০৫:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এখন নতুন করে ভাবার সময় ওপেকের তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সম্ভাব্য প্রভাব আগুনের ছাই কারখানা—এক গার্মেন্ট শ্রমিক নারীর লড়াই ইমাম হোসাইনের অনুগামী যে হিন্দু ব্রাহ্মণরা মহররম পালন করে থাকেন ধলেশ্বরী নদী: দুই শতাব্দীর জলপথ গড়েছে বাণিজ্য ও সংস্কৃতি যুক্তরাষ্ট্র-ভিয়েতনাম শুল্ক হ্রাসে ঐতিহাসিক সমঝোতা ২০২৫ সালে ফিলিপাইনের ১২টি প্রধান অবকাঠামো প্রকল্প: রিয়েল এস্টেটের রূপান্তর ইসি’র নির্দেশনা পেলে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত সেনাবাহিনী ট্রাম্প যখন মনে করলেন তিনি মুক্ত, ইরান আবারও তাঁকে টেনে আনল পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ২৭)

কিছু এনজিও এবং গ্লোবাল মাফিয়া মিলে অশুভ কাজ করছে – ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য

  • Sarakhon Report
  • ০৩:২৪:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 21

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

১. ইউ এস এইড এর ফান্ড নিয়ে যে অভিযোগ এসেছে তা তদন্ত হবে

২.ট্রাম্প প্রশাসন থেকে যে অভিযোগ এসেছে তা অবশ্যই গুরুত্ববহ

৩. গ্লোবাল মাফিয়া এনজিও বৈশ্বিক র‍্যাঙ্কিং এর মাধ্যমে জনমতের ওপর প্রভাব তৈরি করার কাজ করে

৪. নরেন্দ্র মোদি ও ট্রাম্পের সফরটি খুবই সফল হয়েছে

নতুন দিল্লি থেকে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএইড) নির্বাচনী কার্যক্রম সংক্রান্ত তহবিল প্রদানের সাথে যুক্ত তথ্য উদ্বেগজনক। পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর বলেছেন, যদি কোনো ব্যক্তি “অশুভ উদ্দেশ্যে কাজ” করার সাথে যুক্ত থাকে, তবে দেশের জনগণ তা জানতে পারবে।

মূল বক্তব্য

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য উৎসবে বক্তব্য রাখার সময় জয়শঙ্কর ইউএস প্রশাসনের মন্তব্যের কথা উল্লেখ করেন, যেখানে বোঝানো হয়েছিল যে, ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিজিওই) ইউএসএআই-এর বিশ্বব্যাপী শত মিলিয়নের ডলারের তহবিল বরখাস্ত করেছে, যার মধ্যে ২১ মিলিয়ন ডলার নির্বাচনে ভোটার টার্ন আউট  বাড়ানোর জন্য বরাদ্দ ছিল।

তিনি বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, যা স্পষ্টতই উদ্বেগের বিষয়। এর মাধ্যমে বোঝা যায় যে, কিছু কার্যক্রম আছে যেগুলি নির্দিষ্ট একটি উদ্দেশ্য বা মতবাদ প্রচারের চেষ্টা করছে।”

তথ্য বিশ্লেষণ ও জরুরি অনুসন্ধান

জয়শঙ্কর আরও জানান যে, ইউএসএইডকে প্রথমে ভালো উদ্দেশ্যে, ভালো কার্যক্রমের জন্য ভারতের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এখন আমেরিকা থেকে এমন কিছু কাজের সূচক এসেছে যা ‘অশুভ’ হিসেবে চিহ্নিত।

তিনি বলেন, “যদি এই বিষয়ে কোনো সত্যতা থাকে, তবে দেশের জনগণকে জানতে হবে কারা এই অশুভ কার্যক্রমে জড়িত।”সরকারও এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে, কারণ এ ধরনের সংস্থাগুলোর রিপোর্ট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে এবং সকল সত্য উদঘাটিত হবে।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, ইউএসএইড-এর নির্বাচনী কার্যক্রমে তহবিল প্রদানের খবর গভীরভাবে উদ্বেগজনক, কারণ এটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশী হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দেয়।

এই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও তর্ক ও অভিযোগের আদান-প্রদান চলছে, যেখানে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও বিরোধী কংগ্রেস একে অপরের উপর অভিযোগ আনা-জানা করছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্য

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি ইউএসএইড-এর বিরুদ্ধে সরকারের ব্যয় কমানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন, সম্প্রতি বারবার ভারতের নির্বাচনী তহবিলের কথা উল্লেখ করেছেন।

ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে মার্কিন রাজ্যের গভর্নরদের সমাবেশে বলেন, “আমার বন্ধু, প্রধানমন্ত্রী মোদির দেশ ভারতে ভোটার টার্ন আউট বাড়ানোর জন্য ২১ মিলিয়ন ডলার যায়।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা ভারতের ভোটার টার্ন আউট বাড়ানোর জন্য ২১ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছি, আমাদের জন্য কি আছে? আমাকেও ভোটার টার্ন আউট বাড়াতে হবে।”

ট্রাম্প দাবি করেন যে, এই টাকা ঘুষ হিসাবে দেওয়ার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হতে পারে, যদিও এ ব্যাপারে কোনও সঠিক তথ্য এখনো প্রকাশিত হয়নি।

নিরাপত্তা ধারণা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

ইউএসএইড-এর কার্যক্রম নিয়ে কথা বলার সময় জয়শঙ্কর বলেন, প্রযুক্তির এই যুগে নিরাপত্তার ধারণাকে আরও বিস্তৃত করতে হবে, কারণ এনজিও ও বৈশ্বিক র‍্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে চিন্তাধারা ও মতামত প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে।

তিনি এই এনজিও ও তাদের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন মানুষদেরকে মাফিয়া হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “একটি ‘গ্লোবালাইজেশন মাফিয়া’ রয়েছে, যারা অবিচ্ছিন্নভাবে ভালো-মন্দ নির্ধারণের দাবি করে এবং নিয়ম-কানুন তৈরি করে, যা গত তিন দশকে চিন্তাভাবনা ও অর্থনৈতিক বিষয়গুলিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।”

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও বৈদেশিক সফর

জয়শঙ্কর আরও উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক মার্কিন সফর, যেখানে তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের সাথে প্রথমবারের মত সাক্ষাৎ করেন, তা খুবই সফল হয়েছে।

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী একজন শক্তিশালী জাতীয়তাবাদী এবং তার থেকে তা স্পষ্ট। ট্রাম্প একজন আমেরিকান জাতীয়তাবাদী, এবং জাতীয়তাবাদীরা একে অপরকে সাধারণত সম্মান করে। তাদের চক্ষু স্পষ্ট এবং তারা দেশের জন্য কাজ করে।”

তিনি আরও বলেন, “বিভিন্ন কারণে, আমি বলব যে এই সাক্ষাৎকারটি খুবই সফল হয়েছে।”

উপসংহার

মন্ত্রীর বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, ইউএসএইড-এর তহবিল প্রদান সংক্রান্ত বিষয়টি গভীরভাবে তদন্তের দাবি রাখে। সরকারের ওপর আশঙ্কা প্রকাশ পেলে, সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে তাদের কার্যক্রমের সত্যতা প্রমাণ করতে হবে।

বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এখন নতুন করে ভাবার সময়

কিছু এনজিও এবং গ্লোবাল মাফিয়া মিলে অশুভ কাজ করছে – ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য

০৩:২৪:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

১. ইউ এস এইড এর ফান্ড নিয়ে যে অভিযোগ এসেছে তা তদন্ত হবে

২.ট্রাম্প প্রশাসন থেকে যে অভিযোগ এসেছে তা অবশ্যই গুরুত্ববহ

৩. গ্লোবাল মাফিয়া এনজিও বৈশ্বিক র‍্যাঙ্কিং এর মাধ্যমে জনমতের ওপর প্রভাব তৈরি করার কাজ করে

৪. নরেন্দ্র মোদি ও ট্রাম্পের সফরটি খুবই সফল হয়েছে

নতুন দিল্লি থেকে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএইড) নির্বাচনী কার্যক্রম সংক্রান্ত তহবিল প্রদানের সাথে যুক্ত তথ্য উদ্বেগজনক। পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর বলেছেন, যদি কোনো ব্যক্তি “অশুভ উদ্দেশ্যে কাজ” করার সাথে যুক্ত থাকে, তবে দেশের জনগণ তা জানতে পারবে।

মূল বক্তব্য

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য উৎসবে বক্তব্য রাখার সময় জয়শঙ্কর ইউএস প্রশাসনের মন্তব্যের কথা উল্লেখ করেন, যেখানে বোঝানো হয়েছিল যে, ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিজিওই) ইউএসএআই-এর বিশ্বব্যাপী শত মিলিয়নের ডলারের তহবিল বরখাস্ত করেছে, যার মধ্যে ২১ মিলিয়ন ডলার নির্বাচনে ভোটার টার্ন আউট  বাড়ানোর জন্য বরাদ্দ ছিল।

