০৩:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
দ্য গুড সামারিটান’ ছবিতে জাঁকিয়ে অ্যাকশনে ফিরছেন ডেইজি রিডলি নারীর যৌন হয়রানি : অভিযোগের হিমশৈল, প্রকাশ্যে শুধু চূড়া? দুনিয়া জুড়ে ম্যাচা জ্বর, চাপে জাপানের চা–খাত ও ভোক্তার আস্থা জ্বালানি নিরাপত্তায় ১৯ বিলিয়ন ডলারের পারমাণবিক বাজি ধরল চেক রিপাবলিক স্টার্টআপ ‘প্রজেক্ট প্রমিথিয়াস’-এ সহ–প্রধান নির্বাহী হয়ে এআই দুনিয়ায় ফিরছেন জেফ বেজোস ছেলের মৃত্যুতে অনশন ভাঙলেন সার্বীয় মা, রাস্তায় লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ঝড়–বন্যা আগাম জানাবে এআই? ডিপমাইন্ডের নতুন আবহাওয়া মডেল নিয়ে জোর আলোচনা শুভলক্ষ্মীর পোকা থেকে বিরক্তিকর পেস্ট—ইমেজ সংকটে লেডিবাগ ব্যবসা কি সত্যিই বদলাবে? বেলেমের কপ৩০ সম্মেলনে বড় পরীক্ষায় করপোরেট দুনিয়া মার্কিন নিষেধাজ্ঞায়ই ২৩ বিলিয়ন ডলারের এআই ধনকুবের তৈরি হলো চীনে

সামরিক বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল আরও ৬০ দিন

  • Sarakhon Report
  • ০৩:১৩:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • 59

সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও ৬০ দিন বাড়ানো হয়েছে। ১২ জানুয়ারি, ২০২৫।

বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে আরও ৬০ দিন বাড়ানো হয়েছে। রবিবার (১২ জানুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এনিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো সামরিক বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ানো হলো।

এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদুর্ব্ধ সমপদমার্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের সারা বাংলাদেশে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।

তাদের পাশাপাশি কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে কর্মরত সামরিক কর্মকর্তারাও একই ক্ষমতা পেয়েছেন।

এই ক্ষমতা প্রজ্ঞাপনের তারিখ থেকে ৬০ দিনের জন্য অর্পণ করা হয়।

প্রজ্ঞাপন থেকে জানা যায়, ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারা অনুযায়ী এই এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়। এর কয়েকদিন পর ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয় নৌ-বাহিনী ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের।

গত বছরের ১৬ নভেম্বর সামরিক বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা ৬০ দিন বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।

মুহাম্মদ ইউনূস।

মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যাখ্যা

গত বছর সেপ্টেম্বর মাসের শেষে নিউ ইয়র্কে ভয়েস অফ আমেরিকার বাংলা সার্ভিসের সাথে এক সাক্ষাৎকারে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মাদ ইউনূস সেনাবাহিনীর কমিশন অফিসারদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন।

ক্ষমতা গ্রহণের প্রায় দেড় মাস পরে, সেনাবাহিনীর কমিশন অফিসারদের ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতা দেয়ার প্রয়োজনীয়তা বোধ করলেন কেন এই প্রশ্নের জবাবে ইউনুস জানান যে, গণ-অভ্যুত্থানের সময় পুলিশের ছাত্রদের হত্যা করা সহ পুলিশের গণবিরোধী ভূমিকায় জনগণের মধ্যে পুলিশের ব্যাপারে যে নেতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয়, সে কারণে গণ-অভ্যুত্থানের পর পুলিশের মনোবল ভেঙে যাওয়ায় পুলিশকে দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা যাচ্ছিলো না। এ কাজে আনসার নিয়োগ করেও ফল আসেনি। তাই আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সেনাবাহিনীকে দুমাসের জন্য ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।

ডঃ ইউনূস বলেন, “নানা রকমের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। সমাবেশ হচ্ছে। তাতে, বিশেষ করে আমাদের পোশাক শিল্প কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের অসন্তোষ দেখা গেলো। সেগুলো নিয়ে মনে করলাম যে, এভাবে চলতে দিলে তো বাড়তে আরম্ভ করবে, তখন এ প্রসঙ্গ উঠলো যে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়ার জন্য।…তারা বলছে আমরা তো আছিই কিন্তু, আমাদেরকে তো কেউ পরোয়া করছে না। কারণ আমাদের তো কোনো ক্ষমতা নেই। আমাদেরকে একটা ক্ষমতা থাকলে তারা হয়তো আমাদেরকে গণ্য করবে…তখন আমরা তাদেরকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দিলাম।”

