০১:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

রাষ্ট্রীয় সহায়তায় দল গঠন করলে জনগণ হতাশ হবে: তারেক রহমান

  • Sarakhon Report
  • ০৮:৩০:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • 20

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “রাষ্ট্রীয় সহায়তায় দল গঠন করলে জনগণ হতাশ হবে: তারেক রহমান”

তরুণদের রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তবে তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দল গঠন করতে গিয়ে কেউ যদি রাষ্ট্রীয় কিংবা প্রশাসনিক সহায়তা নেন, সেটি জনগণকে হতাশ করবে। অতীত থেকে বেরিয়ে এসে তরুণেরা নতুন পথ রচনা করবেন। তবে কোনো প্রশ্নবিদ্ধ পথ নয়। পথটি অবশ্যই স্বচ্ছ হওয়া উচিত।

আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন তারেক রহমান। তিনি লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি এই সমাবেশে যুক্ত হন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রতি ইঙ্গিত করে সমাবেশে তারেক রহমান বলেন, দেশের ছাত্র-তরুণেরা রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন, এটি অবশ্যই ইতিবাচক দিক। এসব তরুণই গত দেড় দশকে নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি। গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকারবঞ্চিত এসব তরুণের কেউ যদি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নতুন কোনো রাজনৈতিক দল গঠন করেন, অবশ্যই বিএনপি সেই উদ্যোগকে স্বাগত জানায়। তবে রাজনৈতিক দল গঠন করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় কিংবা প্রশাসনিক সহায়তা নেওয়া হলে তা জনগণকে হতাশ করবে। কিংবা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি তাদের আচরণ কিংবা বক্তব্য–মন্তব্য যদি ঝগড়াসুলভ অথবা প্রতিহিংসামূলক হয়, সেটিও জনগণের কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত হবে।

সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হয়নি
সংবিধানে মহান মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হয়নি বলেও মনে করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, পলাতক যে স্বৈরাচার, তারা তাদের ইচ্ছেমতো সেটিকে কাটাছেঁড়া করে রাষ্ট্রীয় সংবিধানকে প্রায় দলীয় সংবিধানে রূপ দিয়েছে। ঠিক একইভাবে নির্বাচন কমিশন কিংবা দুদকের (দুর্নীতি দমন কমিশন) মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকেও তারা একদম অকার্যকর করে দিয়েছিল। দুদক সম্পর্কে তারা নিজেরাই দন্তহীন বাঘ বলেছে।’

নির্বাচন কমিশন, দুদক এবং সংবিধানসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে, বিএনপি ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচিও একই রকম বলে উল্লেখ করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের সঙ্গে দু-একটি মৌলিক বিষয় ছাড়া, প্রক্রিয়াগত বিষয় ছাড়া তেমন কোনো ভিন্নমত বা বিরোধ নেই। সংস্কার এবং নির্বাচন—দুটিরই পক্ষে বিএনপি, দুটোই অত্যন্ত জরুরি। সংস্কার নাকি নির্বাচন—কেউ কেউ এমন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রশ্ন তুলে কূটতর্ক করার অপচেষ্টা করেছে।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “৩০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে কাগজের কৃত্রিম সংকট!”

কাগজের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে ৩৪৫ কোটি টাকা! আন্তর্জাতিক বাজারে কাগজের মূল্য বাড়েনি। তার পরও চলতি বছর দেশের কাগজের মিল মালিকরা দফায় দফায় বাড়িয়েছেন কাগজের মূল্য। পাঠ্যবই ছাপানোর মৌসুমে গত এক মাসের ব্যবধানে প্রতি টন কাগজের মূল্য বেড়েছে কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকা। চলতি ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ৪০ কোটির বেশি পাঠ্যবই ছাপাতে প্রয়োজন ১ লাখ ১৫ হাজার টন কাগজ। সে হিসাবে কাগজ মিলের মালিকরা ঐ বাড়তি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

