০৩:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
শিক্ষায় সরলীকৃত চীনা: অনমনীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রয়োজন বাস্তব সংস্কার মাইক্রো-ড্রামা: ছোট পর্বে পূর্ণ কাহিনি সমাধিক্ষেত্রের পদচিহ্নে ইতিহাস ও কল্পনার ছায়া যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে উঠছে ট্রাম্পের ‘গোল্ডেন ডোম’ — ভবিষ্যতের প্রতিরক্ষা ঢাল নাকি এক মহাকল্পনার সাম্রাজ্য? তানজিন তিশা: আলো, প্রতিভা আর আত্মনির্ভরতার দীপ্ত গল্প জাপানের ট্রেডিং হাউসগুলো ট্রাম্পের শুল্ক চুক্তি অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধির কথা বলছে অ্যানথ্রপিকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবসা: ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধি ও উদ্বেগ ক্যাটরিনা-ভিকির ঘরে নতুন অতিথি: পুত্রসন্তানের আগমনে বলিউডে আনন্দের বন্যা  ব্ল্যাকস্টোন সভাপতির সতর্কবার্তা: এআই বদলে দেবে ব্যবসার ধারা তৃতীয় প্রান্তিকে ৫% জিডিপি বৃদ্ধি পেলেও ইন্দোনেশিয়ায় ভোক্তা ব্যয় কমছে

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৮)

  • Sarakhon Report
  • ১০:০০:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 62

প্রদীপ কুমার মজুমদার

পরিষ্কারভাবে এটিকে বোঝানোর জন্য বনপর্বের ২৩৯১৪-৬ শ্লোকগুলি বঙ্গানুবাদ সহ তুলে ধরছি-

দদর্শ স তদা গাবঃ শতশোহথ সহস্রশঃ।
অঙ্কৈলক্ষৈশ্চ তাঃ সর্ব্বা লক্ষয়ামাস পার্থিবঃ।
অঙ্কয়ামাস বৎসাংশ্চ জজ্ঞে চোপসৃতাস্বপি।
বালবংসাশ্চ যা গাবঃ কা (? ক) লয়ামাস তা অপি।
অথ স স্মারণং কৃত্বা লক্ষয়িত্বা ত্রিহায়নান্
বৃতো গোপালকৈঃ প্রীতে। ব্যহরৎ কুরুনন্দনঃ।

এর অর্থ হচ্ছে-“তখন তিনি শতে শতে ও হাজারে হাজারে গরু দেখিলেন। অঙ্ক (অঙ্কৈঃ) এবং চিহ্ন (লক্ষৈঃ) দ্বারা রাজা সেই সকলের পরিচয় জানিলেন। অনন্তর (নূতন) বৎসমূহকে অঙ্কিত করিলেন। তন্মধ্যে দমনাই ও বাল বৎসমূহকে পৃথকভাবে গণনা করিলেন। তিন বৎসরবয়স্ক গোসমূহের সংখ্যাও বিশেষভাবে লক্ষ্য করিলেন। এইরূপে স্মারণ করিয়া কুরুনন্দন গোপালকগণ পরিবেষ্টিত হইয়া হৃষ্টচিত্তে বিচরণ করিতে লাগিলেন।”

এখানে অঙ্ক শব্দটির অর্থ সংখ্যাচিহ্ন এবং লক্ষ শব্দটির অর্থ লক্ষ সংখ্যা না বুঝিয়ে গোজাতির বর্ণ ইত্যাদি পরিচয় জ্ঞাপক অপর চিহ্ন বোঝান হয়েছে। সুতরাং আমরা স্পষ্টই বুঝতে পারছি যে মহাভারতে সংখ্যা খ্যাপনার্থ অঙ্ক ব্যবহার রয়েছে।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৭)

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষায় সরলীকৃত চীনা: অনমনীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রয়োজন বাস্তব সংস্কার

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৮)

১০:০০:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রদীপ কুমার মজুমদার

পরিষ্কারভাবে এটিকে বোঝানোর জন্য বনপর্বের ২৩৯১৪-৬ শ্লোকগুলি বঙ্গানুবাদ সহ তুলে ধরছি-

দদর্শ স তদা গাবঃ শতশোহথ সহস্রশঃ।
অঙ্কৈলক্ষৈশ্চ তাঃ সর্ব্বা লক্ষয়ামাস পার্থিবঃ।
অঙ্কয়ামাস বৎসাংশ্চ জজ্ঞে চোপসৃতাস্বপি।
বালবংসাশ্চ যা গাবঃ কা (? ক) লয়ামাস তা অপি।
অথ স স্মারণং কৃত্বা লক্ষয়িত্বা ত্রিহায়নান্
বৃতো গোপালকৈঃ প্রীতে। ব্যহরৎ কুরুনন্দনঃ।

এর অর্থ হচ্ছে-“তখন তিনি শতে শতে ও হাজারে হাজারে গরু দেখিলেন। অঙ্ক (অঙ্কৈঃ) এবং চিহ্ন (লক্ষৈঃ) দ্বারা রাজা সেই সকলের পরিচয় জানিলেন। অনন্তর (নূতন) বৎসমূহকে অঙ্কিত করিলেন। তন্মধ্যে দমনাই ও বাল বৎসমূহকে পৃথকভাবে গণনা করিলেন। তিন বৎসরবয়স্ক গোসমূহের সংখ্যাও বিশেষভাবে লক্ষ্য করিলেন। এইরূপে স্মারণ করিয়া কুরুনন্দন গোপালকগণ পরিবেষ্টিত হইয়া হৃষ্টচিত্তে বিচরণ করিতে লাগিলেন।”

এখানে অঙ্ক শব্দটির অর্থ সংখ্যাচিহ্ন এবং লক্ষ শব্দটির অর্থ লক্ষ সংখ্যা না বুঝিয়ে গোজাতির বর্ণ ইত্যাদি পরিচয় জ্ঞাপক অপর চিহ্ন বোঝান হয়েছে। সুতরাং আমরা স্পষ্টই বুঝতে পারছি যে মহাভারতে সংখ্যা খ্যাপনার্থ অঙ্ক ব্যবহার রয়েছে।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৭)