প্রদীপ কুমার মজুমদার
পরিষ্কারভাবে এটিকে বোঝানোর জন্য বনপর্বের ২৩৯১৪-৬ শ্লোকগুলি বঙ্গানুবাদ সহ তুলে ধরছি-
দদর্শ স তদা গাবঃ শতশোহথ সহস্রশঃ।
অঙ্কৈলক্ষৈশ্চ তাঃ সর্ব্বা লক্ষয়ামাস পার্থিবঃ।
অঙ্কয়ামাস বৎসাংশ্চ জজ্ঞে চোপসৃতাস্বপি।
বালবংসাশ্চ যা গাবঃ কা (? ক) লয়ামাস তা অপি।
অথ স স্মারণং কৃত্বা লক্ষয়িত্বা ত্রিহায়নান্
বৃতো গোপালকৈঃ প্রীতে। ব্যহরৎ কুরুনন্দনঃ।
এর অর্থ হচ্ছে-“তখন তিনি শতে শতে ও হাজারে হাজারে গরু দেখিলেন। অঙ্ক (অঙ্কৈঃ) এবং চিহ্ন (লক্ষৈঃ) দ্বারা রাজা সেই সকলের পরিচয় জানিলেন। অনন্তর (নূতন) বৎসমূহকে অঙ্কিত করিলেন। তন্মধ্যে দমনাই ও বাল বৎসমূহকে পৃথকভাবে গণনা করিলেন। তিন বৎসরবয়স্ক গোসমূহের সংখ্যাও বিশেষভাবে লক্ষ্য করিলেন। এইরূপে স্মারণ করিয়া কুরুনন্দন গোপালকগণ পরিবেষ্টিত হইয়া হৃষ্টচিত্তে বিচরণ করিতে লাগিলেন।”
এখানে অঙ্ক শব্দটির অর্থ সংখ্যাচিহ্ন এবং লক্ষ শব্দটির অর্থ লক্ষ সংখ্যা না বুঝিয়ে গোজাতির বর্ণ ইত্যাদি পরিচয় জ্ঞাপক অপর চিহ্ন বোঝান হয়েছে। সুতরাং আমরা স্পষ্টই বুঝতে পারছি যে মহাভারতে সংখ্যা খ্যাপনার্থ অঙ্ক ব্যবহার রয়েছে।
(চলবে)