সারাক্ষণ রিপোর্ট
সারাংশ
- নিহত সেনাদের পরিবার প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসকে দোষারোপ করেছেন
- সেনা প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে রিপাবলিকান সিনেটর টেড ক্রুজ তীব্র সমালোচনা করেছেন
- মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় ট্রাম্প এই গ্রেফতারের ঘোষণা দেন
- এটি আবারও বাইডেন প্রশাসনের সেনা প্রত্যাহারের ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা বাড়িয়ে তুলেছে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে ২০২১ সালের আফগানিস্তানের অ্যাবি গেট হামলার প্রধান সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই হামলায় ১৩ জন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছিলেন।
গ্রেফতারের ঘোষণা
মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় ট্রাম্প বলেন,
“আজ রাতে আমি আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে আমরা সেই জঘন্য অপরাধের মূল সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছি। এখন সে আমেরিকান ন্যায়বিচারের তীক্ষ্ণ তরবারির মুখোমুখি হচ্ছে।”
ফক্স নিউজ জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির নাম মুহাম্মদ শরিফুল্লাহ। ট্রাম্প বিশেষভাবে পাকিস্তান সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারের জন্য। তিনি বলেন,
“আজকের দিনটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ সেই ১৩টি পরিবারের জন্য, যাদের আমি খুব ভালোভাবে চিনতাম।”
আফগানিস্তান থেকে বিশৃঙ্খল সেনা প্রত্যাহার
২০২১ সালে বাইডেন প্রশাসনের অধীনে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সময় অ্যাবি গেট হামলা হয়। এই হামলায় ১৩ মার্কিন সেনাসহ কমপক্ষে ১৭০ জন আফগান নাগরিক নিহত ও আহত হন।
- কাবুল বিমানবন্দরে নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে থাকা মার্কিন সেনারা হামলার শিকার হন।
- সেনা প্রত্যাহারের ফলে শত শত মার্কিন নাগরিক ও হাজার হাজার আফগান মিত্র তালেবানের দখলে পড়ে যান।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনা
এই সেনা প্রত্যাহার নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন রিপাবলিকান সিনেটর টেড ক্রুজ। তিনি বলেন,
“এই সিদ্ধান্তই রাশিয়াকে ইউক্রেনে আক্রমণের সুযোগ করে দিয়েছে।”
প্রত্যাহারের পর তালেবান পুরো আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে।
গোল্ড স্টার পরিবারের প্রতিক্রিয়া
(নিহত মার্কিন সেনাদের পরিবার)
ট্রাম্প বলেন, তিনি নিহত সেনাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেছেন। তিনি জানান,
“তাদের প্রতিক্রিয়া ছিল অশ্রুসিক্ত, তবে তারা সন্তুষ্ট। যতটা খুশি হওয়া সম্ভব, ততটাই খুশি ছিলেন। তাদের সন্তান, ভাই, বোন, ছেলে-মেয়েরা অকারণে প্রাণ হারিয়েছে।”
বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ
নিহত সেনাদের পরিবার প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসকে দোষারোপ করেছেন।
- তারা দাবি করেছেন, “এই প্রশাসনের ব্যর্থতাই আমাদের সন্তানদের মৃত্যুর জন্য দায়ী।”
- অনেকে বলেছেন, “আমার ছেলেকে এই প্রশাসনই হত্যা করেছে।”
- তারা অভিযোগ করেছেন, “আমরা সরকারের কাছ থেকে কোনো সহায়তা পাইনি।”
ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা
ট্রাম্প বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করে বলেন,
“কি ভয়ানক দিন ছিল সেটা। প্রশাসনের অযোগ্যতা দেখে পুতিন ভেবেছিলেন, ‘এটাই আমার সুযোগ।‘ এতটাই দুর্বল ছিল মার্কিন নেতৃত্ব। এটি কখনই ঘটতে দেওয়া উচিত ছিল না।”
এই গ্রেফতারের তাৎপর্য
এই সন্ত্রাসীর গ্রেফতার মার্কিন প্রশাসনের জন্য বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে এটি আবারও বাইডেন প্রশাসনের সেনা প্রত্যাহারের ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা বাড়িয়ে তুলেছে।