আবার বেশি দাম দিয়েও চাহিদা অনুযায়ী কাগজ পাচ্ছে না পাঠ্যবই ছাপানোর দায়িত্বে থাকা দেশের ১১৬ ছাপাখানা। কাগজ সংকটের কারণে অধিকাংশ ছাপাখানা গত এক মাস ধরে প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা করে বই ছাপানো বন্ধ রাখছে। কাগজের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির পেছনে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার ষড়যন্ত্র থাকতে পারে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কাগজের মিল মালিকদের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে সরকারকে এখনই কাগজ আমদানির উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়ে ১০টি ছাপাখানার মালিক ইত্তেফাককে বলেন, দ্রুত এ সিন্ডিকেট দমন করে বিদেশ থেকে শুল্কমুক্ত কাগজ আমদানি করা না হলে এ বছর শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দেওয়ার সময় আরও দীর্ঘ হবে। কোটি কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন বিঘ্ন ঘটবে। জানা গেছে, গত ডিসেম্বরে পাঠ্যবই ছাপানোর প্রতি টন কাগজের মূল্য ছিল ১ লাখ ৫ হাজার টাকা। বর্তমানে তা নেওয়া হচ্ছে ১ লাখ ৩৫ হাজার থেকে ক্ষেত্র বিশেষে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। কাগজের বাজার স্বাভাবিক করতে সরকারকে বারবার তাগিদ দিয়েছেন ছাপাখানার মালিকরা। বেশি দাম দিয়েও এত কাগজ কিনতে পারছেন না তারা। ফলে পাঠ্যবই ছাপার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম”শিক্ষার্থীদের ৪৪% পড়ছে নিজস্ব অর্থায়নে”

দেশে প্রাথমিক পর্যায়ের মোট শিক্ষার্থী ১ কোটি ৯৭ লাখের কিছু বেশি। এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ কোটি ১০ লাখের কাছাকাছি। বাকিরা পড়াশোনা করছে বেসরকারিভাবে স্থাপিত প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কিন্ডারগার্টেনসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অবৈতনিকভাবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ছে ৫৫ দশমিক ৭ শতাংশ। বাকি ৪৪ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থীর প্রায় সবাই পড়াশোনা করছে নিজস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

স্বাধীনতার পাঁচ দশকেরও বেশি সময় পার হওয়ার পরও প্রাথমিক পর্যায়ে সর্বজনীন ও বিনা ব্যয়ে পড়াশোনার শতভাগ সুযোগ নিশ্চিত করতে না পারার বিষয়টিকে রাষ্ট্রের বড় ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন শিক্ষাবিদরা। তাদের ভাষ্যমতে, বাংলাদেশের সংবিধানের ১৭তম অনুচ্ছেদে আইন দিয়ে নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রের প্রতি নির্দেশনা দেয়ার কথা বলা রয়েছে। একই সঙ্গে এতে একই ধরনের গণমুখী ও সর্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিতেরও কথা বলা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের প্রাথমিক শিক্ষা (বাধ্যতামূলককরণ) আইনের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হয়। এ আইন প্রণয়নের তিন দশকের পরও এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে একই ধরনের ও অবৈতনিক শিক্ষা কার্যকর করা যায়নি।

প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিসংখ্যান (এপিএসসি) ২০২৩-এর তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে প্রাথমিক পর্যায়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ কোটি ৯৭ লাখ ১৩ হাজার ৬৮৫ জন। এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ছে ১ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৮১৫ জন, যা মোট শিক্ষার্থীর ৫৫ দশমিক ৭ শতাংশ। বেসরকারি পর্যায়ের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছে ৮৭ লাখ ২৭ হাজার ৮৭০ জন। সে অনুযায়ী নিজস্ব তথা পরিবারের অর্থায়নে পড়াশোনা করছে প্রাথমিক পর্যায়ের প্রায় ৪৪ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এ শিক্ষার্থীদের অর্ধেকেরও বেশি পড়াশোনা করছে কিন্ডারগার্টেনে, যার সংখ্যা ৪৮ লাখ ৭৩ হাজার ৩৭৫। এর বাইরে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮ লাখ ৩৭ হাজার ৮৮৮ জন, উচ্চ বিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮ লাখ ৪ হাজার ৩৫, ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় ৬ লাখ ৮২ হাজার ৮৫৫, এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয়ে ৫ লাখ ৩৬ হাজার ১৬১, উচ্চ মাদ্রাসার সঙ্গে সংযুক্ত প্রাথমিক শাখায় ৪ লাখ ৮১ হাজার ১৯৯, এনজিও শিক্ষা কেন্দ্রে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৫০৪, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট বিদ্যালয়ে ৩০ হাজার ৩৪৬ ও অন্যান্য বিদ্যালয়ে ২ লাখ ৫ হাজার ৫০৭ জন প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে। এ পরিসংখ্যানে ইংরেজি মাধ্যম ও কওমি মাদ্রাসার তথ্য উল্লেখ করা নেই। তবে মাদ্রাসা শিক্ষাসংশ্লিষ্টদের তথ্য অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসায় ৫ থেকে ১০ বছর বয়সী শিক্ষার্থীর সংখ্যা অন্তত ১০ লাখ।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “আওয়ামী লীগকে নির্বাচন করতে দেয়া হবে না”

