সারাক্ষণ রিপোর্ট
সারাংশ
- আগামী বাজেটে করের হার বাড়ানো ছাড়াই কর নেট সম্প্রসারণের ওপর জোর দেওয়া হবে
- বাংলাদেশ পঞ্চম কিস্তির অধীনে ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ কর্মসূচির মধ্যে প্রায় ৫৩০ মিলিয়ন ডলার পাওয়ার প্রত্যাশা করছে
- ৬৪৫ মিলিয়ন ডলারের ঋণের চতুর্থ কিস্তি ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আসার কথা ছিলো বলে জানা গিয়েছিলো সেখানেও বিলম্ব ঘটে
- জাতীয় বোর্ড অব রেভিনিউ (এনবিআর) ও স্থানীয় কর্মকর্তারা কর ফাঁকিবাজদের শনাক্ত করার জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে পারেন
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বর্তমানে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচি পরিচালনায় রয়েছে। এর চতুর্থ কিস্তির অর্থ বিতরণে বিলম্ব ঘটছে, যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।তবে মনে করা হচ্ছে, বাংলাদেশের জন্যে বরাদ্দ আইএমএফ এর ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির প্রস্তাব আগামী জুনে বোর্ডে উপস্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে , তবে বিষয়টির এখনও কোন নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
-
- অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এ ঋন সংগ্রহ করতে হলে অনেক শর্ত পূরণ করতে হয় এবং তা আমাদের নিজস্ব তাগিদে করতে হয়। শর্ত থাকলে তা পালন করা বাধ্যতামূলক, তাছাড়া এ ঋন সহজে পাওয়া যায় না।”
প্রাথমিক সময়সূচি পরিবর্তন:
-
- পূর্বের পরিকল্পনা অনুযায়ী,চতুর্থ কিস্তির ঋণ মার্চে আসার কথা ছিল, কিন্তু কিছু অপ্রত্যাশিত জটিলতার কারণে তা বিলম্বিত হয়েছে।
২. চতুথ কিস্তি : প্রক্রিয়া ও বিলম্ব
- প্রথম সময়সূচি:
- ৫ ফেব্রুয়ারিতে আইএমএফ নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ার প্রস্তাব উঠার কথা ছিল। ৬৪৫ মিলিয়ন ডলারের ঋণের চতুর্থ কিস্তি ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আসার কথা ছিলো বলে জানা গিয়েছিলো সেখানেও বিলম্ব ঘটে।
- এ বিলম্বের পরে প্রস্তাবটি ১২ মার্চে উঠার কথা ছিল, তবে সেই তারিখও এটা উঠবে না বলে গেছে।
- বর্তমান অবস্থা:
- এ বিষয়ের বৈঠকটি মার্চ মাস পর্যন্ত স্থগিত রয়েছে, যার ফলে চতুর্থ ধারার বিষয়টি তখন আলোচনার আওতায় থাকবে না।
৩. পঞ্চম কিস্তি ও অর্থায়ন
- অর্থায়নের পরিমাণ:
- বাংলাদেশ পঞ্চম কিস্তির অধীনে ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ কর্মসূচির মধ্যে প্রায় ৫৩০ মিলিয়ন ডলার পাওয়ার প্রত্যাশা করছে।
- ঋণের প্রয়োজনীয়তা:
- এই ঋণ প্যাকেজ দেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ দ্রুত হ্রাসের সময় প্রদান করা হয়েছিল।
৪. দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা
- বিদেশী ঋণের সংগ্রহের চ্যালেঞ্জ:
- বিদেশী ঋণ পাওয়ার জন্য অনেক শর্ত পূরণ করতে হয়।
- তবে, সরকার আইএমএফ-এর সব শর্ত মেনে নেবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।
৫. কর সংগ্রহ ও নেট সম্প্রসারণের উদ্যোগ
- কর পরিশোধে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ী:
- গ্রাম ও উপজেলায় অনেক ব্যবসায়ী কর দিতে অনিচ্ছুক, এবং কিছু ক্ষেত্রে পেশাজীবীরা নগদ লেনদেন করে রসিদ না দিয়ে কাজ করে, ফলে লেনদেন হিসাব থেকে বাদ পড়ে।
- প্রস্তাবিত সমাধান:
- ডিজিটাল লেনদেন রেকর্ড বজায় রাখার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
- জাতীয় বোর্ড অব রেভিনিউ (এনবিআর) ও স্থানীয় কর্মকর্তারা কর ফাঁকিবাজদের শনাক্ত করার জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে পারেন।
- ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
- আগামী বাজেটে করের হার বাড়ানো ছাড়াই কর নেট সম্প্রসারণের ওপর জোর দেওয়া হবে।
- বর্তমানে প্রায় ৫ মিলিয়ন শিল্প প্রতিষ্ঠান থাকলেও মাত্র ০.৫ মিলিয়ন কর প্রদান করছে।
- সরাসরি কর বৃদ্ধি ও পরোক্ষ কর কমানোর দিকে বিশেষ মনোযোগ থাকবে।
সারসংক্ষেপ
আইএমএফ ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ কিস্তির অর্থ এখনই মিলছে না। মার্চে প্রস্তাব না উঠার কারণে আগামী জুনে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ার প্রস্তাব একসঙ্গে উঠবে বলে পরিকল্পনা চলছে।
অর্থ উপদেষ্টার বিদেশী ঋণ সংগ্রহে বেশ কিছু শর্ত এবং চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যার মধ্যে কর সংগ্রহ ও নেট সম্প্রসারণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা বিদ্যমান।