০৪:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
এ বছর গ্রামীণ ও উপশহর এলাকায় ডেঙ্গুর বিস্তার কেন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে? চেকিয়ার জাতীয় ব্ল্যাকআউট: তদন্তে নেমেছে কর্তৃপক্ষ ঢাকা জনঘনত্বের দিক থেকে ৩০ কোটি মানুষের নগরী? সোশ্যাল মিডিয়া: এক প্রজন্মকে হতাশা, অমনোযোগ, অলসতা ও বৈষম্য’র দিকে ঠেলে দেওয়া এনজিওর নামে শোষণ: বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষের দুর্দশার গল্প মালয়েশিয়ায় ধরা পড়া বাংলাদেশী জঙ্গীরা “বাংলাদেশ ইসলামিক স্টেট” (আইএস)কে অর্থ পাঠাতো: মালয়েশিয়ান আইজিপি টানা বৃষ্টিতে সবজি ও ফসলের অবস্থা: কোন কোন এলাকা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত, বাজারে মূল্যবৃদ্ধি বাংলাদেশে ধর্ষণ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, প্রশ্নের মুখে রাষ্ট্রের ভূমিকা প্রতিদিন একটি রুমাল (পর্ব-২৬) তারল্য সংকটের নতুন ডোমিনো ও মধ্যবিত্তের দুর্ভাবনা

নতুন দলের ঘোষণা হতে পারে ২৬ ফেব্রুয়ারি

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 21

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “নতুন দলের ঘোষণা হতে পারে ২৬ ফেব্রুয়ারি”

জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে নতুন যে রাজনৈতিক দল আসতে যাচ্ছে, সেই দলের কাঠামো এখনকার মতোই থাকছে। অর্থাৎ এই দুই প্ল্যাটফর্মের বর্তমান যে কাঠামো (আহ্বায়ক, সদস্যসচিব, মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র), সেটা থাকছে। আহ্বায়ক হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নাম চূড়ান্ত হয়েছে। পরের পদগুলোর জন্য জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখভাগের কয়েকজন নেতার নাম আলোচনায় আছে।

একজন দায়িত্বশীল নেতা জানান, নতুন দলের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের আয়োজনটি হতে পারে ২৬ ফেব্রুয়ারি। ঢাকায় অনুষ্ঠান করে দলের ঘোষণা দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানটি হতে পারে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে।

নতুন দলের আহ্বায়কের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য নাহিদ ইসলাম যেকোনো সময় সরকার থেকে পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির দায়িত্বশীল তিন নেতা। গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে তাঁরা জানান, সদস্যসচিব পদে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অধিকাংশ নেতার পছন্দ আখতার হোসেনকে। মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র পদের জন্য আলোচনায় আছেন সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম”মোহাম্মদপুরে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২ জন নিহত”

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলার চাঁদ উদ্যানে যৌথবাহিনীর অভিযানে দুজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

মোহাম্মদপুর থানার ডিউটি অফিসার জানান, দুজন নিহত হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। চাঁদ উদ্যানে যৌথ বাহিনীর সাথে ঘটনাটি ঘটেছে

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানান, যৌথবাহিনীর নিয়মিত টহলের সময়ে কিছু অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী যৌথবাহিনীর সদস্যদের ওপর অতর্কিত গুলি চালায়। এসময় যৌথবাহিনীর সদস্যরা পালটা গুলি চালালে দুজন নিহত হয়।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম”সরকারের বিদেশী ঋণ পরিশোধ খরচ বছরে ৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে”

সে অনুযায়ী, এক বছরের ব্যবধানে সরকারের বিদেশী ঋণ পরিশোধ বাবদ ব্যয় বেড়েছে ২৭ শতাংশের বেশি। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে সরকারের মোট বিদেশী ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৮ দশমিক ১৮ বিলিয়ন (৭ হাজার ৮১৮ কোটি) ডলারে।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস (জুলাই-ডিসেম্বর) শেষে এ বিদেশী ঋণের পরিমাণ ৮০ বিলিয়ন (৮ হাজার কোটি) ডলার ছাড়িয়ে গেছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে সরকার নতুন বিদেশী ঋণের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে ২০০ কোটি ডলারের বেশি। এ সময় বাংলাদেশের অনুকূলে ঋণের অর্থ ছাড় হয়েছে ৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন (৩২৬ কোটি) ডলারের কিছু বেশি। এ ছয় মাসে সরকার ঋণ পরিশোধ করেছে প্রায় ১৯৮ কোটি ১৮ লাখ ডলার। এর মধ্যে আসল পরিশোধ হয়েছে ১২৩ কোটি ৪২ লাখ ডলারের বেশি। বাকি প্রায় ৭৫ কোটি ডলার পরিশোধ হয়েছে সুদ বাবদ।

