১১:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

শিক্ষিত নারী গৃহিণী হয়ে থাকা: বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সমাজের এক নীরব ক্ষতি

সারাংশ

  • ৫০ লাখ শিক্ষিত গৃহিণী কর্মে যুক্ত হলে বছরে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকার সমান উৎপাদন সম্ভব হতো
  • নারীদের চাকরি না করার পেছনে পারিবারিক, সামাজিক ও নীতিগত নানা বাধা রয়েছে
  • রাষ্ট্রের দায়িত্ব একটি এমন পরিবেশ নিশ্চিত করা, যেখানে নারীরা স্বাধীনভাবে পেশা বেছে নিতে পারেন

বাংলাদেশে এক বড় অংশের শিক্ষিত নারী গৃহিণী হিসেবে জীবনযাপন করছেন – যাঁরা তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও দক্ষতা ব্যবহার করতে পারছেন না কোনো পেশাগত ক্ষেত্রে। এ প্রবণতা শুধু ব্যক্তি পর্যায়ে নয়, বরং পুরো অর্থনীতি ও সমাজের জন্য এক গুরুতর ক্ষতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শিক্ষিত নারীর সংখ্যা ও অবস্থান

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর শ্রমশক্তি জরিপ (শেষ প্রকাশিত) অনুযায়ী, নারীদের মধ্যে সাক্ষরতার হার প্রায় ৭৫ শতাংশ এবং উচ্চশিক্ষিত নারীর হারও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে মেয়েদের ভর্তি ৫০ শতাংশের বেশি কিছু কিছু ক্ষেত্রে।

কিন্তু কর্মসংস্থানে অংশগ্রহণের হার এখনও মাত্র প্রায় ৩৬ শতাংশ। এর মধ্যে গ্রামীণ ও নিম্নআয়ের নারীরা পোশাক শিল্প, কৃষি বা হালকা শিল্পে বেশি থাকলেও, শহরে উচ্চশিক্ষিত নারীদের অনেকেই গৃহিণী হয়ে বসে আছেন।

গবেষণা বলছে, বাংলাদেশের শহুরে মধ্যবিত্ত ও উচ্চমধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতে শিক্ষিত নারীদের মধ্যে গৃহিণীর হার ৪৫–৬০ শতাংশ পর্যন্ত। অর্থাৎ, যাঁরা মাস্টার্স বা অন্তত স্নাতক পাস করেছেন, তাঁদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি কোনো পেশায় নেই।

ঘরে বসে থাকা মানেই শূন্য অবদান নয় – কিন্তু সীমিত অবদান

এ কথা ঠিক যে, গৃহিণীরা ঘরে শিশু পরিচর্যা, পরিবারের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা, গৃহব্যবস্থাপনা করে বিশাল অবদান রাখেন। অনেকেই বাচ্চাদের পড়াশোনা শেখান, পরিবারের সেবা করেন।

কিন্তু অর্থনীতির ভাষায় এই শ্রম ‘অদৃশ্য’। জাতীয় আয়ে এর কোনো হিসাব নেই।

একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা বলছে – যদি গৃহকর্মের আর্থিক মূল্য ধরা হয়, তাহলে তা জিডিপির ২০–৩০ শতাংশের সমান হতে পারে। কিন্তু অর্থনীতিতে এ শ্রম নগদায়িত হয় না, উৎপাদন ও প্রবৃদ্ধি বাড়ায় না।

এছাড়া, এই নারীরা তাঁদের শিক্ষাগত দক্ষতা ব্যবহার করতে পারলে – যেমন শিক্ষকতা, ব্যাংকিং, চিকিৎসা, প্রশাসন, গবেষণা, উদ্যোক্তা খাত – তাহলে সরাসরি জাতীয় আয়ে যুক্ত হতেন, নতুন চাকরি সৃষ্টি করতেন, কর দিতেন, উদ্ভাবন করতেন।

ক্ষতির হিসাব

বিশেষজ্ঞদের ধারণা অনুযায়ী –

শিক্ষিত একজন নারী যদি গড়ে বছরে ৪ লাখ টাকার সমমান উৎপাদনমুখী কাজে অবদান রাখতে পারেন, এবং ৫০ লাখ শিক্ষিত গৃহিণী থাকেন – তাহলে বছরে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকার সমান ক্ষতি হয়।

এটি বাংলাদেশের জিডিপির ২০–২৫ শতাংশের সমান হতে পারে।

কর্মশক্তি কম থাকায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা কখনো কখনো বাংলাদেশকে দক্ষ মানবসম্পদহীন বাজার মনে করেন।

কেন তাঁরা চাকরি বা ব্যবসায় আসেন না?

