০১:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

মধ্যরাতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাবি শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০৩:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • 21

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “সোমবার ঢাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত, সাত কলেজের সামনে অবরোধ কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ সোমবার ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে হামলায় জড়িত সবার বিচারের দাবিতে আজ ৯টা থেকে নিজ নিজ কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করার ঘোষণা দিয়েছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

এ ছাড়া গতকাল রোববারের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান। গভীর রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এ ঘটনায় কোনোভাবেই তৃতীয় পক্ষ যাতে সুযোগ নিতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

এর আগে পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা করতে গেলে গতকাল সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদ সাত কলেজের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে অপমান করেন বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা। এ ঘটনায় তাঁর ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে গতকাল সন্ধ্যা থেকে সায়েন্স ল্যাব মোড় অবরোধ এবং সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের দিকে মিছিল নিয়ে আসেন।

নীলক্ষেত মোড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে কয়েক শ শিক্ষার্থী বেরিয়ে এসে তাঁদের ধাওয়া দেন। এতে নীলক্ষেত মোড় থেকে কিছুটা সরে যান সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁরা আবার একজোট হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেন। পাল্টাপাল্টি এ ধাওয়া চলে দিবাগত রাত পৌনে দুইটা পর্যন্ত। এ সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।

দুই পক্ষকে নিবৃত্ত করতে মাঝে অবস্থান নেয় পুলিশ। এ সময় সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করতে দেখা যায়। পরে পুলিশকে সহায়তা করতে চার প্লাটুন বিজিবিও মোতায়েন করা হয়।

একপর্যায়ে নীলক্ষেত ও নিউমার্কেট এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আর সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা নিউমার্কেট এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নেন। পরে রাত পৌনে তিনটার দিকে অবস্থান ছেড়ে নিজেদের ক্যাম্পাসে ফিরে যান।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “নির্বাচন সংস্কার কমিশনের তিন সুপারিশে আপত্তি সিইসির”

নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের অন্তত তিনটি সুপারিশের কড়া সমালোচনা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। বিশেষ করে বিদায় নেওয়ার পর ইসির বিষয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির হাতে তদন্তভার প্রদান, সীমানা পুনর্নির্ধারণ ও ভোটার তালিকার জন্য স্বতন্ত্র কর্তৃপক্ষ গঠনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হলে তা ইসির স্বাধীনতা ‘খর্ব করবে’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

গতকাল রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন সাংবাদিকদের সংগঠন ‘রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সিইসি এসব বলেন।

তিনি জানান, মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ইসির বিষয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির হাতে তদন্তভার দিলে এবং সীমানা পুনর্নির্ধারণ ও ভোটার তালিকা নিয়ে স্বতন্ত্র কর্তৃপক্ষ করার সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হলে তা ইসির ক্ষমতাকেও সংকুচিত করবে। সব সুপারিশ ভালো বা খারাপ বা ইসির কাছে গ্রহণযোগ্য হবে তা নিশ্চিত নয়। তিনি বলেন, ‘সুপারিশ তো অনেক দেওয়া যায় কিন্তু যিনি বাস্তবায়ন করেন তিনিই জানেন সেই সুপারিশ আসলেই বাস্তবসম্মত ও বাস্তবায়ন যোগ্য কিনা (হোয়েদার ইট ইজ রিয়েলি প্র্যাকটিকেবল, রিয়েলি ইমপ্লিমেন্টেবল অর নট)।