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, যারা বাংলাদেশপন্থি তাদের মধ্যে নির্বাচন হবে। বাংলাদেশবিরোধী আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদীদের কোনোভাবেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে না। গতকাল চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারে ছাত্র-জনতার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। মাহফুজ আলম বলেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বিশেষে যত রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন আছে, শ্রমিক, নারী, আলেম-ওলামা আছেন সবাই যারা বাংলাদেশপন্থি সবাই বাংলাদেশে থাকবেন এবং সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তারা পজেটিভ একটি কম্পিটিশনের ভেতর দিয়ে বাংলাদেশে শাসন প্রতিষ্ঠা করবেন। বাংলাদেশের জনগণকে নিয়েই বৈষম্যহীন ইনসাফমূলক একটি শাসন ব্যবস্থা কায়েম করবেন। তিনি বলেন, আমাদের সরকারের অগ্রাধিকার রয়েছে খুনিদের বিচার করা, গুম-খুন, ধর্ষণের বিচার করা, সংস্কার করা এবং অবশ্যই বাংলাদেশপন্থি সকল রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশকে উপহার দেয়া-যেটি গত ১৬ বছরে সম্ভব হয়নি। এসময় উপস্থিত ছিলেন হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল, হাজীগঞ্জ থানার ওসি মহীউদ্দীন ফারুক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, চাঁদপুর নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র-জনতা।

বিকালে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, বাংলাদেশে সেনা শাসন আসার কোন প্রেক্ষিত নেই। আমরা কোনো রাষ্ট্রের মদদে হাসিনাকে উৎখাত করিনি। আমরা ছাত্র-জনতার রক্ত দিয়ে হাসিনাকে উৎখাত করেছি। আমাদের কারো তাঁবেদারি করার দরকার নেই। হাসিনার তাঁবেদারি করার যে প্রক্রিয়া সেটিকে নস্যাৎ করে দিয়ে নিজেদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা এনেছি। আমরা কারো কাছে আর মাথানত করবো না। তিনি বলেন, আমরা ৩রা আগস্টেই বলেছিলাম- ওয়ান-ইলেভেন চাই না। ওয়ান-ইলেভেন নিয়ে মিথ্যে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোকে বলবো, আসুন বাংলাদেশপন্থার মধ্য দিয়ে আমরা যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তি আছি, ঐক্যবদ্ধ হই, সরকারকে সহযোগিতা করে এই সংস্কারগুলো করার জন্য। সংস্কার কার্যক্রম শেষে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করবো। রামগঞ্জ সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। মাহফুজ আলম আরো বলেন, আওয়ামী লীগ আবারো যদি দিল্লির কোলে আশ্রয় নিয়ে আমাদের দিকে চোখ রাঙাতে চায়, আমরা বসে থাকবো না। শহীদদের পথ অনুসরণ করে আমরা শাহাদাতের পথ বেছে নেবো। আমরা আবার লড়াই করবো। আমরা শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থা উৎখাত করে সন্তুষ্ট নই। বরং আওয়ামী লীগ ফ্যাসিজমের যত বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন প্রান্তে, প্রশাসনে, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে রয়ে গেছে, তাদেরকেও আমরা বিচারের আওতায় আনবো। তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে শহীদদের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাবো। তিনি বলেন, অনেকগুলো কমিশন সংস্কারের প্রস্তাবনা প্রস্তুত করেছেন। খুব শিগগিরই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সংস্কার না করলেই নয়, নির্বাচনের পূর্বে সে সকল সংস্কার করতে চাই। এই সংস্কারগুলো মুখের বুলি নয়।

