০১:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫
অপূরণীয় ক্ষতি: লিভারপুল তারকা ডিয়োগো জোটার সড়ক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু রুবিওর ছোট হয়ে যাওয়া জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ অপারেশন সিন্দুর: চার দিনের সংঘাতে ভারতের তিন প্রতিপক্ষ হিউএনচাঙ (পর্ব-১৩৯) আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক নিয়ে শেষ মুহূর্তের চাপ মানবে ভারত, দেখবে নিজস্ব স্বার্থ একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মৃত্যু কর্ণফুলী নদী: দুই শতকের ইতিহাস, জীববৈচিত্র্য ও ভবিষ্যতের টানেলে স্বপ্ন বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়ে গড়া আইএসের নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়ার দাবি মালয়েশিয়ার পুলিশের হোটেলে হামলা ও নারীদের হেনস্তার ভিডিও ভাইরালের পর যুবদল নেতা বহিষ্কার, কী জানা যাচ্ছে সালমান শাহ: চার বছরের রাজত্বে অমর এক নায়ক

দিনভর বিক্ষোভ, ক্ষমা চাইল পুলিশ, সন্ধ্যায় ছাত্র গুলিবিদ্ধ

  • Sarakhon Report
  • ০৮:৪২:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 20

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “দিনভর বিক্ষোভ, ক্ষমা চাইল পুলিশ, সন্ধ্যায় ছাত্র গুলিবিদ্ধ”

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে গতকাল শনিবার গাজীপুরে দিনভর বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি। বিক্ষোভের মুখে দায়িত্বে অবহেলার কথা স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন মহানগর পুলিশ কমিশনার। বিক্ষোভ শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে দুর্বৃত্তদের গুলিতে এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের ওপর শুক্রবার রাতের হামলার ঘটনায় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহার ও ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে। এক দিনের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এরপরই ঘটে গুলির ঘটনা।

গুলিবিদ্ধ মোবাশ্বের হোসেন (২৬) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাজীপুর জেলার একজন সদস্য ও ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের ছাত্র। তাঁর বাড়ি নগরের হারিনাল দক্ষিণপাড়া এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, শহরের জোর পুকুরপাড়ের দিক থেকে মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থাকা শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়।

গুলিতে আহত মোবাশ্বের হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে একে অপরের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছিলেন। তখন জোড় পুকুরপাড়ের দিক থেকে একটি মোটরসাইকেলে দুর্বৃত্তরা এসে হঠাৎ তাঁদের লক্ষ্য করে একটি গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। গুলিটি তাঁর ডান হাতের এক পাশে লাগে। আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

ওই হাসপাতালের চিকিৎসক মো. মনজুর মোর্শেদ সাংবাদিকদের জানান, গুলিটি লেগেছে মোবাশ্বের হোসেনের ডান বাহুতে। তিনি সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন।হাসপাতাল সূত্র জানায়, রাত ১১টার দিকে তাঁর অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতি চলছিল।

গাজীপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সিদ্দিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, একজন ছাত্রের হাতে গুলি লেগেছে। তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম”জাতীয় সংসদের আসন ৫০০ করার সুপারিশ”

দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট জাতীয় সংসদে ৫০০ আসন করার চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে নির্বাচন সংস্কার কমিশন। এছাড়া জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ ও নিম্ন কক্ষের সংসদ সদস্য এবং সব স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সরাসরি ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিধান করা সুপারিশ করেছে কমিশন। নির্দলীয় ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করার বিধান করার সুপারিশও রয়েছে।

এছাড়া সংবিধান সংশোধন করে স্থায়ী ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই জাতীয় কাউন্সিলের হাতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ও অন্যান্য ২০ জন উপদেষ্টা, নির্বাচন কমিশনসহ সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা রাখার সুপারিশ দিয়েছে এই সংস্কার কমিশন। এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ চার মাস এবং এই সরকারের অধীনে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন করার সুপারিশ করা হয়েছে। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কথা বলেছে ইসি সংস্কার কমিশন। রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত প্রথম ধাপের ছয় কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বে নির্বাচন সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়।

