সারাক্ষণ ডেস্ক
প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “চালের দাম চড়া, কিছুটা কমেছে আলু ও মুরগির”
বাজারে নতুন আলুর সরবরাহ আগের তুলনায় বেড়েছে। এ কারণে সপ্তাহের ব্যবধানে পণ্যটির দাম কেজিতে পাঁচ টাকা কমেছে। আলুর পাশাপাশি দাম কমেছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির। সবজির দামও হাতের নাগালে। তবে বাড়তি রয়েছে সব ধরনের চালের দাম।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেওড়াপাড়া, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও তেজগাঁওয়ের কলমিলতা বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা দরে। এই দাম গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৩৫ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, বর্তমানে নতুন আলুর ভরা মৌসুম চলছে। এ সময় চাষিদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে আলু বাজারে আসছে। ফলে দাম ৩০ টাকার নিচে এসেছে। বেশির ভাগ বাজারেই এ দামে আলু পাওয়া যাচ্ছে।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুসারে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বর্তমানে আলুর দাম প্রায় ৩০ শতাংশ কম রয়েছে।
আলুর পাশাপাশি বর্তমানে বাজারে দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বেশি। দেশি পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহে ১০ টাকা বেড়ে ৫০-৬০ টাকা হয়েছিল। গতকালও সে দামেই পণ্যটি বিক্রি হয়েছে। আমদানি করা (ভারতীয়) পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা দরে। অন্য মসলাপণ্যের মধ্যে দেশি আদা ১২০-১৪০ টাকা, আমদানি করা আদা ২২০-২৪০ টাকায় এবং রসুন ২২০-২৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত”
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। যদিও এটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কথা জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টা ২৫ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
জানা গেছে, সিলেট, শেরপুর, ফেনীসহ দেশের আরও কয়েক জায়গায় ভূমিকম্প হয়েছে। তাৎক্ষণিক কোথাও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কথা জানা যায়নি।
ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি বিষয়ক ওয়েবসাইট ভলকানো ডিসকভারি জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমার। এটি মাটির ১১২ কিলোমিটার গভীরে সংঘটিত হয়। ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫.১।
এটির প্রভাবে মিয়ানমার, ভারতের কয়েকটি রাজ্য ও বাংলাদেশে কম্পন হয়।
বণিক বার্তার একটি শিরোনাম”শেখ হাসিনার আমলের উচ্চ প্রবৃদ্ধি ছিল মিথ্যা: রয়টার্সকে ড. ইউনূস”
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে বাংলাদেশের উচ্চ প্রবৃদ্ধি ছিল ‘মিথ্যা’। তিনি অভিযোগ করেছেন, শেখ হাসিনার দুর্নীতি নিয়ে বিশ্ব প্রশ্ন না করায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেছেন।
ড. ইউনূস বলেন, হাসিনা দাভোসে সবাইকে বলছিলেন কীভাবে একটি দেশ চালানো উচিত। কেউই এটি নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি। এটা মোটেই ভালো একটি বিশ্ব ব্যবস্থা নয়। তিনি বলেছেন, আমাদের প্রবৃদ্ধির হার সবার চেয়ে বেশি। পুরোপুরি ভুয়া প্রবৃদ্ধির হার।
রয়টার্সের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, শেখ হাসিনা ২০০৯ সাল থেকে ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় ছিলেন এবং এ সময়ে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পসহ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন, বাকস্বাধীনতা দমন ও ভিন্নমত দমনের অভিযোগ রয়েছে। শেখ হাসিনার শাসনামলে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি প্রায় ৮ শতাংশে পৌঁছায়, যা ২০০৯ সালে তার ক্ষমতা গ্রহণের সময় ছিল প্রায় ৫ শতাংশ। তবে কোভিড-১৯ এবং ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে এই প্রবৃদ্ধি কমে আসে। বিশ্বব্যাংক ২০২৩ সালে বাংলাদেশকে বিশ্বের দ্রুততম অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দেশগুলোর একটি হিসেবে অভিহিত করে।