পারিবারিক বাধা

  • মেয়েকে বেশি পড়ালেখা করানো মানে ভালো পাত্রের আশা – এ ধারণা।
  • শাশুড়ি-স্বামী-পরিবার চায় না বউ চাকরি করুক।
  • বাচ্চা বড় করা, সংসার চালানো একা নারীর দায়িত্ব ভাবা হয়।

সামাজিক বাধা

  • নারী চাকরি করলে সমাজে এখনও সমালোচনা হয় কিছু এলাকায়।
  • “মেয়েরা বাইরে গেলে সম্মান নষ্ট হবে” ভাবনা।
  • অফিসে সহকর্মীর সঙ্গে মেলামেশা নিয়ে সন্দেহ।

নীতিগত ও কাঠামোগত বাধা

  • ডে-কেয়ার সেন্টারের অভাব।
  • অফিসে মাতৃত্বকালীন সুবিধা সীমিত।
  • নিরাপদ যাতায়াতের সমস্যা – বিশেষ করে রাতে।
  • সরকারি নীতিমালায় স্পষ্ট জেন্ডার মেইনস্ট্রিমিং না থাকা।

যারা চেষ্টা করেছেনতাঁদের অভিজ্ঞতা

শহরের মধ্যবিত্ত এলাকায় কিছু নারী পার্ট-টাইম টিউশন, বাড়িভিত্তিক অনলাইন ব্যবসা, ইউটিউব চ্যানেল ইত্যাদির মাধ্যমে সীমিত অবদান রাখছেন। কিন্তু –

  • সঠিক প্রশিক্ষণ, অর্থায়ন, পুঁজি নেই।
  • পরিবারের সমর্থন নেই।
  • অনলাইন পেমেন্ট, শিপিং, কর কাঠামো জটিল।

সরকার কী করছে – কোথায় ঘাটতি

  • সরকারি চাকরিতে আগে নারী কোটা থাকলেও সেখানে বাস্তবায়নের গতি ধীর ছিলো।
  • শিল্প নীতিতে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ ঋণ আছে – কিন্তু প্রকৃত সুবিধা পেতে হয় বহু জটিলতা পার হয়ে।
  • কর্মস্থলে শিশু ডে কেয়ার সেন্টার নীতিগতভাবে আছে, কিন্তু বাস্তবে কম।
  • নিরাপত্তা ও যৌন হয়রানি আইন আছে – কিন্তু অভিযোগ করতে ভয়, মামলা চলতে সময় লাগে, প্রমাণ জটিল।

কী করা যায়?

  • পরিবারে মানসিকতা বদল – মেয়ের শিক্ষার মানে শুধু বিয়ের বাজার নয়।
  • সামাজিক প্রচার – নারীর চাকরি মানে পরিবারের উন্নয়ন।
  • ডে-কেয়ার সেন্টারের বিস্তার।
  • নিরাপদ যাতায়াতের ব্যবস্থা।
  • অফিসে নমনীয় সময় ও ওয়ার্ক ফ্রম হোম সংস্কৃতি।
  • নারী উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে ঋণ ও প্রশিক্ষণ।
  • কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে এই ‘অদৃশ্য’ গৃহিণী অর্থনীতিকে দৃশ্যমান করতে হবে। শিক্ষিত নারীর কর্মশক্তি যদি ব্যবহার করা যায় – তাহলে শুধু পরিবার নয়, পুরো দেশ উপকৃত হবে।

নারীর ঘরে বসে থাকা পছন্দ হলে সেটি অবশ্যই সম্মানের বিষয় – কিন্তু রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে এমন সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা, যাতে কোনো নারী শুধু সামাজিক চাপের কারণে বা কাঠামোগত বাধার কারণে তার সম্ভাবনা নষ্ট করে না।

একটি দেশের উন্নয়ন তখনই পূর্ণ হয়, যখন তার সব নাগরিক – নারী-পুরুষ নির্বিশেষে – সমানভাবে সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারে।

