০৫:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
অটিজম চিকিৎসার অপ্রতিষ্ঠিত পথে প্রতিটি পরিবার সাত দশক পর ব্রিটিশ মিউজিক্যালে নতুন জীবন পেল প্রিয় ভালুক সম্পর্কের উষ্ণতা ধরে রাখা উচিৎ, পারিবারিক সীমারেখা রক্ষা করে উৎসব উদযাপনের জ্ঞান শৈশবের গভীর ক্ষত থেকে লেখা এক রন্ধনশিল্পীর আত্মস্বীকারোক্তি মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৬৪) ক্ষমতার নৃত্য: ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস বলরুম প্রকল্পে দানের আড়ালে ব্যবসায়িক স্বার্থের খেলা জোহরান মামদানির সিরিয়ান স্ত্রী রামা দুয়াজি সম্পর্কে এই বিষয়গুলো কি জানেন? পুঁজিবাজারে পতনের ধারা অব্যাহত: সপ্তাহ শেষে ডিএসই ও সিএসই লাল সূচকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যু সংবিধান উপেক্ষা করে গণভোটের তাড়াহুড়ো জনমনে সন্দেহ জাগাচ্ছে: আমীর খসরু

চীনের ঐতিহ্য অয়েল পেপার ছাতা

  • Sarakhon Report
  • ০২:০৮:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 58

ডিসেম্বর ১০, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: চীনের এক অনন্য ঐতিহ্য অয়েল পেপার আমব্রেলা। এই ধরনের ছাতা কারুশিল্পের অবৈষয়িক ঐতিহ্যের তালিকায় রয়েছে। পূর্ব চীনের চিয়াংসি প্রদেশের উইয়ুয়ান কাউন্টির চিয়ালু গ্রাম। এখানে চিয়ালু ছাতা বিখ্যাত। চিয়ালু ছাতার রয়েছে ৮০০ বছরের ঐতিহ্য। ২০২১ সালে চীনের অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় বিশেষভাবে জায়গা করে নেয় চিয়ালু ছাতা। বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি করা হয় ছাতার কাঠামো। তৈলাক্ত কাগজ দিয়ে তৈরি হয় আবরণ। রোদ থেকে বাঁচতে ব্যবহার করা হয় এ ধরনের ছাতা। আধুনিক শিল্পের দাপটে এই কারুশিল্প হারিয়ে যেতে বসেছিল। তবে ঐতিহ্যের ধারকরা এটিকে ধরে রাখছেন এবং নতুন প্রজন্মের কাছে পৌছে দিচ্ছেন।

চিয়ালু অয়েল পেপার আমব্রেলার একজন ইনহেরিটর তাই কেনশেং। তিনি বলেন, ‘ আমরা যখন ছাতার জন্য বাঁশ বাছাই করি তখন কাটার আগে  দেখি এগুলো নতুন না পুরনো। চিয়ালু অয়েল পেপার ছাতা বানানোর জন্য এমন বাঁশ বেছে নিতে হয় যেগুলো অন্তত তিন থেকে পাঁচ বছরের পুরনো। আগে আমরা এক স্তরের কাগজ দিয়ে ছাতা বানাতাম, তবে এখন কটন পেপার ও গজ দিয়ে মজবুত করে বানানো হয় যাতে বেশি টেকসই হয়।’

১৯৯০ সালে চিয়ালু গ্রামের বাসিন্দা তাই কেনশেং চিয়ালু অয়েল পেপার আমব্রেলা কারখানা খোলেন। এই কারুশিল্পের ধারাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই তার এই প্রচেষ্টা।

ছাতার ছাউনি বানানোর জন্য বিভিন্ন রকম ছবি আাঁকা হয় অয়েল পেপারের ওপর। এই ধরনের ছবি আঁকার জন্য বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন । মেশিনে এই ছাতা বানানো সম্ভব নয়। কারণ ছবিগুলোতে ফুটে ওঠে শিল্পীর ভালোলাগার অনুভূতি।

তাই কেনশেং আরও বলেন, ‘অতীতে চিয়ালু অয়েল পেপার আমব্রেলা হতো এক রঙের। যেমন লাল, কালো বা হলুদ রঙের। এখন আমরা ঐতিহ্যবাহী চাইনিজ পেইন্টিংয়ের রংগেুলো বেছে নিই। এরফলে ছাতাটি দেখতে আরও আকর্ষণীয় এবং ঝলমলে হয়।’

২০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে চিয়ালু অয়েল পেপার ছাতা রপ্তানি করা হয়। এর ফলে এই কারুশিল্প বেশ চাঙা হয়েছে। আশপাশের গ্রামের মানুষদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। স্থানীয় বাঁশ শিল্পও বিকশিত হচ্ছে।

