০৭:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকের উত্তপ্ত বিতর্ক ও ইউরোপের প্রতিক্রিয়া

  • Sarakhon Report
  • ০৪:০৩:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
  • 25

 সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স তার কথায় বিরক্তি প্রকাশ করেন
  • ইউক্রেন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রাকৃতিক সম্পদ উন্নয়ন চুক্তি স্বাক্ষর
  • মার্কিন কংগ্রেসে রিপাবলিকানদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে
  • বৈঠক যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন সম্পর্কের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে

হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠক উত্তপ্ত বিতর্কে রূপ নেয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে দুই নেতার মতবিরোধ বৈঠকের পরিবেশকে বিশৃঙ্খল করে তোলে।

যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পেতে জেলেনস্কির প্রচেষ্টা

জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সুস্পষ্ট সমর্থন আশা করেছিলেন এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। তবে ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স তার কথায় বিরক্তি প্রকাশ করেন এবং তার আচরণকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেন। বিতর্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, শেষ পর্যন্ত জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস ছেড়ে যেতে বলা হয়।

অধুনা বাতিল হওয়া চুক্তি ও ইউরোপীয় প্রতিক্রিয়া

এই বৈঠকের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল ইউক্রেন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রাকৃতিক সম্পদ উন্নয়ন চুক্তি স্বাক্ষর। এটি ইউক্রেনের অর্থনীতি ও ইউরোপীয় মিত্রদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। তবে তীব্র মতপার্থক্যের ফলে চুক্তিটি বাতিল হয়ে যায়, যা ভবিষ্যতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

জার্মানির চ্যান্সেলর প্রার্থী ফ্রিডরিখ মের্জ এ নিয়ে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন,
এই ভয়াবহ যুদ্ধে আক্রমণকারী ও শিকারকে এক কাতারে ফেলা যায় না।”

ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ সম্পর্ক

বৈঠকের পর ট্রাম্প তার সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ জেলেনস্কির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে লেখেন,
আমি মনে করিপ্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এখনো শান্তির জন্য প্রস্তুত নন যদি আমেরিকা এতে জড়িত থাকে। তিনি প্রস্তুত হলে ফিরে আসতে পারেন।”

তিনি আরও বলেন,
জেলেনস্কির বোঝা উচিততিনি যুদ্ধ হারাচ্ছেন এবং শান্তির জন্য এগিয়ে আসা প্রয়োজন।”

ইউক্রেনে প্রতিক্রিয়া ও সামরিক সহায়তার ভবিষ্যৎ

বৈঠকের পর ইউক্রেনের জনগণ জেলেনস্কির প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখলেও, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

এদিকে, মার্কিন কংগ্রেসে রিপাবলিকানদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, তবে ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পের আচরণকে কঠোরভাবে সমালোচনা করেছেন।

আন্তর্জাতিক কূটনীতির নতুন মোড়

এই বৈঠক যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন সম্পর্কের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ইউরোপীয় নেতারা প্রকাশ্যে জেলেনস্কির প্রতি সংহতি জানিয়েছেন, যা আন্তর্জাতিক কূটনীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

সংক্ষেপে মূল বিষয়গুলো:

১.হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে তীব্র বিতর্ক হয়।
২.ইউক্রেন-যুক্তরাষ্ট্রের প্রাকৃতিক সম্পদ চুক্তি বাতিল হয়, যা ভবিষ্যৎ সম্পর্ককে অনিশ্চিত করে।
৩.ট্রাম্প জেলেনস্কিকে যুদ্ধ থামানোর আহ্বান জানিয়ে মার্কিন সমর্থন প্রত্যাহারের ইঙ্গিত দেন।
৪. ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন।

এই ঘটনা বিশ্ব রাজনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।

নির্বাচন নিয়ে আবার সন্দেহ, অনিশ্চয়তার কথা কেন আসছে?

ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকের উত্তপ্ত বিতর্ক ও ইউরোপের প্রতিক্রিয়া

০৪:০৩:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

 সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স তার কথায় বিরক্তি প্রকাশ করেন
  • ইউক্রেন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রাকৃতিক সম্পদ উন্নয়ন চুক্তি স্বাক্ষর
  • মার্কিন কংগ্রেসে রিপাবলিকানদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে
  • বৈঠক যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন সম্পর্কের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে

হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠক উত্তপ্ত বিতর্কে রূপ নেয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে দুই নেতার মতবিরোধ বৈঠকের পরিবেশকে বিশৃঙ্খল করে তোলে।

যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পেতে জেলেনস্কির প্রচেষ্টা

জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সুস্পষ্ট সমর্থন আশা করেছিলেন এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। তবে ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স তার কথায় বিরক্তি প্রকাশ করেন এবং তার আচরণকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেন। বিতর্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, শেষ পর্যন্ত জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস ছেড়ে যেতে বলা হয়।

অধুনা বাতিল হওয়া চুক্তি ও ইউরোপীয় প্রতিক্রিয়া

এই বৈঠকের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল ইউক্রেন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রাকৃতিক সম্পদ উন্নয়ন চুক্তি স্বাক্ষর। এটি ইউক্রেনের অর্থনীতি ও ইউরোপীয় মিত্রদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। তবে তীব্র মতপার্থক্যের ফলে চুক্তিটি বাতিল হয়ে যায়, যা ভবিষ্যতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

জার্মানির চ্যান্সেলর প্রার্থী ফ্রিডরিখ মের্জ এ নিয়ে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন,
এই ভয়াবহ যুদ্ধে আক্রমণকারী ও শিকারকে এক কাতারে ফেলা যায় না।”

ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ সম্পর্ক

বৈঠকের পর ট্রাম্প তার সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ জেলেনস্কির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে লেখেন,
আমি মনে করিপ্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এখনো শান্তির জন্য প্রস্তুত নন যদি আমেরিকা এতে জড়িত থাকে। তিনি প্রস্তুত হলে ফিরে আসতে পারেন।”

তিনি আরও বলেন,
জেলেনস্কির বোঝা উচিততিনি যুদ্ধ হারাচ্ছেন এবং শান্তির জন্য এগিয়ে আসা প্রয়োজন।”

ইউক্রেনে প্রতিক্রিয়া ও সামরিক সহায়তার ভবিষ্যৎ

বৈঠকের পর ইউক্রেনের জনগণ জেলেনস্কির প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখলেও, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

এদিকে, মার্কিন কংগ্রেসে রিপাবলিকানদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, তবে ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পের আচরণকে কঠোরভাবে সমালোচনা করেছেন।

আন্তর্জাতিক কূটনীতির নতুন মোড়

এই বৈঠক যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন সম্পর্কের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ইউরোপীয় নেতারা প্রকাশ্যে জেলেনস্কির প্রতি সংহতি জানিয়েছেন, যা আন্তর্জাতিক কূটনীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

সংক্ষেপে মূল বিষয়গুলো:

১.হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে তীব্র বিতর্ক হয়।
২.ইউক্রেন-যুক্তরাষ্ট্রের প্রাকৃতিক সম্পদ চুক্তি বাতিল হয়, যা ভবিষ্যৎ সম্পর্ককে অনিশ্চিত করে।
৩.ট্রাম্প জেলেনস্কিকে যুদ্ধ থামানোর আহ্বান জানিয়ে মার্কিন সমর্থন প্রত্যাহারের ইঙ্গিত দেন।
৪. ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন।

এই ঘটনা বিশ্ব রাজনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।