০২:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

আরাকান আর্মির হাতে বাংলাদেশি সিম, ব্যবহার হয় মুক্তিপণ আদায়ে

  • Sarakhon Report
  • ০৮:৩০:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • 19

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “সাবেক এমপি তানভীর ইমামের বাসায় একদল লোকের তল্লাশি”

সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) তানভীর ইমামের গুলশানের বাসায় তল্লাশি চালিয়েছে একদল মানুষ। তানভীর ইমাম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রয়াত রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের ছেলে।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে গুলশান-২ নম্বরের ৮১ নম্বর সড়কের ওই বাসায় এ তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় ওই ব্যক্তিদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্যকে দেখা যায়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাত সাড়ে ১১টার দিকে শতাধিক মানুষ গুলশান-২ নম্বরের বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ পার্কের কাছে জড়ো হন। সেখান থেকে তাঁরা ১২টার দিকে মিছিল নিয়ে তানভীর ইমামের বাসার সামনে যান।

এ সময় লোকজন বাড়িতে ঢুকতে চাইলে নিরাপত্তা কর্মীরা বাধা দেন। বাধা উপেক্ষা করেই তাঁরা বাড়িতে প্রবেশ করেন। এরপর প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে পুরো বাড়ি তাঁরা তল্লাশি করেন।

পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। তবে এ বিষয়ে পুলিশের আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম”আরাকান আর্মির হাতে বাংলাদেশি সিম, ব্যবহার হয় মুক্তিপণ আদায়ে”

আরাকান আর্মি বাংলাদেশি জেলেদের অপহরণ করে লাখ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করছে। কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদী বাংলাদেশের জলসীমায় আরাকান আর্মির সদস্যরা ঢুকে বাংলাদেশের জেলেদের অপহরণ করে নিয়ে যায়। বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে আনুমানিক সাত-আট কিলোমিটার রাখাইন রাজ্যের ভেতরে আরাকান আর্মি নিয়ন্ত্রিত একটি ক্যাম্পে তাদের বন্দি করে রাখা হয়। তাদের পরিবার বা নৌকার মহাজনের মোবাইল নম্বর চায় তারা। মোবাইল ফোন নম্বর না দিলে বন্দিদের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। ফোন নম্বর পাওয়ার পর তারাই ফোন করে জন প্রতি ২ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আরাকান আর্মির হাতে বাংলাদেশের সিমকার্ডসংবলিত মোবাইল ফোন রয়েছে। সেটিতে মোবাইল ব্যাংকিংও করা আছে। মুক্তিপণ পাওয়ার পর তারা জেলেদের নৌকায় করে নাফ নদের বাংলাদেশ জলসীমায় এনে আরেকটি নৌকায় তুলে দেয়। ১৭ দিন বন্দি থাকার পর গত বৃহস্পতিবার আরাকান আর্মির কাছ থেকে বাংলাদেশের ২৯ জন জেলে ও মাঝিমাল্লা ফিরে এসে এসব নির্যাতনের কথা জানিয়েছেন।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মিদের একটি ক্যাম্পে ১৭ দিন বন্দি ছিলেন ৩৫ বছর বয়সী মৎস্যজীবী মাহমুদুল হাসান। গত ১১ ফেব্রুয়ারি নাফ নদী থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায় তারা। তিনি বলেন, মৎস্যজীবীদের প্রথমে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী একটি বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের কড়া নজরদারিতে রাখা হয়। ৪৮ ঘণ্টা ধরে অতি সংকীর্ণ এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে বাধ্য করা হয়। মূত্র ত্যাগের জন্য আমাদের শুধুমাত্র একটি বালতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো প্রকার অন্যান্য সুবিধা ছিল না। আমাদের কেবল ওয়াশরুমে নিয়ে যেত, তারপর আবার একই ঘরে বন্ধ করে দিত।

খাবারের বিষয়ে মাহমুদুল বলেন, ‘আমাদের কেবল এক মুঠো ভাত এবং সেদ্ধ কলার কাণ্ড দেওয়া হতো। কখনো কখনো শুধু মসুর ডাল দেওয়া হতো, তবে তা পচা ছিল এবং তাতে পোকা ছিল। এমনকি আমাদের দেওয়া পানি ছিল পোকামাকড় এবং সিগারেটের ছাইযুক্ত।’ মাহমুদুলের ভাষ্য অনুযায়ী, একই ক্যাম্পে কমপক্ষে ছয় জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবী বন্দি ছিলেন। অন্যদের কোথায় রাখা হয়েছে তা তিনি জানতে পারেননি।

