০২:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
হলিউডের ‘হাইল্যান্ডার’ রিবুটে যোগ দিলেন কোরিয়ান তারকা জিওন জং-সিও অক্ষরের রহস্য: কেন ‘Q’-এর প্রয়োজন ‘U’ — ভাষার আত্মার এক বিস্ময়কর ইতিহাস নাসার চন্দ্র মিশনের গতি ফেরাতে ‘সবকিছু করবে’ ব্লু অরিজিন” ট্রাম্প বনাম সুপ্রিম কোর্ট: শুল্ক সংকটে নতুন আইনি লড়াই সম্ভাব্য বাজার ধসের পূর্বাভাস: ওয়াল স্ট্রিটও জানে না কখন আসবে পতন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫২) শেয়ারবাজারে ধস অব্যাহত: ডিএসই-তে লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে সিটি ব্যাংক ও ইউনিসেফের চুক্তি: প্রান্তিক যুবকদের সবুজ দক্ষতায় সক্ষম করে তুলতে উদ্যোগ বিবিসি চেয়ারম্যানের ক্ষমাপ্রার্থনা: ট্রাম্পের বক্তৃতা সম্পাদনায় ‘বিচারের ভুল’ স্বীকার দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণ, আহত বহু

নাসার চন্দ্র মিশনের গতি ফেরাতে ‘সবকিছু করবে’ ব্লু অরিজিন”

বিলম্ব কাটিয়ে উঠতে বেসরকারি প্রতিশ্রুতি
আরস টেকনিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্লু অরিজিনের প্রধান নির্বাহী সোমবার ঘোষণা দিয়েছেন যে প্রতিষ্ঠানটি নাসার আর্টেমিস কর্মসূচির হারিয়ে যাওয়া সময় পুষিয়ে দিতে “আকাশ-জমিন এক করে ফেলবে।” সাম্প্রতিক সময়ে উৎক্ষেপণ বিলম্ব, বাজেট অনিশ্চয়তা আর প্রযুক্তিগত পরীক্ষার ধীরগতির কারণে চাঁদে ফেরার মার্কিন পরিকল্পনার সময়রেখা কিছুটা পিছিয়ে গেছে। নাসা চায় স্পেসএক্স ও ব্লু অরিজিন—দুইটিকেই কার্যকর অবস্থায় রাখতে, যাতে ২০২০-এর দশকের শেষভাগে ধারাবাহিক মিশন চালানো সম্ভব হয়। কিন্তু এর জন্য ব্লু অরিজিনকে শুধু চুক্তি জেতাই নয়, দ্রুত ইঞ্জিন, জ্বালানি স্থানান্তর ব্যবস্থা ও ওরিয়ন মহাকাশযানের সঙ্গে একীভূতকরণের ধাপগুলো দেখাতে হবে। কোম্পানির সাম্প্রতিক ভাষ্য দেখে মনে হচ্ছে, তারা পরীক্ষার গতি ও জনবল দুটোই বাড়াতে যাচ্ছে, যদিও পাশাপাশি নিউ গ্লেন রকেটের বাণিজ্যিক কাজও চলবে। মার্কিন কংগ্রেসও এটাকে নজরে রাখছে—যদি কোনো সরবরাহকারী খুব পিছিয়ে পড়ে, তাহলে আইনপ্রণেতারা নাসাকে অন্যটির ওপর ভর করতে বলতে পারেন; ব্লু অরিজিন সেটিই ঠেকাতে চায়।
দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে টিকিয়ে রাখার লড়াই
এ প্রতিশ্রুতি সামগ্রিক মহাকাশ শিল্পের জন্যও বার্তা বহন করে। এখন আর শুধু সস্তায় সেবা দেওয়ার বিষয় নয়; এখন প্রশ্ন হলো, বেসরকারি কোম্পানিগুলো কি নির্ধারিত সময়ে মানুষবাহী কড়াকড়ি পূরণ করতে পারবে। আর্টেমিস মিশনে কক্ষপথে মিলন, জীবনধারণ ব্যবস্থার সংযুক্তি, চাঁদের পৃষ্ঠে নির্ভুল অভিযান—সব মিলিয়ে আগের কার্গো সরবরাহের চেয়ে অনেক জটিল ধাপ রয়েছে। নাসা চায় অন্তত দুটো বিকল্প সচল রাখতে, যাতে কোনো একটির সমস্যায় পুরো কর্মসূচি থেমে না যায়। ব্লু অরিজিন যদি সময়মতো বিই–৪ ইঞ্জিন ও অবতরণযানের অংশ দেখাতে পারে, তাহলে ভবিষ্যতের মানব মহাকাশযাত্রায় বহু সরবরাহকারীর ধারণা শক্তিশালী হবে; ব্যর্থ হলে স্পেসএক্সই একক প্রাধান্য পাবে এবং ইউরোপ-জাপান-ইউএইয়ের মতো অংশীদাররাও সে দিকেই ঝুঁকবে। নাসার জন্য এখন প্রতিটি মাস গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দীর্ঘসূত্রতা বাড়লে অবতরণ পরিকল্পনা ২০৩০-এর দিকে গড়াতে পারে, তখন রাজনৈতিক আগ্রহ কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই ব্লু অরিজিনের “সবকিছু করব” বার্তাটি মূলত এ সময়ের সঙ্কীর্ণ জানালাকে স্বীকার করাই।

