০৮:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ: যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি ভাষা “ ইংরেজি”

  • Sarakhon Report
  • ০২:১৩:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • 21

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এবারই প্রথম ইংরেজিকে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হলো
  • বিশ্বের ১৯৫টি দেশের মধ্যে প্রায় ১৮০টি দেশ তাদের সরকারি ভাষা নির্ধারণ করেছে
  • এতদিন যুক্তরাষ্ট্র ছিল সেই কয়েকটি দেশের একটি, যেখানে কোনো নির্দিষ্ট সরকারি ভাষা ছিল না

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যা যুক্তরাষ্ট্রে ইংরেজিকে সরকারি ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

ক্লিনটনের আদেশ বাতিল

এই নতুন আদেশের মাধ্যমে ২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের দেওয়া ইমপ্রুভিং অ্যাক্সেস সার্ভিসেস ফর পার্সন্স উইথ লিমিটেড ইংলিশ প্রফিসিয়েন্সি” শীর্ষক নির্বাহী আদেশটি বাতিল করা হয়েছে। ক্লিনটনের আদেশ অনুযায়ী, ফেডারেল সংস্থাগুলো ও সরকারি তহবিলপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইংরেজি না-জানা ব্যক্তিদের ভাষাগত সহায়তা প্রদান করতে হতো।

ফেডারেল সংস্থাগুলোর স্বাধীনতা

ট্রাম্পের নতুন আদেশ বলছে, এটি কোনো সংস্থাকে তাদের বিদ্যমান সেবাগুলোতে পরিবর্তন আনতে বাধ্য করবে না। বরং, প্রতিটি সংস্থার প্রধান নিজ নিজ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

ইংরেজির সরকারি স্বীকৃতি: প্রথমবারের মতো

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এবারই প্রথম ইংরেজিকে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হলো। যদিও সরকারি নথিপত্র সবসময় ইংরেজিতেই লেখা হতো, এতদিন আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়নি।

ট্রাম্পের বক্তব্য

নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প লিখেছেন, একটি নির্দিষ্ট জাতীয় ভাষা একটি ঐক্যবদ্ধ ও সংহত সমাজের ভিত্তি। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক সমাজ একটি অভিন্ন ভাষায় স্বাধীনভাবে ভাবনা বিনিময় করলে দেশ আরও শক্তিশালী হবে।”

বিশ্বব্যাপী তুলনা

বিশ্বের ১৯৫টি দেশের মধ্যে প্রায় ১৮০টি দেশ তাদের সরকারি ভাষা নির্ধারণ করেছে। এতদিন যুক্তরাষ্ট্র ছিল সেই কয়েকটি দেশের একটি, যেখানে কোনো নির্দিষ্ট সরকারি ভাষা ছিল না।

ইমিগ্রেশন নীতিতে প্রভাব

ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই ইংরেজিকে জাতীয় ভাষা করার পক্ষে ছিলেন। বিশেষ করে ২০২৪ সালে, যখন তিনি তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিবাসন নীতির সমালোচনা করেন। তিনি বলেছিলেন, আমাদের দেশে এমন ভাষা আসছেযা আমাদের শিক্ষকরাও জানেন না। এটি ভয়ংকর!”

আদেশের উদ্দেশ্য

নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, এর লক্ষ্য হলো—

  • জাতীয় ঐক্য বৃদ্ধি করা
  • সবার জন্য অভিন্ন আমেরিকান সংস্কৃতি গড়ে তোলা
  • সরকারি কার্যক্রমের মধ্যে সামঞ্জস্য নিশ্চিত করা
  • নাগরিক অংশগ্রহণ সহজ করা

মেলানিয়া ট্রাম্পের বহুভাষিকতা

প্রথম মহিলা মেলানিয়া ট্রাম্প অন্তত পাঁচটি ভাষায় দক্ষ—ইংরেজি, ফরাসি, ইতালীয়, জার্মান এবং স্লোভেনিয়ান।

নির্বাহী আদেশের সংখ্যা

ওভাল অফিসে ফিরে আসার পর থেকে ট্রাম্প এখন পর্যন্ত ৭৬টি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি আদেশ হলো:

মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে “গালফ অফ আমেরিকা” রাখা

মাউন্ট ডেনালি” নাম পরিবর্তন করে পুরোনো নাম “মাউন্ট ম্যাককিনলি” পুনর্বহাল করা

সংক্ষেপে:

ট্রাম্পের নতুন নির্বাহী আদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ইংরেজিকে সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা করেছে, যা ২০০০ সালের ক্লিনটনের ভাষাগত সহায়তা সংক্রান্ত আদেশ বাতিল করেছে। এতে সরকারি সংস্থাগুলোকে বাধ্য করা হয়নি, তবে ইংরেজির গুরুত্ব বাড়ানো হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অভিবাসন নীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে এবং জাতীয় ঐক্যের দিকে জোর দিয়েছে।

