০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
গ্রে’স অ্যানাটমি’ তারকা জেমস পিকেন্স জুনিয়রের প্রোস্টেট ক্যান্সার ধরা, স্ক্রিনিংয়ের আহ্বান এআই–তৈরি নায়িকা নিয়ে নতুন দুশ্চিন্তায় হলিউড অ্যানিমেটেড কে–পপ মুভিই প্রথমবার নেটফ্লিক্সকে দিল উত্তর আমেরিকার বক্স অফিসে শীর্ষস্থান চীনা অনলাইন সাহিত্য, গেম, অ্যানিমেশন ও পপ কালচারের স্বতঃস্ফূর্ত বিস্তার কীভাবে দেশের সফট পাওয়ারকে বদলে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের পুনরায় ভারতে কার্যক্রম শুরু করায় শক্তিশালী আয়: সাপ্তাহিক লাভে ভারতীয় শেয়ারবাজার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায় ঘোষণার দিনে রাস্তায় অবস্থানের ঘোষণা জামায়াতের ওশেনম্যান থাইল্যান্ড ২০২৫–এ ১০ কিলোমিটার সাঁতার সম্পন্ন করলেন বাংলাদেশি সাঁতারু শেখ জামিল সাভারে ইতিহাস পরিবহনের বাসে অগ্নিসংযোগ ইসলামিক ফ্রন্টের ৯ দফা প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনের সংলাপে কাতারে ৮০০ বাংলাদেশি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য নিয়োগ

সরকারী সিদ্ধান্ত: বেক্সিমকো টেক্সটাইল কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ

  • Sarakhon Report
  • ০৭:০০:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 58

সারাক্ষণ রিপোর্ট

বেক্সিমকো গ্রুপের অধীনে থাকা সকল টেক্সটাইল কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

কর্মী ও কর্মকর্তাদের ছাঁটাই

সব কর্মী ও কর্মকর্তা আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে চাকরিচ্যুত হবেন। তাদের পাওনা পরিশোধের কাজ শুরু হবে ৯ মার্চ থেকে।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ

বেক্সিমকো ক্রাইসিস রেজোলিউশন অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্র জানিয়েছে।

আনুষ্ঠানিক ঘোষণা

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে।

পাওনা পরিশোধে প্রয়োজন ৫.৫ থেকে ৬.০ বিলিয়ন টাকা

সূত্র জানিয়েছে, কর্মীদের সকল পাওনা পরিশোধ করতে প্রায় ৫.৫ থেকে ৬.০ বিলিয়ন টাকা প্রয়োজন হবে।

বেক্সিমকোর অনুরোধ ও সরকারের সিদ্ধান্ত

বেক্সিমকো গ্রুপ সরকারের কাছ থেকে এই অর্থ পাওয়ার পরিবর্তে প্রতি মাসে ১.০ বিলিয়ন টাকার সিসি লোন চেয়েছিল, যাতে তারা ব্যবসা চালিয়ে যেতে এবং কর্মীদের বেতন পরিশোধ করতে পারে।

কোম্পানিটি দাবি করেছিল, ৪.০ বিলিয়ন টাকার আর্থিক সহায়তা, অর্থাৎ প্রতি মাসে ১.০ বিলিয়ন টাকা পেলে তারা আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি কর্মীদের বেতন পরিশোধ করতে পারবে।

তবে, বেক্সিমকোর এই অনুরোধে সাড়া না দিয়ে সরকার কারখানাগুলিকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেগুলি ইতোমধ্যেই লেআফ অবস্থায় রয়েছে।

বকেয়া পরিশোধ শুরু ৯ মার্চ থেকে

বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৪টি বন্ধ শিল্প ইউনিটের কর্মীদের বকেয়া পরিশোধ শুরু হবে আগামী ৯ মার্চ থেকে। শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রয়োজন ৫.২৫ বিলিয়ন টাকা

তিনি জানান, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৪টি বন্ধ শিল্প ইউনিটের কর্মীদের বকেয়া পরিশোধে প্রায় ৫.২৫ বিলিয়ন টাকা প্রয়োজন হবে।

