সারাক্ষণ রিপোর্ট
সারাংশ
- অভিবাসন বা নিরাপত্তা লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করছে
- আইনেও স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে, আমরা এটিকে শৃঙ্খলায় আনতে চাই
- “বিশেষভাবে মনোনীত” প্রকল্পগুলো এই অস্থায়ী স্থগিতাদেশ থেকে অব্যাহতি পাবে
- আমাদের উদ্দেশ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে “ইউএসএইড”-এর প্রকল্পগুলো সাজানো
- আমাদের কাছে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা আসেনি, বরং কেউ কেউ নির্দেশ লঙ্ঘন করে তহবিল ছাড়ার চেষ্টা করছিলেন
“ইউএসএইড” যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ ও পররাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে পরিচালিত হবে এটাই নিয়ম। কিন্তু বাস্তবতা হলো, বিগত দুই দশকে এটি আরও বেশি স্বতন্ত্রভাবে কাজ করেছে। বরং কেউ কেউ নির্দেশ লঙ্ঘন করে তহবিল ছাড়ার চেষ্টা করছিলেন।এবং মার্কিন নীতি ও স্বার্থের বাইরে গিয়ে কাজ করেছেন।
গতকাল গুয়েতেমালার প্রেসিডেন্ট আরেভালোর করা এক প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে “ইউএসএইড”-এর প্রকল্পগুলো সাজানো। যদি আমরা আমাদের জাতীয় স্বার্থের বাইরে প্রকল্পগুলো চালাই, সেটি আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদেরকেই সুবিধা দেবে। আমাদের আইনেও স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে, আমরা এটিকে শৃঙ্খলায় আনতে চাই।
আমরা প্রথমে চেয়েছিলাম উপর থেকে নিচ পর্যন্ত পর্যালোচনা করে কোন প্রকল্পগুলো আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, আর কোনগুলো নয়, তা বেছে নেওয়া। কিন্তু আমাদের কাছে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা আসেনি, বরং কেউ কেউ নির্দেশ লঙ্ঘন করে তহবিল ছাড়ার চেষ্টা করছিলেন। তাই এখন আমাদের উল্টো পথে যেতে হচ্ছে—সব বরাদ্দ সাময়িকভাবে স্থগিত রেখে, যেগুলো জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলোকে চিহ্নিত করে আলাদা ছাড় দেওয়া।
সাম্প্রতিক নোটিশে বলা হয়েছে, “বিশেষভাবে মনোনীত” প্রকল্পগুলো এই অস্থায়ী স্থগিতাদেশ থেকে অব্যাহতি পাবে। এখন আমরা বিশ্বজুড়ে আমাদের “ইউএসএইড” মিশনগুলোর সঙ্গে কথা বলে দেখছি, কী কী প্রকল্প চলছে, কোনগুলো আমাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করছে, আর কোনগুলো করছে না। যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলো অব্যাহত থাকবে। যেগুলো নয়, সেগুলো বন্ধ হবে। আমরা এখানে বসেই কিছু কর্মসূচি চিহ্নিত করেছি, যা আমাদের অভিবাসন বা নিরাপত্তা লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করছে। সেগুলো আমরা রাখব।