সারাক্ষণ রিপোর্ট
চীন জানিয়েছে যে, বাংলাদেশ সরকার ইচ্ছুক হলে তারা স্থগিত তিস্তা নদীর জলব্যবস্থাপনা ( তিস্তা ব্যারেজ) প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করতে প্রস্তুত। ঢাকায় চীনের দূত অভ্যর্থনা-বক্তব্যে নতুন সহযোগিতার সম্ভাবনা প্রকাশ পায়।
উত্তরাঞ্চলের পাঁচটি জেলার ১১টি স্থানে হাজার হাজার সাধারণ নাগরিক, রাজনীতিবিদ এবং নাগরিক অধিকার কর্মী তৎক্ষণাৎ নদীর জলব্যবস্থাপনা মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের দাবি নিয়ে একত্রিত হয়। এই আন্দোলনটি তিস্তা নদী সুরক্ষা আন্দোলনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে।
প্রায় এক দশক পূর্বে, ভারতের সাথে নদীর পানির সমবণ্টনের চুক্তি স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া কেন্দ্র-রাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিরোধের কারণে শেষ মুহূর্তে থেমে যায়। প্রতিবাদকারীরা অভিযোগ করেন যে, উপরের বাঁধ নির্মাণের ফলে নদীর প্রবাহ একপাক্ষিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় নিয়মিত বন্যা ও তীব্র ক্ষয়ক্ষতির সৃষ্টি হচ্ছে।
চীনের দূতের বক্তব্য ও প্রস্তাব
চীনের রাষ্ট্রদূত জাও ওয়েন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন,
“তিস্তা প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়ন জরুরি, যাতে নদীর তীরে বসবাসকারী হাজারো মানুষ উপকৃত হতে পারেন।”
তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন যে, প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত একেবারে বাংলাদেশ সরকারের উপর নির্ভর করে, কারণ তারা একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র।
২০২১ সালে বাংলাদেশ তীস্তা প্রকল্পের জন্য চীনের সহযোগিতা চেয়ে একটি প্রস্তাব পাঠায়। এরপর, ২০২৩ সালে প্রকল্প মূল্যায়নের পর চীন জানায় যে, প্রকল্পে কিছু অপ্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে যা সংশোধন করা উচিত। তবে, তখন থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
বাণিজ্য, অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিনিয়োগ
চীন জানিয়েছে যে, প্রাক্তন সরকারের সময় বাণিজ্য সুবিধার জন্য ২.০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু বর্তমান সরকার এখনও আলোচনা শুরু করেনি।
চীন বাংলাদেশের তাজা আম, গাব, কাঁঠাল ও জলজ খাদ্যের আমদানি প্রক্রিয়া দ্রুততর করছে এবং আশা করা হচ্ছে মে মাস থেকেই এই বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে।