১০:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৭৯) শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে চীনের সঙ্গে একই পথে হাঁটছে পশ্চিমা বিশ্ব পোল্যান্ডের বনে বিরল কালো নেকড়ের ক্যামেরাবন্দি দৃশ্য, সংরক্ষণ ও সহাবস্থানের বিতর্ক নতুন করে শিশিতে বন্দি সৌন্দর্যের মোহ: পরীক্ষাহীন পেপটাইড ইনজেকশনের বিপজ্জনক উত্থান তুরস্কের দাবি: আক্কুয়ু পারমাণবিক প্রকল্পে রাশিয়ার নতুন ৯ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৬) শাওমির ১৭ আল্ট্রা ‘লাইকা এডিশন’: স্মার্টফোনে ফিরছে ম্যানুয়াল জুম রিং একাত্তরেও উৎসবের রাজকীয় গ্ল্যামার, লাল শাড়িতে নতুন সংজ্ঞা রচনা রেখার ইউক্রেনের দাবি: রাশিয়ার ওরেনবুর্গে বড় গ্যাস প্রক্রিয়াজাত কারখানায় ড্রোন হামলা দীপু চন্দ্র দাস হত্যাসহ নির্যাতনের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হিন্দু মহাজোটের মানববন্ধন

রোমাঞ্চকর সময় (পর্ব -২৮)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
  • 75

আর্কাদি গাইদার

তৃতীয় পরিচ্ছেদ

শেষের কথাগুলো দাঁড়কাকের তেমন পছন্দ হল না। উনি জানতে চাইলেন, সাপ নেই এমন আর কোনো লুকনোর জায়গা কাছাকাছি আমার জানা আছে কিনা।

জানালুম, কাছাকাছি তেমন কোনো সুবিধেমত জায়গা নেই। সর্বত্র সব সময়ে লোকে চলাফেরা করছে- হয় ভেড়া চরাচ্ছে, নয় আলুর খেতে নিড়েন দিচ্ছে, আর নয়তো অরের সন্ধি-বাগানগুলোর কাছে ছেলেপিলেরা ঘুরঘুর করছে।

কাজেই, কী আর করা। দাঁড়কাক বোঝাটা কাঁধে ফেলে উঠলেন। নদীর পাড় ধরে আমরা এগোতে লাগলুম।

নিরাপদ একটা জায়গা বেছে নিয়ে বোঁচকাটা লুকিয়ে রাখলুম।

‘আচ্ছা, শহরে ফিরে যাও তাহলে,’ দাঁড়কাক বললেন। ‘কাল এসে আমি বোঁচকাটা নিয়ে যাব। আর আমাদের কমিটির কোনো লোককে যদি দেখতে পাও তো বোলো যে আমি এখনও এখানে আছি। আচ্ছা, দাঁড়াও এক মিনিট’ আমাকে দাঁড় করিয়ে মুখের দিকে নিবিষ্ট ভাবে তাকালেন উনি। ‘কথাটা কাউকে বলবে না, আশা করি? কী বল, ইয়ার? বেফাঁস কথা কিন্তু মোটে নয়।’

‘না-না, কখনই না!’ অপমানকর এই সন্দেহ প্রকাশ করায় সংকুচিত হয়ে বিড়বিড় করে বললুম, ‘কারো সম্বন্ধে একটা কথাও কি কখনও আমি বলেছি? এমন কি ইশকুলেও কখনও কারো সর্ম্পকে আড়ালে অন্যায়ভাবে কথা লাগাই নি, খেলাচ্ছলেও না। আর এ তো খেলা নয়, এ গুরুতর ব্যাপার। কী করে আপনি ভাবতে পারলেন যে…’

দাঁড়কাক কথাটা শেষ করতে দিলেন না আমায়। হাড়-জিরজিরে হাত দিয়ে আমার পিঠ চাপড়ে দিলেন। হেসে বললেন:

‘ঠিক আছে, ঠিক আছে। যাও, বাড়ি যাও দেখি। একেবারে পাক্কা ষড়ষন্ত্রী দেখছি!

জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৭৯)

রোমাঞ্চকর সময় (পর্ব -২৮)

০৮:০০:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

আর্কাদি গাইদার

তৃতীয় পরিচ্ছেদ

শেষের কথাগুলো দাঁড়কাকের তেমন পছন্দ হল না। উনি জানতে চাইলেন, সাপ নেই এমন আর কোনো লুকনোর জায়গা কাছাকাছি আমার জানা আছে কিনা।

জানালুম, কাছাকাছি তেমন কোনো সুবিধেমত জায়গা নেই। সর্বত্র সব সময়ে লোকে চলাফেরা করছে- হয় ভেড়া চরাচ্ছে, নয় আলুর খেতে নিড়েন দিচ্ছে, আর নয়তো অরের সন্ধি-বাগানগুলোর কাছে ছেলেপিলেরা ঘুরঘুর করছে।

কাজেই, কী আর করা। দাঁড়কাক বোঝাটা কাঁধে ফেলে উঠলেন। নদীর পাড় ধরে আমরা এগোতে লাগলুম।

নিরাপদ একটা জায়গা বেছে নিয়ে বোঁচকাটা লুকিয়ে রাখলুম।

‘আচ্ছা, শহরে ফিরে যাও তাহলে,’ দাঁড়কাক বললেন। ‘কাল এসে আমি বোঁচকাটা নিয়ে যাব। আর আমাদের কমিটির কোনো লোককে যদি দেখতে পাও তো বোলো যে আমি এখনও এখানে আছি। আচ্ছা, দাঁড়াও এক মিনিট’ আমাকে দাঁড় করিয়ে মুখের দিকে নিবিষ্ট ভাবে তাকালেন উনি। ‘কথাটা কাউকে বলবে না, আশা করি? কী বল, ইয়ার? বেফাঁস কথা কিন্তু মোটে নয়।’

‘না-না, কখনই না!’ অপমানকর এই সন্দেহ প্রকাশ করায় সংকুচিত হয়ে বিড়বিড় করে বললুম, ‘কারো সম্বন্ধে একটা কথাও কি কখনও আমি বলেছি? এমন কি ইশকুলেও কখনও কারো সর্ম্পকে আড়ালে অন্যায়ভাবে কথা লাগাই নি, খেলাচ্ছলেও না। আর এ তো খেলা নয়, এ গুরুতর ব্যাপার। কী করে আপনি ভাবতে পারলেন যে…’

দাঁড়কাক কথাটা শেষ করতে দিলেন না আমায়। হাড়-জিরজিরে হাত দিয়ে আমার পিঠ চাপড়ে দিলেন। হেসে বললেন:

‘ঠিক আছে, ঠিক আছে। যাও, বাড়ি যাও দেখি। একেবারে পাক্কা ষড়ষন্ত্রী দেখছি!