০৭:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-২২৯)

  • Sarakhon Report
  • ১১:০০:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 18

শ্রী নিখিলনাথ রায়

আসদ উল্লা যে যে স্থানের কথা উল্লেখ করে, সে সময় তথায় সৈন্যশিবির না থাকার প্রমাণ করিবার জন্য অনেক কাপ্তেন, কর্ণেল প্রভৃতিকে আদালত হইতে উপস্থাপিত করা হয়। অন্যান্য সাক্ষীর সম্বন্ধে অধিক বলিবার প্রয়োজন নাই। আমরা এক্ষণে উভয় পক্ষের মানিত সাক্ষী কৃষ্ণজীবন সম্বন্ধে দুই চারিটি কথা বলিতে চাহি। কৃষ্ণজীবনের সাক্ষ্য প্রধানতঃ দুইটি দলিলের উপর নির্ভর করিয়াছিল।

আমরা সেই দলিল দুইটির কথা সংক্ষেপে বলিয়’, সঙ্গে সঙ্গে কৃষ্ণজীবনের সাক্ষ্যের কথারও উল্লেখ করিতেছি। কৃষ্ণজীবন সেই সময়ে মোহনপ্রসাদের অধীনতায় কার্য্য করিত’। অনেক কথা তাহাকে যে ভয়ে ভয়ে বলিতে হইয়াছিল, এ কথা সে নিজেই স্বীকার করিয়া গিয়াছে। এই মোকদ্দমায় যে সমস্ত দলিল উপস্থাপিত করা হয়, তন্মধ্যে দুইখানি প্রধান। একখানি একটি করারনামার নকল ও আর একখানি একটি হিসাবের তালিকা। এই হিসাবের তালিকা M চিহ্নিত করা হয়। এই করারনামাও বুলাকীদাস ও মহারাজ নন্দকুমারের মধ্যে লিখিত হয়।

পদ্মমোহন দাস করারনামা লিখিয়া -দেয় এবং বুলাকীদাস তাহাতে সাক্ষর করেন। তাহাতে জহরতের অঙ্গীকার-পত্র, দরবার-খরচ ও কতকগুলি হুণ্ডীর কথা লিখিত থাকে। মোহনদাস নামে এক ব্যক্তি এই করারনামার নকল করিয়াছিল। সে মূল করারনামা পদ্মমোহন দাসকে দেয় এবং নকলখানি মহারাজের নিকট রাখিয়া দেয়। কৃষ্ণজীবন মূল করারনামা দেখিয়াছে বলিয়া স্বীকার করে। কৃষ্ণজীবন করারনামা দেখিয়া খাতায় সে সম্বন্ধে কতক- গুলি হিসাব লিখিয়া রাখে। এই করারনামার জন্য পদ্মমোহনের সমস্ত কাগজপত্র অনুসন্ধান করা হয়।

পদ্মমোহনের পিতা শিবনাথ ও ভ্রাতা লছমন দাস আপন আপন সাক্ষ্যে প্রকাশ করে যে, পদ্মমোহনের সমস্ত কাগজপত্র আদালতে দাখিল আছে। তবুও আদালত হইতে তাহা বাহির করা হয় নাই। কৃষ্ণজীবনকে সমস্ত অনুসন্ধান করিতে বলা হয়; কিন্তু কৃষ্ণজীবন সমস্ত অনুসন্ধান করিয়া উঠিতে পারে নাই। করারনামার মূল না পাওয়ায় তাহার নকল সাক্ষ্য বলিয়া জজ মহোদয়েরা গ্রাহ্য করিলেন না এবং মোহনদাস যে করারনামার নকল করিয়াছিল, সে সাক্ষ্যেও বিশ্বাস করা হয় নাই। M চিহ্নিত দলিলটি মহারাজ নন্দকুমার ও বুলাকীদাসের মধ্যে একটি হিসাবের তালিকা।

 

 

নির্বাচন নিয়ে আবার সন্দেহ, অনিশ্চয়তার কথা কেন আসছে?

মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-২২৯)

১১:০০:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

শ্রী নিখিলনাথ রায়

আসদ উল্লা যে যে স্থানের কথা উল্লেখ করে, সে সময় তথায় সৈন্যশিবির না থাকার প্রমাণ করিবার জন্য অনেক কাপ্তেন, কর্ণেল প্রভৃতিকে আদালত হইতে উপস্থাপিত করা হয়। অন্যান্য সাক্ষীর সম্বন্ধে অধিক বলিবার প্রয়োজন নাই। আমরা এক্ষণে উভয় পক্ষের মানিত সাক্ষী কৃষ্ণজীবন সম্বন্ধে দুই চারিটি কথা বলিতে চাহি। কৃষ্ণজীবনের সাক্ষ্য প্রধানতঃ দুইটি দলিলের উপর নির্ভর করিয়াছিল।

আমরা সেই দলিল দুইটির কথা সংক্ষেপে বলিয়’, সঙ্গে সঙ্গে কৃষ্ণজীবনের সাক্ষ্যের কথারও উল্লেখ করিতেছি। কৃষ্ণজীবন সেই সময়ে মোহনপ্রসাদের অধীনতায় কার্য্য করিত’। অনেক কথা তাহাকে যে ভয়ে ভয়ে বলিতে হইয়াছিল, এ কথা সে নিজেই স্বীকার করিয়া গিয়াছে। এই মোকদ্দমায় যে সমস্ত দলিল উপস্থাপিত করা হয়, তন্মধ্যে দুইখানি প্রধান। একখানি একটি করারনামার নকল ও আর একখানি একটি হিসাবের তালিকা। এই হিসাবের তালিকা M চিহ্নিত করা হয়। এই করারনামাও বুলাকীদাস ও মহারাজ নন্দকুমারের মধ্যে লিখিত হয়।

পদ্মমোহন দাস করারনামা লিখিয়া -দেয় এবং বুলাকীদাস তাহাতে সাক্ষর করেন। তাহাতে জহরতের অঙ্গীকার-পত্র, দরবার-খরচ ও কতকগুলি হুণ্ডীর কথা লিখিত থাকে। মোহনদাস নামে এক ব্যক্তি এই করারনামার নকল করিয়াছিল। সে মূল করারনামা পদ্মমোহন দাসকে দেয় এবং নকলখানি মহারাজের নিকট রাখিয়া দেয়। কৃষ্ণজীবন মূল করারনামা দেখিয়াছে বলিয়া স্বীকার করে। কৃষ্ণজীবন করারনামা দেখিয়া খাতায় সে সম্বন্ধে কতক- গুলি হিসাব লিখিয়া রাখে। এই করারনামার জন্য পদ্মমোহনের সমস্ত কাগজপত্র অনুসন্ধান করা হয়।

পদ্মমোহনের পিতা শিবনাথ ও ভ্রাতা লছমন দাস আপন আপন সাক্ষ্যে প্রকাশ করে যে, পদ্মমোহনের সমস্ত কাগজপত্র আদালতে দাখিল আছে। তবুও আদালত হইতে তাহা বাহির করা হয় নাই। কৃষ্ণজীবনকে সমস্ত অনুসন্ধান করিতে বলা হয়; কিন্তু কৃষ্ণজীবন সমস্ত অনুসন্ধান করিয়া উঠিতে পারে নাই। করারনামার মূল না পাওয়ায় তাহার নকল সাক্ষ্য বলিয়া জজ মহোদয়েরা গ্রাহ্য করিলেন না এবং মোহনদাস যে করারনামার নকল করিয়াছিল, সে সাক্ষ্যেও বিশ্বাস করা হয় নাই। M চিহ্নিত দলিলটি মহারাজ নন্দকুমার ও বুলাকীদাসের মধ্যে একটি হিসাবের তালিকা।