০২:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

হোয়াইট হাউসে উত্তপ্ত বৈঠকের পর ইউক্রেনে সহায়তা বন্ধ করলেন ট্রাম্প

  • Sarakhon Report
  • ০৬:০০:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
  • 21

সারাক্ষণ রিপোর্ট

ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনকে দেয়া সব ধরনের সহায়তা – যার মধ্যে অস্ত্র সরবরাহও অন্তর্ভুক্ত – তা অস্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য হলো ইউক্রেনের নেতাদেরকে মার্কিন সহায়তার প্রতি কৃতজ্ঞতা দেখাতে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতি জানানোর আহ্বান জানানো।

সহায়তা বিরতির কারণ ও প্রক্রিয়া

  • মূল প্রত্যাশা: ইউক্রেনের নেতাদের থেকে মার্কিন সমর্থন এবং শান্তি আলোচনা নিয়ে যথাযথ মূল্যায়ন ও অংশগ্রহণের প্রত্যাশা।
  • পর্যালোচনা: অস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামের সহায়তা পর্যালোচনার অধীনে আছে, যাতে সেগুলো শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
  • স্থগিতকরণ শর্ত: কর্মকর্তাদের মতে, যতক্ষণ না ইউক্রেনের নেতারা সৎ ও সদিচ্ছাপূর্ণ শান্তি আলোচনায় অংশগ্রহণের সংকল্প দেখায়, ততক্ষণ সামরিক সহায়তা বিরত থাকবে। এটি চূড়ান্ত নয়, বরং একটি বিরতি।

বৈঠকের মূল ঘটনাসমূহ ও বক্তব্য

  • মুখ্য বৈঠক: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিন বছরের রাশিয়া-উক্রেন সংঘর্ষের সমাধানের উপায় খোঁজা হয়।
  • মতবিনিময়: সাংবাদিকদের প্রশ্নের মধ্য দিয়ে বৈঠকে উত্তেজনা ও তীব্র কথাবার্তা শুরু হয়।
  • কর্তব্যবোধ: এক কর্মকর্তার মতে, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শান্তির প্রতি মনোযোগী, তবে আমাদের সহযোগীদেরও সেই প্রতিশ্রুতি দেখানো আবশ্যক।”
  • নিরাপত্তা বিষয়ক মন্তব্য: একজন ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ছাড়া কোনো চুক্তি স্বাক্ষর করা সম্ভব নয়, যা আগ্রাসী পক্ষকে প্রলোভন দেবে।”

উত্তেজনা ও মতবিরোধ

  • তর্ক-বিতর্ক: জেলেনস্কির বৈঠকে ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে উত্তপ্ত তর্ক দেখা যায়।
  • ইতিহাসের উল্লেখ: জেলেনস্কি জানান যে, ২০১৪ থেকে ২০২২ পর্যন্ত রাশিয়া কখনও ইউক্রেনের ওপর হামলা থামায়নি – এমনকি ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদেও।
  • সমালোচনা: ট্রাম্প জেলেনস্কিকে অভিযোগ করেন যে, তিনি “তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের জুয়া” খেলছেন, কারণ তিনি মনে করেন জেলেনস্কি শান্তি প্রতিষ্ঠায় যথেষ্ট উদ্যোগ দেখাননি।
  • আস্থা: উত্তপ্ত কথাবার্তার পরও, জেলেনস্কি ক্ষমা প্রার্থনা করেননি, কারণ তাঁর বিশ্বাস দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক এবং জনগণের সম্পর্ক ইতিমধ্যেই শক্তিশালী।

ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ ও দিকনির্দেশনা

  • আসন্ন আলোচনা: ট্রাম্প জানান যে, রেয়ার-আরথ মিনারেল চুক্তির বর্তমান অবস্থা নিয়ে আগামী মঙ্গলবার কংগ্রেসে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
  • কৃতজ্ঞতার আহ্বান: তিনি আরও বলেন, “আমাদের দেশের সহায়তা কঠিন সময়ে ইউক্রেনের পাশে ছিল; তাই নেতাদের উচিত সেই সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।”
  • শান্তি আলোচনা: যদি ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় সদিচ্ছাপূর্ণ অংশগ্রহণের সংকল্প দেখায়, তবে সহায়তা পুনরায় চালু করার সম্ভাবনা রয়েছে।

উপসংহার

ট্রাম্প প্রশাসনের এই সাময়িক সহায়তা বিরতি মূলত ইউক্রেনের নেতাদেরকে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আরও দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের আহ্বান জানাতে নেয়া হয়েছে। যদিও বর্তমান ব্যবস্থা অস্থায়ী, ভবিষ্যতে সৎ প্রচেষ্টা ও সহযোগিতার মাধ্যমে সহায়তা পুনরায় শুরু করা যেতে পারে।