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ: যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি ভাষা “ ইংরেজি”

০২:১৩:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এবারই প্রথম ইংরেজিকে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হলো
  • বিশ্বের ১৯৫টি দেশের মধ্যে প্রায় ১৮০টি দেশ তাদের সরকারি ভাষা নির্ধারণ করেছে
  • এতদিন যুক্তরাষ্ট্র ছিল সেই কয়েকটি দেশের একটি, যেখানে কোনো নির্দিষ্ট সরকারি ভাষা ছিল না

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যা যুক্তরাষ্ট্রে ইংরেজিকে সরকারি ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

ক্লিনটনের আদেশ বাতিল

এই নতুন আদেশের মাধ্যমে ২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের দেওয়া ইমপ্রুভিং অ্যাক্সেস সার্ভিসেস ফর পার্সন্স উইথ লিমিটেড ইংলিশ প্রফিসিয়েন্সি” শীর্ষক নির্বাহী আদেশটি বাতিল করা হয়েছে। ক্লিনটনের আদেশ অনুযায়ী, ফেডারেল সংস্থাগুলো ও সরকারি তহবিলপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইংরেজি না-জানা ব্যক্তিদের ভাষাগত সহায়তা প্রদান করতে হতো।

ফেডারেল সংস্থাগুলোর স্বাধীনতা

ট্রাম্পের নতুন আদেশ বলছে, এটি কোনো সংস্থাকে তাদের বিদ্যমান সেবাগুলোতে পরিবর্তন আনতে বাধ্য করবে না। বরং, প্রতিটি সংস্থার প্রধান নিজ নিজ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

ইংরেজির সরকারি স্বীকৃতি: প্রথমবারের মতো

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এবারই প্রথম ইংরেজিকে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হলো। যদিও সরকারি নথিপত্র সবসময় ইংরেজিতেই লেখা হতো, এতদিন আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়নি।

ট্রাম্পের বক্তব্য

নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প লিখেছেন, একটি নির্দিষ্ট জাতীয় ভাষা একটি ঐক্যবদ্ধ ও সংহত সমাজের ভিত্তি। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক সমাজ একটি অভিন্ন ভাষায় স্বাধীনভাবে ভাবনা বিনিময় করলে দেশ আরও শক্তিশালী হবে।”

বিশ্বব্যাপী তুলনা

বিশ্বের ১৯৫টি দেশের মধ্যে প্রায় ১৮০টি দেশ তাদের সরকারি ভাষা নির্ধারণ করেছে। এতদিন যুক্তরাষ্ট্র ছিল সেই কয়েকটি দেশের একটি, যেখানে কোনো নির্দিষ্ট সরকারি ভাষা ছিল না।

ইমিগ্রেশন নীতিতে প্রভাব

ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই ইংরেজিকে জাতীয় ভাষা করার পক্ষে ছিলেন। বিশেষ করে ২০২৪ সালে, যখন তিনি তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিবাসন নীতির সমালোচনা করেন। তিনি বলেছিলেন, আমাদের দেশে এমন ভাষা আসছেযা আমাদের শিক্ষকরাও জানেন না। এটি ভয়ংকর!”

আদেশের উদ্দেশ্য

নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, এর লক্ষ্য হলো—

  • জাতীয় ঐক্য বৃদ্ধি করা
  • সবার জন্য অভিন্ন আমেরিকান সংস্কৃতি গড়ে তোলা
  • সরকারি কার্যক্রমের মধ্যে সামঞ্জস্য নিশ্চিত করা
  • নাগরিক অংশগ্রহণ সহজ করা

মেলানিয়া ট্রাম্পের বহুভাষিকতা

প্রথম মহিলা মেলানিয়া ট্রাম্প অন্তত পাঁচটি ভাষায় দক্ষ—ইংরেজি, ফরাসি, ইতালীয়, জার্মান এবং স্লোভেনিয়ান।

নির্বাহী আদেশের সংখ্যা

ওভাল অফিসে ফিরে আসার পর থেকে ট্রাম্প এখন পর্যন্ত ৭৬টি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি আদেশ হলো:

মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে “গালফ অফ আমেরিকা” রাখা

মাউন্ট ডেনালি” নাম পরিবর্তন করে পুরোনো নাম “মাউন্ট ম্যাককিনলি” পুনর্বহাল করা

সংক্ষেপে:

ট্রাম্পের নতুন নির্বাহী আদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ইংরেজিকে সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা করেছে, যা ২০০০ সালের ক্লিনটনের ভাষাগত সহায়তা সংক্রান্ত আদেশ বাতিল করেছে। এতে সরকারি সংস্থাগুলোকে বাধ্য করা হয়নি, তবে ইংরেজির গুরুত্ব বাড়ানো হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অভিবাসন নীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে এবং জাতীয় ঐক্যের দিকে জোর দিয়েছে।