সারাক্ষণ রিপোর্ট
সারাংশ
১. ২০২৪ সালের শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঋণ ৫৬% বেড়ে ২৪০.২৮৩ বিলিয়ন টাকায় পৌঁছেছে, আর জমা ১৫.৪০% বৃদ্ধি পেয়ে ৪১৯.৫৫৮ বিলিয়ন হয়েছে।
২. ৬৫% ঋণ গ্রামে বিতরণ হয়েছে, যা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে। রেমিট্যান্স ২১.১৬% বেড়ে ১.৭৩৩ ট্রিলিয়ন টাকায় পৌঁছেছে।
৩. ৩১টি ব্যাংকের ১৬,০২১ এজেন্ট ২১,২৪৮টি আউটলেট পরিচালনা করছে, যার ৮৬% গ্রামীণ অঞ্চলে। লোন-টু-ডিপোজিট অনুপাত ৫৭.২৭%।
৪.৫০% এর বেশি গ্রাহক নারী, যারা জমা, ঋণ ও রেমিট্যান্স সেবায় উপকৃত হচ্ছে। এজেন্ট ব্যাংকিং খরচ কমিয়ে ব্যবসা সম্প্রসারণে সহায়ক হচ্ছে।
এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রামীণ অঞ্চলে সরকারি ঋণ, জমা সংগ্রহ ও বিদেশ থেকে আসা রেমিট্যান্সের মাধ্যমে আর্থিক সেবায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। এই ব্যবস্থা বিশেষ করে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।যার মধ্যে সব থেকে এগিয়ে আছে নারীরা।
ঋণ ও জমার বৃদ্ধি
- ঋণের বৃদ্ধি:
ডিসেম্বর ২০২৪-এর শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঋণের পরিমাণ前年ের তুলনায় ৫৬% বৃদ্ধি পেয়ে ২৪০.২৮৩ বিলিয়ন টাকায় পৌঁছেছে (ডিসেম্বর ২০২৩-এ ছিল ১৫৪.০৮৩ বিলিয়ন টাকা)। - জমার প্রবৃদ্ধি:
একই সময়ে জমার পরিমাণ ১৫.৪০% বৃদ্ধি পেয়ে ৪১৯.৫৫৮ বিলিয়ন টাকায় উঠেছে, যা পূর্ব বছরের ৩৬৩.৫৮১ বিলিয়নের চেয়ে বেশী।
গ্রামীণ উন্নয়ন ও সামাজিক প্রভাব
প্রায় ৬৫% ঋণ গ্রামীণ এলাকায় প্রদান করা হয়েছে, যেখানে আগে সরকারি ঋণের সুযোগ খুব সীমিত ছিল। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রামীণ অঞ্চলে সহজে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ সহায়তা মিলছে।
রেমিট্যান্স প্রবাহ
বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশীদের প্রেরিত রেমিট্যান্সে ২১.১৬% বৃদ্ধি দেখা গেছে। ডিসেম্বর ২০২৪-এ এজেন্ট ব্যাংকিং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ১.৭৩৩ ট্রিলিয়ন টাকা রেমিট্যান্স প্রেরণ করা হয়েছে, যা পূর্ব বছরের ১.৪৩১ ট্রিলিয়নের তুলনায় বেশি।
এজেন্ট ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক ও কার্যক্রম
- নেটওয়ার্ক বিস্তার:
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৩১টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ১৬,০২১ জন এজেন্ট পরিচালিত মোট ২১,২৪৮টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট রয়েছে, যার প্রায় ৮৬% গ্রামীণ এলাকায় অবস্থিত। - লোন-টু-ডিপোজিট অনুপাত:
Q4 ২০২৪-এ এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের লোন-টু-ডিপোজিট অনুপাত ছিল ৫৭.২৭%, যা পূর্ব চতুর্দিকে ৩.৯২% বৃদ্ধি পেয়েছে।
মহিলাদের ক্ষমতায়ন
এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবস্থায় গ্রাহকদের মধ্যে ৫০% এরও বেশি মহিলা রয়েছে। এই সেবা গ্রহণের মাধ্যমে গ্রামীণ মহিলারা জমা, ঋণ, রেমিট্যান্স ও বিল পরিশোধের মত ব্যাংকিং কার্যক্রম সহজে সম্পাদন করতে সক্ষম হচ্ছে, যা তাদের আর্থিক ক্ষমতায়নকে জোর দিচ্ছে।
ব্যাংকিং খাতের দৃষ্টিভঙ্গি
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এক পরিচালক জানিয়েছেন যে, তাঁর ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং উইন্ডোর মাধ্যমে ৫০% এরও বেশি রেমিট্যান্স গ্রহণ করা হচ্ছে। তিনি এ ব্যবস্থা খরচ কমানো এবং ব্যবসা সম্প্রসারণে সহায়ক হওয়ার ব্যাপারে গুরুত্ব সহকারে মন্তব্য করেছেন।
উপসংহার
২০১৩ সালে চালু করা এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবস্থা সুবিধাহীন জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ ও সাশ্রয়ী ব্যাংকিং সেবার বিকল্প হিসেবে কাজ করছে। এটি আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধিতে এবং গ্রামীণ ব্যবসার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।