২০২৫ সালে ফিলিপাইনের ১২টি প্রধান অবকাঠামো প্রকল্প: রিয়েল এস্টেটের রূপান্তর

হোয়াইট হাউসে উত্তপ্ত বৈঠকের পর ইউক্রেনে সহায়তা বন্ধ করলেন ট্রাম্প

০৬:০০:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনকে দেয়া সব ধরনের সহায়তা – যার মধ্যে অস্ত্র সরবরাহও অন্তর্ভুক্ত – তা অস্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য হলো ইউক্রেনের নেতাদেরকে মার্কিন সহায়তার প্রতি কৃতজ্ঞতা দেখাতে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতি জানানোর আহ্বান জানানো।

সহায়তা বিরতির কারণ ও প্রক্রিয়া

  • মূল প্রত্যাশা: ইউক্রেনের নেতাদের থেকে মার্কিন সমর্থন এবং শান্তি আলোচনা নিয়ে যথাযথ মূল্যায়ন ও অংশগ্রহণের প্রত্যাশা।
  • পর্যালোচনা: অস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামের সহায়তা পর্যালোচনার অধীনে আছে, যাতে সেগুলো শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
  • স্থগিতকরণ শর্ত: কর্মকর্তাদের মতে, যতক্ষণ না ইউক্রেনের নেতারা সৎ ও সদিচ্ছাপূর্ণ শান্তি আলোচনায় অংশগ্রহণের সংকল্প দেখায়, ততক্ষণ সামরিক সহায়তা বিরত থাকবে। এটি চূড়ান্ত নয়, বরং একটি বিরতি।

বৈঠকের মূল ঘটনাসমূহ ও বক্তব্য

  • মুখ্য বৈঠক: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিন বছরের রাশিয়া-উক্রেন সংঘর্ষের সমাধানের উপায় খোঁজা হয়।
  • মতবিনিময়: সাংবাদিকদের প্রশ্নের মধ্য দিয়ে বৈঠকে উত্তেজনা ও তীব্র কথাবার্তা শুরু হয়।
  • কর্তব্যবোধ: এক কর্মকর্তার মতে, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শান্তির প্রতি মনোযোগী, তবে আমাদের সহযোগীদেরও সেই প্রতিশ্রুতি দেখানো আবশ্যক।”
  • নিরাপত্তা বিষয়ক মন্তব্য: একজন ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ছাড়া কোনো চুক্তি স্বাক্ষর করা সম্ভব নয়, যা আগ্রাসী পক্ষকে প্রলোভন দেবে।”

উত্তেজনা ও মতবিরোধ

  • তর্ক-বিতর্ক: জেলেনস্কির বৈঠকে ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে উত্তপ্ত তর্ক দেখা যায়।
  • ইতিহাসের উল্লেখ: জেলেনস্কি জানান যে, ২০১৪ থেকে ২০২২ পর্যন্ত রাশিয়া কখনও ইউক্রেনের ওপর হামলা থামায়নি – এমনকি ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদেও।
  • সমালোচনা: ট্রাম্প জেলেনস্কিকে অভিযোগ করেন যে, তিনি “তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের জুয়া” খেলছেন, কারণ তিনি মনে করেন জেলেনস্কি শান্তি প্রতিষ্ঠায় যথেষ্ট উদ্যোগ দেখাননি।
  • আস্থা: উত্তপ্ত কথাবার্তার পরও, জেলেনস্কি ক্ষমা প্রার্থনা করেননি, কারণ তাঁর বিশ্বাস দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক এবং জনগণের সম্পর্ক ইতিমধ্যেই শক্তিশালী।

ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ ও দিকনির্দেশনা

  • আসন্ন আলোচনা: ট্রাম্প জানান যে, রেয়ার-আরথ মিনারেল চুক্তির বর্তমান অবস্থা নিয়ে আগামী মঙ্গলবার কংগ্রেসে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
  • কৃতজ্ঞতার আহ্বান: তিনি আরও বলেন, “আমাদের দেশের সহায়তা কঠিন সময়ে ইউক্রেনের পাশে ছিল; তাই নেতাদের উচিত সেই সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।”
  • শান্তি আলোচনা: যদি ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় সদিচ্ছাপূর্ণ অংশগ্রহণের সংকল্প দেখায়, তবে সহায়তা পুনরায় চালু করার সম্ভাবনা রয়েছে।

উপসংহার

ট্রাম্প প্রশাসনের এই সাময়িক সহায়তা বিরতি মূলত ইউক্রেনের নেতাদেরকে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আরও দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের আহ্বান জানাতে নেয়া হয়েছে। যদিও বর্তমান ব্যবস্থা অস্থায়ী, ভবিষ্যতে সৎ প্রচেষ্টা ও সহযোগিতার মাধ্যমে সহায়তা পুনরায় শুরু করা যেতে পারে।