এদিকে আগামী ডিসেম্বরে সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ধরে অক্টোবরের মধ্যে যেসব প্রবাসী ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে তাদের পোস্টাল ব্যালটের মধ্যে আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য ‘অনলাইন ভোটিং ব্যবস্থা’ চালুর সুপারিশ করেছে ইসি সংস্কার কমিশন। কোনো আসনে মোট ভোটারের ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে পুনর্নির্বাচন; জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘না ভোটের’ বিধান প্রবর্তন এবং ‘না ভোট’ বিজয়ী হলে নির্বাচন বাতিল করার সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে গণভোটের বিধান আগামী সংসদে পাস করে নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন(ইসি)কে নির্বাচন স্থগিত এবং পুর্ননির্বাচনের ক্ষমতা দেওয়ার সুপারিশ রয়েছে প্রতিবেদনে। এছাড়া যারা ২০১৮ সালের জালিয়াতি ও ২০১৪ এবং ২০২৪ সালের একতরফা-পাতানো নির্বাচনের আয়োজন করেছিলেন। তাদের তদন্তসাপেক্ষে বিচারের আওতায় আনার সুপারিশ করেছে কমিশন। এছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে কমিশনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে রেফারেন্স পাঠিয়ে ৯০ দিনের জন্য নির্বাচন স্থগিত করার সুপারিশ করা হয়েছে।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম”নতুন বিনিয়োগের চিন্তা করছেন না উদ্যোক্তারা”

তবে তাতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে না এলেও মূলধনপ্রবাহ কমে শ্লথ হয়ে পড়েছে বেসরকারি খাতের সম্প্রসারণ। দেশের বৃহৎ শিল্পোদ্যোক্তারা বলছেন, গত ছয় মাসে দেশের অর্থনীতি ও বিনিয়োগ পরিবেশে খুব একটা স্বস্তির জায়গা তৈরি হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে নতুন বিনিয়োগ থেকে নিজেদের বিরত রাখছেন উদ্যোক্তারা।

তাদের ভাষ্যমতে, উদ্যোক্তাদের যারই বড় ধরনের ব্যাংক ঋণ রয়েছে, সুদহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার মধ্যে উদ্বেগও বাড়ছে। সরকার স্থানীয় ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সমস্যাগুলো কার্যকরভাবে অনুধাবন করতে পারছে না। এ কারণে এখন নতুন বিনিয়োগের চিন্তা কেউ করছে না। যে দুয়েকজন উদ্যোক্তা সম্প্রসারণ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করেছিলেন, তারাও এখন ভয়ে আছেন। ফলে উৎপাদন ও বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি সংকুচিত হয়েছে অন্তত ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত। ব্যবসার পরিস্থিতি কোনো কোনো ক্ষেত্রে আগের চেয়ে খারাপ। রাজনীতিতে এখনো ফলপ্রসূ কোনো কিছু অর্জন হয়নি। বিষয়গুলো নিয়ে নীতিনির্ধারকদের জোর পদক্ষেপ গ্রহণ এখন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি গ্রহণ করেছে সরকার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরু থেকে ক্রমাগতভাবে ব্যাংক ঋণের সুদহার বাড়ছে। এরই মধ্যে নীতি সুদহার (রেপো রেট) ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি প্রণয়নের কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শিগগিরই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণার কথা রয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে নতুন মুদ্রানীতিতেও সুদহার আরো বাড়ানোর ঘোষণা আসতে পারে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে আভাস দেয়া হয়েছে।