২০ বছর ধরে মৎস্যজীবী হিসেবে কাজ করা মো. শফিউল্লাহ বলেন, ‘আমরা জানি যে প্রতিদিন দুই বা তিন জন মৎস্যজীবীকে আরাকান আর্মি জোরপূর্বক আটক করে ক্যাম্পে এনে বন্দি করে রাখত। আমরা ১৭ দিন থাকার সময় অনেককে এনেছে আবার অনেককে মুক্তিও দিয়েছে।’

 

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে সাড়ে ৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার”

রাজধানীসহ সারা দেশে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে ৫ হাজার ৪৯৩ চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে এ নিয়োগ দেয়া হবে বলে গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকের পর বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ ব্রিফিং করা হয়। সেখানে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘পিএসসির মাধ্যমে ৩ হাজার ৪৯৩ চিকিৎসক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এর অতিরিক্ত হিসেবে আমরা আরো দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গ্রামের মানুষ চিকিৎসা পায় না, তাদের জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতেই মূলত এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদে ১৩৫টি সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৯২টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়েছে বলে জানান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘বর্তমানে দুটি দেশ থেকে (দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায়) এলএনজি আমদানি করা হয়। কিন্তু কয়েক দিন আগে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল-গ্যাস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আরামকোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। আরামকো বাজারে যে দামে এলএনজি বিক্রি করে, তার চেয়ে কম দামে বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহে সম্মত হয়েছে।’

বৈঠকে দুটি প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এগুলো হলো বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্ট আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ। এখানে এখন নামটি থাকবে না। যেমন নভোথিয়েটার আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ হবে।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “ডাকাত আতঙ্কে সিলেটে লাঠিসোটা নিয়ে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায়”

সিলেটে ডাকাত আতঙ্কে মধ্যরাত থেকে লাঠিসোটা হাতে নিয়ে অবস্থান করছে হাজার হাজার মানুষ। জেলার গোলাপগঞ্জ, বিশ্বনাথ, দক্ষিন সুরমা সহ কয়েকটি উপজেলায় মসজিদের মাইকে ডাকাত থেকে সতর্ক থাকার ঘোষণা দিলে আতঙ্কে মানুষজন রাস্তায় নেমে আসেন।

গোলাপগঞ্জ উপজেলার নিমাদল মোকামবাজার এলাকায় সড়কে অবস্থান নেয় অন্তত ১০ হাজার মানুষ। ওই বাজারে অপরিচিত তিন জনকে একটি দোকানের ভেতরে আটকে রেখে বিক্ষুব্ধ জনতা বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। রাত ২ টার দিকে পুলিশের একটি টিম সেখানে গেলে তাদের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হলে পুলিশ সদস্যরা সেখান থেকে চলে আসেন। রাত ৩ টা পর্যন্ত স্থানীয় জনতা বাজারে অবস্থান করছিলেন।

এদিকে রাত দেড়টা থেকে গোলাপগঞ্জ পৌর শহরে ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করে। এ সময় পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডের মসজিদে ডাকাত থেকে সতর্ক থাকার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় কয়েক হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে পাহারা দেন। পুলিশের কয়েকটি টিম ওই এলাকা পরিদর্শন করেছে। একই সময় উপজেলার হেতিমগঞ্জে এক প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা করা হলে স্থানীয়দের ধাওয়ায় ডাকাতদল পালিয়ে যায়।

এদিকে মধ্যরাত থেকে বিশ্বনাথ উপজেলার সদর, দেওকলস, দৌলতপুর সহ কয়েকটি এলাকার মসজিদের মাইকে ডাকাত ডাকাত বলে মাইকিং করা হয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এ সময় ওইসব এলাকার লোকজনও রাস্তায় নেমে আসেন। রাত ৩ টা পর্যন্ত তারা রাস্তায়ই অবস্থান করছিলেন। এছাড়া দক্ষিন সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার ও রাখালগঞ্জ এলাকায়ও ডাকাত আতঙ্কে লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে সড়কে অবস্থান নেন।

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন- জেলার সবখানেই পুলিশের টহল জোরদার রয়েছে। সিনিয়র কর্মকর্তারা মাঠে টহলে রয়েছে। যেখানেই সমস্য হচ্ছে পুলিশ জনগনের পাশে দাড়াচ্ছে। একইসঙ্গে চিহিৃত ডাকাতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।

 