জনপ্রিয় সংবাদ

হলিউডের ‘হাইল্যান্ডার’ রিবুটে যোগ দিলেন কোরিয়ান তারকা জিওন জং-সিও

নাসার চন্দ্র মিশনের গতি ফেরাতে ‘সবকিছু করবে’ ব্লু অরিজিন”

১২:০১:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

বিলম্ব কাটিয়ে উঠতে বেসরকারি প্রতিশ্রুতি
আরস টেকনিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্লু অরিজিনের প্রধান নির্বাহী সোমবার ঘোষণা দিয়েছেন যে প্রতিষ্ঠানটি নাসার আর্টেমিস কর্মসূচির হারিয়ে যাওয়া সময় পুষিয়ে দিতে “আকাশ-জমিন এক করে ফেলবে।” সাম্প্রতিক সময়ে উৎক্ষেপণ বিলম্ব, বাজেট অনিশ্চয়তা আর প্রযুক্তিগত পরীক্ষার ধীরগতির কারণে চাঁদে ফেরার মার্কিন পরিকল্পনার সময়রেখা কিছুটা পিছিয়ে গেছে। নাসা চায় স্পেসএক্স ও ব্লু অরিজিন—দুইটিকেই কার্যকর অবস্থায় রাখতে, যাতে ২০২০-এর দশকের শেষভাগে ধারাবাহিক মিশন চালানো সম্ভব হয়। কিন্তু এর জন্য ব্লু অরিজিনকে শুধু চুক্তি জেতাই নয়, দ্রুত ইঞ্জিন, জ্বালানি স্থানান্তর ব্যবস্থা ও ওরিয়ন মহাকাশযানের সঙ্গে একীভূতকরণের ধাপগুলো দেখাতে হবে। কোম্পানির সাম্প্রতিক ভাষ্য দেখে মনে হচ্ছে, তারা পরীক্ষার গতি ও জনবল দুটোই বাড়াতে যাচ্ছে, যদিও পাশাপাশি নিউ গ্লেন রকেটের বাণিজ্যিক কাজও চলবে। মার্কিন কংগ্রেসও এটাকে নজরে রাখছে—যদি কোনো সরবরাহকারী খুব পিছিয়ে পড়ে, তাহলে আইনপ্রণেতারা নাসাকে অন্যটির ওপর ভর করতে বলতে পারেন; ব্লু অরিজিন সেটিই ঠেকাতে চায়।
দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে টিকিয়ে রাখার লড়াই
এ প্রতিশ্রুতি সামগ্রিক মহাকাশ শিল্পের জন্যও বার্তা বহন করে। এখন আর শুধু সস্তায় সেবা দেওয়ার বিষয় নয়; এখন প্রশ্ন হলো, বেসরকারি কোম্পানিগুলো কি নির্ধারিত সময়ে মানুষবাহী কড়াকড়ি পূরণ করতে পারবে। আর্টেমিস মিশনে কক্ষপথে মিলন, জীবনধারণ ব্যবস্থার সংযুক্তি, চাঁদের পৃষ্ঠে নির্ভুল অভিযান—সব মিলিয়ে আগের কার্গো সরবরাহের চেয়ে অনেক জটিল ধাপ রয়েছে। নাসা চায় অন্তত দুটো বিকল্প সচল রাখতে, যাতে কোনো একটির সমস্যায় পুরো কর্মসূচি থেমে না যায়। ব্লু অরিজিন যদি সময়মতো বিই–৪ ইঞ্জিন ও অবতরণযানের অংশ দেখাতে পারে, তাহলে ভবিষ্যতের মানব মহাকাশযাত্রায় বহু সরবরাহকারীর ধারণা শক্তিশালী হবে; ব্যর্থ হলে স্পেসএক্সই একক প্রাধান্য পাবে এবং ইউরোপ-জাপান-ইউএইয়ের মতো অংশীদাররাও সে দিকেই ঝুঁকবে। নাসার জন্য এখন প্রতিটি মাস গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দীর্ঘসূত্রতা বাড়লে অবতরণ পরিকল্পনা ২০৩০-এর দিকে গড়াতে পারে, তখন রাজনৈতিক আগ্রহ কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই ব্লু অরিজিনের “সবকিছু করব” বার্তাটি মূলত এ সময়ের সঙ্কীর্ণ জানালাকে স্বীকার করাই।