হিউ থমাস
রায়ের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মিস্টার হাওয়েলস বলেন, তিনি “খুবই হতাশ।”
“প্রাথমিক শুনানিতেই মামলাটি বাতিল হওয়ায় আমার কথা বলার সুযোগই দেওয়া হলো না, কোনো ন্যায়বিচারের সুযোগও হলো না। একটি পূর্ণাঙ্গ বিচার হলে অনেক কিছু ব্যাখ্যা করা যেত, এবং আমি সেটাই আশা করেছিলাম,” তিনি বলেন।
তিনি যোগ করেন, “গত ১২ বছর ধরে নিউপোর্ট সিটি কাউন্সিলের সঙ্গে মানবিকভাবে যতটুকু সম্ভব যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। এখন আমাকে বলা হচ্ছে, আমি সময় শেষ করে ফেলেছি। এটা যেন মুখে কষে চড় মারার মতো।”
“এটা লোভের বিষয় নয়। আমি লাভ ভাগাভাগি করতে রাজি, কিন্তু ক্ষমতার কোনো অবস্থানে থাকা কেউই আমার সঙ্গে সঠিক আলোচনা করতে চান না,” তিনি বলেন।
“এই রায় আমার সবকিছু কেড়ে নিয়েছে এবং আমাকে শূন্য হাতে রেখে গেছে। এটা আবারও ব্রিটিশ অবিচার ব্যবস্থার প্রতিফলন।”
ডিসেম্বরে শুনানির সময় আদালত শুনেছিল, মিস্টার হাওয়েলস বিটকয়েনের একজন প্রাথমিক ব্যবহারকারী ছিলেন এবং সফলভাবে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইন করেছিলেন।
তার হারিয়ে যাওয়া ডিজিটাল ওয়ালেটের মূল্য বাড়তে থাকায়, মিস্টার হাওয়েলস বিশেষজ্ঞদের একটি দল সংগঠিত করেন হার্ড ড্রাইভটি খুঁজে বের করতে, উদ্ধার করতে এবং অ্যাক্সেস করার জন্য।
তিনি বারবার সাইটে প্রবেশের অনুমতি চেয়েছিলেন এবং সফলভাবে বিটকয়েন উদ্ধার হলে কাউন্সিলকে একটি ভাগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
২০০৯ সালে প্রায় বিনা মূল্যে বিটকয়েন “মাইন” করেছিলেন মিস্টার হাওয়েলস এবং পরে তা ভুলে গিয়ে হার্ড ড্রাইভটি ফেলে দেন।
২০২৪ সালে এই ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্য ৮০% এর বেশি বেড়ে যায়।
কিন্তু কাউন্সিলের পক্ষে জেমস গাউডি কেসি যুক্তি দেন, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী হার্ড ড্রাইভটি ল্যান্ডফিল সাইটে প্রবেশ করার পর সেটি কাউন্সিলের সম্পত্তি হয়ে গেছে। তাছাড়া পরিবেশগত লাইসেন্স অনুসারে সাইট খনন করে হার্ড ড্রাইভ খোঁজা নিষিদ্ধ।
স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য বিটকয়েনের ১০% অনুদানের প্রস্তাবটি “লাভের অংশগ্রহণের জন্য কাউন্সিলকে প্রলুব্ধ করা” বলেও মন্তব্য করেন মিস্টার গাউডি।