১২:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

এক সময়ের এশিয়ার টাইগার এখন ক্রান্তিকালে কেন

  • Sarakhon Report
  • ০৩:০১:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • 13

সারাক্ষণ রিপোর্ট

এক সময় “পরবর্তী এশীয় টাইগার” হিসেবে বাংলাদেশ প্রশংসিত ছিল এবং দারিদ্র্য বিমোচন, রপ্তানি বৃদ্ধি এবং সামাজিক উন্নয়নে অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছিল। তবে বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং অভ্যন্তরীণ কাঠামোগত দুর্বলতাসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বাণিজ্য ঘাটতির বৃদ্ধি, রেমিট্যান্স হ্রাস, এবং তৈরি পোশাক খাত ও কৃষি খাতের দুর্বলতাগুলো অর্থনীতিকে একটি ক্রান্তিকালে নিয়ে এসেছে।

নানা সমালোচক মনে করেন যে অতিরিক্ত সরকারি হস্তক্ষেপ, সুরক্ষাবাদী নীতি, এবং সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মসূচির পরিবর্তে বড় আকারের অবকাঠামো প্রকল্পে মনোনিবেশ প্রাইভেট সেক্টরের উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে এবং প্রতিযোগিতা সীমিত করেছে। এর পাশাপাশি, সরকারের অভ্যন্তরে দুর্নীতি এবং সুবিধাবাদীতার অভিযোগ উৎপাদনশীল খাত থেকে সম্পদ সরিয়ে দিয়েছে, যা অর্থনৈতিক দক্ষতা বাধাগ্রস্ত করেছে এবং বিদেশি বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করেছে।

কিন্তু যারা প্রাকটিকাল অর্থনীতির সঙ্গে সংযুক্ত এমন কয়েক শিল্পপতির মতে বাংলাদেশ নিচে উল্লিখিত বিষয়গুলোর দিকে কম নজর দিয়েছে।

বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ হিসেবে খাদ্য উৎপাদনে বিগত কয়েক দশকে প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কৃষি জমি হ্রাস এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো চ্যালেঞ্জগুলো দীর্ঘমেয়াদী খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের ক্ষেত্রে গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।তা মোকাবিলার জন্যে যথেষ্ট চিন্তা করা হয়নি।

কৃষিখাতে যথেষ্ট প্রযুক্তি গ্রহন করেনি

  • প্রযুক্তি গ্রহণ: বাংলাদেশে মাত্র ১২ শতাংশ কৃষক আধুনিক চাষাবাদ সরঞ্জাম ব্যবহার করেন। উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োগ ফসল উৎপাদন ২০-৩০ শতাংশ বাড়াতে পারে।
  • ফসলের বহুমুখীকরণ: ধানচাষে বেশি মনোযোগ না দিয়ে পাট, ফল, ও মসলার মতো অর্থকরী ফসলের দিকে মনোযোগ দিলে কৃষকদের আয় বৃদ্ধি পাবে।
  • সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব: কৃষকদের জন্য বাজার, অর্থায়ন, এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব বাড়ানো দরকার।
  • রপ্তানি নীতি উন্নয়ন: আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করে কৃষি রপ্তানি বৃদ্ধি সম্ভব।

বিদেশি মুদ্রার রেমিট্যান্স বাড়ানো

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্স একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে বেশিভাগ প্রবাসী শ্রমিক স্বল্পদক্ষ হওয়ার কারণে তারা উচ্চ আয় অর্জনে ব্যর্থ হন।

দক্ষতা উন্নয়নের প্রস্তাবনা

বিদেশগামী শ্রমিকদের জন্য ওই অর্থে কোন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নেই ।যেগুলো হতে পারতো

. ভাষার দক্ষতা: ইংরেজি,  আরবি ও অন্য প্রয়োজনীয় ভাষা শেখানো।

২. কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি: কাজের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কারিগরি দক্ষতার উপর প্রশিক্ষণ।

শিষ্টাচার ও আচারব্যবহার: পেশাগত আচরণ ও সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতার ওপর প্রশিক্ষণ।

শিষ্টাচার বর্তমানে আরো বেশি প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে কারণ গত কয়েকমাসে তরুণ প্রজম্ম যে আচরণ করছে তাতে ভবিষ্যতে যে কোন দেশ এদেরকে কর্মী হিসেবে নিতে দ্বিধান্বিত হবে।

 আকাশ পথ

বর্তমান পৃথিবীতে বাজেট এয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশের উন্নয়নের জন্য , বাংলাদেশ সেক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমান সরকার বা পরবর্তী সরকার এ কাজ করতে পারে তারও কোন পূর্বাভাস নেই। অথচ বর্তমান বিশ্বে আকাশ পথ জোরদার ছাড়া কোন সঠিক উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মনে করেন একজন বিশিষ্ট জুতো রপ্তানি শিল্পের নেতা।

