০৫:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
দামে আগুন, ফুটিয়েও আতঙ্ক: বিশুদ্ধ পানির জন্য ঢাকার অসহায় লড়াই এ বছর গ্রামীণ ও উপশহর এলাকায় ডেঙ্গুর বিস্তার কেন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে? চেকিয়ার জাতীয় ব্ল্যাকআউট: তদন্তে নেমেছে কর্তৃপক্ষ ঢাকা জনঘনত্বের দিক থেকে ৩০ কোটি মানুষের নগরী? সোশ্যাল মিডিয়া: এক প্রজন্মকে হতাশা, অমনোযোগ, অলসতা ও বৈষম্য’র দিকে ঠেলে দেওয়া এনজিওর নামে শোষণ: বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষের দুর্দশার গল্প মালয়েশিয়ায় ধরা পড়া বাংলাদেশী জঙ্গীরা “বাংলাদেশ ইসলামিক স্টেট” (আইএস)কে অর্থ পাঠাতো: মালয়েশিয়ান আইজিপি টানা বৃষ্টিতে সবজি ও ফসলের অবস্থা: কোন কোন এলাকা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত, বাজারে মূল্যবৃদ্ধি বাংলাদেশে ধর্ষণ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, প্রশ্নের মুখে রাষ্ট্রের ভূমিকা প্রতিদিন একটি রুমাল (পর্ব-২৬)

শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি প্রেসিডেন্ট-প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

  • Sarakhon Report
  • ০৮:৪৩:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 10

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট: ভাষা গবেষণায় অর্জন নেই”

বাংলাদেশের ৪১টি ভাষার মধ্যে বিপদাপন্ন মাত্র ৩টি ভাষা সংরক্ষণের কাজ শুরু করতে পেরেছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট। যদিও কাজটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর বিপন্নপ্রায় এই তিন ভাষা হচ্ছে রেংমিটচ্য, কন্দ ও পাত্র (লালেংথার)। এর কোনো একটি ভাষায় মাত্র দুজন কথা বলেন, কোনো ভাষায় ছয়জন। এই ভাষাগুলো যে বিপন্ন, তা জানা গিয়েছিল ২০১৬ সালে ভাষা সমীক্ষা শেষে। অথচ তা নিয়ে কাজ শুরু করার প্রস্তুতি নিতেই চলে গেছে সাত বছর। এর মধ্যে ভাষাগুলো আরও বিপন্ন হয়েছে। কমে গেছে সে ভাষায় কথা বলা মানুষের সংখ্যাও।

১৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই তিন বিপন্ন ভাষার শব্দ সংরক্ষণ করা হয়েছে। এবার ডিজিটাইজেশনের কাজ শুরু হবে। দেশের বিপন্ন অন্যান্য ভাষার মধ্যে আছে খাড়িয়া, কোডা, সৌরা, মুন্ডারি, খুমি, পাংখোয়ার মতো ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর আরও ১৪টি ভাষা। ভাষাগুলো সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা না গেলে চিরতরে মুছে যাবে। এসব ভাষার লিপি উদ্ধার, লিপি না থাকলে নতুন লিপি প্রণয়ন এবং সংরক্ষণের দায়িত্ব মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের। এ ভাষা ব্যবহারকারীরা যাতে ভাষাটি ব্যবহার করতে পারেন, সে ব্যবস্থাও তাদের করার কথা।

ভাষা নিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের দেশব্যাপী ক্ষেত্রসমীক্ষার কাজ শেষ হওয়ার পর গত আট বছরে তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে মাত্র একটি। তা–ও তা জনসাধারণের হাতের নাগালে পৌঁছায়নি। বাংলা ও ইংরেজি মিলিয়ে ক্ষেত্রসমীক্ষার কাজ নিয়ে প্রকাশের কথা ছিল মোট ২০টি খণ্ড। সে গবেষণায় জানা গিয়েছিল বাংলাদেশের ৪১টি ভাষার মধ্যে ১৬টির নিজস্ব লিপি রয়েছে। বাকি ২৫টি ভাষা লিপিহীন।

মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের আরেক দায়িত্ব লিপিহীন ভাষাগুলোর জন্য লিপি প্রবর্তন করা। এ ব্যাপারে এখনো কোনো উদ্যোগ নিতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। দেশের বিপন্ন ভাষা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষা নিয়ে কাজে গতি না থাকলেও শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটি ছয়টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষায় ভাষান্তর করে গত বছর প্রকাশ করেছে মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট।

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম”প্রথম প্রহরে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি”

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষাশহীদদের স্মরণে জাতীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপ্রতি মো. সাহাবুদ্দিন।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারির) প্রথম প্রহরে ১২টা ২ মিনিটে তিনি শহীদ মিনারে ফুল দেন। ফুল দেওয়া শেষে ১২টা ৩ মিনিটে তিনি শহীদ মিনার ত্যাগ করেন।

এর আগে রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শহীদ মিনারে প্রবেশ করেন। এ সময় রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান ও প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ।

এর আগে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ নামের একটি সংগঠন অবস্থান করে রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিনের অপসারণসহ ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করে। রাত ১১ টা ২০ মিনিটে তারা একটি মিছিল নিয়ে টিএসসি থেকে শহীদ মিনার দিকে রওনা হয়। টিএসসিতে প্রথমে তাদের বাধা দেওয়া হলেও পরে যেতে দেওয়া হয়।

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম”ড্রিমলাইনারের যান্ত্রিক ত্রুটিতে ভুগছে বাংলাদেশ বিমান”

মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা সংস্থা বোয়িংয়ের ৭৮৭ ড্রিমলাইনার মডেলের উড়োজাহাজ পরিচালনা করতে গিয়ে বিশ্বজুড়ে সমস্যায় পড়ছে বিভিন্ন এয়ারলাইনস। আকাশে থাকা অবস্থায় হঠাৎ উচ্চতা পড়ে যাওয়া, উইন্ডশিল্ডে ফাটলসহ নানা ধরনের কারিগরি ত্রুটি ধরা পড়ছে প্রায়ই। এ মডেলের উড়োজাহাজে বড় ধরনের নির্মাণ ত্রুটির অভিযোগ এখন বৈশ্বিক আকাশ পরিবহন খাতের জন্য বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় আকাশ পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরেও রয়েছে ছয়টি ড্রিমলাইনার। এসব উড়োজাহাজে বিভিন্ন সময় দেখা দিচ্ছে নানা ধরনের কারিগরি ত্রুটি। ২০২৪ সালে বিমানের বহরে থাকা ড্রিমলাইনার দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনার সময় উইন্ডশিল্ডে ফাটলের দুটি ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া অন্তত দুই দফায় কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছে, যার জন্য ফ্লাইটে বিলম্ব, এমনকি যাত্রা বাতিলও হয়েছে।

বোয়িংয়ের ড্রিমলাইনার বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা করে ২০১১ সালের ২৬ অক্টোবর। এর পর থেকেই বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সময় এ মডেলের উড়োজাহাজে নানা যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনা সামনে এসেছে। ড্রিমলাইনারের নিরাপত্তা ত্রুটির বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলে বড় ধরনের আলোচনা তৈরি করে গত বছরের এপ্রিলে। বোয়িংয়ের সাবেক কোয়ালিটি ইঞ্জিনিয়ার স্যাম সালেহপৌর ওই সময় দাবি করেন, খরচ বাঁচাতে ৭৮৭ সিরিজের উড়োজাহাজের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ছাড় দিয়েছে বোয়িং।

এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আগস্টে আবার আলোচনায় আসে ড্রিমলাইনার। নিউজিল্যান্ডভিত্তিক আকাশ পরিবহন সংস্থা লাথাম এয়ারলাইনসের সিডনি থেকে অকল্যান্ডগামী একটি ফ্লাইট মাঝ আকাশে হঠাৎই উচ্চতা হারাতে শুরু করে। বড় দুর্ঘটনা না ঘটলেও হঠাৎ অনুভূমিক চলার কারণে ফ্লাইটের ৫০ যাত্রী আহত হন। এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের আকাশ পরিবহন খাতের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা দ্য ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ১৫৮টি ড্রিমলাইনার ও বিশ্বজুড়ে থাকা ৭৩৭ উড়োজাহাজ পরীক্ষা করে দেখার নির্দেশ দেয়।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি প্রেসিডেন্ট-প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা”

অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। প্রেসিডেন্ট শহীদ মিনার ত্যাগ করার প্রধান উপদেষ্টা এসে রাত ১২টা ১২ মিনিটে শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
অমর একুশের ঐতিহাসিক গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি…আমি কি ভুলিতে পারি’ গানের সঙ্গে সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
তিনি ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এর আগে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে প্রধান উপদেষ্টাকে অভ্যর্থনা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমদ খান।

দামে আগুন, ফুটিয়েও আতঙ্ক: বিশুদ্ধ পানির জন্য ঢাকার অসহায় লড়াই

শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি প্রেসিডেন্ট-প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

০৮:৪৩:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট: ভাষা গবেষণায় অর্জন নেই”

বাংলাদেশের ৪১টি ভাষার মধ্যে বিপদাপন্ন মাত্র ৩টি ভাষা সংরক্ষণের কাজ শুরু করতে পেরেছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট। যদিও কাজটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর বিপন্নপ্রায় এই তিন ভাষা হচ্ছে রেংমিটচ্য, কন্দ ও পাত্র (লালেংথার)। এর কোনো একটি ভাষায় মাত্র দুজন কথা বলেন, কোনো ভাষায় ছয়জন। এই ভাষাগুলো যে বিপন্ন, তা জানা গিয়েছিল ২০১৬ সালে ভাষা সমীক্ষা শেষে। অথচ তা নিয়ে কাজ শুরু করার প্রস্তুতি নিতেই চলে গেছে সাত বছর। এর মধ্যে ভাষাগুলো আরও বিপন্ন হয়েছে। কমে গেছে সে ভাষায় কথা বলা মানুষের সংখ্যাও।

১৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই তিন বিপন্ন ভাষার শব্দ সংরক্ষণ করা হয়েছে। এবার ডিজিটাইজেশনের কাজ শুরু হবে। দেশের বিপন্ন অন্যান্য ভাষার মধ্যে আছে খাড়িয়া, কোডা, সৌরা, মুন্ডারি, খুমি, পাংখোয়ার মতো ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর আরও ১৪টি ভাষা। ভাষাগুলো সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা না গেলে চিরতরে মুছে যাবে। এসব ভাষার লিপি উদ্ধার, লিপি না থাকলে নতুন লিপি প্রণয়ন এবং সংরক্ষণের দায়িত্ব মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের। এ ভাষা ব্যবহারকারীরা যাতে ভাষাটি ব্যবহার করতে পারেন, সে ব্যবস্থাও তাদের করার কথা।

ভাষা নিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের দেশব্যাপী ক্ষেত্রসমীক্ষার কাজ শেষ হওয়ার পর গত আট বছরে তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে মাত্র একটি। তা–ও তা জনসাধারণের হাতের নাগালে পৌঁছায়নি। বাংলা ও ইংরেজি মিলিয়ে ক্ষেত্রসমীক্ষার কাজ নিয়ে প্রকাশের কথা ছিল মোট ২০টি খণ্ড। সে গবেষণায় জানা গিয়েছিল বাংলাদেশের ৪১টি ভাষার মধ্যে ১৬টির নিজস্ব লিপি রয়েছে। বাকি ২৫টি ভাষা লিপিহীন।

মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের আরেক দায়িত্ব লিপিহীন ভাষাগুলোর জন্য লিপি প্রবর্তন করা। এ ব্যাপারে এখনো কোনো উদ্যোগ নিতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। দেশের বিপন্ন ভাষা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষা নিয়ে কাজে গতি না থাকলেও শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটি ছয়টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষায় ভাষান্তর করে গত বছর প্রকাশ করেছে মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট।

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম”প্রথম প্রহরে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি”

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষাশহীদদের স্মরণে জাতীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপ্রতি মো. সাহাবুদ্দিন।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারির) প্রথম প্রহরে ১২টা ২ মিনিটে তিনি শহীদ মিনারে ফুল দেন। ফুল দেওয়া শেষে ১২টা ৩ মিনিটে তিনি শহীদ মিনার ত্যাগ করেন।