শিক্ষিত নারী গৃহিণী হয়ে থাকা: বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সমাজের এক নীরব ক্ষতি

০৫:৪৭:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

সারাংশ

  • ৫০ লাখ শিক্ষিত গৃহিণী কর্মে যুক্ত হলে বছরে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকার সমান উৎপাদন সম্ভব হতো
  • নারীদের চাকরি না করার পেছনে পারিবারিক, সামাজিক ও নীতিগত নানা বাধা রয়েছে
  • রাষ্ট্রের দায়িত্ব একটি এমন পরিবেশ নিশ্চিত করা, যেখানে নারীরা স্বাধীনভাবে পেশা বেছে নিতে পারেন

বাংলাদেশে এক বড় অংশের শিক্ষিত নারী গৃহিণী হিসেবে জীবনযাপন করছেন – যাঁরা তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও দক্ষতা ব্যবহার করতে পারছেন না কোনো পেশাগত ক্ষেত্রে। এ প্রবণতা শুধু ব্যক্তি পর্যায়ে নয়, বরং পুরো অর্থনীতি ও সমাজের জন্য এক গুরুতর ক্ষতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শিক্ষিত নারীর সংখ্যা ও অবস্থান

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর শ্রমশক্তি জরিপ (শেষ প্রকাশিত) অনুযায়ী, নারীদের মধ্যে সাক্ষরতার হার প্রায় ৭৫ শতাংশ এবং উচ্চশিক্ষিত নারীর হারও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে মেয়েদের ভর্তি ৫০ শতাংশের বেশি কিছু কিছু ক্ষেত্রে।

কিন্তু কর্মসংস্থানে অংশগ্রহণের হার এখনও মাত্র প্রায় ৩৬ শতাংশ। এর মধ্যে গ্রামীণ ও নিম্নআয়ের নারীরা পোশাক শিল্প, কৃষি বা হালকা শিল্পে বেশি থাকলেও, শহরে উচ্চশিক্ষিত নারীদের অনেকেই গৃহিণী হয়ে বসে আছেন।

গবেষণা বলছে, বাংলাদেশের শহুরে মধ্যবিত্ত ও উচ্চমধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতে শিক্ষিত নারীদের মধ্যে গৃহিণীর হার ৪৫–৬০ শতাংশ পর্যন্ত। অর্থাৎ, যাঁরা মাস্টার্স বা অন্তত স্নাতক পাস করেছেন, তাঁদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি কোনো পেশায় নেই।

ঘরে বসে থাকা মানেই শূন্য অবদান নয় – কিন্তু সীমিত অবদান

এ কথা ঠিক যে, গৃহিণীরা ঘরে শিশু পরিচর্যা, পরিবারের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা, গৃহব্যবস্থাপনা করে বিশাল অবদান রাখেন। অনেকেই বাচ্চাদের পড়াশোনা শেখান, পরিবারের সেবা করেন।

কিন্তু অর্থনীতির ভাষায় এই শ্রম ‘অদৃশ্য’। জাতীয় আয়ে এর কোনো হিসাব নেই।

একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা বলছে – যদি গৃহকর্মের আর্থিক মূল্য ধরা হয়, তাহলে তা জিডিপির ২০–৩০ শতাংশের সমান হতে পারে। কিন্তু অর্থনীতিতে এ শ্রম নগদায়িত হয় না, উৎপাদন ও প্রবৃদ্ধি বাড়ায় না।

এছাড়া, এই নারীরা তাঁদের শিক্ষাগত দক্ষতা ব্যবহার করতে পারলে – যেমন শিক্ষকতা, ব্যাংকিং, চিকিৎসা, প্রশাসন, গবেষণা, উদ্যোক্তা খাত – তাহলে সরাসরি জাতীয় আয়ে যুক্ত হতেন, নতুন চাকরি সৃষ্টি করতেন, কর দিতেন, উদ্ভাবন করতেন।

ক্ষতির হিসাব

বিশেষজ্ঞদের ধারণা অনুযায়ী –

শিক্ষিত একজন নারী যদি গড়ে বছরে ৪ লাখ টাকার সমমান উৎপাদনমুখী কাজে অবদান রাখতে পারেন, এবং ৫০ লাখ শিক্ষিত গৃহিণী থাকেন – তাহলে বছরে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকার সমান ক্ষতি হয়।

এটি বাংলাদেশের জিডিপির ২০–২৫ শতাংশের সমান হতে পারে।

কর্মশক্তি কম থাকায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা কখনো কখনো বাংলাদেশকে দক্ষ মানবসম্পদহীন বাজার মনে করেন।

কেন তাঁরা চাকরি বা ব্যবসায় আসেন না?

