০২:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

চীনের গ্রাম ও নগরায়নের সমন্বিত উন্নয়ন নিয়ে ঢাকায় সেমিনার

  • Sarakhon Report
  • ১২:২৭:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
  • 19

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো ‘উন্নয়নের নতুন ধারণা : চীনের গ্রামীণ ও নগরায়নের সমন্বিত কৌশল’ প্রতিপাদ্যে সেমিনার। সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে অনুষ্ঠিত হয় এই সেমিনার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর চায়না স্টাডিজ আয়োজন করে এই সেমিনারের। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি ড. চিয়াওছুন শি। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন চীনের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের লিড চেয়ার ড. প্রফেসর লি সিয়াও ইয়ুন।

মূল প্রবন্ধে লি সিয়াও ইয়ুন তুলে ধরেন চীনের ঐতিহাসিক পটভূমি। ১৯ শতকের মাঝামাঝি থেকে জোরপূর্বক আধুনিকীকরণ এবং কৃষি বিপ্লব ছাড়াই শিল্পায়নের গল্প। এরপর তুলে ধরেন নতুন চীন প্রতিষ্ঠার শুরুতে ১৯৫০-১৯৭০ এর দশকে শিল্পায়নে কৃষির ভূমিকা।

লি সিয়াও ইয়ুন বলেন, সংস্কার এবং উন্মুক্তির পর ১৯৮০ থেকে ৯০-এর দশকে কৃষি, শিল্প এবং শহুরে উন্নয়নের একীভূত উন্নয়ন ঘটে চীনে। পাশাপাশি তুলে ধরেন একবিংশ শতকের শুরু থেকে শহর-গ্রামীণ সমন্বিত উন্নয়নের ধারণাটিও।

এরপর উঠে আসে চীনের দারিদ্র্য বিমোচনের গল্প। গ্রাফ চিত্রে দেখানো হয় ২০১২ সালে চীনে প্রায় ১০ কোটি মানুষ ছিল দরিদ্র। এরপরই সরকার শুরু করে জাতীয় দারিদ্র্য বিমোচন অভিযান। যেখানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৯.৪ ট্রিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়ে গিয়েছিল। কয়েক বছরের ধারাবাহিক চেষ্টায় দারিদ্রমুক্ত হয় চীন।

চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক রূপান্তর, দারিদ্র্য নির্মূল এবং গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনে অসাধারণ ফলাফল অর্জনের কারণ হিসেবে রাজনৈতিক পার্টির ধারাবাহিক কৌশলগত আধুনিকীকরণকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন ড. লি।

তার মতে, দীর্ঘমেয়াদি টেকসই ও সমন্বিত উন্নয়নে একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক এবং সামাজিক পরিবেশই ভূমিকা রেখেছে এবং কৃষির উন্নয়নই কৃষি-প্রধান ও গ্রামভিত্তিক দেশগুলোর উন্নয়নের ভিত্তি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
দুই ঘণ্টাব্যাপী উন্নয়নের নতুন ধারণার এই সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

সিএমজি বাংলা

২০২৫ সালে ফিলিপাইনের ১২টি প্রধান অবকাঠামো প্রকল্প: রিয়েল এস্টেটের রূপান্তর

চীনের গ্রাম ও নগরায়নের সমন্বিত উন্নয়ন নিয়ে ঢাকায় সেমিনার

১২:২৭:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো ‘উন্নয়নের নতুন ধারণা : চীনের গ্রামীণ ও নগরায়নের সমন্বিত কৌশল’ প্রতিপাদ্যে সেমিনার। সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে অনুষ্ঠিত হয় এই সেমিনার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর চায়না স্টাডিজ আয়োজন করে এই সেমিনারের। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি ড. চিয়াওছুন শি। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন চীনের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের লিড চেয়ার ড. প্রফেসর লি সিয়াও ইয়ুন।

মূল প্রবন্ধে লি সিয়াও ইয়ুন তুলে ধরেন চীনের ঐতিহাসিক পটভূমি। ১৯ শতকের মাঝামাঝি থেকে জোরপূর্বক আধুনিকীকরণ এবং কৃষি বিপ্লব ছাড়াই শিল্পায়নের গল্প। এরপর তুলে ধরেন নতুন চীন প্রতিষ্ঠার শুরুতে ১৯৫০-১৯৭০ এর দশকে শিল্পায়নে কৃষির ভূমিকা।

লি সিয়াও ইয়ুন বলেন, সংস্কার এবং উন্মুক্তির পর ১৯৮০ থেকে ৯০-এর দশকে কৃষি, শিল্প এবং শহুরে উন্নয়নের একীভূত উন্নয়ন ঘটে চীনে। পাশাপাশি তুলে ধরেন একবিংশ শতকের শুরু থেকে শহর-গ্রামীণ সমন্বিত উন্নয়নের ধারণাটিও।

এরপর উঠে আসে চীনের দারিদ্র্য বিমোচনের গল্প। গ্রাফ চিত্রে দেখানো হয় ২০১২ সালে চীনে প্রায় ১০ কোটি মানুষ ছিল দরিদ্র। এরপরই সরকার শুরু করে জাতীয় দারিদ্র্য বিমোচন অভিযান। যেখানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৯.৪ ট্রিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়ে গিয়েছিল। কয়েক বছরের ধারাবাহিক চেষ্টায় দারিদ্রমুক্ত হয় চীন।

চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক রূপান্তর, দারিদ্র্য নির্মূল এবং গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনে অসাধারণ ফলাফল অর্জনের কারণ হিসেবে রাজনৈতিক পার্টির ধারাবাহিক কৌশলগত আধুনিকীকরণকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন ড. লি।

তার মতে, দীর্ঘমেয়াদি টেকসই ও সমন্বিত উন্নয়নে একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক এবং সামাজিক পরিবেশই ভূমিকা রেখেছে এবং কৃষির উন্নয়নই কৃষি-প্রধান ও গ্রামভিত্তিক দেশগুলোর উন্নয়নের ভিত্তি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
দুই ঘণ্টাব্যাপী উন্নয়নের নতুন ধারণার এই সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

সিএমজি বাংলা