমি দূরদেশ হইতে তিনপথে আগমন কর, তুমি পঞ্চজনকে অতিক্রম করিয়া আগমন কর।

‘উতো স মহমিন্দুভিঃ যত্যুক্ত। অনুসেষিধৎ গোভির্যবং ন চরুষত। ১/২৩/১৫ অর্থাৎ এই সেই পুষা আমার জন্ত সোমের সহিত ছয় ঋতু ক্রমান্বয়ে বারবার আনিয়াছিলেন। কৃষক যেমন গরু দ্বারা পুনঃ পুনঃ যব চাষ করে। সাত, আট, নয় সম্বন্ধে ঋগ্বেদের ১৪২২/১৬, ১/১৬৪/৪১, ঋকগুলিতে দেখতে পাওয়া যায়। আমি এখানে দৃষ্টান্তস্বরূপ তুলে ধরছি।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-১০)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-১০)

 

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-১১)

১০:০০:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

প্রদীপ কুমার মজুমদার

অনেকক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে একই নামে বহু ঋষির পরিচয় বিভিন্ন বৈদিক সাহিত্যে রয়েছে। যেমন ধরা যাক মেধাতিথির নাম। ইনি ঋগ্বেদের ৩১৩টি ঋকের সঙ্গে যুক্ত, তাছাড়া অথর্ববেদে ১৭টি ঋকের সঙ্গে এবং যজুর্বেদের বহু জায়গায় এর নাম পাওয়া যায়।

এক থেকে দশ এবং দশের গুণিতক প্রভৃতি সংখ্যার উল্লেখ ঋগ্বেদের বিভিন্ন ঋকে দেখতে পাওয়া যায়। যদিও যজুর্বেদে এই সম্বন্ধে বিস্তৃত ও উন্নত পর্যায়ে উল্লেখ রয়েছে। যাই হোক প্রথমে ঋম্বেদের কয়েকটি ঋকের কথা দৃষ্টান্তস্বরূপ উল্লেখ করছি। ‘শল্পী চিদঘ। মদুচ্যুতা মিথুনা বহতো রথম্’। ৮।৩৩/১৮ অর্থাৎ সোমাভিমুখে গমনকারী অশ্বমিথুন (অশ্বন্বয়) ইন্দ্রের রথ বহন করে। ‘অগ্নে দেব। ইহা বহু সাদয়া যোনিম্ন ত্রিষু। পরিভূষ পিব ঋতুনা’। ১।১৫/৪ অর্থাৎ হে অগ্নি, দেবগণকে এ স্থানে আনয়ন কর, তিনটি যজ্ঞস্থানে তাহাদিগকে অবস্থান করাও। তাহাদিগকে অলংকৃত কর। তুমি ঋতুর সহিত সোমপান কর।

যত্ত্বা তুরীয়মৃতুভিদ্র বিণোদো যজ্ঞামহে। অধ স্মা নো দদির্ভব’। ১।১৫/১০ অর্থাৎ হে দ্রবিনোদো, যেহেতু ঋতুদিগের সহিত তোমাকে চতুর্থবার অর্চনা করিতেছি। অতএব নিঃসন্দেহরূপে আমাদিগকে ধন প্রদান কর।

‘ইহি ত্রিস্রঃ পরাবত ইহি পঞ্চ জন। অতি। যেনা ইন্দ্রাবচাকশৎ’। ৮।২২/৩২ অর্থাৎ হে ইন্দ্র, তুমি স্বতি অবগত হইয়াছ, তুমি দূরদেশ হইতে তিনপথে আগমন কর, তুমি পঞ্চজনকে অতিক্রম করিয়া আগমন কর।

‘উতো স মহমিন্দুভিঃ যত্যুক্ত। অনুসেষিধৎ গোভির্যবং ন চরুষত। ১/২৩/১৫ অর্থাৎ এই সেই পুষা আমার জন্ত সোমের সহিত ছয় ঋতু ক্রমান্বয়ে বারবার আনিয়াছিলেন। কৃষক যেমন গরু দ্বারা পুনঃ পুনঃ যব চাষ করে। সাত, আট, নয় সম্বন্ধে ঋগ্বেদের ১৪২২/১৬, ১/১৬৪/৪১, ঋকগুলিতে দেখতে পাওয়া যায়। আমি এখানে দৃষ্টান্তস্বরূপ তুলে ধরছি।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-১০)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-১০)