 

রাষ্ট্রীয় সহায়তায় দল গঠন করলে জনগণ হতাশ হবে: তারেক রহমান

০৮:৩০:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “রাষ্ট্রীয় সহায়তায় দল গঠন করলে জনগণ হতাশ হবে: তারেক রহমান”

তরুণদের রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তবে তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দল গঠন করতে গিয়ে কেউ যদি রাষ্ট্রীয় কিংবা প্রশাসনিক সহায়তা নেন, সেটি জনগণকে হতাশ করবে। অতীত থেকে বেরিয়ে এসে তরুণেরা নতুন পথ রচনা করবেন। তবে কোনো প্রশ্নবিদ্ধ পথ নয়। পথটি অবশ্যই স্বচ্ছ হওয়া উচিত।

আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন তারেক রহমান। তিনি লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি এই সমাবেশে যুক্ত হন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রতি ইঙ্গিত করে সমাবেশে তারেক রহমান বলেন, দেশের ছাত্র-তরুণেরা রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন, এটি অবশ্যই ইতিবাচক দিক। এসব তরুণই গত দেড় দশকে নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি। গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকারবঞ্চিত এসব তরুণের কেউ যদি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নতুন কোনো রাজনৈতিক দল গঠন করেন, অবশ্যই বিএনপি সেই উদ্যোগকে স্বাগত জানায়। তবে রাজনৈতিক দল গঠন করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় কিংবা প্রশাসনিক সহায়তা নেওয়া হলে তা জনগণকে হতাশ করবে। কিংবা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি তাদের আচরণ কিংবা বক্তব্য–মন্তব্য যদি ঝগড়াসুলভ অথবা প্রতিহিংসামূলক হয়, সেটিও জনগণের কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত হবে।

সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হয়নি
সংবিধানে মহান মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হয়নি বলেও মনে করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, পলাতক যে স্বৈরাচার, তারা তাদের ইচ্ছেমতো সেটিকে কাটাছেঁড়া করে রাষ্ট্রীয় সংবিধানকে প্রায় দলীয় সংবিধানে রূপ দিয়েছে। ঠিক একইভাবে নির্বাচন কমিশন কিংবা দুদকের (দুর্নীতি দমন কমিশন) মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকেও তারা একদম অকার্যকর করে দিয়েছিল। দুদক সম্পর্কে তারা নিজেরাই দন্তহীন বাঘ বলেছে।’

নির্বাচন কমিশন, দুদক এবং সংবিধানসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে, বিএনপি ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচিও একই রকম বলে উল্লেখ করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের সঙ্গে দু-একটি মৌলিক বিষয় ছাড়া, প্রক্রিয়াগত বিষয় ছাড়া তেমন কোনো ভিন্নমত বা বিরোধ নেই। সংস্কার এবং নির্বাচন—দুটিরই পক্ষে বিএনপি, দুটোই অত্যন্ত জরুরি। সংস্কার নাকি নির্বাচন—কেউ কেউ এমন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রশ্ন তুলে কূটতর্ক করার অপচেষ্টা করেছে।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “৩০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে কাগজের কৃত্রিম সংকট!”

কাগজের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে ৩৪৫ কোটি টাকা! আন্তর্জাতিক বাজারে কাগজের মূল্য বাড়েনি। তার পরও চলতি বছর দেশের কাগজের মিল মালিকরা দফায় দফায় বাড়িয়েছেন কাগজের মূল্য। পাঠ্যবই ছাপানোর মৌসুমে গত এক মাসের ব্যবধানে প্রতি টন কাগজের মূল্য বেড়েছে কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকা। চলতি ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ৪০ কোটির বেশি পাঠ্যবই ছাপাতে প্রয়োজন ১ লাখ ১৫ হাজার টন কাগজ। সে হিসাবে কাগজ মিলের মালিকরা ঐ বাড়তি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