এর আগে রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শহীদ মিনারে প্রবেশ করেন। এ সময় রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান ও প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ।

এর আগে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ নামের একটি সংগঠন অবস্থান করে রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিনের অপসারণসহ ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করে। রাত ১১ টা ২০ মিনিটে তারা একটি মিছিল নিয়ে টিএসসি থেকে শহীদ মিনার দিকে রওনা হয়। টিএসসিতে প্রথমে তাদের বাধা দেওয়া হলেও পরে যেতে দেওয়া হয়।

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম”ড্রিমলাইনারের যান্ত্রিক ত্রুটিতে ভুগছে বাংলাদেশ বিমান”

মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা সংস্থা বোয়িংয়ের ৭৮৭ ড্রিমলাইনার মডেলের উড়োজাহাজ পরিচালনা করতে গিয়ে বিশ্বজুড়ে সমস্যায় পড়ছে বিভিন্ন এয়ারলাইনস। আকাশে থাকা অবস্থায় হঠাৎ উচ্চতা পড়ে যাওয়া, উইন্ডশিল্ডে ফাটলসহ নানা ধরনের কারিগরি ত্রুটি ধরা পড়ছে প্রায়ই। এ মডেলের উড়োজাহাজে বড় ধরনের নির্মাণ ত্রুটির অভিযোগ এখন বৈশ্বিক আকাশ পরিবহন খাতের জন্য বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় আকাশ পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরেও রয়েছে ছয়টি ড্রিমলাইনার। এসব উড়োজাহাজে বিভিন্ন সময় দেখা দিচ্ছে নানা ধরনের কারিগরি ত্রুটি। ২০২৪ সালে বিমানের বহরে থাকা ড্রিমলাইনার দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনার সময় উইন্ডশিল্ডে ফাটলের দুটি ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া অন্তত দুই দফায় কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছে, যার জন্য ফ্লাইটে বিলম্ব, এমনকি যাত্রা বাতিলও হয়েছে।

বোয়িংয়ের ড্রিমলাইনার বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা করে ২০১১ সালের ২৬ অক্টোবর। এর পর থেকেই বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সময় এ মডেলের উড়োজাহাজে নানা যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনা সামনে এসেছে। ড্রিমলাইনারের নিরাপত্তা ত্রুটির বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলে বড় ধরনের আলোচনা তৈরি করে গত বছরের এপ্রিলে। বোয়িংয়ের সাবেক কোয়ালিটি ইঞ্জিনিয়ার স্যাম সালেহপৌর ওই সময় দাবি করেন, খরচ বাঁচাতে ৭৮৭ সিরিজের উড়োজাহাজের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ছাড় দিয়েছে বোয়িং।

এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আগস্টে আবার আলোচনায় আসে ড্রিমলাইনার। নিউজিল্যান্ডভিত্তিক আকাশ পরিবহন সংস্থা লাথাম এয়ারলাইনসের সিডনি থেকে অকল্যান্ডগামী একটি ফ্লাইট মাঝ আকাশে হঠাৎই উচ্চতা হারাতে শুরু করে। বড় দুর্ঘটনা না ঘটলেও হঠাৎ অনুভূমিক চলার কারণে ফ্লাইটের ৫০ যাত্রী আহত হন। এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের আকাশ পরিবহন খাতের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা দ্য ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ১৫৮টি ড্রিমলাইনার ও বিশ্বজুড়ে থাকা ৭৩৭ উড়োজাহাজ পরীক্ষা করে দেখার নির্দেশ দেয়।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি প্রেসিডেন্ট-প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা”

অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। প্রেসিডেন্ট শহীদ মিনার ত্যাগ করার প্রধান উপদেষ্টা এসে রাত ১২টা ১২ মিনিটে শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
অমর একুশের ঐতিহাসিক গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি…আমি কি ভুলিতে পারি’ গানের সঙ্গে সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
তিনি ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এর আগে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে প্রধান উপদেষ্টাকে অভ্যর্থনা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমদ খান।