বাড়তি সুদহারের বিষয়টি উদ্যোক্তাদের দুশ্চিন্তায় ফেলে দিচ্ছে উল্লেখ করে স্কয়ার গ্রুপের পরিচালক তপন চৌধুরী বণিক বার্তাকে বলেন, ‘সার্বিকভাবে পরিস্থিতি অনিশ্চিত ও স্বস্তি নেই। অর্থনীতিতেও তাই। নতুন বিনিয়োগের চিন্তা এখন কেউ করছে না। অনেকে সম্প্রসারণ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করে ভয়ের মধ্যে আছে। যাদের ব্যাংক ঋণ আছে তারা ঋণ পরিশোধ নিয়ে চিন্তিত। অনেক ব্যাংক আছে যেগুলোর অবস্থাও ভালো না। অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে যথেষ্ট অভিজ্ঞতাসম্পন্ন লোক রয়েছেন। তারা যখন দায়িত্ব নিয়েছেন তখন দেশের অর্থনীতির অবস্থা নাজুক অবস্থায় পেয়েছেন। এ পরিস্থিতিকে গুছিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগছে।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “পাঠ্যবইয়ের তথ্য এবং মানচিত্র নিয়ে চীনের আপত্তি, সংশোধনে সময় চায় বাংলাদেশ”

বাংলাদেশের দুটি পাঠ্যবই ও জরিপ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এশিয়ার মানচিত্রে অরুণাচল প্রদেশ ও আকসাই চীনকে ভারতের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে চীন। বেইজিং বলছে, প্রাচীনকাল থেকেই এগুলো চীনের অংশ। তাদের মতে, এটি স্পষ্টত ‘তথ্য বিভ্রাট’। বেইজিং আরও অভিযোগ করেছে যে, বাংলাদেশের পাঠ্যবই ও জরিপ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে হংকং এবং তাইওয়ানকে চীনের অংশ না দেখিয়ে স্বতন্ত্র দেশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। যা অসত্য। কূটনৈতিক সূত্রগুলো মানবজমিনকে জানিয়েছে, গত নভেম্বরে জরিপ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত মানচিত্র এবং পাঠ্যবইয়ের ভুল সংশোধনের অনুরোধ করে চিঠি পাঠায় চীন। তাৎক্ষণিক জবাবে বাংলাদেশ বিষয়গুলো সংশোধনে সময় চেয়েছে। সূত্র মতে, চীন আপত্তির পরপরই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়গুলো শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) দায়িত্বশীলদের নজরে এনেছে। এনসিটিবির তরফে বলা হয়, এরই মধ্যে নতুন বই ছাপানোর প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেছে। ফলে আন্তরিকতা থাকলেও নানা কারণে এবার আর সেই ভুল সংশোধনের সুযোগ নেই। তাছাড়া জরীপ অধিদপ্তরের মানচিত্রের বিষয়টিও জটিল। সব মিলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এ নিয়ে চাপ না বাড়াতে বেইজিংকে অনুরোধ করেছে ঢাকা।

 

অপূরণীয় ক্ষতি: লিভারপুল তারকা ডিয়োগো জোটার সড়ক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু

দিনভর বিক্ষোভ, ক্ষমা চাইল পুলিশ, সন্ধ্যায় ছাত্র গুলিবিদ্ধ

০৮:৪২:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “দিনভর বিক্ষোভ, ক্ষমা চাইল পুলিশ, সন্ধ্যায় ছাত্র গুলিবিদ্ধ”

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে গতকাল শনিবার গাজীপুরে দিনভর বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি। বিক্ষোভের মুখে দায়িত্বে অবহেলার কথা স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন মহানগর পুলিশ কমিশনার। বিক্ষোভ শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে দুর্বৃত্তদের গুলিতে এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের ওপর শুক্রবার রাতের হামলার ঘটনায় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহার ও ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে। এক দিনের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এরপরই ঘটে গুলির ঘটনা।

গুলিবিদ্ধ মোবাশ্বের হোসেন (২৬) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাজীপুর জেলার একজন সদস্য ও ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের ছাত্র। তাঁর বাড়ি নগরের হারিনাল দক্ষিণপাড়া এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, শহরের জোর পুকুরপাড়ের দিক থেকে মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থাকা শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়।

গুলিতে আহত মোবাশ্বের হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে একে অপরের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছিলেন। তখন জোড় পুকুরপাড়ের দিক থেকে একটি মোটরসাইকেলে দুর্বৃত্তরা এসে হঠাৎ তাঁদের লক্ষ্য করে একটি গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। গুলিটি তাঁর ডান হাতের এক পাশে লাগে। আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