তিনি বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, যা স্পষ্টতই উদ্বেগের বিষয়। এর মাধ্যমে বোঝা যায় যে, কিছু কার্যক্রম আছে যেগুলি নির্দিষ্ট একটি উদ্দেশ্য বা মতবাদ প্রচারের চেষ্টা করছে।”

তথ্য বিশ্লেষণ ও জরুরি অনুসন্ধান

জয়শঙ্কর আরও জানান যে, ইউএসএইডকে প্রথমে ভালো উদ্দেশ্যে, ভালো কার্যক্রমের জন্য ভারতের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এখন আমেরিকা থেকে এমন কিছু কাজের সূচক এসেছে যা ‘অশুভ’ হিসেবে চিহ্নিত।

তিনি বলেন, “যদি এই বিষয়ে কোনো সত্যতা থাকে, তবে দেশের জনগণকে জানতে হবে কারা এই অশুভ কার্যক্রমে জড়িত।”সরকারও এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে, কারণ এ ধরনের সংস্থাগুলোর রিপোর্ট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে এবং সকল সত্য উদঘাটিত হবে।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, ইউএসএইড-এর নির্বাচনী কার্যক্রমে তহবিল প্রদানের খবর গভীরভাবে উদ্বেগজনক, কারণ এটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশী হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দেয়।

এই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও তর্ক ও অভিযোগের আদান-প্রদান চলছে, যেখানে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও বিরোধী কংগ্রেস একে অপরের উপর অভিযোগ আনা-জানা করছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্য

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি ইউএসএইড-এর বিরুদ্ধে সরকারের ব্যয় কমানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন, সম্প্রতি বারবার ভারতের নির্বাচনী তহবিলের কথা উল্লেখ করেছেন।

ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে মার্কিন রাজ্যের গভর্নরদের সমাবেশে বলেন, “আমার বন্ধু, প্রধানমন্ত্রী মোদির দেশ ভারতে ভোটার টার্ন আউট বাড়ানোর জন্য ২১ মিলিয়ন ডলার যায়।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা ভারতের ভোটার টার্ন আউট বাড়ানোর জন্য ২১ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছি, আমাদের জন্য কি আছে? আমাকেও ভোটার টার্ন আউট বাড়াতে হবে।”

ট্রাম্প দাবি করেন যে, এই টাকা ঘুষ হিসাবে দেওয়ার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হতে পারে, যদিও এ ব্যাপারে কোনও সঠিক তথ্য এখনো প্রকাশিত হয়নি।

নিরাপত্তা ধারণা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

ইউএসএইড-এর কার্যক্রম নিয়ে কথা বলার সময় জয়শঙ্কর বলেন, প্রযুক্তির এই যুগে নিরাপত্তার ধারণাকে আরও বিস্তৃত করতে হবে, কারণ এনজিও ও বৈশ্বিক র‍্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে চিন্তাধারা ও মতামত প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে।

তিনি এই এনজিও ও তাদের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন মানুষদেরকে মাফিয়া হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “একটি ‘গ্লোবালাইজেশন মাফিয়া’ রয়েছে, যারা অবিচ্ছিন্নভাবে ভালো-মন্দ নির্ধারণের দাবি করে এবং নিয়ম-কানুন তৈরি করে, যা গত তিন দশকে চিন্তাভাবনা ও অর্থনৈতিক বিষয়গুলিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।”

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও বৈদেশিক সফর

জয়শঙ্কর আরও উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক মার্কিন সফর, যেখানে তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের সাথে প্রথমবারের মত সাক্ষাৎ করেন, তা খুবই সফল হয়েছে।

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী একজন শক্তিশালী জাতীয়তাবাদী এবং তার থেকে তা স্পষ্ট। ট্রাম্প একজন আমেরিকান জাতীয়তাবাদী, এবং জাতীয়তাবাদীরা একে অপরকে সাধারণত সম্মান করে। তাদের চক্ষু স্পষ্ট এবং তারা দেশের জন্য কাজ করে।”

তিনি আরও বলেন, “বিভিন্ন কারণে, আমি বলব যে এই সাক্ষাৎকারটি খুবই সফল হয়েছে।”

উপসংহার

মন্ত্রীর বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, ইউএসএইড-এর তহবিল প্রদান সংক্রান্ত বিষয়টি গভীরভাবে তদন্তের দাবি রাখে। সরকারের ওপর আশঙ্কা প্রকাশ পেলে, সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে তাদের কার্যক্রমের সত্যতা প্রমাণ করতে হবে।