০৫:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি: ভারতের জন্য কতটা উদ্বেগের কারণ? হংকং-এর মেট্রোপল রেস্তোরাঁ বন্ধ হতে চলেছে: এক ঐতিহ্যের অবসান রাজসাহীর ইতিহাস (পর্ব -২৫) ভিয়েতনাম রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ইন্টারভিশন গান প্রতিযোগিতায় বিজয়ী জাপানিদের দীর্ঘ জীবনের রহস্য কী, কেন সেখানে এত বেশি শতবর্ষী নারী? চীনের জলবায়ু প্রতিশ্রুতি হতাশাজনক, তবে সৌরশক্তিতে অবিশ্বাস্য অগ্রগতি দেশে আবারও স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি যুক্তরাষ্ট্রে নতুন এইচ-১বি ভিসা ফি পুরনো ভিসাধারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় আইফোন এয়ার থেকে শুরু করে পাওয়ারহাউস ১৭ প্রো ম্যাক্স: আপনার জন্য সঠিক আইফোনটি খুঁজে নিন রেমা–কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য: হবিগঞ্জ ভ্রমণের এক বিস্তৃত গাইড

একশ অর্থনৈতিক এলাকা তৈরির বদলে পাঁচটিতে সংকুচিত

  • Sarakhon Report
  • ০৩:৫৭:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
  • 53

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

১. বাংলাদেশ সরকার ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা সীমিত করে পাঁচটি অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, যা বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে।

২. ন্যাশনাল স্পেশাল ইকোনমিক জোনসহ পাঁচটি নির্ধারিত অঞ্চলে অবকাঠামো উন্নয়ন ও সেবা নিশ্চিতের কাজ চলমান রয়েছে।

৩. BEZA বিনিয়োগকারীদের কর অব্যাহতি, ওয়ার্ক পারমিট এবং নাগরিকত্বের সুপারিশসহ বিভিন্ন প্রণোদনা সুবিধা দিচ্ছে।


বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক এলাকা প্রতিষ্ঠার ব্যাপক পরিকল্পনা সীমিত করে শুধুমাত্র পাঁচটি পূর্ণাঙ্গ অর্থনৈতিক অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার বলছে, এর মূল উদ্দেশ্য বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ বাড়ানো এবং দেশের অর্থনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলা।

পরিকল্পনার পটভূমি
২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহন করার পর আওয়ামী লীগ সরকারের ঘোষণায় ২০১০ সালে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা (ইজেড) প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা চালু করা হয়েছিল। এই প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল ১০ মিলিয়ন কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি প্রায় US$৪০ বিলিয়ন মূল্যের রপ্তানির জন্য উৎপাদন ভিত্তি গড়ে তোলা। তবে বাস্তবে পরিকল্পনার মাত্র অল্প অংশই কার্যকর করা হয়েছে।

নতুন অগ্রাধিকারভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (BEZA) এর এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেনপ্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনে পাঁচটি নির্বাচিত অর্থনৈতিক অঞ্চলে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
নির্বাচিত পাঁচটি অঞ্চল হল:
• চট্টগ্রামের ন্যাশনাল স্পেশাল ইকোনমিক জোন
• সিলেটের শ্রীহট্টা ইকোনমিক জোন
• নারায়ণগঞ্জের জাপানিজ ইকোনমিক জোন
• কক্সবাজারের মহেশখালী ইকোনমিক জোন
• জামালপুরের জামালপুর ইকোনমিক জোন

এই পাঁচটি অঞ্চলের উন্নয়ন কার্যক্রম ইতিমধ্যেই চলছে। আশিক চৌধুরী জানানআগামী দুই বছরের মধ্যে পানিবিদ্যুৎগ্যাস ও সড়ক যোগাযোগের সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।

উদাহরণস্বরূপমীরসরাই অর্থনৈতিক এলাকা বা ন্যাশনাল স্পেশাল ইকোনমিক জোন ইতিমধ্যে উন্নয়নের বিভিন্ন ধাপে পৌঁছে গেছে। চট্টগ্রামের মীরসরাই ও সীতাকুণ্ডফেনীর সোনাগাজিতে বিস্তৃত ৩৩,৮০০ একরে নির্মিত এই জোনে ২০২২ সালের প্রথমার্ধে কয়েকটি কারখানায় ট্রায়াল উৎপাদন শুরু হয় এবং ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাঁচটি কারখানা বাণিজ্যিক উৎপাদনে প্রবেশ করে।

প্রণোদনা ও বিনিয়োগের সুবিধাসমূহ
BEZA-act ২০১০-এর পর থেকে সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে ১০০টি অর্থনৈতিক এলাকা গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেওবর্তমানে বিনিয়োগের সুবিধা হিসেবে কর ও কাস্টমস/এক্সাইজ শুল্ক অব্যাহতিঅ-আর্থিক প্রণোদনাওয়ার্ক পারমিটস্থায়ী বাসস্থান বা নাগরিকত্বের সুপারিশ এবং কোন FDI সীমা নির্ধারণ করা হচ্ছে।
এরই প্রেক্ষিতে এক্সপোর্ট-প্রসেসিং জোন (EPZ) প্রতিষ্ঠা বন্ধ করে বর্তমানে বাংলাদেশে ৮টি EPZ কার্যকর রয়েছে।

সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি: ভারতের জন্য কতটা উদ্বেগের কারণ?