রমজানের আগে বকেয়া পরিশোধের প্রতিশ্রুতি

এর আগে, ১২ ফেব্রুয়ারি উপদেষ্টা বলেছিলেন, রমজানের আগে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কর্মীদের বকেয়া পরিশোধ করবে সরকার।

সারাংশ

বেক্সিমকো গ্রুপের অধীনে থাকা সকল টেক্সটাইল কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কর্মীদের চাকরিচ্যুতি এবং তাদের বকেয়া পরিশোধের সময়সূচী নির্ধারণ করা হয়েছে। বেক্সিমকো আর্থিক সহায়তার অনুরোধ করলেও সরকার তা মঞ্জুর না করে কারখানাগুলি স্থায়ীভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

গ্রে’স অ্যানাটমি’ তারকা জেমস পিকেন্স জুনিয়রের প্রোস্টেট ক্যান্সার ধরা, স্ক্রিনিংয়ের আহ্বান

সরকারী সিদ্ধান্ত: বেক্সিমকো টেক্সটাইল কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ

০৭:০০:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

বেক্সিমকো গ্রুপের অধীনে থাকা সকল টেক্সটাইল কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

কর্মী ও কর্মকর্তাদের ছাঁটাই

সব কর্মী ও কর্মকর্তা আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে চাকরিচ্যুত হবেন। তাদের পাওনা পরিশোধের কাজ শুরু হবে ৯ মার্চ থেকে।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ

বেক্সিমকো ক্রাইসিস রেজোলিউশন অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্র জানিয়েছে।

আনুষ্ঠানিক ঘোষণা

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে।

পাওনা পরিশোধে প্রয়োজন ৫.৫ থেকে ৬.০ বিলিয়ন টাকা

সূত্র জানিয়েছে, কর্মীদের সকল পাওনা পরিশোধ করতে প্রায় ৫.৫ থেকে ৬.০ বিলিয়ন টাকা প্রয়োজন হবে।

বেক্সিমকোর অনুরোধ ও সরকারের সিদ্ধান্ত

বেক্সিমকো গ্রুপ সরকারের কাছ থেকে এই অর্থ পাওয়ার পরিবর্তে প্রতি মাসে ১.০ বিলিয়ন টাকার সিসি লোন চেয়েছিল, যাতে তারা ব্যবসা চালিয়ে যেতে এবং কর্মীদের বেতন পরিশোধ করতে পারে।

কোম্পানিটি দাবি করেছিল, ৪.০ বিলিয়ন টাকার আর্থিক সহায়তা, অর্থাৎ প্রতি মাসে ১.০ বিলিয়ন টাকা পেলে তারা আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি কর্মীদের বেতন পরিশোধ করতে পারবে।

তবে, বেক্সিমকোর এই অনুরোধে সাড়া না দিয়ে সরকার কারখানাগুলিকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেগুলি ইতোমধ্যেই লেআফ অবস্থায় রয়েছে।

বকেয়া পরিশোধ শুরু ৯ মার্চ থেকে

বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৪টি বন্ধ শিল্প ইউনিটের কর্মীদের বকেয়া পরিশোধ শুরু হবে আগামী ৯ মার্চ থেকে। শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রয়োজন ৫.২৫ বিলিয়ন টাকা

তিনি জানান, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৪টি বন্ধ শিল্প ইউনিটের কর্মীদের বকেয়া পরিশোধে প্রায় ৫.২৫ বিলিয়ন টাকা প্রয়োজন হবে।

রমজানের আগে বকেয়া পরিশোধের প্রতিশ্রুতি

এর আগে, ১২ ফেব্রুয়ারি উপদেষ্টা বলেছিলেন, রমজানের আগে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কর্মীদের বকেয়া পরিশোধ করবে সরকার।

সারাংশ

বেক্সিমকো গ্রুপের অধীনে থাকা সকল টেক্সটাইল কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কর্মীদের চাকরিচ্যুতি এবং তাদের বকেয়া পরিশোধের সময়সূচী নির্ধারণ করা হয়েছে। বেক্সিমকো আর্থিক সহায়তার অনুরোধ করলেও সরকার তা মঞ্জুর না করে কারখানাগুলি স্থায়ীভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।