২০২৫ সালে ফিলিপাইনের ১২টি প্রধান অবকাঠামো প্রকল্প: রিয়েল এস্টেটের রূপান্তর

আরাকান আর্মির হাতে বাংলাদেশি সিম, ব্যবহার হয় মুক্তিপণ আদায়ে

০৮:৩০:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “সাবেক এমপি তানভীর ইমামের বাসায় একদল লোকের তল্লাশি”

সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) তানভীর ইমামের গুলশানের বাসায় তল্লাশি চালিয়েছে একদল মানুষ। তানভীর ইমাম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রয়াত রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের ছেলে।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে গুলশান-২ নম্বরের ৮১ নম্বর সড়কের ওই বাসায় এ তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় ওই ব্যক্তিদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্যকে দেখা যায়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাত সাড়ে ১১টার দিকে শতাধিক মানুষ গুলশান-২ নম্বরের বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ পার্কের কাছে জড়ো হন। সেখান থেকে তাঁরা ১২টার দিকে মিছিল নিয়ে তানভীর ইমামের বাসার সামনে যান।

এ সময় লোকজন বাড়িতে ঢুকতে চাইলে নিরাপত্তা কর্মীরা বাধা দেন। বাধা উপেক্ষা করেই তাঁরা বাড়িতে প্রবেশ করেন। এরপর প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে পুরো বাড়ি তাঁরা তল্লাশি করেন।

পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। তবে এ বিষয়ে পুলিশের আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম”আরাকান আর্মির হাতে বাংলাদেশি সিম, ব্যবহার হয় মুক্তিপণ আদায়ে”

আরাকান আর্মি বাংলাদেশি জেলেদের অপহরণ করে লাখ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করছে। কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদী বাংলাদেশের জলসীমায় আরাকান আর্মির সদস্যরা ঢুকে বাংলাদেশের জেলেদের অপহরণ করে নিয়ে যায়। বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে আনুমানিক সাত-আট কিলোমিটার রাখাইন রাজ্যের ভেতরে আরাকান আর্মি নিয়ন্ত্রিত একটি ক্যাম্পে তাদের বন্দি করে রাখা হয়। তাদের পরিবার বা নৌকার মহাজনের মোবাইল নম্বর চায় তারা। মোবাইল ফোন নম্বর না দিলে বন্দিদের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। ফোন নম্বর পাওয়ার পর তারাই ফোন করে জন প্রতি ২ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আরাকান আর্মির হাতে বাংলাদেশের সিমকার্ডসংবলিত মোবাইল ফোন রয়েছে। সেটিতে মোবাইল ব্যাংকিংও করা আছে। মুক্তিপণ পাওয়ার পর তারা জেলেদের নৌকায় করে নাফ নদের বাংলাদেশ জলসীমায় এনে আরেকটি নৌকায় তুলে দেয়। ১৭ দিন বন্দি থাকার পর গত বৃহস্পতিবার আরাকান আর্মির কাছ থেকে বাংলাদেশের ২৯ জন জেলে ও মাঝিমাল্লা ফিরে এসে এসব নির্যাতনের কথা জানিয়েছেন।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মিদের একটি ক্যাম্পে ১৭ দিন বন্দি ছিলেন ৩৫ বছর বয়সী মৎস্যজীবী মাহমুদুল হাসান। গত ১১ ফেব্রুয়ারি নাফ নদী থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায় তারা। তিনি বলেন, মৎস্যজীবীদের প্রথমে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী একটি বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের কড়া নজরদারিতে রাখা হয়। ৪৮ ঘণ্টা ধরে অতি সংকীর্ণ এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে বাধ্য করা হয়। মূত্র ত্যাগের জন্য আমাদের শুধুমাত্র একটি বালতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো প্রকার অন্যান্য সুবিধা ছিল না। আমাদের কেবল ওয়াশরুমে নিয়ে যেত, তারপর আবার একই ঘরে বন্ধ করে দিত।

খাবারের বিষয়ে মাহমুদুল বলেন, ‘আমাদের কেবল এক মুঠো ভাত এবং সেদ্ধ কলার কাণ্ড দেওয়া হতো। কখনো কখনো শুধু মসুর ডাল দেওয়া হতো, তবে তা পচা ছিল এবং তাতে পোকা ছিল। এমনকি আমাদের দেওয়া পানি ছিল পোকামাকড় এবং সিগারেটের ছাইযুক্ত।’ মাহমুদুলের ভাষ্য অনুযায়ী, একই ক্যাম্পে কমপক্ষে ছয় জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবী বন্দি ছিলেন। অন্যদের কোথায় রাখা হয়েছে তা তিনি জানতে পারেননি।