ওই হাসপাতালের চিকিৎসক মো. মনজুর মোর্শেদ সাংবাদিকদের জানান, গুলিটি লেগেছে মোবাশ্বের হোসেনের ডান বাহুতে। তিনি সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন।হাসপাতাল সূত্র জানায়, রাত ১১টার দিকে তাঁর অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতি চলছিল।

গাজীপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সিদ্দিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, একজন ছাত্রের হাতে গুলি লেগেছে। তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম”জাতীয় সংসদের আসন ৫০০ করার সুপারিশ”

দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট জাতীয় সংসদে ৫০০ আসন করার চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে নির্বাচন সংস্কার কমিশন। এছাড়া জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ ও নিম্ন কক্ষের সংসদ সদস্য এবং সব স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সরাসরি ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিধান করা সুপারিশ করেছে কমিশন। নির্দলীয় ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করার বিধান করার সুপারিশও রয়েছে।

এছাড়া সংবিধান সংশোধন করে স্থায়ী ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই জাতীয় কাউন্সিলের হাতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ও অন্যান্য ২০ জন উপদেষ্টা, নির্বাচন কমিশনসহ সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা রাখার সুপারিশ দিয়েছে এই সংস্কার কমিশন। এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ চার মাস এবং এই সরকারের অধীনে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন করার সুপারিশ করা হয়েছে। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কথা বলেছে ইসি সংস্কার কমিশন। রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত প্রথম ধাপের ছয় কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বে নির্বাচন সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়।

এদিকে আগামী ডিসেম্বরে সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ধরে অক্টোবরের মধ্যে যেসব প্রবাসী ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে তাদের পোস্টাল ব্যালটের মধ্যে আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য ‘অনলাইন ভোটিং ব্যবস্থা’ চালুর সুপারিশ করেছে ইসি সংস্কার কমিশন। কোনো আসনে মোট ভোটারের ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে পুনর্নির্বাচন; জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘না ভোটের’ বিধান প্রবর্তন এবং ‘না ভোট’ বিজয়ী হলে নির্বাচন বাতিল করার সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে গণভোটের বিধান আগামী সংসদে পাস করে নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন(ইসি)কে নির্বাচন স্থগিত এবং পুর্ননির্বাচনের ক্ষমতা দেওয়ার সুপারিশ রয়েছে প্রতিবেদনে। এছাড়া যারা ২০১৮ সালের জালিয়াতি ও ২০১৪ এবং ২০২৪ সালের একতরফা-পাতানো নির্বাচনের আয়োজন করেছিলেন। তাদের তদন্তসাপেক্ষে বিচারের আওতায় আনার সুপারিশ করেছে কমিশন। এছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে কমিশনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে রেফারেন্স পাঠিয়ে ৯০ দিনের জন্য নির্বাচন স্থগিত করার সুপারিশ করা হয়েছে।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম”নতুন বিনিয়োগের চিন্তা করছেন না উদ্যোক্তারা”

তবে তাতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে না এলেও মূলধনপ্রবাহ কমে শ্লথ হয়ে পড়েছে বেসরকারি খাতের সম্প্রসারণ। দেশের বৃহৎ শিল্পোদ্যোক্তারা বলছেন, গত ছয় মাসে দেশের অর্থনীতি ও বিনিয়োগ পরিবেশে খুব একটা স্বস্তির জায়গা তৈরি হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে নতুন বিনিয়োগ থেকে নিজেদের বিরত রাখছেন উদ্যোক্তারা।