এক সময়ের এশিয়ার টাইগার এখন ক্রান্তিকালে কেন

০৩:০১:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

এক সময় “পরবর্তী এশীয় টাইগার” হিসেবে বাংলাদেশ প্রশংসিত ছিল এবং দারিদ্র্য বিমোচন, রপ্তানি বৃদ্ধি এবং সামাজিক উন্নয়নে অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছিল। তবে বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং অভ্যন্তরীণ কাঠামোগত দুর্বলতাসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বাণিজ্য ঘাটতির বৃদ্ধি, রেমিট্যান্স হ্রাস, এবং তৈরি পোশাক খাত ও কৃষি খাতের দুর্বলতাগুলো অর্থনীতিকে একটি ক্রান্তিকালে নিয়ে এসেছে।

নানা সমালোচক মনে করেন যে অতিরিক্ত সরকারি হস্তক্ষেপ, সুরক্ষাবাদী নীতি, এবং সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মসূচির পরিবর্তে বড় আকারের অবকাঠামো প্রকল্পে মনোনিবেশ প্রাইভেট সেক্টরের উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে এবং প্রতিযোগিতা সীমিত করেছে। এর পাশাপাশি, সরকারের অভ্যন্তরে দুর্নীতি এবং সুবিধাবাদীতার অভিযোগ উৎপাদনশীল খাত থেকে সম্পদ সরিয়ে দিয়েছে, যা অর্থনৈতিক দক্ষতা বাধাগ্রস্ত করেছে এবং বিদেশি বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করেছে।

কিন্তু যারা প্রাকটিকাল অর্থনীতির সঙ্গে সংযুক্ত এমন কয়েক শিল্পপতির মতে বাংলাদেশ নিচে উল্লিখিত বিষয়গুলোর দিকে কম নজর দিয়েছে।

বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ হিসেবে খাদ্য উৎপাদনে বিগত কয়েক দশকে প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কৃষি জমি হ্রাস এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো চ্যালেঞ্জগুলো দীর্ঘমেয়াদী খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের ক্ষেত্রে গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।তা মোকাবিলার জন্যে যথেষ্ট চিন্তা করা হয়নি।

কৃষিখাতে যথেষ্ট প্রযুক্তি গ্রহন করেনি

  • প্রযুক্তি গ্রহণ: বাংলাদেশে মাত্র ১২ শতাংশ কৃষক আধুনিক চাষাবাদ সরঞ্জাম ব্যবহার করেন। উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োগ ফসল উৎপাদন ২০-৩০ শতাংশ বাড়াতে পারে।
  • ফসলের বহুমুখীকরণ: ধানচাষে বেশি মনোযোগ না দিয়ে পাট, ফল, ও মসলার মতো অর্থকরী ফসলের দিকে মনোযোগ দিলে কৃষকদের আয় বৃদ্ধি পাবে।
  • সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব: কৃষকদের জন্য বাজার, অর্থায়ন, এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব বাড়ানো দরকার।
  • রপ্তানি নীতি উন্নয়ন: আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করে কৃষি রপ্তানি বৃদ্ধি সম্ভব।

বিদেশি মুদ্রার রেমিট্যান্স বাড়ানো

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্স একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে বেশিভাগ প্রবাসী শ্রমিক স্বল্পদক্ষ হওয়ার কারণে তারা উচ্চ আয় অর্জনে ব্যর্থ হন।

দক্ষতা উন্নয়নের প্রস্তাবনা

বিদেশগামী শ্রমিকদের জন্য ওই অর্থে কোন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নেই ।যেগুলো হতে পারতো

. ভাষার দক্ষতা: ইংরেজি,  আরবি ও অন্য প্রয়োজনীয় ভাষা শেখানো।

২. কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি: কাজের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কারিগরি দক্ষতার উপর প্রশিক্ষণ।

শিষ্টাচার ও আচারব্যবহার: পেশাগত আচরণ ও সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতার ওপর প্রশিক্ষণ।

শিষ্টাচার বর্তমানে আরো বেশি প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে কারণ গত কয়েকমাসে তরুণ প্রজম্ম যে আচরণ করছে তাতে ভবিষ্যতে যে কোন দেশ এদেরকে কর্মী হিসেবে নিতে দ্বিধান্বিত হবে।

 আকাশ পথ

বর্তমান পৃথিবীতে বাজেট এয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশের উন্নয়নের জন্য , বাংলাদেশ সেক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমান সরকার বা পরবর্তী সরকার এ কাজ করতে পারে তারও কোন পূর্বাভাস নেই। অথচ বর্তমান বিশ্বে আকাশ পথ জোরদার ছাড়া কোন সঠিক উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মনে করেন একজন বিশিষ্ট জুতো রপ্তানি শিল্পের নেতা।