হামাস তিনজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিচ্ছে, পাল্টা হিসেবে মুক্তি পাচ্ছে ফিলিস্তিনি বন্দিরা
দ্য গার্ডিয়ান,
গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় হামাস আজ তিনজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে যাচ্ছে। এই তিনজন হলেন ইলি শারাবি, ওহাদ বেন আউমি এবং ওর লেভি। এর পরিবর্তে ইসরায়েল প্রায় ১৮৩ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে বলে জানিয়েছে গাজার হামাস-সংযুক্ত বন্দি অফিস।
এই যুদ্ধবিরতি ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে এবং এরই মধ্যে ১৩ জন ইসরায়েলি জিম্মি ও পাঁচজন থাই নাগরিক মুক্তি পেয়েছেন। মোট ৩৩ জন জিম্মি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে এবং এর পাশাপাশি প্রায় ১,৯০০ জন ফিলিস্তিনি বন্দি ছাড়া পাবে।
যদিও এই পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবে দেখা হচ্ছে, তবে গাজার মানবিক সহায়তা প্রবাহ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। হামাস অভিযোগ করছে যে ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে সহায়তা সরবরাহে বিলম্ব করছে। তবে ইসরায়েল এই দাবি অস্বীকার করে জানিয়েছে যে তারা হাজার হাজার ট্রাক খাদ্য ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করেছে।
আন্তর্জাতিক মহল এই পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং আশা করছে যে এই উদ্যোগ দীর্ঘস্থায়ী শান্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের পাশে দাঁড়িয়েছে ৭৯টি দেশ
দ্য টাইমস,
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর যুক্তরাজ্যসহ ৭৯টি দেশ আইসিসির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আদালতের তদন্তের জন্য আরোপ করা হয়েছে। সমালোচকরা মনে করছেন, এটি আদালতের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ এবং আইনের শাসনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
জার্মানি ও ফ্রান্সসহ অনেক দেশ আদালতের স্বাধীনতা রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গাজা পুনর্নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছেন, যা অনেকেই সমালোচনা করেছেন। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী, গাজাকে মধ্যপ্রাচ্যের রিভিয়েরা হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তবে সমালোচকরা বলছেন, এটি আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী এবং ফিলিস্তিনিদের অধিকার লঙ্ঘন করে।
গ্রীনল্যান্ড স্বাধীনতার গণভোট আয়োজনের পরিকল্পনা করছে
দ্য গার্ডিয়ান,
গ্রীনল্যান্ডের ক্ষমতাসীন দল সিয়ুমুত ঘোষণা করেছে যে তারা ডেনমার্ক থেকে স্বাধীনতার বিষয়ে একটি গণভোট আয়োজন করবে। দলটি পরবর্তী সংসদ অধিবেশনের মধ্যেই গণভোটটি সম্পন্ন করতে চায়।
এই উদ্যোগ আংশিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গ্রীনল্যান্ড কেনার আগ্রহের কারণে নতুন করে আলোচনায় এসেছে।গ্রীনল্যান্ড দীর্ঘদিন ধরে ডেনমার্কের আওতায় একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হিসেবে পরিচালিত হয়ে আসছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অঞ্চলটি ক্রমাগত তার স্বশাসন বাড়িয়ে চলেছে। স্বাধীনতার এই প্রস্তাব গ্রীনল্যান্ডের রাজনৈতিক অগ্রগতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত নির্দেশ করে।
বন্দুক নিয়ন্ত্রণে সুইডেনের কঠোর পদক্ষেপ
দ্য গার্ডিয়ান,
সুইডেনের ওরেব্রোতে সাম্প্রতিক এক বন্দুক হামলার পর সরকার বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইনকে কঠোর করার ঘোষণা দিয়েছে। এই ঘটনায় বহু লোক হতাহত হওয়ার পর দেশজুড়ে নিরাপত্তা ও বন্দুক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
প্রস্তাবিত নতুন নিয়মাবলি অনুযায়ী, মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা আরও কঠোর করা হবে, বেআইনি অস্ত্র রাখার জন্য শাস্তি বৃদ্ধি করা হবে এবং আগ্নেয়াস্ত্র ব্যাকগ্রাউন্ড চেক আরও কঠোর করা হবে।
সরকারের এই পদক্ষেপকে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একটি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সান্তোরিনিতে ভূমিকম্প পরিদর্শনে গ্রিক প্রধানমন্ত্রী, একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
দ্য গার্ডিয়ান,
সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিস সান্তোরিনি দ্বীপ পরিদর্শন করেছেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে পুনর্গঠনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন।
অন্যদিকে, দুই বছর আগে ঘটে যাওয়া একটি ট্রেন দুর্ঘটনার বিচার নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছে। বিক্ষোভকারীরা সরকারের অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর এই পরিদর্শন এবং বিক্ষোভ একসঙ্গে দেশের চলমান রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলোকে সামনে তুলে ধরছে।
নরওয়েজিয়ান লেবার পার্টির সমর্থন বেড়েছে, ফিরে এসেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী
দ্য গার্ডিয়ান,
নরওয়েজিয়ান লেবার পার্টি তাদের জনপ্রিয়তায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেন্স স্টলটেনবার্গের রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনের ফলে। তিনি বর্তমানে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
তার প্রত্যাবর্তন দলীয় কর্মী ও জনসাধারণের মধ্যে উচ্ছ্বাস সৃষ্টি করেছে এবং আসন্ন নির্বাচনের জন্য দলকে শক্তিশালী অবস্থানে এনেছে।বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তার নেতৃত্ব নরওয়ের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
জি৭ দেশগুলোর প্রতি রাশিয়ার জ্বালানি আয় কমানোর আহ্বান
দ্য গার্ডিয়ান,
বিশ্বের বারোটি দেশ জি৭ দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যেন তারা রাশিয়ার জ্বালানি আয় কমানোর জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করে।এটি রাশিয়ার সামরিক কার্যক্রমের আর্থিক উৎস সীমিত করার কৌশলের অংশ। প্রস্তাবিত পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের মূল্যে সীমা আরোপ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়ানো।
এই উদ্যোগ রাশিয়ার প্রতি আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ানোর একটি অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।