সিইসি জানান, ইসির চারটি ‘সাংবিধানিক ম্যান্ডেট’ রয়েছে, সেগুলো হলো রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, সংসদ নির্বাচন, ভোটার তালিকা ও সীমানা পুনর্নির্ধারণ। এ চারটির বাইরে সংবিধানে ক্ষমতা দেওয়া না থাকলেও সরকারের অনুরোধে নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকার নির্বাচন পরিচালনা করে। এর মধ্যে প্রেসিডেন্ট ইলেকশন ও পার্লামেন্ট ইলেকশন বাদ দিয়ে ভোটার তালিকা ও সীমানা পুনর্নির্ধারণের ম্যান্ডেট আস্তে আস্তে ইসির কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘এ বিষয়ে বিস্তারিত আমি জানি না, উনারা বলেছেন এটা একটা স্বাধীন কর্তৃপক্ষ হবে।’ নির্বাচন কমিশনই তো স্বাধীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতার মধ্যে আরেকটা স্বাধীন দিলে তো আরেকটা মুশকিল। ইসির কাছ থেকে সীমানা পুনর্নির্ধারণের ক্ষমতা সরিয়ে নিলে বা এমন কোনো শর্তারোপ করলে যাতে কমিশন অভিযোগগুলো ফিক্স করতে না পারে বা বিবেচনার সময় বাধার সৃষ্টি হলে বিশাল সমস্যা দেখা দেবে।’ তিনি বলেন, ‘ডিলিমিটেশন ইসির কন্সটিটিউশনাল ম্যান্ডেট, এটার উপর ইসির নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে।’

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম”শেখ হাসিনার আমলে উন্নয়ন প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি ব্যবসায়িক সুবিধা পেয়েছে চীন”

বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে গত দেড় দশকে সবচেয়ে বেশি ঠিকাদারি কাজ পেয়েছে চীন। এর একটি অংশ বাস্তবায়ন হচ্ছে দেশটি থেকে নেয়া ঋণের টাকায়। ঋণ ও ঠিকাদারি মিলিয়ে সে অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩০ বিলিয়ন ডলার। তবে বাস্তবায়ন শেষে প্রকল্পগুলো চালুর পর দেখা যাচ্ছে এর আয় দিয়ে পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়ই উঠছে না। সুদসহ ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব বেরিয়ে যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়, গণপূর্ত বিভাগ, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ এবং আন্তর্জাতিক কয়েকটি সংস্থার সূত্র ও ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (এইআই) তথ্য অনুযায়ী, চীন ২০০৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ঠিকাদারি কাজ পেয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি। এর অধিকাংশই পেয়েছে গত ১৫ বছরে, অর্থাৎ শেখ হাসিনার আমলে। ঠিকাদারি এসব কাজের প্রায় এক-তৃতীয়াংশই আবার পরিবহন খাতের, যার অর্থমূল্য ৮ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলারের মতো রেল সংযোগেরই কাজ।

বাংলাদেশ-চীন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থাপন হয় ১৯৭৫ সালে। আর্থিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্য অনুযায়ী, ওই সময় থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশকে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ঋণ ও বাজেট সহায়তা হিসেবে ১ হাজার কোটি ডলারের বেশি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন। ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত ছাড় হয়েছে ৮১১ কোটি ৫০ লাখ ডলার।

শেখ হাসিনার আমলে চীনা ঋণে নেয়া অতিমূল্যায়িত উন্নয়ন প্রকল্পের অধিকাংশ থেকেই তেমন সুফল পায়নি বাংলাদেশ। বরং ব্যয়ের বোঝা বেড়েছে। সম্প্রতি দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে চীন গিয়েছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। বাজেট সহায়তা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সফরে তিনি ঋণের সুদহার কমানো এবং সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “মধ্যরাতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাবি শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ”

ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে ঢাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে এসে উত্তেজনামূলক স্লোগান দিতে থাকেন। ওদিকে ঢাবির হল থেকে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী জমায়েত হয়ে পাল্টা অবস্থান নেন। এতে ওই এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে ঢাবি শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দিলে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা পিছু হটেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে দুই পক্ষের মাঝে অবস্থান নেয়। এ অবস্থায় দফায় দফায় চলে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। রাত একটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি মোতায়েন করা হয়। ওদিকে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
রাত পৌনে দুইটায় এ রিপোর্ট লেখার সময় পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল।
ওদিকে দিনের ঘটনায় সাত কলেজের শিক্ষর্থীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন ঢাবি’র প্রো ভিসি ড. মামুন আহমেদ। ফেসবুক বার্তায় শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহবান জানান তিনি।