ইআরডির তথ্যানুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকারের বিদেশী ঋণ পরিশোধের মধ্যে সরকারের নিজস্ব ঋণ (সাধারণ) পরিশোধের পরিমাণ ছিল ৩৩৭ কোটি ২০ লাখ ডলার। রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে বাকি ২৭০ কোটি ৬০ লাখ ডলার। এর মধ্যে জ্বালানি তেল বাবদ ১২৬ কোটি, বিদ্যুৎ খাতে ৮০ দশমিক ৬০ লাখ, আইএমএফকে ৪৫ কোটি ২০ লাখ, বিসিআইসি ১০ কোটি, বিমান ৬ কোটি ৯০ লাখ ও বিটিআরসির ১ কোটি ৯০ লাখ ডলারের ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে।

ইআরডির কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি অর্থবছর শেষে সরকারের ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বাড়বে ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) ডলারেরও বেশি। পর্যায়ক্রমে এ ঋণ পরিশোধের চাপ সামনের বছরগুলোয় আরো বাড়বে। কেননা গত অর্থবছরে বিদেশী ঋণের আসল পরিশোধ যে গতিতে বেড়েছে, তার চেয়ে বেশি গতিতে বেড়েছে সুদ বাবদ খরচ। টাকার অবমূল্যায়নের ফলে বিদেশী ঋণের সুদের পরিমাণ বেড়ে গেছে। তাছাড়া প্রকল্পের জন্য নেয়া ঋণের চাপও সামনে বাড়তে থাকবে।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “খালাস পেলেন খালেদা জিয়া”

নাইকো দুর্নীতি মামলা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলম এ রায় দেন। আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন, নাইকো দুর্নীতি মামলায় রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে অন্যায়ভাবে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া কোনো দুর্নীতি করেননি। এমনকি তিনি ক্ষমতার অপব্যবহারও করেননি।

খালাসের পর বিএনপি’র আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলা জিইয়ে রাখা হয়েছিল। দীর্ঘদিন পর হলেও আদালত বেগম খালেদা জিয়াকে খালাস দিয়েছেন। আদালতে ন্যায় বিচার পেয়েছেন তিনি। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো মামলা যে সাজানো
ছিল খালাসের রায়ে তা প্রমাণিত হয়েছে।

আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রেজাউল করিম এবং খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন এডভোকেট আমিনুল ইসলাম। পরে আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, রায় ঘোষণার সময় আদালত বলেন, এই মামলায় ৩৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। কোনো সাক্ষী মামলার ঘটনার সঙ্গে খালেদা জিয়ার জড়িত থাকার তথ্য বলেননি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানির জন্য খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় প্রত্যেককে খালাস দেয়া হয়েছে।

খালাস পাওয়া অপর আসামিরা হলেন- ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহিদুল ইসলাম, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসেন, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক ও নাইকো রিসোর্সেস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি এ মামলার যুক্তি-তর্ক ও শুনানি শেষ হয়। এরপর রায় ঘোষণার জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন আদালত।

এ বছর গ্রামীণ ও উপশহর এলাকায় ডেঙ্গুর বিস্তার কেন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে?

নতুন দলের ঘোষণা হতে পারে ২৬ ফেব্রুয়ারি

০৮:০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “নতুন দলের ঘোষণা হতে পারে ২৬ ফেব্রুয়ারি”

জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে নতুন যে রাজনৈতিক দল আসতে যাচ্ছে, সেই দলের কাঠামো এখনকার মতোই থাকছে। অর্থাৎ এই দুই প্ল্যাটফর্মের বর্তমান যে কাঠামো (আহ্বায়ক, সদস্যসচিব, মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র), সেটা থাকছে। আহ্বায়ক হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নাম চূড়ান্ত হয়েছে। পরের পদগুলোর জন্য জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখভাগের কয়েকজন নেতার নাম আলোচনায় আছে।

একজন দায়িত্বশীল নেতা জানান, নতুন দলের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের আয়োজনটি হতে পারে ২৬ ফেব্রুয়ারি। ঢাকায় অনুষ্ঠান করে দলের ঘোষণা দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানটি হতে পারে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে।

নতুন দলের আহ্বায়কের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য নাহিদ ইসলাম যেকোনো সময় সরকার থেকে পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির দায়িত্বশীল তিন নেতা। গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে তাঁরা জানান, সদস্যসচিব পদে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অধিকাংশ নেতার পছন্দ আখতার হোসেনকে। মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র পদের জন্য আলোচনায় আছেন সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম”মোহাম্মদপুরে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২ জন নিহত”

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলার চাঁদ উদ্যানে যৌথবাহিনীর অভিযানে দুজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

মোহাম্মদপুর থানার ডিউটি অফিসার জানান, দুজন নিহত হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। চাঁদ উদ্যানে যৌথ বাহিনীর সাথে ঘটনাটি ঘটেছে

