সারাক্ষণ ডেস্ক
আদানি গ্রুপের পাকিস্তান সীমান্তে একটি বিদ্যুত প্রকল্প নির্মাণের খবর সম্প্রতি আলোচনা সৃষ্টি করেছে। গুজরাটের কচ্ছের রণ এলাকায় এই প্রকল্পটি তৈরি হচ্ছে, যা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার ওপর প্রশ্ন তুলছে। গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় সরকার সীমান্ত নিরাপত্তা নীতিতে পরিবর্তন এনে আদানি গ্রুপকে এই প্রকল্পটির জন্য অনুমতি দিয়েছে।
আদানি গ্রুপের শক্তি প্রকল্প
গার্ডিয়ান এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, আদানি গ্রুপ পাকিস্তান সীমান্তের এক কিলোমিটার কাছাকাছি কচ্ছের খাভদা এলাকায় বিশ্বের বৃহত্তম নবায়নযোগ্য শক্তি পার্ক স্থাপন করছে। এই এলাকায় আগে কোনো নির্মাণ কাজের অনুমতি ছিল না, কিন্তু গুজরাট সরকার ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রী দফতরে চিঠি পাঠিয়ে সীমান্তের কাছে জমি ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছিল।
এরপর, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে এক গোপন বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকার আগস্ট মাসের মধ্যে নিরাপত্তা নীতিতে পরিবর্তন আনে, যার ফলে আদানি গ্রুপ এই জমির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে।
কংগ্রেসের সমালোচনা
এই প্রকল্প নিয়ে কংগ্রেস সরকারকে তীব্র সমালোচনা করেছে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খরগে মন্তব্য করেছেন, “এই সরকার জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করেছে শুধুমাত্র কিছু ব্যক্তিগত বিলিয়নিয়ারদের লাভের জন্য।” প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদরা আরও প্রশ্ন তুলেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর ‘বন্ধু’দের সুবিধার জন্য কি সীমান্ত নিরাপত্তা নীতিগুলি পরিবর্তন করা হচ্ছে?”
অতীতের আলো
২০১৪ সালে, আদানি গ্রুপ কচ্ছ এলাকায় ১০,০০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করার পরিকল্পনা করেছিল, এবং এর অধিকাংশ বিদ্যুৎ পাকিস্তানে রপ্তানি হওয়ার কথা ছিল। তবে, এই প্রকল্পটির অগ্রগতি খুব কম হয়েছিল এবং পরে, আদানি গ্রুপ আশা করেছিল যে নতুন এনডিএ সরকারের অধীনে এটি বাস্তবায়িত হবে।
উপসংহার
আদানি গ্রুপেরএ প্রকল্প নিয়ে ভারতে বিতর্ক উঠেছে, বিশেষ করে জাতীয় নিরাপত্তার ওপর এর প্রভাব নিয়ে। কংগ্রেস এবং বিরোধী দলের পক্ষ থেকে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে, এবং তারা সীমান্ত নিরাপত্তা নীতির পরিবর্তন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
প্রকাশিত: Dawn, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