 

মধ্যরাতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাবি শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ

০৯:০৩:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “সোমবার ঢাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত, সাত কলেজের সামনে অবরোধ কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ সোমবার ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে হামলায় জড়িত সবার বিচারের দাবিতে আজ ৯টা থেকে নিজ নিজ কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করার ঘোষণা দিয়েছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

এ ছাড়া গতকাল রোববারের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান। গভীর রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এ ঘটনায় কোনোভাবেই তৃতীয় পক্ষ যাতে সুযোগ নিতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

এর আগে পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা করতে গেলে গতকাল সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদ সাত কলেজের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে অপমান করেন বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা। এ ঘটনায় তাঁর ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে গতকাল সন্ধ্যা থেকে সায়েন্স ল্যাব মোড় অবরোধ এবং সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের দিকে মিছিল নিয়ে আসেন।

নীলক্ষেত মোড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে কয়েক শ শিক্ষার্থী বেরিয়ে এসে তাঁদের ধাওয়া দেন। এতে নীলক্ষেত মোড় থেকে কিছুটা সরে যান সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁরা আবার একজোট হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেন। পাল্টাপাল্টি এ ধাওয়া চলে দিবাগত রাত পৌনে দুইটা পর্যন্ত। এ সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।

দুই পক্ষকে নিবৃত্ত করতে মাঝে অবস্থান নেয় পুলিশ। এ সময় সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করতে দেখা যায়। পরে পুলিশকে সহায়তা করতে চার প্লাটুন বিজিবিও মোতায়েন করা হয়।

একপর্যায়ে নীলক্ষেত ও নিউমার্কেট এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আর সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা নিউমার্কেট এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নেন। পরে রাত পৌনে তিনটার দিকে অবস্থান ছেড়ে নিজেদের ক্যাম্পাসে ফিরে যান।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “নির্বাচন সংস্কার কমিশনের তিন সুপারিশে আপত্তি সিইসির”

নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের অন্তত তিনটি সুপারিশের কড়া সমালোচনা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। বিশেষ করে বিদায় নেওয়ার পর ইসির বিষয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির হাতে তদন্তভার প্রদান, সীমানা পুনর্নির্ধারণ ও ভোটার তালিকার জন্য স্বতন্ত্র কর্তৃপক্ষ গঠনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হলে তা ইসির স্বাধীনতা ‘খর্ব করবে’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

গতকাল রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন সাংবাদিকদের সংগঠন ‘রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সিইসি এসব বলেন।

তিনি জানান, মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ইসির বিষয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির হাতে তদন্তভার দিলে এবং সীমানা পুনর্নির্ধারণ ও ভোটার তালিকা নিয়ে স্বতন্ত্র কর্তৃপক্ষ করার সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হলে তা ইসির ক্ষমতাকেও সংকুচিত করবে। সব সুপারিশ ভালো বা খারাপ বা ইসির কাছে গ্রহণযোগ্য হবে তা নিশ্চিত নয়। তিনি বলেন, ‘সুপারিশ তো অনেক দেওয়া যায় কিন্তু যিনি বাস্তবায়ন করেন তিনিই জানেন সেই সুপারিশ আসলেই বাস্তবসম্মত ও বাস্তবায়ন যোগ্য কিনা (হোয়েদার ইট ইজ রিয়েলি প্র্যাকটিকেবল, রিয়েলি ইমপ্লিমেন্টেবল অর নট)।