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানান, যৌথবাহিনীর নিয়মিত টহলের সময়ে কিছু অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী যৌথবাহিনীর সদস্যদের ওপর অতর্কিত গুলি চালায়। এসময় যৌথবাহিনীর সদস্যরা পালটা গুলি চালালে দুজন নিহত হয়।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম”সরকারের বিদেশী ঋণ পরিশোধ খরচ বছরে ৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে”

সে অনুযায়ী, এক বছরের ব্যবধানে সরকারের বিদেশী ঋণ পরিশোধ বাবদ ব্যয় বেড়েছে ২৭ শতাংশের বেশি। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে সরকারের মোট বিদেশী ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৮ দশমিক ১৮ বিলিয়ন (৭ হাজার ৮১৮ কোটি) ডলারে।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস (জুলাই-ডিসেম্বর) শেষে এ বিদেশী ঋণের পরিমাণ ৮০ বিলিয়ন (৮ হাজার কোটি) ডলার ছাড়িয়ে গেছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে সরকার নতুন বিদেশী ঋণের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে ২০০ কোটি ডলারের বেশি। এ সময় বাংলাদেশের অনুকূলে ঋণের অর্থ ছাড় হয়েছে ৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন (৩২৬ কোটি) ডলারের কিছু বেশি। এ ছয় মাসে সরকার ঋণ পরিশোধ করেছে প্রায় ১৯৮ কোটি ১৮ লাখ ডলার। এর মধ্যে আসল পরিশোধ হয়েছে ১২৩ কোটি ৪২ লাখ ডলারের বেশি। বাকি প্রায় ৭৫ কোটি ডলার পরিশোধ হয়েছে সুদ বাবদ।

ইআরডির তথ্যানুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকারের বিদেশী ঋণ পরিশোধের মধ্যে সরকারের নিজস্ব ঋণ (সাধারণ) পরিশোধের পরিমাণ ছিল ৩৩৭ কোটি ২০ লাখ ডলার। রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে বাকি ২৭০ কোটি ৬০ লাখ ডলার। এর মধ্যে জ্বালানি তেল বাবদ ১২৬ কোটি, বিদ্যুৎ খাতে ৮০ দশমিক ৬০ লাখ, আইএমএফকে ৪৫ কোটি ২০ লাখ, বিসিআইসি ১০ কোটি, বিমান ৬ কোটি ৯০ লাখ ও বিটিআরসির ১ কোটি ৯০ লাখ ডলারের ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে।

ইআরডির কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি অর্থবছর শেষে সরকারের ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বাড়বে ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) ডলারেরও বেশি। পর্যায়ক্রমে এ ঋণ পরিশোধের চাপ সামনের বছরগুলোয় আরো বাড়বে। কেননা গত অর্থবছরে বিদেশী ঋণের আসল পরিশোধ যে গতিতে বেড়েছে, তার চেয়ে বেশি গতিতে বেড়েছে সুদ বাবদ খরচ। টাকার অবমূল্যায়নের ফলে বিদেশী ঋণের সুদের পরিমাণ বেড়ে গেছে। তাছাড়া প্রকল্পের জন্য নেয়া ঋণের চাপও সামনে বাড়তে থাকবে।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “খালাস পেলেন খালেদা জিয়া”

নাইকো দুর্নীতি মামলা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলম এ রায় দেন। আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন, নাইকো দুর্নীতি মামলায় রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে অন্যায়ভাবে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া কোনো দুর্নীতি করেননি। এমনকি তিনি ক্ষমতার অপব্যবহারও করেননি।

খালাসের পর বিএনপি’র আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলা জিইয়ে রাখা হয়েছিল। দীর্ঘদিন পর হলেও আদালত বেগম খালেদা জিয়াকে খালাস দিয়েছেন। আদালতে ন্যায় বিচার পেয়েছেন তিনি। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো মামলা যে সাজানো
ছিল খালাসের রায়ে তা প্রমাণিত হয়েছে।

আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রেজাউল করিম এবং খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন এডভোকেট আমিনুল ইসলাম। পরে আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, রায় ঘোষণার সময় আদালত বলেন, এই মামলায় ৩৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। কোনো সাক্ষী মামলার ঘটনার সঙ্গে খালেদা জিয়ার জড়িত থাকার তথ্য বলেননি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানির জন্য খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় প্রত্যেককে খালাস দেয়া হয়েছে।

খালাস পাওয়া অপর আসামিরা হলেন- ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহিদুল ইসলাম, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসেন, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক ও নাইকো রিসোর্সেস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি এ মামলার যুক্তি-তর্ক ও শুনানি শেষ হয়। এরপর রায় ঘোষণার জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন আদালত।