০২:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

বেক্সিমকোর শ্রমিক ছাঁটাইয়ের নিন্দা গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের

  • Sarakhon Report
  • ০৭:২৭:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 20

সারাক্ষণ রিপোর্ট

১০টি গার্মেন্টস সংগঠনের জোট গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন বেক্সিমকো কারখানার সকল শ্রমিকদের ছাঁটাইয়ের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।

আন্দোলনের দাবী: চাকুরির নিশ্চয়তা প্রয়োজন

এক যুক্ত বিবৃতিতে অধিকার আন্দোলনের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন এবং সদস্য সচিব ও গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ ছাঁটাইকৃত সকল শ্রমিকের চাকুরির নিশ্চয়তা দাবি করেছেন।

শ্রমিক সংখ্যা ও ছাঁটাই নিয়ে বিতর্ক

নেতৃবৃন্দ তাদের বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, বেক্সিমকো কোম্পানির তথ্যমতে কারখানাগুলোতে মোট শ্রমিক সংখ্যা ছিল ৪৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার। কিন্তু সরকারি নোটিশে এই সংখ্যা উল্লেখ করা হচ্ছে ৩৫ হাজার

  • এই পার্থক্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়, কারণ এতে অনেক শ্রমিকের প্রাপ্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও শিল্পক্ষেত্রে প্রভাব

নেতৃবৃন্দের মতে, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর শ্রমিকদের কর্মসংস্থান বাড়ানো অন্তর্বতীকালীন সরকারের দায়িত্ব ছিল।

  • অথচ, সরকারি সিদ্ধান্তে শুধুমাত্র একটি কোম্পানি থেকেই হাজার হাজার শ্রমিক ছাঁটাই শিল্পক্ষেত্রে অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
  • এতে অন্যান্য কারখানাতেও ছাঁটাই বা চাকুরিচ্যুতির ঘটনা বাড়তে পারে, যা কর্মসংস্থানের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

ত্রি-পক্ষীয় সভা ও শ্রম আইন লঙ্ঘন

সরকার, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর বিভিন্ন ত্রি-পক্ষীয় সভায় শ্রমিক ছাঁটাই ও লে-অফকে নিরুৎসাহিত করার কথা থাকলেও, বাস্তবে তার উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে।

  • নেতৃবৃন্দের মতে, শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে ৫৫০-৬০০ কোটি টাকা প্রয়োজন।
  • কারখানাগুলো চালু রাখতে ও শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিশ্চিত করতে ৪০০ কোটি টাকার প্রয়োজন ছিল।

সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

বেক্সিমকো কোম্পানির বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে, যা সরকার উদ্ধার করে কারখানা চালু রাখতে পারত।

  • কিন্তু সেই উদ্যোগের অভাবে শ্রমিক ও জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে নেতৃবৃন্দ মনে করেন।

ক্ষোভ ও প্রতিবাদ

নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, প্রায় ১০-১৫ হাজার শ্রমিকের সংখ্যা কমিয়ে হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে, যা তাদের প্রাপ্য পাওনাদি থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়েছে।

  • এর ফলে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েছে এবং এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তারা প্রতিবাদ করছে।

সুপ্রিম কোর্টের রায়কে পাশ কাটানোর কৌশল খুঁজছে বিচারকরা, ফেরাতে পারবে কি USAID

বেক্সিমকোর শ্রমিক ছাঁটাইয়ের নিন্দা গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের

০৭:২৭:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

১০টি গার্মেন্টস সংগঠনের জোট গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন বেক্সিমকো কারখানার সকল শ্রমিকদের ছাঁটাইয়ের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।

আন্দোলনের দাবী: চাকুরির নিশ্চয়তা প্রয়োজন

এক যুক্ত বিবৃতিতে অধিকার আন্দোলনের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন এবং সদস্য সচিব ও গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ ছাঁটাইকৃত সকল শ্রমিকের চাকুরির নিশ্চয়তা দাবি করেছেন।

শ্রমিক সংখ্যা ও ছাঁটাই নিয়ে বিতর্ক

নেতৃবৃন্দ তাদের বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, বেক্সিমকো কোম্পানির তথ্যমতে কারখানাগুলোতে মোট শ্রমিক সংখ্যা ছিল ৪৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার। কিন্তু সরকারি নোটিশে এই সংখ্যা উল্লেখ করা হচ্ছে ৩৫ হাজার

  • এই পার্থক্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়, কারণ এতে অনেক শ্রমিকের প্রাপ্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও শিল্পক্ষেত্রে প্রভাব

নেতৃবৃন্দের মতে, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর শ্রমিকদের কর্মসংস্থান বাড়ানো অন্তর্বতীকালীন সরকারের দায়িত্ব ছিল।

  • অথচ, সরকারি সিদ্ধান্তে শুধুমাত্র একটি কোম্পানি থেকেই হাজার হাজার শ্রমিক ছাঁটাই শিল্পক্ষেত্রে অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
  • এতে অন্যান্য কারখানাতেও ছাঁটাই বা চাকুরিচ্যুতির ঘটনা বাড়তে পারে, যা কর্মসংস্থানের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

ত্রি-পক্ষীয় সভা ও শ্রম আইন লঙ্ঘন

সরকার, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর বিভিন্ন ত্রি-পক্ষীয় সভায় শ্রমিক ছাঁটাই ও লে-অফকে নিরুৎসাহিত করার কথা থাকলেও, বাস্তবে তার উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে।

  • নেতৃবৃন্দের মতে, শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে ৫৫০-৬০০ কোটি টাকা প্রয়োজন।
  • কারখানাগুলো চালু রাখতে ও শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিশ্চিত করতে ৪০০ কোটি টাকার প্রয়োজন ছিল।

সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

বেক্সিমকো কোম্পানির বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে, যা সরকার উদ্ধার করে কারখানা চালু রাখতে পারত।

  • কিন্তু সেই উদ্যোগের অভাবে শ্রমিক ও জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে নেতৃবৃন্দ মনে করেন।

ক্ষোভ ও প্রতিবাদ

নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, প্রায় ১০-১৫ হাজার শ্রমিকের সংখ্যা কমিয়ে হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে, যা তাদের প্রাপ্য পাওনাদি থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়েছে।

  • এর ফলে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েছে এবং এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তারা প্রতিবাদ করছে।