২০ বছর ধরে মৎস্যজীবী হিসেবে কাজ করা মো. শফিউল্লাহ বলেন, ‘আমরা জানি যে প্রতিদিন দুই বা তিন জন মৎস্যজীবীকে আরাকান আর্মি জোরপূর্বক আটক করে ক্যাম্পে এনে বন্দি করে রাখত। আমরা ১৭ দিন থাকার সময় অনেককে এনেছে আবার অনেককে মুক্তিও দিয়েছে।’

 

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে সাড়ে ৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার”

রাজধানীসহ সারা দেশে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে ৫ হাজার ৪৯৩ চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে এ নিয়োগ দেয়া হবে বলে গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকের পর বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ ব্রিফিং করা হয়। সেখানে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘পিএসসির মাধ্যমে ৩ হাজার ৪৯৩ চিকিৎসক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এর অতিরিক্ত হিসেবে আমরা আরো দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গ্রামের মানুষ চিকিৎসা পায় না, তাদের জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতেই মূলত এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদে ১৩৫টি সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৯২টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়েছে বলে জানান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘বর্তমানে দুটি দেশ থেকে (দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায়) এলএনজি আমদানি করা হয়। কিন্তু কয়েক দিন আগে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল-গ্যাস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আরামকোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। আরামকো বাজারে যে দামে এলএনজি বিক্রি করে, তার চেয়ে কম দামে বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহে সম্মত হয়েছে।’

বৈঠকে দুটি প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এগুলো হলো বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্ট আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ। এখানে এখন নামটি থাকবে না। যেমন নভোথিয়েটার আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ হবে।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “ডাকাত আতঙ্কে সিলেটে লাঠিসোটা নিয়ে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায়”

সিলেটে ডাকাত আতঙ্কে মধ্যরাত থেকে লাঠিসোটা হাতে নিয়ে অবস্থান করছে হাজার হাজার মানুষ। জেলার গোলাপগঞ্জ, বিশ্বনাথ, দক্ষিন সুরমা সহ কয়েকটি উপজেলায় মসজিদের মাইকে ডাকাত থেকে সতর্ক থাকার ঘোষণা দিলে আতঙ্কে মানুষজন রাস্তায় নেমে আসেন।

গোলাপগঞ্জ উপজেলার নিমাদল মোকামবাজার এলাকায় সড়কে অবস্থান নেয় অন্তত ১০ হাজার মানুষ। ওই বাজারে অপরিচিত তিন জনকে একটি দোকানের ভেতরে আটকে রেখে বিক্ষুব্ধ জনতা বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। রাত ২ টার দিকে পুলিশের একটি টিম সেখানে গেলে তাদের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হলে পুলিশ সদস্যরা সেখান থেকে চলে আসেন। রাত ৩ টা পর্যন্ত স্থানীয় জনতা বাজারে অবস্থান করছিলেন।

এদিকে রাত দেড়টা থেকে গোলাপগঞ্জ পৌর শহরে ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করে। এ সময় পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডের মসজিদে ডাকাত থেকে সতর্ক থাকার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় কয়েক হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে পাহারা দেন। পুলিশের কয়েকটি টিম ওই এলাকা পরিদর্শন করেছে। একই সময় উপজেলার হেতিমগঞ্জে এক প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা করা হলে স্থানীয়দের ধাওয়ায় ডাকাতদল পালিয়ে যায়।

এদিকে মধ্যরাত থেকে বিশ্বনাথ উপজেলার সদর, দেওকলস, দৌলতপুর সহ কয়েকটি এলাকার মসজিদের মাইকে ডাকাত ডাকাত বলে মাইকিং করা হয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এ সময় ওইসব এলাকার লোকজনও রাস্তায় নেমে আসেন। রাত ৩ টা পর্যন্ত তারা রাস্তায়ই অবস্থান করছিলেন। এছাড়া দক্ষিন সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার ও রাখালগঞ্জ এলাকায়ও ডাকাত আতঙ্কে লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে সড়কে অবস্থান নেন।

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন- জেলার সবখানেই পুলিশের টহল জোরদার রয়েছে। সিনিয়র কর্মকর্তারা মাঠে টহলে রয়েছে। যেখানেই সমস্য হচ্ছে পুলিশ জনগনের পাশে দাড়াচ্ছে। একইসঙ্গে চিহিৃত ডাকাতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।