১২:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
নাসার চন্দ্র মিশনের গতি ফেরাতে ‘সবকিছু করবে’ ব্লু অরিজিন” ট্রাম্প বনাম সুপ্রিম কোর্ট: শুল্ক সংকটে নতুন আইনি লড়াই সম্ভাব্য বাজার ধসের পূর্বাভাস: ওয়াল স্ট্রিটও জানে না কখন আসবে পতন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫২) শেয়ারবাজারে ধস অব্যাহত: ডিএসই-তে লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে সিটি ব্যাংক ও ইউনিসেফের চুক্তি: প্রান্তিক যুবকদের সবুজ দক্ষতায় সক্ষম করে তুলতে উদ্যোগ বিবিসি চেয়ারম্যানের ক্ষমাপ্রার্থনা: ট্রাম্পের বক্তৃতা সম্পাদনায় ‘বিচারের ভুল’ স্বীকার দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণ, আহত বহু বৃষ্টি থামাল চতুর্থ টি-টোয়েন্টি, ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড এনসিপি বুলেট নিয়েও প্রস্তুত- নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারি

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৬১)

  • Sarakhon Report
  • ১০:০০:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • 57

প্রদীপ কুমার মজুমদার

ভারতীয় গণিতশাস্ত্রে নাম সংখ্যা

ভারতীয় শাস্ত্রাদিতে অথবা গণিত গ্রন্থে সংখ্যার নামোল্লেখ না করে অথবা সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার না করে তার পরিবর্তে কোন বস্তুর নামোল্লেখ করা হোত। সাধারণতঃ এই পদ্ধতিকে কোন কোন পণ্ডিত “শব্দ সংখ্যা” বলে উল্লেখ করেছেন। আবার কেউ কেউ আঙ্কিক শব্দ বলেছেন। সুপ্রসিদ্ধ গণিতাচার্য মহাবীর (৭৭৫ শকাব্দ) এই পদ্ধতিকে “সংখ্যা সংজ্ঞা” বলেছেন। মহাভাস্করীয়ের ভান্তকার সূর্যদেব যজা নিম্নোক্ত শ্লোকটি উল্লেখ করেছেন:

“অক্ষরসংজ্ঞা জেয়া কচিৎ কচিভূত সংজ্ঞিকা জেয়া।

সংখ্যাবস্তুনি যথা সুকরাণ্যুপ পাদয়িতুং তথা বক্ষ্যে।

পদ্ধতির নামকরণে যে যাই বলুন না কেন তবে এই পদ্ধতির মূল আলোচ্য বিষয় হচ্ছে: (ক) সংখ্যাকে বস্তু দিয়ে নির্দেশ করা, (খ) বস্তুকে সংখ্যা দিয়ে নির্দেশ করা।আমরা সকলেই জানি পৃথিবীর একটি চন্দ্র ছাড়া দ্বিতীয় চন্দ্র নেই সুতরাং এক সংখ্যাকে নির্দেশ করতে “চন্দ্র” শব্দটি উল্লেখ করা হ’য়ে থাকে। ব্রহ্ম “একমেবা- দ্বিতীয়ম্ সুতরাং এক সংখ্যা বিবক্ষার্থে ব্রহ্ম উল্লেখ করা হয়ে থাকে।

মানুষের দুটি কর এবং দুটি নেত্র সুতরাং দুই সংখ্যা নির্দেশনার্থে কখনও কর কখনও বা নেত্র শব্দ উল্লেখ করা হয়ে থাকে। ঠিক এইভাবে যদি আমরা ভারতীয় শাস্ত্র ও গণিতগ্রন্থ পাঠ করি তাহলে দেখতে পাব যে এক থেকে নয় এবং তার বেশী সংখ্যার নির্দেশনার্থে বিভিন্ন বস্তুর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন সূর্যসিদ্ধান্তে বলা হয়েছে বৃহস্পতি গ্রহ এক মহাযুগে প্রদক্ষিণ করে “খদস্রাক্ষিবেদযড়বহ্নি” বার।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৬০)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৬০)

 

জনপ্রিয় সংবাদ

নাসার চন্দ্র মিশনের গতি ফেরাতে ‘সবকিছু করবে’ ব্লু অরিজিন”

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৬১)

১০:০০:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

প্রদীপ কুমার মজুমদার

ভারতীয় গণিতশাস্ত্রে নাম সংখ্যা

ভারতীয় শাস্ত্রাদিতে অথবা গণিত গ্রন্থে সংখ্যার নামোল্লেখ না করে অথবা সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার না করে তার পরিবর্তে কোন বস্তুর নামোল্লেখ করা হোত। সাধারণতঃ এই পদ্ধতিকে কোন কোন পণ্ডিত “শব্দ সংখ্যা” বলে উল্লেখ করেছেন। আবার কেউ কেউ আঙ্কিক শব্দ বলেছেন। সুপ্রসিদ্ধ গণিতাচার্য মহাবীর (৭৭৫ শকাব্দ) এই পদ্ধতিকে “সংখ্যা সংজ্ঞা” বলেছেন। মহাভাস্করীয়ের ভান্তকার সূর্যদেব যজা নিম্নোক্ত শ্লোকটি উল্লেখ করেছেন:

“অক্ষরসংজ্ঞা জেয়া কচিৎ কচিভূত সংজ্ঞিকা জেয়া।

সংখ্যাবস্তুনি যথা সুকরাণ্যুপ পাদয়িতুং তথা বক্ষ্যে।

পদ্ধতির নামকরণে যে যাই বলুন না কেন তবে এই পদ্ধতির মূল আলোচ্য বিষয় হচ্ছে: (ক) সংখ্যাকে বস্তু দিয়ে নির্দেশ করা, (খ) বস্তুকে সংখ্যা দিয়ে নির্দেশ করা।আমরা সকলেই জানি পৃথিবীর একটি চন্দ্র ছাড়া দ্বিতীয় চন্দ্র নেই সুতরাং এক সংখ্যাকে নির্দেশ করতে “চন্দ্র” শব্দটি উল্লেখ করা হ’য়ে থাকে। ব্রহ্ম “একমেবা- দ্বিতীয়ম্ সুতরাং এক সংখ্যা বিবক্ষার্থে ব্রহ্ম উল্লেখ করা হয়ে থাকে।

মানুষের দুটি কর এবং দুটি নেত্র সুতরাং দুই সংখ্যা নির্দেশনার্থে কখনও কর কখনও বা নেত্র শব্দ উল্লেখ করা হয়ে থাকে। ঠিক এইভাবে যদি আমরা ভারতীয় শাস্ত্র ও গণিতগ্রন্থ পাঠ করি তাহলে দেখতে পাব যে এক থেকে নয় এবং তার বেশী সংখ্যার নির্দেশনার্থে বিভিন্ন বস্তুর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন সূর্যসিদ্ধান্তে বলা হয়েছে বৃহস্পতি গ্রহ এক মহাযুগে প্রদক্ষিণ করে “খদস্রাক্ষিবেদযড়বহ্নি” বার।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৬০)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৬০)