আবার বেশি দাম দিয়েও চাহিদা অনুযায়ী কাগজ পাচ্ছে না পাঠ্যবই ছাপানোর দায়িত্বে থাকা দেশের ১১৬ ছাপাখানা। কাগজ সংকটের কারণে অধিকাংশ ছাপাখানা গত এক মাস ধরে প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা করে বই ছাপানো বন্ধ রাখছে। কাগজের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির পেছনে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার ষড়যন্ত্র থাকতে পারে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কাগজের মিল মালিকদের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে সরকারকে এখনই কাগজ আমদানির উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়ে ১০টি ছাপাখানার মালিক ইত্তেফাককে বলেন, দ্রুত এ সিন্ডিকেট দমন করে বিদেশ থেকে শুল্কমুক্ত কাগজ আমদানি করা না হলে এ বছর শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দেওয়ার সময় আরও দীর্ঘ হবে। কোটি কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন বিঘ্ন ঘটবে। জানা গেছে, গত ডিসেম্বরে পাঠ্যবই ছাপানোর প্রতি টন কাগজের মূল্য ছিল ১ লাখ ৫ হাজার টাকা। বর্তমানে তা নেওয়া হচ্ছে ১ লাখ ৩৫ হাজার থেকে ক্ষেত্র বিশেষে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। কাগজের বাজার স্বাভাবিক করতে সরকারকে বারবার তাগিদ দিয়েছেন ছাপাখানার মালিকরা। বেশি দাম দিয়েও এত কাগজ কিনতে পারছেন না তারা। ফলে পাঠ্যবই ছাপার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম”শিক্ষার্থীদের ৪৪% পড়ছে নিজস্ব অর্থায়নে”

দেশে প্রাথমিক পর্যায়ের মোট শিক্ষার্থী ১ কোটি ৯৭ লাখের কিছু বেশি। এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ কোটি ১০ লাখের কাছাকাছি। বাকিরা পড়াশোনা করছে বেসরকারিভাবে স্থাপিত প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কিন্ডারগার্টেনসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অবৈতনিকভাবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ছে ৫৫ দশমিক ৭ শতাংশ। বাকি ৪৪ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থীর প্রায় সবাই পড়াশোনা করছে নিজস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

স্বাধীনতার পাঁচ দশকেরও বেশি সময় পার হওয়ার পরও প্রাথমিক পর্যায়ে সর্বজনীন ও বিনা ব্যয়ে পড়াশোনার শতভাগ সুযোগ নিশ্চিত করতে না পারার বিষয়টিকে রাষ্ট্রের বড় ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন শিক্ষাবিদরা। তাদের ভাষ্যমতে, বাংলাদেশের সংবিধানের ১৭তম অনুচ্ছেদে আইন দিয়ে নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রের প্রতি নির্দেশনা দেয়ার কথা বলা রয়েছে। একই সঙ্গে এতে একই ধরনের গণমুখী ও সর্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিতেরও কথা বলা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের প্রাথমিক শিক্ষা (বাধ্যতামূলককরণ) আইনের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হয়। এ আইন প্রণয়নের তিন দশকের পরও এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে একই ধরনের ও অবৈতনিক শিক্ষা কার্যকর করা যায়নি।

প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিসংখ্যান (এপিএসসি) ২০২৩-এর তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে প্রাথমিক পর্যায়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ কোটি ৯৭ লাখ ১৩ হাজার ৬৮৫ জন। এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ছে ১ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৮১৫ জন, যা মোট শিক্ষার্থীর ৫৫ দশমিক ৭ শতাংশ। বেসরকারি পর্যায়ের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছে ৮৭ লাখ ২৭ হাজার ৮৭০ জন। সে অনুযায়ী নিজস্ব তথা পরিবারের অর্থায়নে পড়াশোনা করছে প্রাথমিক পর্যায়ের প্রায় ৪৪ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এ শিক্ষার্থীদের অর্ধেকেরও বেশি পড়াশোনা করছে কিন্ডারগার্টেনে, যার সংখ্যা ৪৮ লাখ ৭৩ হাজার ৩৭৫। এর বাইরে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮ লাখ ৩৭ হাজার ৮৮৮ জন, উচ্চ বিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮ লাখ ৪ হাজার ৩৫, ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় ৬ লাখ ৮২ হাজার ৮৫৫, এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয়ে ৫ লাখ ৩৬ হাজার ১৬১, উচ্চ মাদ্রাসার সঙ্গে সংযুক্ত প্রাথমিক শাখায় ৪ লাখ ৮১ হাজার ১৯৯, এনজিও শিক্ষা কেন্দ্রে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৫০৪, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট বিদ্যালয়ে ৩০ হাজার ৩৪৬ ও অন্যান্য বিদ্যালয়ে ২ লাখ ৫ হাজার ৫০৭ জন প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে। এ পরিসংখ্যানে ইংরেজি মাধ্যম ও কওমি মাদ্রাসার তথ্য উল্লেখ করা নেই। তবে মাদ্রাসা শিক্ষাসংশ্লিষ্টদের তথ্য অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসায় ৫ থেকে ১০ বছর বয়সী শিক্ষার্থীর সংখ্যা অন্তত ১০ লাখ।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “আওয়ামী লীগকে নির্বাচন করতে দেয়া হবে না”

