মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে সম্মত, ইউক্রেন সংকট অব্যাহত

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস,

এক গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক অগ্রগতিতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া তাদের নিজ নিজ কূটনৈতিক মিশন পুনরুদ্ধারে সম্মত হয়েছে, যা ইউক্রেন সংকট নিরসনের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সালে সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত চার ঘণ্টার শীর্ষ সম্মেলনে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধের উত্তেজনা প্রশমিত করা ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের উপায় অনুসন্ধান করা হয়। তবে, এই শীর্ষ সম্মেলনে ইউক্রেনের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিল না, যা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কঠোর সমালোচনার মুখে পড়ে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনের অংশগ্রহণ অপরিহার্য।

এই আলোচনার ফলাফল ইউরোপীয় নেতাদের মাঝেও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, যারা প্যারিসে একত্রিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সংলাপের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন এবং ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে এই পরিবর্তন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয় এবং এটি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের জটিলতাকে তুলে ধরে।

ইউক্রেনে ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের আহ্বান জানালেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ

দ্য টাইমস,

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এক বৈঠকে ইউক্রেনে ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব দেন। তার মতে, এই পদক্ষেপ ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের অংশ হতে পারে। তিনি ইউরোপের প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দেন এবং রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান হুমকির বিরুদ্ধে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান।

এ বৈঠকে বাণিজ্য ও শুল্ক নিয়েও আলোচনা হয়, যেখানে ম্যাক্রোঁ ট্রাম্পকে বাণিজ্য যুদ্ধ এড়ানোর জন্য অনুরোধ করেন। ট্রাম্প তার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে হওয়া আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে আনেন এবং বড় ধরনের সংঘাত এড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। বৈঠকটি ইউক্রেন সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার প্রতিফলন এবং নিরাপত্তা ও শান্তি নিশ্চিত করতে যৌথ কৌশলের গুরুত্ব তুলে ধরে।

জাতিসংঘ মহাসচিব বৈশ্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার অবনতির বিষয়ে সতর্ক করলেন

রয়টার্স,

জেনেভায় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৈশ্বিক নিরাপত্তা কাঠামোর অবনতির বিষয়ে কঠোর সতর্কতা প্রদান করেন। তিনি অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তির দুর্বলতা, ক্রমবর্ধমান সামরিক ব্যয় এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মহাকাশ-ভিত্তিক অস্ত্র ব্যবস্থার দ্রুত সামরিকীকরণের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

গুতেরেস পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকিকে রাজনৈতিক চাপ তৈরির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের প্রবণতাকে তীব্র নিন্দা জানান। তিনি ইউক্রেন সংঘাতে রাশিয়ার সাম্প্রতিক পারমাণবিক হুমকির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ও অপ্রসারণ সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার আহ্বান জানান। তার বক্তব্য বিশ্ব নিরাপত্তার জন্য সমন্বিত আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার জরুরি প্রয়োজনীয়তার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

ডিআর কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ শহর দখল করলো এম২৩ বিদ্রোহীরা

বিবিসি নিউজ,

ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোর (ডিআরসি) পূর্বাঞ্চলীয় দক্ষিণ কিভু প্রদেশের রাজধানী বুকাভু এম২৩ বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫-এ শুরু হওয়া এই সামরিক অভিযানে তারা ইতিমধ্যেই উত্তর কিভুর রাজধানী গোমাও দখল করেছে।

এম২৩ বিদ্রোহীদের এই দ্রুত অগ্রযাত্রার ফলে লক্ষাধিক বেসামরিক নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা আরও দুর্বল হয়ে পড়েছে। জাতিসংঘ ও পশ্চিমা দেশগুলো প্রতিবেশী রুয়ান্ডার বিরুদ্ধে এম২৩-কে সহায়তা করার অভিযোগ তুলেছে, যদিও রুয়ান্ডা বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ডিআরসি সরকার বিদেশি সেনাদের দেশত্যাগের দাবি জানিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পরিস্থিতির অবনতি রোধে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সমর্থনে জাতিসংঘে ইউক্রেন ইস্যুতে প্রস্তাব উত্থাপন করেছে