একশ অর্থনৈতিক এলাকা তৈরির বদলে পাঁচটিতে সংকুচিত

০৩:৫৭:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

১. বাংলাদেশ সরকার ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা সীমিত করে পাঁচটি অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, যা বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে।

২. ন্যাশনাল স্পেশাল ইকোনমিক জোনসহ পাঁচটি নির্ধারিত অঞ্চলে অবকাঠামো উন্নয়ন ও সেবা নিশ্চিতের কাজ চলমান রয়েছে।

৩. BEZA বিনিয়োগকারীদের কর অব্যাহতি, ওয়ার্ক পারমিট এবং নাগরিকত্বের সুপারিশসহ বিভিন্ন প্রণোদনা সুবিধা দিচ্ছে।


বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক এলাকা প্রতিষ্ঠার ব্যাপক পরিকল্পনা সীমিত করে শুধুমাত্র পাঁচটি পূর্ণাঙ্গ অর্থনৈতিক অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার বলছে, এর মূল উদ্দেশ্য বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ বাড়ানো এবং দেশের অর্থনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলা।

পরিকল্পনার পটভূমি
২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহন করার পর আওয়ামী লীগ সরকারের ঘোষণায় ২০১০ সালে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা (ইজেড) প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা চালু করা হয়েছিল। এই প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল ১০ মিলিয়ন কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি প্রায় US$৪০ বিলিয়ন মূল্যের রপ্তানির জন্য উৎপাদন ভিত্তি গড়ে তোলা। তবে বাস্তবে পরিকল্পনার মাত্র অল্প অংশই কার্যকর করা হয়েছে।

নতুন অগ্রাধিকারভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (BEZA) এর এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেনপ্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনে পাঁচটি নির্বাচিত অর্থনৈতিক অঞ্চলে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
নির্বাচিত পাঁচটি অঞ্চল হল:
• চট্টগ্রামের ন্যাশনাল স্পেশাল ইকোনমিক জোন
• সিলেটের শ্রীহট্টা ইকোনমিক জোন
• নারায়ণগঞ্জের জাপানিজ ইকোনমিক জোন
• কক্সবাজারের মহেশখালী ইকোনমিক জোন
• জামালপুরের জামালপুর ইকোনমিক জোন

এই পাঁচটি অঞ্চলের উন্নয়ন কার্যক্রম ইতিমধ্যেই চলছে। আশিক চৌধুরী জানানআগামী দুই বছরের মধ্যে পানিবিদ্যুৎগ্যাস ও সড়ক যোগাযোগের সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।

উদাহরণস্বরূপমীরসরাই অর্থনৈতিক এলাকা বা ন্যাশনাল স্পেশাল ইকোনমিক জোন ইতিমধ্যে উন্নয়নের বিভিন্ন ধাপে পৌঁছে গেছে। চট্টগ্রামের মীরসরাই ও সীতাকুণ্ডফেনীর সোনাগাজিতে বিস্তৃত ৩৩,৮০০ একরে নির্মিত এই জোনে ২০২২ সালের প্রথমার্ধে কয়েকটি কারখানায় ট্রায়াল উৎপাদন শুরু হয় এবং ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাঁচটি কারখানা বাণিজ্যিক উৎপাদনে প্রবেশ করে।

প্রণোদনা ও বিনিয়োগের সুবিধাসমূহ
BEZA-act ২০১০-এর পর থেকে সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে ১০০টি অর্থনৈতিক এলাকা গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেওবর্তমানে বিনিয়োগের সুবিধা হিসেবে কর ও কাস্টমস/এক্সাইজ শুল্ক অব্যাহতিঅ-আর্থিক প্রণোদনাওয়ার্ক পারমিটস্থায়ী বাসস্থান বা নাগরিকত্বের সুপারিশ এবং কোন FDI সীমা নির্ধারণ করা হচ্ছে।
এরই প্রেক্ষিতে এক্সপোর্ট-প্রসেসিং জোন (EPZ) প্রতিষ্ঠা বন্ধ করে বর্তমানে বাংলাদেশে ৮টি EPZ কার্যকর রয়েছে।