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, যারা বাংলাদেশপন্থি তাদের মধ্যে নির্বাচন হবে। বাংলাদেশবিরোধী আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদীদের কোনোভাবেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে না। গতকাল চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারে ছাত্র-জনতার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। মাহফুজ আলম বলেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বিশেষে যত রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন আছে, শ্রমিক, নারী, আলেম-ওলামা আছেন সবাই যারা বাংলাদেশপন্থি সবাই বাংলাদেশে থাকবেন এবং সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তারা পজেটিভ একটি কম্পিটিশনের ভেতর দিয়ে বাংলাদেশে শাসন প্রতিষ্ঠা করবেন। বাংলাদেশের জনগণকে নিয়েই বৈষম্যহীন ইনসাফমূলক একটি শাসন ব্যবস্থা কায়েম করবেন। তিনি বলেন, আমাদের সরকারের অগ্রাধিকার রয়েছে খুনিদের বিচার করা, গুম-খুন, ধর্ষণের বিচার করা, সংস্কার করা এবং অবশ্যই বাংলাদেশপন্থি সকল রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশকে উপহার দেয়া-যেটি গত ১৬ বছরে সম্ভব হয়নি। এসময় উপস্থিত ছিলেন হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল, হাজীগঞ্জ থানার ওসি মহীউদ্দীন ফারুক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, চাঁদপুর নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র-জনতা।

বিকালে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, বাংলাদেশে সেনা শাসন আসার কোন প্রেক্ষিত নেই। আমরা কোনো রাষ্ট্রের মদদে হাসিনাকে উৎখাত করিনি। আমরা ছাত্র-জনতার রক্ত দিয়ে হাসিনাকে উৎখাত করেছি। আমাদের কারো তাঁবেদারি করার দরকার নেই। হাসিনার তাঁবেদারি করার যে প্রক্রিয়া সেটিকে নস্যাৎ করে দিয়ে নিজেদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা এনেছি। আমরা কারো কাছে আর মাথানত করবো না। তিনি বলেন, আমরা ৩রা আগস্টেই বলেছিলাম- ওয়ান-ইলেভেন চাই না। ওয়ান-ইলেভেন নিয়ে মিথ্যে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোকে বলবো, আসুন বাংলাদেশপন্থার মধ্য দিয়ে আমরা যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তি আছি, ঐক্যবদ্ধ হই, সরকারকে সহযোগিতা করে এই সংস্কারগুলো করার জন্য। সংস্কার কার্যক্রম শেষে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করবো। রামগঞ্জ সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। মাহফুজ আলম আরো বলেন, আওয়ামী লীগ আবারো যদি দিল্লির কোলে আশ্রয় নিয়ে আমাদের দিকে চোখ রাঙাতে চায়, আমরা বসে থাকবো না। শহীদদের পথ অনুসরণ করে আমরা শাহাদাতের পথ বেছে নেবো। আমরা আবার লড়াই করবো। আমরা শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থা উৎখাত করে সন্তুষ্ট নই। বরং আওয়ামী লীগ ফ্যাসিজমের যত বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন প্রান্তে, প্রশাসনে, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে রয়ে গেছে, তাদেরকেও আমরা বিচারের আওতায় আনবো। তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে শহীদদের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাবো। তিনি বলেন, অনেকগুলো কমিশন সংস্কারের প্রস্তাবনা প্রস্তুত করেছেন। খুব শিগগিরই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সংস্কার না করলেই নয়, নির্বাচনের পূর্বে সে সকল সংস্কার করতে চাই। এই সংস্কারগুলো মুখের বুলি নয়।