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস,

এক চমকপ্রদ কূটনৈতিক পদক্ষেপে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছে, যা রাশিয়া ও চীনের সমর্থন পেয়েছে।

এই উন্নয়ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনকে নির্দেশ করে এবং ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে বিভেদ স্পষ্ট করে। ইউরোপীয় দেশগুলো প্রস্তাবে রাশিয়ার ইউক্রেন থেকে তাত্ক্ষণিক প্রত্যাহারের দাবি অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিল, তবে সেই সংশোধনী গ্রহণ করা হয়নি।

এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক কূটনীতির জটিলতা ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত মতৈক্য গঠনের চ্যালেঞ্জগুলোর প্রতিফলন ঘটায়।

অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা বাড়ছে ইহুদিবিদ্বেষ প্রতিরোধের উদ্যোগ

দ্য গার্ডিয়ান,

অস্ট্রেলিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স অর্গানাইজেশন (ASIO) দেশে ক্রমবর্ধমান ইহুদিবিদ্বেষ রোধকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। সংস্থার প্রধান মাইক বার্গেস সিনেটের এক শুনানিতে এই ঘোষণা দেন এবং সমাজের স্থিতিশীলতা রক্ষায় সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

অস্ট্রেলিয়ার সরকার ASIO-এর প্রচেষ্টাকে সমর্থন করেছে এবং ইহুদিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে শক্তিশালী আইনি ও সামাজিক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বিবেচনা করছে।

চেক প্রধানমন্ত্রী বৈশ্বিক ব্যবস্থার পরিবর্তন নিয়ে সতর্ক করলেন

এক্সপেটস.সিজেড,

চেক প্রধানমন্ত্রী পেত্র ফিয়ালা বলেছেন, বর্তমান সময়টি সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক পরিবর্তনের সাক্ষী হচ্ছে। রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের তৃতীয় বার্ষিকীতে তিনি ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়ানোর আহ্বান জানান।

তিনি ইউক্রেনের জন্য ন্যাটো ব্যয় বৃদ্ধি এবং রাশিয়ার হিমায়িত সম্পদ ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরেন। ফিয়ালা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য কাঠামোগত সংস্কারের আহ্বান জানান।

কোবাল্ট রপ্তানি স্থগিত করলো কঙ্গো সরকার

রয়টার্স,

ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো (DRC) ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ থেকে চার মাসের জন্য কোবাল্ট রপ্তানি স্থগিত ঘোষণা করেছে।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোবাল্ট উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে ডিআরসির এই সিদ্ধান্ত বৈশ্বিক প্রযুক্তি ও নবায়নযোগ্য শক্তির সরবরাহ শৃঙ্খলে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। সরকার দেশীয় প্রক্রিয়াকরণকে উৎসাহিত করার জন্য নতুন কৌশলও গ্রহণ করছে।

ফেডারেল কর্মচারীরা এলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করলো

দ্য গার্ডিয়ান,

মার্কিন ফেডারেল কর্মচারীরা এলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, যেখানে তার চাকরির নিশ্চয়তা সংক্রান্ত নতুন নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

এই মামলা কর্মক্ষেত্রে অধিকার ও সরকারি কর্মসংস্থানের নীতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘে ইউক্রেন ইস্যুতে প্রস্তাব উত্থাপন করলো, রাশিয়ার সমর্থন পাওয়া গেলো

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস,

এক বিস্ময়কর কূটনৈতিক পদক্ষেপে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছে, যা রাশিয়া ও চীনের সমর্থন পেয়েছে।

এই পদক্ষেপ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নির্দেশ করে, যা ইউক্রেন সংকট নিয়ে পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে মতপার্থক্যের ইঙ্গিত দেয়। ইউরোপীয় দেশগুলো প্রস্তাবের মধ্যে রাশিয়ার ইউক্রেন থেকে তাত্ক্ষণিক প্রত্যাহারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিল, তবে সেই সংশোধনী গ্রহণ করা হয়নি।

এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক কূটনীতির জটিলতা এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মতৈক্য গঠনের চ্যালেঞ্জগুলোর প্রতিফলন ঘটায়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে, কারণ এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া এবং এর ফলাফল কী হবে তা এখনো অনিশ্চিত।