০২:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

পাইকারি বাজার ও খুঁচরা বাজারে পন্যের দামের সামঞ্জস্যহীনতা

  • Sarakhon Report
  • ০৩:২৬:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • 19

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • রমজানের আগের সময়ে (অক্টোবর ২০২৪ – জানুয়ারি ২০২৫) খাদ্য পণ্যের আমদানিতে প্রায় ৩৯% বৃদ্ধি দেখা গেছে, বিশেষ করে ছোলা, ডাল, চিনি, খেজুর ও পিঁয়াজের ক্ষেত্রে।

  • খেজুরসহ বিভিন্ন খাদ্য পণ্যের পাইকারি দামে ৩০–৪০% পর্যন্ত কমতি হয়েছে, তবে খুচরা বাজারে এর পুরো প্রভাব পড়েনি।

  • আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য হ্রাস, স্থিতিশীল ডলার হার ও শুল্ক ছাড় খাদ্য পণ্যের আমদানিকে উৎসাহিত করেছে, যার ফলে পাইকারি বাজারে মূল্য কমেছে।


রমজানের সময় সর্বোচ্চ আমদানির মাত্রা

  • খাদ্য পণ্যের আমদানিতে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি:
    রামাদানের সময় খাদ্য পণ্যের আমদানিতে অসাধারণ বৃদ্ধি দেখা গেছে।
  • প্রায় ৩৯% বৃদ্ধি:
    অক্টোবর ২০২৪ থেকে জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত, রান্নার তেল, ছোলা, ডাল, চিনি, খেজুর ও পিঁয়াজের আমদানিতে পূর্ব বছরের তুলনায় প্রায় ৩৯% বৃদ্ধি লক্ষ করা গেছে।

পাইকারি  দামে উল্লেখযোগ্য হ্রাস

  • খেজুরের দামে নাটকীয় কমতি:
    খেজুরের হোলসেল দাম ৩০–৪০% পর্যন্ত কমে গেছে।

    • উদাহরণস্বরূপ:
      • ইরাকি জাইয়েদি খেজুর এখন ৩৫০–৩৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা পূর্বের তুলনায় ১৫০–১৮০ টাকার হ্রাস নির্দেশ করে।
      • আজওয়া খেজুরের দাম ২০০–২৫০ টাকা কমে গিয়ে এখন ৬০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে রয়েছে।
      • মেদজুল এবং মাবরুম খেজুরেও অনুরূপ উল্লেখযোগ্য মূল্য হ্রাস দেখা গেছে।
  • অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রেও প্রভাব:
    ডাল, চিনি ও পিঁয়াজের ক্ষেত্রে প্রতিদিন মূল্য হ্রাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

৩. মূল্য হ্রাসের কারণসমূহ

  • আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব:
    স্থিতিশীল ডলার হার এবং আন্তর্জাতিক বাজারে কম মূল্যের কারণে বৃহৎ পরিসরে আমদানিকে উৎসাহিত করা হয়েছে।
    একটি বড় গ্রুপের একজন পরিচালক উল্লেখ করেছেন যে, এই বৈশ্বিক কারণগুলি বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
  • শুল্কে ছাড়:
    করাচিতে বিশেষভাবে খেজুরের দাম কমাতে ১০% শুল্ক হ্রাসও ভূমিকা রেখেছে।

৪. পাইকারি ও খুচরা দামের মধ্যে ফারাক

  • পাইকারি বাজারের সুবিধা:
    বৃদ্ধি পাওয়া আমদানির ফলে মশলা ও পিঁয়াজের মতো পণ্যের হোলসেল দাম কমে গেছে।
    চট্টগ্রামের প্রধান হোলসেল বাজারের ব্যবসায়ীরা এই মূল্য হ্রাস নিশ্চিত করেছেন।
  • খুচরা বাজারের উদ্বেগ:
    হোলসেল দামের হ্রাস সত্ত্বেও, খুচরা দামে ততটা কমতি ঘটেনি।
    সীমিত বাজার নজরদারির কারণে গ্রাহকরা এই কম মূল্যের পুরো সুবিধা পাচ্ছেন না।
    বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন যে, খুচরা ক্রেতাদের সঞ্চয় পৌঁছে দেওয়ার জন্য আরও শক্তিশালী নজরদারি প্রয়োজন।

 

৫. আমদানির তথ্য ও বাজারের প্রবণতা

  • আমদানির বৃদ্ধির বিস্তারিত তথ্য (অক্টোবর ২০২৪ – জানুয়ারি ২০২৫):
    • চিনি: ২০% বৃদ্ধি
    • ডাল: ৪৪% বৃদ্ধি
    • সয়াবিন তেল: ৩৪% বৃদ্ধি
    • ছোলা: ৬৪% বৃদ্ধি
    • মটর ডাল: ৮৫% বৃদ্ধি
    • খেজুর: ২৩% বৃদ্ধি
  • বাজারের ধারণা:
    বিশ্লেষকরা বিশেষ করে খেজুরের ক্ষেত্রে হোলসেল দামের কমতি কে “অবিশ্বাস্য” হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
    অনুমান করা হচ্ছে যে, যদি এই প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তাহলে দাম আরও কমে যেতে পারে।