এখানে আগত পর্যটকরা এই ছাতা সুভ্যেনির হিসেবে কিনে নেন।

উইয়ুয়ান কাউন্টি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় অনেক বেশি মনোযোগ দিচ্ছে। স্থানীয় অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ইনহেরিটরদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে।

চিয়ালু অয়েল পেপার আমব্রেলার ঐতিহ্যকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে পৌছে দেয়ার জন্য কাজ চলছে ভালোভাবেই।

শান্তা/ফয়সল

 

জনপ্রিয় সংবাদ

অটিজম চিকিৎসার অপ্রতিষ্ঠিত পথে প্রতিটি পরিবার

চীনের ঐতিহ্য অয়েল পেপার ছাতা

০২:০৮:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

ডিসেম্বর ১০, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: চীনের এক অনন্য ঐতিহ্য অয়েল পেপার আমব্রেলা। এই ধরনের ছাতা কারুশিল্পের অবৈষয়িক ঐতিহ্যের তালিকায় রয়েছে। পূর্ব চীনের চিয়াংসি প্রদেশের উইয়ুয়ান কাউন্টির চিয়ালু গ্রাম। এখানে চিয়ালু ছাতা বিখ্যাত। চিয়ালু ছাতার রয়েছে ৮০০ বছরের ঐতিহ্য। ২০২১ সালে চীনের অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় বিশেষভাবে জায়গা করে নেয় চিয়ালু ছাতা। বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি করা হয় ছাতার কাঠামো। তৈলাক্ত কাগজ দিয়ে তৈরি হয় আবরণ। রোদ থেকে বাঁচতে ব্যবহার করা হয় এ ধরনের ছাতা। আধুনিক শিল্পের দাপটে এই কারুশিল্প হারিয়ে যেতে বসেছিল। তবে ঐতিহ্যের ধারকরা এটিকে ধরে রাখছেন এবং নতুন প্রজন্মের কাছে পৌছে দিচ্ছেন।

চিয়ালু অয়েল পেপার আমব্রেলার একজন ইনহেরিটর তাই কেনশেং। তিনি বলেন, ‘ আমরা যখন ছাতার জন্য বাঁশ বাছাই করি তখন কাটার আগে  দেখি এগুলো নতুন না পুরনো। চিয়ালু অয়েল পেপার ছাতা বানানোর জন্য এমন বাঁশ বেছে নিতে হয় যেগুলো অন্তত তিন থেকে পাঁচ বছরের পুরনো। আগে আমরা এক স্তরের কাগজ দিয়ে ছাতা বানাতাম, তবে এখন কটন পেপার ও গজ দিয়ে মজবুত করে বানানো হয় যাতে বেশি টেকসই হয়।’

১৯৯০ সালে চিয়ালু গ্রামের বাসিন্দা তাই কেনশেং চিয়ালু অয়েল পেপার আমব্রেলা কারখানা খোলেন। এই কারুশিল্পের ধারাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই তার এই প্রচেষ্টা।

ছাতার ছাউনি বানানোর জন্য বিভিন্ন রকম ছবি আাঁকা হয় অয়েল পেপারের ওপর। এই ধরনের ছবি আঁকার জন্য বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন । মেশিনে এই ছাতা বানানো সম্ভব নয়। কারণ ছবিগুলোতে ফুটে ওঠে শিল্পীর ভালোলাগার অনুভূতি।

তাই কেনশেং আরও বলেন, ‘অতীতে চিয়ালু অয়েল পেপার আমব্রেলা হতো এক রঙের। যেমন লাল, কালো বা হলুদ রঙের। এখন আমরা ঐতিহ্যবাহী চাইনিজ পেইন্টিংয়ের রংগেুলো বেছে নিই। এরফলে ছাতাটি দেখতে আরও আকর্ষণীয় এবং ঝলমলে হয়।’

২০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে চিয়ালু অয়েল পেপার ছাতা রপ্তানি করা হয়। এর ফলে এই কারুশিল্প বেশ চাঙা হয়েছে। আশপাশের গ্রামের মানুষদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। স্থানীয় বাঁশ শিল্পও বিকশিত হচ্ছে।

এখানে আগত পর্যটকরা এই ছাতা সুভ্যেনির হিসেবে কিনে নেন।

উইয়ুয়ান কাউন্টি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় অনেক বেশি মনোযোগ দিচ্ছে। স্থানীয় অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ইনহেরিটরদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে।

চিয়ালু অয়েল পেপার আমব্রেলার ঐতিহ্যকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে পৌছে দেয়ার জন্য কাজ চলছে ভালোভাবেই।

শান্তা/ফয়সল