সারাক্ষণ রিপোর্ট
হোয়াইট হাউসে একটি সরাসরি প্রেস ইভেন্টে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। এর মূল কারণ ছিল জেলেনস্কির একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবিকে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রত্যাখ্যান করা।
ঘটনার পটভূমি
ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনের জন্য একটি নিরাপত্তা চুক্তির প্রস্তাব করেছিল, যা খনিজ সম্পদের বিনিময়ে দেওয়া হচ্ছিল। তবে এই চুক্তিতে ইউক্রেনকে রাশিয়ার ভবিষ্যৎ আক্রমণ থেকে রক্ষা করার কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। জেলেনস্কি বারবার জোর দিয়ে বলেন যে, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ছাড়া তিনি কোনো চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন না।
চুক্তির প্রস্তাব ও প্রতিক্রিয়া
ইউক্রেনের পক্ষে শক্তিশালী নিরাপত্তা শর্ত দরকার ছিল, কিন্তু সেই নিশ্চয়তা না থাকায় জেলেনস্কি চুক্তিটি প্রত্যাখ্যান করেন। এতে ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ক্ষুব্ধ হন। এক ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “আমরা এমন কোনো চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পারি না, যা আমাদের রক্ষা করবে না বরং আক্রমণকারীদের সুবিধা দেবে।”
উত্তপ্ত বিতর্ক ও বিতর্কিত মন্তব্য
সংবাদ সম্মেলনের কয়েক মিনিটের মধ্যেই উত্তেজনা চরমে ওঠে।
- ট্রাম্প ২০১৪ ও ২০২২ সালে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের জন্য তিনি বারাক ওবামা ও জো বাইডেনকে দায়ী করেন।
- জেলেনস্কি সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “রাশিয়া ২০১৪ সাল থেকে এক মুহূর্তের জন্যও ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আক্রমণ বন্ধ করেনি, এবং পুতিন বারবার দ্বিপাক্ষিক চুক্তি লঙ্ঘন করেছেন।”
- ভ্যান্স মন্তব্য করেন, “ওভাল অফিসে এসে মিডিয়ার সামনে এই বিষয়ে বিতর্ক করা সম্মানজনক নয়।”
উপসংহার
জেলেনস্কি যুক্তি দেন যে, ইউক্রেন শুধু নিজের জন্য নয়, গোটা ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য লড়াই করছে, যা ভবিষ্যতে অন্যান্য দেশকেও প্রভাবিত করতে পারে। অপরদিকে, ট্রাম্প বলেন, “আমরা সমস্যার সমাধান করতে চাই, তাই আমাদের মনোভাব নির্ধারণের চেষ্টা করবেন না।”
এই ঘটনাটি দেখায়, কূটনৈতিক আলোচনায় নিরাপত্তার নিশ্চয়তা কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং কীভাবে দুই নেতার অবস্থান একে অপরের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে পড়ে।