সারাক্ষণ রিপোর্ট
সারাংশ
- গত দুই সপ্তাহ ধরে দেশের পুঁজিবাজার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় রয়েছে।
- বৃহস্পতিবার টানা তিন সপ্তাহ পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক ডিএসইএক্স ৫,২০০ পয়েন্ট অতিক্রম করেছে।
- কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি সুদহার অপরিবর্তিত রাখা ও মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে আসায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়েছে।
সূচকের ওঠানামা
- ডিএসইএক্স সূচক দুই সপ্তাহে প্রায় ৮৮ পয়েন্ট বেড়েছে।
- সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচক ২২ পয়েন্ট বা ০.৪৩% বেড়ে ৫,২০১ পয়েন্টে পৌঁছায়।
- বাজারমূলধন (মার্কেট ক্যাপ) বেড়ে ৬,৮৯৭ বিলিয়ন টাকায় পৌঁছেছে, যা আগের তুলনায় ২৪৯ বিলিয়ন টাকা বেশি।
বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও বিশ্লেষকদের মতামত
- কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদহার ১০% অপরিবর্তিত রেখেছে, যার ফলে বিনিয়োগকারীরা স্বস্তি পেয়েছেন।
- মূল্যস্ফীতি কমে আসা ও ট্রেজারি বন্ডের আয় হ্রাসকেও ইতিবাচক সংকেত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
- কিছু ভালো কোম্পানির ইতিবাচক আয়-প্রকাশ বাজারকে আরও চাঙ্গা করেছে।
শেয়ারবাজারে লেনদেন ও প্রবণতা
- লেনদেন (টার্নওভার) সামান্য কমে ২১.০৭ বিলিয়ন টাকায় দাঁড়িয়েছে।
- প্রতিদিনের গড় লেনদেন ৪.২১ বিলিয়ন টাকা।
- বস্ত্র খাতে সবচেয়ে বেশি (১৬%) লেনদেন হয়েছে, এরপর ফার্মাসিউটিক্যালস ও ব্যাংক খাতে ১২% করে।
খাতভিত্তিক বিশ্লেষণ
- বিদ্যুৎ খাতের দর সবচেয়ে বেশি (২.৩৩%) বেড়েছে।
- টেলিকম, ফার্মা, প্রকৌশল ও খাদ্য খাতেও উত্থান আছে।
- নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত (এনবিএফআই) সবচেয়ে বেশি ১.৫% হারিয়েছে, ব্যাংক খাত ০.০৬% কমেছে।
রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয় ও অন্যান্য সূচক
- রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বেড়ে যাওয়া, মূল্যস্ফীতি ও সরকারি সিকিউরিটিজের সুদহার কমে আসা—সবমিলিয়ে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
- ট্রেজারি বিলের সুদহার জানুয়ারিতে ১১% থেকে নেমে আসায় ভবিষ্যতে ব্যাংক আমানত ও ঋণের সুদহারও কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
জাঙ্ক শেয়ারের উত্থান
- শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে অর্ধেকই জাঙ্ক শেয়ার, যেগুলো ১২.৮% থেকে ২৮.৭% পর্যন্ত বেড়েছে।
- অনেক অচল বা লোকসানে থাকা কোম্পানি অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে, যা বিশ্লেষকরা সম্ভাব্য কারসাজি হিসেবে দেখছেন।