পারিবারিক বাধা

  • মেয়েকে বেশি পড়ালেখা করানো মানে ভালো পাত্রের আশা – এ ধারণা।
  • শাশুড়ি-স্বামী-পরিবার চায় না বউ চাকরি করুক।
  • বাচ্চা বড় করা, সংসার চালানো একা নারীর দায়িত্ব ভাবা হয়।

সামাজিক বাধা

  • নারী চাকরি করলে সমাজে এখনও সমালোচনা হয় কিছু এলাকায়।
  • “মেয়েরা বাইরে গেলে সম্মান নষ্ট হবে” ভাবনা।
  • অফিসে সহকর্মীর সঙ্গে মেলামেশা নিয়ে সন্দেহ।

নীতিগত ও কাঠামোগত বাধা

  • ডে-কেয়ার সেন্টারের অভাব।
  • অফিসে মাতৃত্বকালীন সুবিধা সীমিত।
  • নিরাপদ যাতায়াতের সমস্যা – বিশেষ করে রাতে।
  • সরকারি নীতিমালায় স্পষ্ট জেন্ডার মেইনস্ট্রিমিং না থাকা।

যারা চেষ্টা করেছেনতাঁদের অভিজ্ঞতা

শহরের মধ্যবিত্ত এলাকায় কিছু নারী পার্ট-টাইম টিউশন, বাড়িভিত্তিক অনলাইন ব্যবসা, ইউটিউব চ্যানেল ইত্যাদির মাধ্যমে সীমিত অবদান রাখছেন। কিন্তু –

  • সঠিক প্রশিক্ষণ, অর্থায়ন, পুঁজি নেই।
  • পরিবারের সমর্থন নেই।
  • অনলাইন পেমেন্ট, শিপিং, কর কাঠামো জটিল।

সরকার কী করছে – কোথায় ঘাটতি

  • সরকারি চাকরিতে আগে নারী কোটা থাকলেও সেখানে বাস্তবায়নের গতি ধীর ছিলো।
  • শিল্প নীতিতে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ ঋণ আছে – কিন্তু প্রকৃত সুবিধা পেতে হয় বহু জটিলতা পার হয়ে।
  • কর্মস্থলে শিশু ডে কেয়ার সেন্টার নীতিগতভাবে আছে, কিন্তু বাস্তবে কম।
  • নিরাপত্তা ও যৌন হয়রানি আইন আছে – কিন্তু অভিযোগ করতে ভয়, মামলা চলতে সময় লাগে, প্রমাণ জটিল।

কী করা যায়?

  • পরিবারে মানসিকতা বদল – মেয়ের শিক্ষার মানে শুধু বিয়ের বাজার নয়।
  • সামাজিক প্রচার – নারীর চাকরি মানে পরিবারের উন্নয়ন।
  • ডে-কেয়ার সেন্টারের বিস্তার।
  • নিরাপদ যাতায়াতের ব্যবস্থা।
  • অফিসে নমনীয় সময় ও ওয়ার্ক ফ্রম হোম সংস্কৃতি।
  • নারী উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে ঋণ ও প্রশিক্ষণ।
  • কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে এই ‘অদৃশ্য’ গৃহিণী অর্থনীতিকে দৃশ্যমান করতে হবে। শিক্ষিত নারীর কর্মশক্তি যদি ব্যবহার করা যায় – তাহলে শুধু পরিবার নয়, পুরো দেশ উপকৃত হবে।

নারীর ঘরে বসে থাকা পছন্দ হলে সেটি অবশ্যই সম্মানের বিষয় – কিন্তু রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে এমন সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা, যাতে কোনো নারী শুধু সামাজিক চাপের কারণে বা কাঠামোগত বাধার কারণে তার সম্ভাবনা নষ্ট করে না।

একটি দেশের উন্নয়ন তখনই পূর্ণ হয়, যখন তার সব নাগরিক – নারী-পুরুষ নির্বিশেষে – সমানভাবে সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারে।