প্রদীপ কুমার মজুমদার
কুরুক্ষেত্রযুদ্ধের পর গান্ধারী কৃষ্ণকে অভিশাপ দেবার সময় নাম সংখ্যার প্রয়োগ করেছিলেন। তিনি স্ত্রীপর্বে বলেছেন:
হুমপ্যুপস্থিতে বর্ষে যটত্রিংশে মধুসূদন
হত জ্ঞাতিহতামাত্যো হতপুত্রো বনেচরঃ
কুৎসিতেনাস্থ্যপায়েন নিধনং সমবাদ্যসি।
অর্থাৎ হে মধুসূদন যট ত্রিংশৎ বৎসর সমুপস্থিত হইলে তুমিও নিশ্চয়ই জ্ঞাতি, অমাত্য এবং পুত্রহারা হইয়া বনচারী হইয়া অতি কুৎসিৎভাবে নিহত হইবে।
যাই হোক, বেদ, বেদান্ত, মহাভারত প্রভৃতি গ্রন্থ থেকে যেসব উদ্ধৃতি আমাদের নজরে এলো তা থেকে স্পষ্টই প্রতীয়মান হয় যে আমাদের প্রাচীন শাস্ত্রে নাম সংখ্যার ব্যবহার বহুল পরিমানে ছিল। এবার উৎপল ভট্ট রচিত মূলপুলিশ সিদ্ধান্ত, মহাকবি কালিদাসের জ্যোতিব্বিদভরণ এবং শকুন্তলা নাটকের মঙ্গলাচরণের শ্লোকগুলি নিয়ে আলোচনা করা যাক। মূলপুলিশ সিদ্ধান্তে নাম সংখ্যা সহকারে যে শ্লোকটি আছে সেটি হচ্ছে:
খথাষ্ট মুনিরামাশ্বিনেত্রাঈশর রাত্রিপাঃ।
ভানাং চতুর্য গেনৈতে পরিবর্তাঃ প্রকর্তিতাঃ।
এখানে খ (= bullet) খ (- bullet) অষ্ট (- b * r) মুনি (৭) রাম (- ) অশ্বি (২) নেত্র (২) অষ্ট (- b * r) শব (= e ) এবং রাত্রিপ(-১)
খখাষ্টমুনিরামাশ্বিনেত্রাষ্টশরাত্রিপাঃ ১৫৮২২৩৭৮০০
সংখ্যাটি যে স্থানীয় মান সহকারে লিখিত আছে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। কালিদাসের জ্যোতির্বিজ্ঞাভরনের ২২ অধ্যায়ের ২১-তম শ্লোকে বলা হয়েছে-
বর্ষে সিন্ধুরঃ দর্শনম্বরঃ গুণৈর্থাতে কলৌ সম্মিতে। মাসে মাধব সংজিতে চ বিহিতো গ্রন্থ ক্রিয়োপক্রমঃ। নানাকাল বিধানশাস্ত্রগদিতজ্ঞানং বিলোক্যাদরাৎ।
উর্জে গ্রন্থসমাপ্তিরত্র বিহিতা জ্যোতিব্বিদাং প্রীতয়ে।
এখানে সিন্ধুর (- nu) দর্শন (৬), অম্বর (=*), গুণ (- Leftrightarrow) অঙ্কন্ত বামাগতি অনুযায়ী লিখলে সংখ্যাটি হবে ৩০৮৬।
(চলবে)