সিইসি জানান, ইসির চারটি ‘সাংবিধানিক ম্যান্ডেট’ রয়েছে, সেগুলো হলো রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, সংসদ নির্বাচন, ভোটার তালিকা ও সীমানা পুনর্নির্ধারণ। এ চারটির বাইরে সংবিধানে ক্ষমতা দেওয়া না থাকলেও সরকারের অনুরোধে নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকার নির্বাচন পরিচালনা করে। এর মধ্যে প্রেসিডেন্ট ইলেকশন ও পার্লামেন্ট ইলেকশন বাদ দিয়ে ভোটার তালিকা ও সীমানা পুনর্নির্ধারণের ম্যান্ডেট আস্তে আস্তে ইসির কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘এ বিষয়ে বিস্তারিত আমি জানি না, উনারা বলেছেন এটা একটা স্বাধীন কর্তৃপক্ষ হবে।’ নির্বাচন কমিশনই তো স্বাধীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতার মধ্যে আরেকটা স্বাধীন দিলে তো আরেকটা মুশকিল। ইসির কাছ থেকে সীমানা পুনর্নির্ধারণের ক্ষমতা সরিয়ে নিলে বা এমন কোনো শর্তারোপ করলে যাতে কমিশন অভিযোগগুলো ফিক্স করতে না পারে বা বিবেচনার সময় বাধার সৃষ্টি হলে বিশাল সমস্যা দেখা দেবে।’ তিনি বলেন, ‘ডিলিমিটেশন ইসির কন্সটিটিউশনাল ম্যান্ডেট, এটার উপর ইসির নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে।’

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম”শেখ হাসিনার আমলে উন্নয়ন প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি ব্যবসায়িক সুবিধা পেয়েছে চীন”

বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে গত দেড় দশকে সবচেয়ে বেশি ঠিকাদারি কাজ পেয়েছে চীন। এর একটি অংশ বাস্তবায়ন হচ্ছে দেশটি থেকে নেয়া ঋণের টাকায়। ঋণ ও ঠিকাদারি মিলিয়ে সে অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩০ বিলিয়ন ডলার। তবে বাস্তবায়ন শেষে প্রকল্পগুলো চালুর পর দেখা যাচ্ছে এর আয় দিয়ে পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়ই উঠছে না। সুদসহ ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব বেরিয়ে যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়, গণপূর্ত বিভাগ, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ এবং আন্তর্জাতিক কয়েকটি সংস্থার সূত্র ও ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (এইআই) তথ্য অনুযায়ী, চীন ২০০৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ঠিকাদারি কাজ পেয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি। এর অধিকাংশই পেয়েছে গত ১৫ বছরে, অর্থাৎ শেখ হাসিনার আমলে। ঠিকাদারি এসব কাজের প্রায় এক-তৃতীয়াংশই আবার পরিবহন খাতের, যার অর্থমূল্য ৮ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলারের মতো রেল সংযোগেরই কাজ।

বাংলাদেশ-চীন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থাপন হয় ১৯৭৫ সালে। আর্থিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্য অনুযায়ী, ওই সময় থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশকে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ঋণ ও বাজেট সহায়তা হিসেবে ১ হাজার কোটি ডলারের বেশি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন। ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত ছাড় হয়েছে ৮১১ কোটি ৫০ লাখ ডলার।

শেখ হাসিনার আমলে চীনা ঋণে নেয়া অতিমূল্যায়িত উন্নয়ন প্রকল্পের অধিকাংশ থেকেই তেমন সুফল পায়নি বাংলাদেশ। বরং ব্যয়ের বোঝা বেড়েছে। সম্প্রতি দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে চীন গিয়েছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। বাজেট সহায়তা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সফরে তিনি ঋণের সুদহার কমানো এবং সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “মধ্যরাতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাবি শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ”

ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে ঢাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে এসে উত্তেজনামূলক স্লোগান দিতে থাকেন। ওদিকে ঢাবির হল থেকে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী জমায়েত হয়ে পাল্টা অবস্থান নেন। এতে ওই এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে ঢাবি শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দিলে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা পিছু হটেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে দুই পক্ষের মাঝে অবস্থান নেয়। এ অবস্থায় দফায় দফায় চলে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। রাত একটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি মোতায়েন করা হয়। ওদিকে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
রাত পৌনে দুইটায় এ রিপোর্ট লেখার সময় পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল।
ওদিকে দিনের ঘটনায় সাত কলেজের শিক্ষর্থীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন ঢাবি’র প্রো ভিসি ড. মামুন আহমেদ। ফেসবুক বার্তায় শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহবান জানান তিনি।