বিএনপি’র সমালোচনা

সেনাবহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার সমালোচনা করেন বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি ২০ সেপ্টেম্বর বলেন, “আমাদের মতে তখনই এ ক্ষমতা দেওয়া দরকার, যখন মনে হবে সংবিধান নিয়মের বাইরে চলে গেছে। কিন্তু এ সংবিধান এখনো ভালো আছে, যেখানে রাজনৈতিক নেতা কর্মীরাই সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করছেন, সেখানে সেনাবহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে মানে নতুন নতুন সমস্যা তৈরি করা।”

ভয়েস অব আমেরিকা

জনপ্রিয় সংবাদ

দ্য গুড সামারিটান’ ছবিতে জাঁকিয়ে অ্যাকশনে ফিরছেন ডেইজি রিডলি

সামরিক বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল আরও ৬০ দিন

০৩:১৩:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে আরও ৬০ দিন বাড়ানো হয়েছে। রবিবার (১২ জানুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এনিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো সামরিক বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ানো হলো।

এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদুর্ব্ধ সমপদমার্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের সারা বাংলাদেশে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।

তাদের পাশাপাশি কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে কর্মরত সামরিক কর্মকর্তারাও একই ক্ষমতা পেয়েছেন।

এই ক্ষমতা প্রজ্ঞাপনের তারিখ থেকে ৬০ দিনের জন্য অর্পণ করা হয়।

প্রজ্ঞাপন থেকে জানা যায়, ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারা অনুযায়ী এই এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়। এর কয়েকদিন পর ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয় নৌ-বাহিনী ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের।

গত বছরের ১৬ নভেম্বর সামরিক বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা ৬০ দিন বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।

মুহাম্মদ ইউনূস।

মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যাখ্যা

গত বছর সেপ্টেম্বর মাসের শেষে নিউ ইয়র্কে ভয়েস অফ আমেরিকার বাংলা সার্ভিসের সাথে এক সাক্ষাৎকারে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মাদ ইউনূস সেনাবাহিনীর কমিশন অফিসারদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন।

ক্ষমতা গ্রহণের প্রায় দেড় মাস পরে, সেনাবাহিনীর কমিশন অফিসারদের ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতা দেয়ার প্রয়োজনীয়তা বোধ করলেন কেন এই প্রশ্নের জবাবে ইউনুস জানান যে, গণ-অভ্যুত্থানের সময় পুলিশের ছাত্রদের হত্যা করা সহ পুলিশের গণবিরোধী ভূমিকায় জনগণের মধ্যে পুলিশের ব্যাপারে যে নেতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয়, সে কারণে গণ-অভ্যুত্থানের পর পুলিশের মনোবল ভেঙে যাওয়ায় পুলিশকে দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা যাচ্ছিলো না। এ কাজে আনসার নিয়োগ করেও ফল আসেনি। তাই আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সেনাবাহিনীকে দুমাসের জন্য ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।

ডঃ ইউনূস বলেন, “নানা রকমের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। সমাবেশ হচ্ছে। তাতে, বিশেষ করে আমাদের পোশাক শিল্প কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের অসন্তোষ দেখা গেলো। সেগুলো নিয়ে মনে করলাম যে, এভাবে চলতে দিলে তো বাড়তে আরম্ভ করবে, তখন এ প্রসঙ্গ উঠলো যে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়ার জন্য।…তারা বলছে আমরা তো আছিই কিন্তু, আমাদেরকে তো কেউ পরোয়া করছে না। কারণ আমাদের তো কোনো ক্ষমতা নেই। আমাদেরকে একটা ক্ষমতা থাকলে তারা হয়তো আমাদেরকে গণ্য করবে…তখন আমরা তাদেরকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দিলাম।”

বিএনপি’র সমালোচনা

সেনাবহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার সমালোচনা করেন বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি ২০ সেপ্টেম্বর বলেন, “আমাদের মতে তখনই এ ক্ষমতা দেওয়া দরকার, যখন মনে হবে সংবিধান নিয়মের বাইরে চলে গেছে। কিন্তু এ সংবিধান এখনো ভালো আছে, যেখানে রাজনৈতিক নেতা কর্মীরাই সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করছেন, সেখানে সেনাবহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে মানে নতুন নতুন সমস্যা তৈরি করা।”

ভয়েস অব আমেরিকা