২০২৫ সালে ফিলিপাইনের ১২টি প্রধান অবকাঠামো প্রকল্প: রিয়েল এস্টেটের রূপান্তর

পাইকারি বাজার ও খুঁচরা বাজারে পন্যের দামের সামঞ্জস্যহীনতা

০৩:২৬:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • রমজানের আগের সময়ে (অক্টোবর ২০২৪ – জানুয়ারি ২০২৫) খাদ্য পণ্যের আমদানিতে প্রায় ৩৯% বৃদ্ধি দেখা গেছে, বিশেষ করে ছোলা, ডাল, চিনি, খেজুর ও পিঁয়াজের ক্ষেত্রে।

  • খেজুরসহ বিভিন্ন খাদ্য পণ্যের পাইকারি দামে ৩০–৪০% পর্যন্ত কমতি হয়েছে, তবে খুচরা বাজারে এর পুরো প্রভাব পড়েনি।

  • আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য হ্রাস, স্থিতিশীল ডলার হার ও শুল্ক ছাড় খাদ্য পণ্যের আমদানিকে উৎসাহিত করেছে, যার ফলে পাইকারি বাজারে মূল্য কমেছে।


রমজানের সময় সর্বোচ্চ আমদানির মাত্রা

  • খাদ্য পণ্যের আমদানিতে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি:
    রামাদানের সময় খাদ্য পণ্যের আমদানিতে অসাধারণ বৃদ্ধি দেখা গেছে।
  • প্রায় ৩৯% বৃদ্ধি:
    অক্টোবর ২০২৪ থেকে জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত, রান্নার তেল, ছোলা, ডাল, চিনি, খেজুর ও পিঁয়াজের আমদানিতে পূর্ব বছরের তুলনায় প্রায় ৩৯% বৃদ্ধি লক্ষ করা গেছে।

পাইকারি  দামে উল্লেখযোগ্য হ্রাস

  • খেজুরের দামে নাটকীয় কমতি:
    খেজুরের হোলসেল দাম ৩০–৪০% পর্যন্ত কমে গেছে।

    • উদাহরণস্বরূপ:
      • ইরাকি জাইয়েদি খেজুর এখন ৩৫০–৩৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা পূর্বের তুলনায় ১৫০–১৮০ টাকার হ্রাস নির্দেশ করে।
      • আজওয়া খেজুরের দাম ২০০–২৫০ টাকা কমে গিয়ে এখন ৬০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে রয়েছে।
      • মেদজুল এবং মাবরুম খেজুরেও অনুরূপ উল্লেখযোগ্য মূল্য হ্রাস দেখা গেছে।
  • অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রেও প্রভাব:
    ডাল, চিনি ও পিঁয়াজের ক্ষেত্রে প্রতিদিন মূল্য হ্রাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

৩. মূল্য হ্রাসের কারণসমূহ

  • আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব:
    স্থিতিশীল ডলার হার এবং আন্তর্জাতিক বাজারে কম মূল্যের কারণে বৃহৎ পরিসরে আমদানিকে উৎসাহিত করা হয়েছে।
    একটি বড় গ্রুপের একজন পরিচালক উল্লেখ করেছেন যে, এই বৈশ্বিক কারণগুলি বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
  • শুল্কে ছাড়:
    করাচিতে বিশেষভাবে খেজুরের দাম কমাতে ১০% শুল্ক হ্রাসও ভূমিকা রেখেছে।

৪. পাইকারি ও খুচরা দামের মধ্যে ফারাক

  • পাইকারি বাজারের সুবিধা:
    বৃদ্ধি পাওয়া আমদানির ফলে মশলা ও পিঁয়াজের মতো পণ্যের হোলসেল দাম কমে গেছে।
    চট্টগ্রামের প্রধান হোলসেল বাজারের ব্যবসায়ীরা এই মূল্য হ্রাস নিশ্চিত করেছেন।
  • খুচরা বাজারের উদ্বেগ:
    হোলসেল দামের হ্রাস সত্ত্বেও, খুচরা দামে ততটা কমতি ঘটেনি।
    সীমিত বাজার নজরদারির কারণে গ্রাহকরা এই কম মূল্যের পুরো সুবিধা পাচ্ছেন না।
    বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন যে, খুচরা ক্রেতাদের সঞ্চয় পৌঁছে দেওয়ার জন্য আরও শক্তিশালী নজরদারি প্রয়োজন।

 

৫. আমদানির তথ্য ও বাজারের প্রবণতা

  • আমদানির বৃদ্ধির বিস্তারিত তথ্য (অক্টোবর ২০২৪ – জানুয়ারি ২০২৫):
    • চিনি: ২০% বৃদ্ধি
    • ডাল: ৪৪% বৃদ্ধি
    • সয়াবিন তেল: ৩৪% বৃদ্ধি
    • ছোলা: ৬৪% বৃদ্ধি
    • মটর ডাল: ৮৫% বৃদ্ধি
    • খেজুর: ২৩% বৃদ্ধি
  • বাজারের ধারণা:
    বিশ্লেষকরা বিশেষ করে খেজুরের ক্ষেত্রে হোলসেল দামের কমতি কে “অবিশ্বাস্য” হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
    অনুমান করা হচ্ছে যে, যদি এই প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তাহলে দাম আরও কমে যেতে পারে।