তাদের ভাষ্যমতে, উদ্যোক্তাদের যারই বড় ধরনের ব্যাংক ঋণ রয়েছে, সুদহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার মধ্যে উদ্বেগও বাড়ছে। সরকার স্থানীয় ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সমস্যাগুলো কার্যকরভাবে অনুধাবন করতে পারছে না। এ কারণে এখন নতুন বিনিয়োগের চিন্তা কেউ করছে না। যে দুয়েকজন উদ্যোক্তা সম্প্রসারণ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করেছিলেন, তারাও এখন ভয়ে আছেন। ফলে উৎপাদন ও বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি সংকুচিত হয়েছে অন্তত ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত। ব্যবসার পরিস্থিতি কোনো কোনো ক্ষেত্রে আগের চেয়ে খারাপ। রাজনীতিতে এখনো ফলপ্রসূ কোনো কিছু অর্জন হয়নি। বিষয়গুলো নিয়ে নীতিনির্ধারকদের জোর পদক্ষেপ গ্রহণ এখন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি গ্রহণ করেছে সরকার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরু থেকে ক্রমাগতভাবে ব্যাংক ঋণের সুদহার বাড়ছে। এরই মধ্যে নীতি সুদহার (রেপো রেট) ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি প্রণয়নের কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শিগগিরই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণার কথা রয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে নতুন মুদ্রানীতিতেও সুদহার আরো বাড়ানোর ঘোষণা আসতে পারে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে আভাস দেয়া হয়েছে।

বাড়তি সুদহারের বিষয়টি উদ্যোক্তাদের দুশ্চিন্তায় ফেলে দিচ্ছে উল্লেখ করে স্কয়ার গ্রুপের পরিচালক তপন চৌধুরী বণিক বার্তাকে বলেন, ‘সার্বিকভাবে পরিস্থিতি অনিশ্চিত ও স্বস্তি নেই। অর্থনীতিতেও তাই। নতুন বিনিয়োগের চিন্তা এখন কেউ করছে না। অনেকে সম্প্রসারণ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করে ভয়ের মধ্যে আছে। যাদের ব্যাংক ঋণ আছে তারা ঋণ পরিশোধ নিয়ে চিন্তিত। অনেক ব্যাংক আছে যেগুলোর অবস্থাও ভালো না। অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে যথেষ্ট অভিজ্ঞতাসম্পন্ন লোক রয়েছেন। তারা যখন দায়িত্ব নিয়েছেন তখন দেশের অর্থনীতির অবস্থা নাজুক অবস্থায় পেয়েছেন। এ পরিস্থিতিকে গুছিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগছে।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “পাঠ্যবইয়ের তথ্য এবং মানচিত্র নিয়ে চীনের আপত্তি, সংশোধনে সময় চায় বাংলাদেশ”

বাংলাদেশের দুটি পাঠ্যবই ও জরিপ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এশিয়ার মানচিত্রে অরুণাচল প্রদেশ ও আকসাই চীনকে ভারতের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে চীন। বেইজিং বলছে, প্রাচীনকাল থেকেই এগুলো চীনের অংশ। তাদের মতে, এটি স্পষ্টত ‘তথ্য বিভ্রাট’। বেইজিং আরও অভিযোগ করেছে যে, বাংলাদেশের পাঠ্যবই ও জরিপ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে হংকং এবং তাইওয়ানকে চীনের অংশ না দেখিয়ে স্বতন্ত্র দেশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। যা অসত্য। কূটনৈতিক সূত্রগুলো মানবজমিনকে জানিয়েছে, গত নভেম্বরে জরিপ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত মানচিত্র এবং পাঠ্যবইয়ের ভুল সংশোধনের অনুরোধ করে চিঠি পাঠায় চীন। তাৎক্ষণিক জবাবে বাংলাদেশ বিষয়গুলো সংশোধনে সময় চেয়েছে। সূত্র মতে, চীন আপত্তির পরপরই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়গুলো শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) দায়িত্বশীলদের নজরে এনেছে। এনসিটিবির তরফে বলা হয়, এরই মধ্যে নতুন বই ছাপানোর প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেছে। ফলে আন্তরিকতা থাকলেও নানা কারণে এবার আর সেই ভুল সংশোধনের সুযোগ নেই। তাছাড়া জরীপ অধিদপ্তরের মানচিত্রের বিষয়টিও জটিল। সব মিলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এ নিয়ে চাপ না বাড়াতে বেইজিংকে অনুরোধ করেছে ঢাকা।