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার দিয়ে মানুষের জীবনমানের উন্নতির তুলনা করতে চান না উল্লেখ করে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রবৃদ্ধির হার দিয়েই সবকিছু বিবেচনা করার খুব একটা পক্ষে নই। আমি চাই একেবারে প্রান্তিক পর্যায় থেকে শুরু করে প্রতিটি মানুষের উন্নত জীবনমান। আর এ কারণেই আমি এমন অর্থনীতি চাই, যেখানে সম্পদ পুঞ্জীভূত করার ধারণা এড়িয়ে চলা হয়।’
মানবজমিনের একটি শিরোনাম “রাজনীতিতে চাঞ্চল্য”
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের কড়া জবাব দিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মূলত আরেকটা ১/১১ সরকার গঠনের ইঙ্গিত বহন করে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ। তিনি বলেছেন, এমন কোনো পরিকল্পনা গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে এবং ছাত্র-জনতা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। এমন কিছুর চিন্তা হলে সেটা বিএনপি’র বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র মনে করেন সরকারের এই উপদেষ্টা।
মঙ্গলবার বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যদি অন্তর্বর্তী সরকার পূর্ণ নিরপেক্ষতা পালন করে, তাহলেই তারা নির্বাচন কন্ডাক্ট (পরিচালনা) করা পর্যন্ত থাকবে। তা না হলে তো নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে।’
বিএনপি মহাসচিবের এই বক্তব্যের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দীর্ঘ পোস্ট দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান। তার এই পোস্ট নিজের ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করেন আরেক তরুণ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তাতে তিনি ক্যাপসন লিখেন, প্রফেশনালিজম রক্ষার্থে সরকারে থেকে আরও অনেক কিছুই বলতে পারি না। তবে জনগণকে অন্ধকারে রাখাটাও অনুচিত। পরে অন্য এক পোস্টে আসিফ বলেন, উপদেষ্টাদের কেউ রাজনীতি করলে পদ ছেড়েই করবেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য ও উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের প্রতিক্রিয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়ার মধ্যে প্রধান রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতার সঙ্গে সরকারের উপদেষ্টার এই বাহাসকে নতুন রাজনৈতিক মেরূকরণের ইঙ্গিত বলেও মনে করছেন কেউ কেউ। গতকাল বিকাল ৫টার দিকে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে নাহিদ ইসলাম লিখেন, ‘বিএনপি মহাসচিবের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মূলত আরেকটা ১/১১ সরকার গঠনের ইঙ্গিত বহন করে। ১/১১ এর বন্দোবস্ত থেকেই আওয়ামী ফ্যাসিজমের উত্থান ঘটেছিল। বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যে সামনে আরেকটা ১/১১ সরকার, সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ধারাবাহিকতা এবং গুম-খুন ও জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ার আলামত রয়েছে। ছাত্র ও অভ্যুত্থানের নেতৃত্বকে মাইনাস করার পরিকল্পনা ৫ই আগস্ট থেকেই শুরু হয়েছে। ৫ই আগস্ট যখন ছাত্র-জনতা রাজপথে লড়াই করছে, পুলিশের গুলি অব্যাহত রয়েছে, তখন আমাদের আপসকামী অনেক জাতীয় নেতৃবৃন্দ ক্যান্টনমেন্টে জনগণকে বাদ দিয়ে নতুন সরকার করার পরিকল্পনায় ব্যস্ত ছিলেন (অনেকে ছাত্রদের কথাও বলেছেন সেখানে)। আমরা ৩রা আগস্ট থেকে বলে আসছি আমরা কোনো প্রকারের সেনা শাসন বা জরুরি অবস্থা মেনে নেবো না। আমাদের বার বার ক্যান্টনমেন্টে যেতে বলা হলেও আমরা যেতে অস্বীকার করি। শেষ পর্যন্ত বঙ্গভবনে আলোচনা ও বার্গেনিং এর মাধ্যমে ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।’